Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অতীতের আয়না: নতুন পোশাক ও জাদুকর কারিগর
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। নতুন জামাকাপড় কেনাও হয়ে গিয়েছে সকলের। কলকাতা গড়ে ওঠার দিনগুলিতে সুতানুটির তালুকদারি পেয়ে মহারাজ নবকৃষ্ণ নানা পেশার মানুষ এনে সেখানে বসালেন। কুমোরদের থাকার এবং কাজ করার আলাদা জায়গা হল। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবেই শান্তিপুর থেকে দর্জিদের এনে বসালেন আলাদা পাড়ায়। এই দর্জিরা দেব পরিবারের সদস্যদের পোশাক তৈরি করতেন। এভাবেই উত্তর কলকাতার দর্জিপাড়া অঞ্চলের পত্তন হল।   
এই দর্জিদের মধ্যে মস্ত ওস্তাদদের দক্ষতা কোন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, তার হদিশ পাওয়া যায় বিখ্যাত শিল্পী পরিতোষ সেনের স্মৃতিকথায়। ছোটবেলায় তাঁরা থাকতেন ঢাকার জিন্দাবার লেন নামের গলিতে। প্রতিবেশীদের মধ্যে ছিলেন খিটেখিটে মেজাজের দর্জি হাফিজ মিয়াঁ। পরিতোষ লিখেছেন যে,  দীর্ঘকাল ভুগে হাফিজ দর্জির অস্থিচর্মসার দেহটি দেখে মনে হতো অবিকল যেন অনশনরত গান্ধার শৈলীর বুদ্ধমূর্তি। একদিন ঢাকার নবাব বাড়ির কোনও সদস্য গাড়িতে করে দোকানে হাজির। পশমী কাপড় দিয়ে গৌরকান্তি যুবকটি দর্জিকে তাঁর মাপের কোট বানিয়ে দিতে বললেন। উত্তরে মিয়াঁ অনুরোধ করলেন কাপড় রেখে যেতে আর তিনদিন বাদে ট্রায়ালের জন্য আসতে। কথা শুনে নবাবজাদা সেখানেই পড়ে যান আর কী! লোকটা মাপ নিল না, কিছু লিখল না, ট্রায়াল হবে কী রে! সেকথা দর্জিকে বলতেই প্রচণ্ড আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে আগের কথাই আরও একবার শুনিয়ে দিলেন হাফিজ। প্রবল সংশয় নিয়ে ঠিক তিনদিন পর আবার হাজির নবাবজাদা। এর মধ্যে হাফিজ কাপড় কেটে মোটামুটি তৈরি করে রেখেছেন কোট। নবাবজাদা আসতেই তাঁকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে আলতো করে পরিয়ে দিলেন সেই কোট। কিন্তু কী আশ্চর্য! প্রায় নিখুঁত কাটিং আর ফিটিং! কাঁবের পুট, আস্তিন, বগল সব ঠিক। শুধু পিঠে একটু ভাঁজ পড়েছে। সেখানে ক’টা আলপিন গেঁথে কোট খুলে নিল হাফিজ। নবাবজাদার চোখ ছানাবড়া। বেরনোর সময় তার মুখে একটাই কথা – কামাল কামাল! গজব গজব! দু’ঘণ্টার মধ্যে বাকি কাজ শেষ করে সুন্দর ভাঁজে ইস্ত্রি করা কোট পৌঁছে গেল নবাব বাড়ি। 
