Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

গুপ্ত রাজধানী: দাদি-পোতি মকবরা
সমৃদ্ধ দত্ত

এটা বেশ মজার তাই না দাদি? আমাদের কেউ চিনবে না!
হ্যাঁ। এই শহর ইতিহাসের শহর। এখানে প্রতিটি পদক্ষেপে একটি করে ইতিহাসের যুগ মিশে রয়েছে। কিছু পথ হেঁটে যাবে মানুষ সুলতানি আমলকে সঙ্গে নিয়ে। আবার যদি সে সড়ক বদল করে, কখন যেন নিজের অজান্তে ঢুকে পড়বে লোদি সাম্রাজ্যে। হাঁটতে হাঁটতে কোন সময় সে যে মুঘল আমলে পা ফেলবে বিন্দুমাত্র বুঝতেই পারবে না। আবার মাঝপথে তুঘলকি শাসনের রহস্যময় পরিত্যক্ত কেল্লা থেকে আসবে অলৌকিক বাতাস। আর এসব চেনা কাহিনি, জানা চরিত্র আর রুদ্ধশ্বাস কিস্‌সার মধ্যে আমরা রয়ে যাব অচেনা হয়ে। অজানা রহস্য হিসেবে। কেউ জানবে না আমরা কে!  ঠিকই বলেছিস, এটা খুব মজার। 
কিন্তু আমরা কি কোথাও কোনও সূত্র রেখে যাব না? ইতিহাসের অন্তহীন পৃষ্ঠায় একটি বিন্দুর মতোও স্থান হবে না? 
কী দরকার? এটাই তো বেশ ভালো! অন্যরকম ভাবে থেকে যাওয়া। আমার মনে হয় এই আশ্চর্য নগরীতে বহু স্থাপত্য থেকে যাবে চেনা গল্প হয়ে। আর ঠিক একইভাবে বহু কাহিনির সন্ধান পাবে না ভবিষ্যতের মানুষ। তাই আমরা সেই দলে নাম লেখাতে চাই। দেখবি, একদিন সময় আসবে, যেদিন আমাদের মতো এই অজানা অচেনা আর অলিখিতদের নিয়েই এই শহরের মানুষ বেশি বেশি আকৃষ্ট হবে।
মানুষ কি নিজেকে চেনে? নিজেও কি অনেকটা 
অজানা নয়?
ঠিক বলেছিস! এই তো দেখছি তোরও বেশ বুদ্ধি খুলেছে। ওটাই সঠিক। বাইরের অজানাকে খোঁজার আড়ালে, আসলে মানুষ নিজের অন্দরের অজানাকেই হয়তো সন্ধান করে। আজীবন ঘুরে বেড়ায়। আজীবন খুঁজে বেড়ায়। আমাদেরও খুঁজে 
বেড়াবে মানুষ। 
এই কথোপকথন সম্পূর্ণ কাল্পনিক। কিন্তু বেহেস্ত, জন্নত, অথবা জাহান্নাম। এরকম কোনও স্থান যদি থেকেই থাকে, তাহলে হয়তো বহুকাল ধরে এরকমই একটি কথোপকথন চলছে দুই চরিত্রের মধ্যে। কারা তারা? কারা সেটাই তো এক রহস্য। জানা যায়নি। আর যায়নি ব঩লেই বহু কাল ধরে তাদের নিয়ে চলছে জল্পনা। হচ্ছে গল্প বোনা। 