এদেশীয় ধনী শ্রেণির মতো ব্রিটিশ সাহেবরাও বাড়ির আর পাঁচজন গৃহসহায়কের মতো অষ্টাদশ শতক থেকেই মাস মাইনে দিয়ে দর্জি রাখতেন। ১৭৫৯ সালে তাদের মাইনে ছিল মাসে তিন টাকা। আঠেরো শতকের পর্যটক ফ্যানি পার্কস কলকাতায় তাঁর হয়ে কাজ করা দর্জিদের সম্পর্কে অনেক মজার খবর দিয়েছেন। তাঁর একদল গৃহসহায়কের মধ্যে একমাত্র দর্জি ছাড়া কেউই একবর্ণ ইংরেজি বলতে পারত না। দর্জির কাজের মান প্রায় ফরাসি কারিগরদের স্তরে মনে করেছিলেন মেমসাহেব। তবে একই সঙ্গে তার ছুরি কাঁচি থেকে টুকিটাকি জিনিসপত্রের হাত টানের  প্রসঙ্গও উল্লেখ করতে ভোলেননি মিসেস পার্কস। 
কোম্পানির আমল শেষে মহারানির রাজত্ব শুরু হওয়ার পর মেমসাহেবরা আরও বেশি করে ভারতে আসতে শুরু করলেন। ভারতীয় গৃহসহায়কদের নরমে-গরমে ‘মানুষ’ করার নিদান ঘোষিত হতে থাকল সেকালের সহায়ক গাইড বইগুলিতে। স্টিল ও গার্ডেনারের বইতে পরিষ্কার লেখা হল যে, ভারতীয় গৃহসহায়করা শিশুর মতো। তাদের মধ্যে কোনও কর্তব্য বোধ থাকে না। তাই তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে বাড়ির কাজের যোগ্য করে তুলতে হয়। এই বইটিতে বাড়ির দর্জির কাজের পরিধি পরিষ্কার করে দিয়ে বলা হয়েছে যে, দর্জিদের নিজের মতো কাপড় কাটতে দেওয়া উচিত নয়। হয় গৃহকর্ত্রী নিজে কেটে দেবেন বা কাটার সময় দাঁড়িয়ে থেকে নির্দেশ দেবেন। কলকাতায় মাস মাইনে দিয়ে দর্জি রাখার প্রয়োজন নেই। তবে রাখতে হলে তার মাইনে হবে পনেরো টাকা। তার পরিবর্তে পুরো আট ঘণ্টার কাজ যেন গৃহকর্ত্রী বুঝে নেন। মালকিন যদি নিজের কোনও পুরনো পোশাকের মাপ থেকে নতুন পোশাক বানানোর কথা ভাবেন, তাহলে কোনও সাহেব ড্রেসমেকারের পরিবর্তে দেশি দর্জিকে সেই কাজ করতে দিলে কোনও অংশে কাজ খারাপ হবে না। বরং অনেকটা সাশ্রয় হবে।  
জামাকাপড় সেলাই ছাড়াও এই দর্জিরা সাহেবদের শিকার অভিযানের সঙ্গীও হতেন শল্যচিকিৎসক হিসেবে। এই পেশায় ওস্তাগর, মানে মুসলমান কারিগরদের সম্মানে একসময় কলকাতায় বেশ কয়েকটি রাস্তার নাম রাখা হয়েছিল। তার মধ্যে গুলু ওস্তাগর, মিয়াজান ওস্তাগর, বুধু ওস্তাগর, 
রহিম ওস্তাগরের নামের কয়েকটি রাস্তা আজও 
টিকে আছে।   
এদেশীয় দর্জিদের পাশাপাশি, কলকাতার শৈশবে  বেশ কয়েকজন ইউরোপীয় পোশাক নির্মাতাও এই পেশায় পশার জমিয়েছিলেন। ১৭৯৩ সালের কলকাতার বৃত্তিজীবী পেশাদারদের তালিকায় পাওয়া যায় বারোজন ইউরোপীয় দর্জির নাম। কলকাতার মেয়র্স কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট অব বেঙ্গলের বিভিন্ন  সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলার নথি এবং সেই সময়ের বিজ্ঞাপনে চোখ বোলালে বোঝা যায় যে, সাহেবরা নিজেদের নবাবি জীবনশৈলীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে  জামাকাপড়ের