দিল্লির নগরী কোনওদিন থিতু হয়নি। সে শুধুই  চলমান। বহমান। আজকের দক্ষিণ দিল্লির যেখানে মেহরৌলি, সেখান থেকেই বলা যেতে পারে আধুনিক দিল্লি নগরীর উৎপত্তি। অর্থাৎ সেই মহাভারতের আমলের কিছু রেফারেন্স ছাড়া। নতুন এই আধুনিক কালের দিল্লি ছড়ানো ছিল ইতিহাসের হরিয়াঙ্কা পর্যন্ত। অর্থাৎ হরিয়ানা। পৃথ্বীরাজ চৌহান, অনঙ্গপাল তোমর, দাস বংশ সকলেই এই দক্ষিণ দিল্লি থেকে ধিল্লিকানগরীর ক্রমবিবর্তন শুরু করেছিলেন। এরপর আরও একটু এগিয়ে এল দিল্লি। তুঘলকেরা নিজেদের রাজধানী অথবা কেল্লা নির্মাণ করল আজকের যে অঞ্চলকে তুঘলকাবাদ বলে সেখানে। যার একদিকে সাকেত। অন্যদিকে বদরপুর। মাঝখানে অলকানন্দা। কিন্তু খিলজিরা বেছে নিল অন্য এলাকা। আজকের হৌস খাস। 
হৌস খাস একদিকে। অন্যপ্রান্তে গ্রিন পার্ক। মাঝখান থেকে দুই অঞ্চলকে চিরে গিয়েছে 
অরবিন্দ মার্গ। 
এহেন গ্রিন পার্কে প্রবেশ করলে লক্ষ করা যায় ইতিহাসের স্থাপত্য ছড়িয়ে আছে এদিকে ওদিকে। কিন্তু সেটা তো দিল্লির সর্বত্রই। তার মধ্যে বৈশিষ্ট্য কী আছে? বিশেষ চমকপ্রদ বৈশিষ্ট্য হল, গ্রিন পার্কে একঝাঁক ক্ষুদ্র অথবা মাঝারি সমাধি, স্তম্ভ, মকবরা, বিজয়মিনার রয়েছে, যেগুলির সঙ্গে যুক্ত ইতিহাস আজও অজানা। ভারতের পুরাতাত্ত্বিক বিভাগ এগুলির চমৎকারভাবে দেখভাল করছে। রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে। কিন্তু ইতিহাস? ইতিহাস নীরব। এমনকী এগুলির প্রবেশদ্বারে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার যে পরিচয়জ্ঞাপক বোর্ড, সেখানেও বারংবার ব্যবহার করা হয়েছে ‘সম্ভবত’ কথাটি। ‘শায়দ’। ‘মে বি’। 
গ্রিন পার্কে ঠিক এরকমই একটি রহস্যময় প্রশস্ত প্রাঙ্গণ হল ‘দাদি-পোতি কি মকবরা।’ অর্থাৎ ‘ঠাকুমা-নাতনির সমাধিস্থল’। তোমর নয়, সুলতানি নয়, তুঘলক নয়, লোদি নয় কিংবা মুঘল শাসনকালের কোনও রাজপুরুষ অথবা  রাজা-রানি, বাদশাহ-বেগমের কাহিনিও জড়িত নেই এই সমাধিস্থলের সঙ্গে। অথচ সুচারুভাবে নির্মিত। স্থাপত্যে মিশে রয়েছে অনুপম ভাস্কর্যের ছাপ। প্রবেশ পথ মোরাম বিছানো। দু’দিকে সবুজ গালিচার মতো ঘাস। আর গাছের সারি। ইতস্তত ঘুরছে কাঠবেড়ালি। আকাশে উড়ছে চিল এবং পায়রা।
 দাদি-পোতি কেন? কারণ একটি নয়। এখানে পাশাপাশি দু’টি সমাধি স্থাপত্য গড়ে তোলা হয়েছিল। একটি আকারে অনেকটা বড়। আর ঠিক পাশেরটি আকারে ছোট। তাই জনশ্রুতি হিসেবে এই দুই সমাধিকে নাম দেওয়া হয়েছে দাদি-পোতি। যে সমাধির আকার বড়, তাকে বলা হয় দাদি অর্থাৎ ঠাকুমা। আর যেটি ক্ষুদ্রাকার, তাকে বলা হয় পোতি অর্থাৎ নাতনি। অবশ্য এমনও বলা হয়ে থাকে যে, বহু-বান্দি মকবরা। অর্থাৎ বধূ-দাসী। যদিও দাদি-পোতি মকবরা পরিচয়টি বেশি জনপ্রিয়। 