পেছনে হাত খুলে খরচ করতেন। পুরো সেট পোশাকের জন্য পাঁচশো গিনি পর্যন্ত খরচ করতেন। সেই জন্যই হয়তো মার্টিন নামে জনৈক পোশাক প্রস্তুতকারক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে ভালো চাকরির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে বছর দশেক দর্জির কাজ করে গিয়েছেন এ শহরে। আর ১৭৭৩ সালে দেশে ফেরার সময় দু’লক্ষ টাকার মতো সঞ্চয় করে ফেলার মধ্যে দিয়ে মার্টিন প্রমাণও করেছিলেন নিজের দূরদর্শিতা।
সাহেব টেলাররা কেমন পোশাক তৈরি করতেন, তার আন্দাজ পাওয়া যায় অ্যাটর্নি উইলিয়াম হিকির স্মৃতিকথায়। উকিল সাহেব লিখেছেন যে, এক বিশেষ উৎসবে পরার জন্য তিনি চুমকি বসানো সাদা সিল্কের লাইনিং দেওয়া সবুজ কোট বানিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল সাদা সিল্কের মানানসই নকশাদার ওয়েস্টকোট ও ব্রিচেস। এমন শৌখিন পোশাক ছাড়াও এখনকার গরমের জন্য দিনের মধ্যে বেশ কয়েকবার পোশাক পরিবর্তন করতে হতো সাহেবদের। সুতির কাপড় ছাড়াও বড়লোকেরা আইরিশ লিনেন ব্যবহার করতেন। এছাড়াও লন্ডনের সর্বশেষ ফ্যাশনের খবর রাখতেন কলকাতার অভিজাতরা। বিশেষ করে মহিলারা। ১৭৮৩ সালে গভর্নর জেনারেল হেস্টিংসের স্ত্রী সেই মরশুমের লন্ডনের টাটকা ফ্যাশনে সেজে কোনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ায় আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছিল ‘Chemise á la Reine’ নামের পোশাকটি।  সাহেব দর্জিদের এই রমরমা কলকাতার পাশ্চাত্য ঘেঁষা বাবুদের মধ্যেও বেশ জনপ্রিয় ছিল। বিশেষ করে বাঙালি পরিবারগুলিতে যখন বিলেত যাওয়া শুরু হল। সমরেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিলেত যাওয়ার কথা উঠলে সাহেব দর্জির থেকে পোশাক বানানোর কথা জানা যায় অবনীন্দ্রনাথের স্মৃতিকথায়।
তবে শহরের সব দর্জিই ধনীবাড়ির পোশাক তৈরির বরাত পেত না। তারা রং ও রিপুর কাজ করত। গত শতকের প্রথম দিকেও কলকাতায় গৃহস্থ পাড়াগুলিতে অতি পরিচিত ডাক ছিল— ‘রিপুকর্ম করাবে গো’।
মেয়েরা রেডিমেড পোশাক কিনলেও কয়েক দশক আগেও ছেলেদের পছন্দ ছিল দর্জির কাছে মাপ দিয়ে জামা-প্যান্ট তৈরি। তাই পুজোর আগে থেকেই পাড়ার দর্জির দোকানে ‘অর্ডার ক্লোজড’ বোর্ড ঝুলত। এখন সময় বদলেছে। তৈরি পোশাকের দিকেই ঝোঁক সবার। কলকাতার পোশাক তৈরির কেন্দ্র মেটিয়াবুরুজের দর্জিরাও মূলত রপ্তানি ও তৈরি পোশাকের কাজেই ব্যস্ত। পাড়ার দর্জিদের সেই রমরমাও আজ স্মৃতি। 
06th  October, 2024
দুই প্রজাপতি
সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়

ছাদের আলসের ধারে দাঁড়িয়েছিল মেয়েটি। আমি সিঁড়িতে উঠতে উঠতেই মনে হল দেখলাম। তারপরে আর দেখতে পেলাম না। আসলে আমার হাতে মোবাইল ছিল। মোবাইলে আসা পাক খাওয়া ছোট খরগোশের মতো ইমোজিটার নাম দিয়েছি বিচ্চু। বিশদ

20th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: পাহাড়গঞ্জ
সমৃদ্ধ দত্ত

হরিদ্বার ভ্রমণ? তাহলে দিল্লি হয়ে যাওয়াই ভালো। সরাসরি তো যাওয়াই যায়। কিন্তু দিল্লি হয়ে গেলে একটা দিন দিল্লিও দেখা হয়ে যাবে আর তারপর ভোরের শতাব্দী অথবা বাস কিংবা গাড়িতে হরিদ্বার-হৃষীকেশ গেলেই হল! আগ্রা, বৃন্দাবন, মথুরা, ভরতপুর যাব ভাবছি। বিশদ

20th  October, 2024
ভূতুড়ে স্টেশন বেগুনকোদর
সমুদ্র বসু

পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের গা ঘেঁষে ছোট্ট একটা স্টেশন। এই স্টেশনের চারপাশের অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ মন ভরিয়ে দেওয়ার মতো। কিন্তু এক অজানা আতঙ্কে এই স্টেশন খালি পড়ে রয়েছে প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘ভূতুড়ে স্টেশন’। বিশদ

20th  October, 2024
মেঘ ও বৃষ্টি
সোমজা দাস

সকালে ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোনটা হাতে টেনে নেওয়া অরণ্যর দীর্ঘদিনের অভ্যেস। সেভাবেই বিছানায় বসে থাকে কিছুক্ষণ। সোশ্যাল মিডিয়ার টাইমলাইন ঘাটে। মেসেজবক্স চেক করে। রূপসা রাগ করে। বলে, এটা নাকি একটা মানসিক সমস্যা।      বিশদ

06th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: কালকা মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

চারদিকে এত লালের বন্যা কেন? লাল শালু। লাল উড়নি। জরি দেওয়া লাল কাপড়। লাল পাগড়ি। লাল দোপাট্টা। লাল ফুল। লাল সিঁদুর। এই নিরন্তর লাল বন্দনার পিছনে কি তাহলে রক্তের প্রতীকী ভূমিকা আছে? একটি তথ্যসূত্র সেরকমই বলছে। বিশদ

06th  October, 2024
এক আকাশ
দীপারুণ ভট্টাচার্য

আকাশ আজ আত্মহত্যা করবে। কাজটা সে গতকালই করতে পারত। করেনি কারণ ঘটনাটা কলকাতায় ঘটলে বাবা-মা সহ্য করতে পারতেন না। একদিকে পুত্রশোক অন্যদিকে টিভি চ্যানেলের নির্লজ্জ প্রশ্নবাণ! আকাশের তো কারও উপর অভিযোগ নেই। বিশদ

29th  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দাদি-পোতি মকবরা
সমৃদ্ধ দত্ত

এটা বেশ মজার তাই না দাদি? আমাদের কেউ চিনবে না! বিশদ

29th  September, 2024
সিমলার ভৌতিক টানেল
সমুদ্র বসু

অন্ধকার একটা টানেল। স্যাঁতস্যাঁতে শ্যাওলা ধরা দেওয়াল। টানেলের ভেতরে ঢোকার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় জল পড়ার আওয়াজ। সঙ্গে কিছু ‘অন্য’ আওয়াজও কানে আসে। না, এটা কোনও ভৌতিক সিনেমার প্লট নয়। খোদ ভারতের বুকেই রয়েছে এমন একটি ‘ভূতুড়ে’ টানেল। বিশদ

29th  September, 2024
নিভাননী দেবী
ঝিমলি নন্দী

হারাধন দাসের বাড়িটা পিছাবনি গ্রামের দক্ষিণদিকের শেষ প্রান্তে জোড়া পুকুরের ধারে। বাড়িটা পাকা বটে তবে না ছিরি না ছাঁদ। যখন যেমন ঘর দরকার হয়েছে,  তেমন করেই বাড়ানো। ভেতর দিকের উঠোনে একটা ঘরে আবার সিমেন্টের খুঁটির ওপর টালির চাল। বিশদ