রহস্যময় কেন? প্রথমত হঠাৎ সম্পূর্ণ অজানা অচেনা এবং সাধারণ মানুষের দু’টি মকবরা এরকম একটি হাই প্রোফাইল স্থানে গড়ে উঠবে কেন? কারা তৈরি করল? তারা কি সত্যিই ঠাকুমা ও নাতনিই ছিল? এমনকী এই সমাধি স্থাপত্য যে দুই নারীরই সেটাই বা কীভাবে জানা গেল? অথচ একটি দু’টি তো নয়। বৃহৎ সমাধির অন্দরে একে একে সাতটি সমাধিস্থল। সেগুলি কাদের? সম সময়ের? নাকি পরবর্তীকালে তৈরি হয়েছে? 
সবথেকে বড় ধোঁয়াশা হল, পুরাতাত্ত্বিক গবেষণায় অনুমান করা হচ্ছে আদৌ একই সঙ্গে এবং একই কালে তৈরি হয়নি। একটি তুঘলক আমলে। যা ১৩২০ থেকে ১৪১৩ সাল পর্যন্ত সময়সীমায় বিস্তৃত। আর অন্যটি লোদি শাসনকালে। লোদিরা ১৪৫১ থেকে ১৫২৬ সাল পর্যন্ত শাসন করেছে দিল্লি। অর্থাৎ প্রায় একশো-দেড়শো বছরের ফারাক রয়ে঩ছে দুই শাসনকালের। একটি গড়ে উঠল তুঘলক আমলে। তারপর প্রায় দেড়শো বছর পার্শ্ববর্তী স্থানটি শূন্যই রইল। তারপর একটি ক্ষুদ্রাকৃতি মকবরা গড়ে তোলা হয় সেখানেই! 
বড় মকবরায় প্রবেশ করলে দেখা যাচ্ছে সিলিং ও দেওয়ালে আবছা কোরানের আয়াত লিখিত হয়েছে। কিন্তু ক্ষুদ্রাকার সমাধির গম্বুজের মাথায় ওরকম একটি স্থাপত্য কেন? ঠিক যেন কোনও রাজপুতানার কেল্লায় বসানো ছত্রী! রাজপুত স্টাইল! এর অর্থ কী? রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে! 
অনুমান করা হয় বৃহৎ এই সমাধি ছিল কোনও সামন্ত অথবা ওমরাহের বেগমের। যাদের মধ্যে ছিল রুচির ছাপ। কারণ দেওয়াল ও বহিরঙ্গে পারস্যের শিল্পকর্মের ছায়া। 
পর্যটক নেই। অজানা অচেনা ধোঁয়াশা পূর্ণ দুর্গ কিংবা সমাধিস্থলের যেমন দৃশ্য হওয়া উচিত, তেমনই এখানেও। কখনও সখনও কোনও পথশ্রান্ত পথিক ঢুকে পড়েন। দূর দেশ থেকে আসা এক বিদেশিনী ক্যামেরা নিয়ে হাঁটুমুড়ে বসেছেন অচেনা ভারতের স্মৃতি দেশে নিয়ে যেতে। ঘুরছে ঘুঘু পাখির ঝাঁক। বাতাসে মিশছে দাদি-পোতির দীর্ঘশ্বাস! 
29th  September, 2024
দুই প্রজাপতি
সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়

ছাদের আলসের ধারে দাঁড়িয়েছিল মেয়েটি। আমি সিঁড়িতে উঠতে উঠতেই মনে হল দেখলাম। তারপরে আর দেখতে পেলাম না। আসলে আমার হাতে মোবাইল ছিল। মোবাইলে আসা পাক খাওয়া ছোট খরগোশের মতো ইমোজিটার নাম দিয়েছি বিচ্চু। বিশদ

20th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: পাহাড়গঞ্জ
সমৃদ্ধ দত্ত

হরিদ্বার ভ্রমণ? তাহলে দিল্লি হয়ে যাওয়াই ভালো। সরাসরি তো যাওয়াই যায়। কিন্তু দিল্লি হয়ে গেলে একটা দিন দিল্লিও দেখা হয়ে যাবে আর তারপর ভোরের শতাব্দী অথবা বাস কিংবা গাড়িতে হরিদ্বার-হৃষীকেশ গেলেই হল! আগ্রা, বৃন্দাবন, মথুরা, ভরতপুর যাব ভাবছি। বিশদ

20th  October, 2024
ভূতুড়ে স্টেশন বেগুনকোদর
সমুদ্র বসু

পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের গা ঘেঁষে ছোট্ট একটা স্টেশন। এই স্টেশনের চারপাশের অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ মন ভরিয়ে দেওয়ার মতো। কিন্তু এক অজানা আতঙ্কে এই স্টেশন খালি পড়ে রয়েছে প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘ভূতুড়ে স্টেশন’। বিশদ

20th  October, 2024
মেঘ ও বৃষ্টি
সোমজা দাস

সকালে ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোনটা হাতে টেনে নেওয়া অরণ্যর দীর্ঘদিনের অভ্যেস। সেভাবেই বিছানায় বসে থাকে কিছুক্ষণ। সোশ্যাল মিডিয়ার টাইমলাইন ঘাটে। মেসেজবক্স চেক করে। রূপসা রাগ করে। বলে, এটা নাকি একটা মানসিক সমস্যা।      বিশদ

06th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: কালকা মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

চারদিকে এত লালের বন্যা কেন? লাল শালু। লাল উড়নি। জরি দেওয়া লাল কাপড়। লাল পাগড়ি। লাল দোপাট্টা। লাল ফুল। লাল সিঁদুর। এই নিরন্তর লাল বন্দনার পিছনে কি তাহলে রক্তের প্রতীকী ভূমিকা আছে? একটি তথ্যসূত্র সেরকমই বলছে। বিশদ

06th  October, 2024
অতীতের আয়না: নতুন পোশাক ও জাদুকর কারিগর
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। নতুন জামাকাপড় কেনাও হয়ে গিয়েছে সকলের। কলকাতা গড়ে ওঠার দিনগুলিতে সুতানুটির তালুকদারি পেয়ে মহারাজ নবকৃষ্ণ নানা পেশার মানুষ এনে সেখানে বসালেন। কুমোরদের থাকার এবং কাজ করার আলাদা জায়গা হল। বিশদ

06th  October, 2024
এক আকাশ
দীপারুণ ভট্টাচার্য

আকাশ আজ আত্মহত্যা করবে। কাজটা সে গতকালই করতে পারত। করেনি কারণ ঘটনাটা কলকাতায় ঘটলে বাবা-মা সহ্য করতে পারতেন না। একদিকে পুত্রশোক অন্যদিকে টিভি চ্যানেলের নির্লজ্জ প্রশ্নবাণ! আকাশের তো কারও উপর অভিযোগ নেই। বিশদ

29th  September, 2024
সিমলার ভৌতিক টানেল
সমুদ্র বসু

অন্ধকার একটা টানেল। স্যাঁতস্যাঁতে শ্যাওলা ধরা দেওয়াল। টানেলের ভেতরে ঢোকার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় জল পড়ার আওয়াজ। সঙ্গে কিছু ‘অন্য’ আওয়াজও কানে আসে। না, এটা কোনও ভৌতিক সিনেমার প্লট নয়। খোদ ভারতের বুকেই রয়েছে এমন একটি ‘ভূতুড়ে’ টানেল। বিশদ

29th  September, 2024
নিভাননী দেবী
ঝিমলি নন্দী

হারাধন দাসের বাড়িটা পিছাবনি গ্রামের দক্ষিণদিকের শেষ প্রান্তে জোড়া পুকুরের ধারে। বাড়িটা পাকা বটে তবে না ছিরি না ছাঁদ। যখন যেমন ঘর দরকার হয়েছে,  তেমন করেই বাড়ানো। ভেতর দিকের উঠোনে একটা ঘরে আবার সিমেন্টের খুঁটির ওপর টালির চাল। বিশদ