22nd  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দিওয়ান-ই-খাস
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ এগিয়ে আসছে। দিওয়ান-ই-আম, দিওয়ান-ই-খাস, রংমহল, খাস মহল, মোতি মহল জেগে উঠছে ক্রমেই। রং করা হচ্ছে দেওয়াল। পাঁচিল।  সামনেই বয়ে যাওয়া যমুনার প্রতিটি নৌকাকেও রং করেছে তাদের মালিকরা। বিশদ

22nd  September, 2024
অতীতের আয়না: সামাজিকতায় ভিজিটিং কার্ড
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

কার্ডটা কীরকম হয়েছে দেখ তো।’ ফেলুদা ওর মানিব্যাগের ভিতর থেকে সড়াৎ করে একটা ভিজিটিং কার্ড বের করে আমাকে দেখতে দিল। দেখি তাতে ছাপার অক্ষরে লেখা রয়েছে Prodosh C. Mitter, Private Investigator। বিশদ

22nd  September, 2024
রাত্রিটা ভালো নয়

এটাই শেষ ট্রেন ছিল। স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে পথিক দেখল, চারদিকটা খুব ফাঁকা লাগছে। শীতকাল বলেই কী? নইলে এত তাড়াতাড়ি তো রাস্তাঘাট এমন শুনশান হয় না। তার পক্ষে অবশ্য এটা ভালোই। ভিড় থাকলে রিকশ পাওয়া দুষ্কর। আবার বেশি ফাঁকা হলেও রিকশওয়ালাগুলো সব পিটটান দেয়।
বিশদ

15th  September, 2024
ফেরা
ছন্দা বিশ্বাস 

সোপান সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে বলল, ‘তাহলে কী ঠিক করলি?’ পরমের হাতে সিগারেটটা অসহায়ভাবে পুড়ছিল। ওরা ফ্রাঙ্কফুর্ট স্টেশনে ঢোকার মুখে বাঁ-পাশে একটা স্মোকিং জোনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। কয়েকজন জার্মান যুবতী দ্রুত সিগারেট নিঃশেষ করে ভিতরে ঢুকে গেল।  বিশদ

08th  September, 2024
গগনবাবু ও প্যাংলা তাপস
রম্যাণী গোস্বামী

গগনবাবু একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মোটামুটি উপরতলার কর্মী। যাদবপুরে নিজেদের ফ্ল্যাট। মাস গেলে ইএমআই বাদ দিলে মাঝারি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, কয়েকটা মিউচুয়াল ফান্ড, হৃষ্টপুষ্ট গিন্নি, ফ্যাশানেবল কলেজ পড়ুয়া কন্যা এবং একটি মাহিন্দ্রা কেইউভি— এই হল মোটামুটি তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান। বিশদ

01st  September, 2024
একনজরে
মাসে মোট রোজগার দেখিয়েছিলেন, সাত হাজার টাকা। আবেদনপত্রে তা উল্লেখও করেছিলেন। তারপর তরুণীর বাড়িতে সরেজমিনে তদন্তে গিয়েছিলেন রূপশ্রীর কর্মীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে চোখ কপালে প্রশাসনের কর্মীদের। ...

প্রথম টেস্টে লোকেশ রাহুলের ব্যর্থতা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা যতই সরব হোক না কেন, টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা তাঁর উপরই থাকছে। ভারতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর তা ...

শারদীয়া উৎসবে সর্বত্র বসেছিল অস্থায়ী দোকান। সকলে ভেবেছিলেন, পুজোর সময় সিঁথি সার্কাস ময়দান লাগোয়া বি টি রোডের ধারে যেমন বসে তেমনই হয়তো বসেছে দোকানগুলি। কিন্তু ...

গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার তদন্ত নিয়ে ভারতের উপর চাপ বজায় রাখল আমেরিকা। বুধবার ওয়াশিংটন জানিয়েছে, ভারতের তদন্ত যথাযথ ভাবে হচ্ছে এটা না দেখা পর্যন্ত তারা সন্তুষ্ট হবে না। ভারতের বিরুদ্ধে মার্কিন মুলুকে খালিস্তানি জঙ্গি পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ করেছিল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পোলিও দিবস
১২৬০ - ফ্রান্সের রাজা নবম লুইসের উপস্থিতিতে চারট্রেসের গির্জা উৎসর্গ করা হয়। যেটি বর্তমানে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত
১৬০১: জ্যোতির্বিদ টাইকো ব্রাহের মৃত্যু হল প্রাগ শহরে
১৬০৫: মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গির আগ্রার সিংহাসনে বসেন
১৭৭৫: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের জন্ম
১৮৫১:  কলকাতা ও ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে ভারতে প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ লাইন চালু
১৮৯৪: লেখক বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৩:  অভিনেতা, পরিচালক তথা নাট্যকার প্রমথেশ বড়ুয়ার জন্ম
১৯১৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী লক্ষ্মী সেহগলের জন্ম
১৯২৯: নিউ ইয়র্ক শেয়ার বাজারে শুরু হল মহামন্দা। দিনটি ‘ব্ল্যাক থার্সডে’ নামে বিখ্যাত
১৯৩৬: সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৮: কারখানায় শিশুশ্রমিক নিষিদ্ধ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৯৫৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের মৃত্যু
১৯৮০: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  কৌশিকী চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৮১: ভারতীয় অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াতের জন্ম
১৯৮৪: ভারতে চালু হল মেট্রোরেল, কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে ভবানীপুর (নেতাজী ভবন)
১৯৮৫: ইংরেজ ফুটবলার ওয়েন রুনির জন্ম
২০০৮: "ব্লাডি ফ্রাইডে", এদিন বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধ্স নামে, শেয়ারবাজারের সূচক প্রায় ১০% পর্যন্ত নেমে যায়
২০১৩: সংগীত শিল্পী মান্না দে-র মৃত্যু
২০১৭: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  গিরিজা দেবীর মৃত্যু
২০২২: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩৩ টাকা ১১১.১১ টাকা
ইউরো ৮৯.১৫ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৯,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৯,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। অষ্টমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১/৫৯। পুনর্বসু নক্ষত্র ১/২৮ দিবা ৬/১৬। সূর্যোদয় ৫/৪০/৪৬, সূর্যাস্ত ৫/১/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/১১ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৬ মধ্যে।  
৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। সপ্তমী প্রাতঃ ৬/৬। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ১১/৪০। সূর্যোদয় ৫/৪২, সূর্যাস্ত ৫/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৪২ মধ্যে। কালবেলা ২/১২ গতে ৫/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২০ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুলিস গাড়ি ও অটোর সংঘর্ষ, জখম ২
গৌরান্ডি থেকে আসানসোল আসার পথে লালগঞ্জ মোড়ে পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র ...বিশদ

10:45:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলায় জঙ্গি হামলায় জখম কমপক্ষে ৫ জওয়ান

10:16:21 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: পরিদর্শন সারছেন পুর প্রশাসক ও এসডিপিও
  হলদিয়া পুর এলাকায় নদী তীরবর্তী ওয়ার্ডে সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত ...বিশদ

09:52:00 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: ত্রাণ শিবিরে শিশুদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মহিলারা
ঘূর্ণিঝড় ডানা আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার রাতে হলদিয়ার বিভিন্ন ওয়ার্ড ...বিশদ

09:35:00 PM

নবান্নর কন্ট্রোল রুমে বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান
নবান্নর কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান। কন্ট্রোল ...বিশদ

08:55:00 PM

প্রথম ওডিআই (মহিলা): নিউজিল্যান্ডকে ৫৯ রানে হারাল ভারত

08:54:00 PM