22nd  September, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দিওয়ান-ই-খাস
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ এগিয়ে আসছে। দিওয়ান-ই-আম, দিওয়ান-ই-খাস, রংমহল, খাস মহল, মোতি মহল জেগে উঠছে ক্রমেই। রং করা হচ্ছে দেওয়াল। পাঁচিল।  সামনেই বয়ে যাওয়া যমুনার প্রতিটি নৌকাকেও রং করেছে তাদের মালিকরা। বিশদ

22nd  September, 2024
অতীতের আয়না: সামাজিকতায় ভিজিটিং কার্ড
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

কার্ডটা কীরকম হয়েছে দেখ তো।’ ফেলুদা ওর মানিব্যাগের ভিতর থেকে সড়াৎ করে একটা ভিজিটিং কার্ড বের করে আমাকে দেখতে দিল। দেখি তাতে ছাপার অক্ষরে লেখা রয়েছে Prodosh C. Mitter, Private Investigator। বিশদ

22nd  September, 2024
রাত্রিটা ভালো নয়

এটাই শেষ ট্রেন ছিল। স্টেশন থেকে বাইরে বেরিয়ে পথিক দেখল, চারদিকটা খুব ফাঁকা লাগছে। শীতকাল বলেই কী? নইলে এত তাড়াতাড়ি তো রাস্তাঘাট এমন শুনশান হয় না। তার পক্ষে অবশ্য এটা ভালোই। ভিড় থাকলে রিকশ পাওয়া দুষ্কর। আবার বেশি ফাঁকা হলেও রিকশওয়ালাগুলো সব পিটটান দেয়।
বিশদ

15th  September, 2024
ফেরা
ছন্দা বিশ্বাস 

সোপান সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে বলল, ‘তাহলে কী ঠিক করলি?’ পরমের হাতে সিগারেটটা অসহায়ভাবে পুড়ছিল। ওরা ফ্রাঙ্কফুর্ট স্টেশনে ঢোকার মুখে বাঁ-পাশে একটা স্মোকিং জোনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। কয়েকজন জার্মান যুবতী দ্রুত সিগারেট নিঃশেষ করে ভিতরে ঢুকে গেল।  বিশদ

08th  September, 2024
গগনবাবু ও প্যাংলা তাপস
রম্যাণী গোস্বামী

গগনবাবু একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মোটামুটি উপরতলার কর্মী। যাদবপুরে নিজেদের ফ্ল্যাট। মাস গেলে ইএমআই বাদ দিলে মাঝারি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, কয়েকটা মিউচুয়াল ফান্ড, হৃষ্টপুষ্ট গিন্নি, ফ্যাশানেবল কলেজ পড়ুয়া কন্যা এবং একটি মাহিন্দ্রা কেইউভি— এই হল মোটামুটি তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান। বিশদ

01st  September, 2024
একনজরে
প্রথম টেস্টে লোকেশ রাহুলের ব্যর্থতা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা যতই সরব হোক না কেন, টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা তাঁর উপরই থাকছে। ভারতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর তা ...

ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’-র খবরে আশঙ্কিত করিমপুরের চাষিরা। মাঠের ফসল রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। ভেঙে যাওয়ার ভয়ে জমিতে বাঁশের খুঁটি দিয়ে কলাগাছ কিংবা পটলের মাচা মজবুত রাখার চেষ্টা করছেন। এখন মাঠে কলাই, ধান, কলা, পটল, বেগুন, লঙ্কা সহ বিভিন্ন আনাজ রয়েছে। ...

মাসে মোট রোজগার দেখিয়েছিলেন, সাত হাজার টাকা। আবেদনপত্রে তা উল্লেখও করেছিলেন। তারপর তরুণীর বাড়িতে সরেজমিনে তদন্তে গিয়েছিলেন রূপশ্রীর কর্মীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে চোখ কপালে প্রশাসনের কর্মীদের। ...

গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার তদন্ত নিয়ে ভারতের উপর চাপ বজায় রাখল আমেরিকা। বুধবার ওয়াশিংটন জানিয়েছে, ভারতের তদন্ত যথাযথ ভাবে হচ্ছে এটা না দেখা পর্যন্ত তারা সন্তুষ্ট হবে না। ভারতের বিরুদ্ধে মার্কিন মুলুকে খালিস্তানি জঙ্গি পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ করেছিল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পোলিও দিবস
১২৬০ - ফ্রান্সের রাজা নবম লুইসের উপস্থিতিতে চারট্রেসের গির্জা উৎসর্গ করা হয়। যেটি বর্তমানে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত
১৬০১: জ্যোতির্বিদ টাইকো ব্রাহের মৃত্যু হল প্রাগ শহরে
১৬০৫: মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গির আগ্রার সিংহাসনে বসেন
১৭৭৫: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের জন্ম
১৮৫১:  কলকাতা ও ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে ভারতে প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ লাইন চালু
১৮৯৪: লেখক বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৩:  অভিনেতা, পরিচালক তথা নাট্যকার প্রমথেশ বড়ুয়ার জন্ম
১৯১৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী লক্ষ্মী সেহগলের জন্ম
১৯২৯: নিউ ইয়র্ক শেয়ার বাজারে শুরু হল মহামন্দা। দিনটি ‘ব্ল্যাক থার্সডে’ নামে বিখ্যাত
১৯৩৬: সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৮: কারখানায় শিশুশ্রমিক নিষিদ্ধ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৯৫৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের মৃত্যু
১৯৮০: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  কৌশিকী চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৮১: ভারতীয় অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াতের জন্ম
১৯৮৪: ভারতে চালু হল মেট্রোরেল, কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে ভবানীপুর (নেতাজী ভবন)
১৯৮৫: ইংরেজ ফুটবলার ওয়েন রুনির জন্ম
২০০৮: "ব্লাডি ফ্রাইডে", এদিন বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধ্স নামে, শেয়ারবাজারের সূচক প্রায় ১০% পর্যন্ত নেমে যায়
২০১৩: সংগীত শিল্পী মান্না দে-র মৃত্যু
২০১৭: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  গিরিজা দেবীর মৃত্যু
২০২২: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩৩ টাকা ১১১.১১ টাকা
ইউরো ৮৯.১৫ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৯,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৯,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। অষ্টমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১/৫৯। পুনর্বসু নক্ষত্র ১/২৮ দিবা ৬/১৬। সূর্যোদয় ৫/৪০/৪৬, সূর্যাস্ত ৫/১/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/১১ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৬ মধ্যে।  
৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। সপ্তমী প্রাতঃ ৬/৬। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ১১/৪০। সূর্যোদয় ৫/৪২, সূর্যাস্ত ৫/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৪২ মধ্যে। কালবেলা ২/১২ গতে ৫/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২০ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুলিস গাড়ি ও অটোর সংঘর্ষ, জখম ২
গৌরান্ডি থেকে আসানসোল আসার পথে লালগঞ্জ মোড়ে পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র ...বিশদ

10:45:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলায় জঙ্গি হামলায় জখম কমপক্ষে ৫ জওয়ান

10:16:21 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: পরিদর্শন সারছেন পুর প্রশাসক ও এসডিপিও
  হলদিয়া পুর এলাকায় নদী তীরবর্তী ওয়ার্ডে সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত ...বিশদ

09:52:00 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: ত্রাণ শিবিরে শিশুদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মহিলারা
ঘূর্ণিঝড় ডানা আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার রাতে হলদিয়ার বিভিন্ন ওয়ার্ড ...বিশদ

09:35:00 PM

নবান্নর কন্ট্রোল রুমে বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান
নবান্নর কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান। কন্ট্রোল ...বিশদ

08:55:00 PM

প্রথম ওডিআই (মহিলা): নিউজিল্যান্ডকে ৫৯ রানে হারাল ভারত

08:54:00 PM