Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছোট গল্প: একাকিনী
আইভি চট্টোপাধ্যায়

ওই আবার। দরজাটা খুলল মনে হচ্ছে না? খুব আস্তে আস্তে খুলেছে দরজা। যাতে সুকৃতির কানে না আসে আওয়াজটা। কালও এ সময় হয়েছিল আওয়াজটা। এই ভোরের দিকে,  যখন চারদিক ঘুমে অচেতন,  সেই সময়টাই বেছে নিয়েছে। এখন বেরিয়ে যাচ্ছে বোধহয়। কে জানে রাতে কখন এসে ঢুকেছিল। এখনই গিয়ে হাতেনাতে ধরবে? বিছানায় উঠে বসল সুকৃতি। উফ,  এই হাঁটু! চাইলেই কি চট করে ওঠা যায় নাকি? 
এই সুযোগটাই তো নেয় মেয়েটা। বিষ্ণুপ্রিয়া। নামের সঙ্গে যার স্বভাবের মিল নেই। নিরু নিজে পছন্দ করেছিল মেয়ে। ছোট ঠাকুরঝির ননদের মেয়ে। বাবার আর্থিক অবস্থা তেমন বলার মতো নয়,  আরও দুটো ছোট বোন আছে। একমাত্র ছেলের জন্য সুকৃতির এমন সাধারণ মেয়ে পছন্দ ছিল না। সরকারি চাকরি না হলেও নিরঞ্জনের বড় কোম্পানিতে চাকরি, চাকরিসূত্রে দেশে বিদেশে ঘোরা, পরপর প্রোমোশন। ভালো ভালো সম্বন্ধ আসছিল। রূপ,  রুপো দুইয়ের জৌলুসের সম্বন্ধ। অথচ এই মেয়েকে পছন্দ হল নিরুর। 
স্বামী বেঁচে থাকলে কিছুতেই এ বিয়ে হতে দিত না সুকৃতি। কিন্তু বৈধব্যের মানে শুধু স্বামী হারানোই নয়,  আরও অনেক কিছু। স্বামীর সঙ্গে সঙ্গে সংসারে জোরের জায়গাটাও হারিয়ে যায়। উনত্রিশ বছর আগের কথা,  এখনও মনে পড়ে,  মনে হয়েছিল নিজের পরিচয়টাই হারিয়ে ফেলেছে। নিজেকে অসহায়,  অরক্ষিত মনে হতো। স্বামীকে শেষ সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়ার স্বভাব ছিল সুকৃতির। সেই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার ব্যাপারে হঠাৎ একা পড়ে যাওয়াটা যে কী অনির্বচনীয় নিরালম্ব অবস্থা,  কাউকে বোঝানো যাবে না। রাতের পর রাত ঘুম হতো না। ক্লান্ত শ্রান্ত। কী করব না করব,  তা বুঝে উঠতেও কষ্ট। দিনের পর দিন নিরুর দিকেও খেয়াল রাখা হয়নি। নিরু তখন সাত বছরের। দুঃখ কাটিয়ে ওঠার সেই দীর্ঘ সময়টা ভুলিয়ে দিয়েছিল নিরুই। বাবাকে ছাড়া,  কোনও অভিভাবকের পরামর্শ ও পথনির্দেশ ছাড়া,  একা একা জীবনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেকে এবং মাকে সামলে রাখা নিরু। বিয়ে নিয়ে,  নিজের জীবনসঙ্গিনী নিয়ে নিরুর সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হয়েছিল তাই। 
ছোট ঠাকুরঝি অবশ্য বারবার বলেছিল,  ‘নামেও লক্ষ্মী, স্বভাবেও লক্ষ্মী। ছোট থেকে দেখছি তো, খুব ভালো মেয়ে।’
মামাশ্বশুর বলেছিলেন,  ‘নিরঞ্জন আর বিষ্ণুপ্রিয়া। লক্ষ্মী-নারায়ণ। নারায়ণের নাম নিরঞ্জন,  জানো তো? আর বিষ্ণুপ্রিয়া মা লক্ষ্মীর আরেক নাম।’
পাড়ার গিন্নিরা বলাবলি করছিল,  ‘সুকৃতির কপাল দেখ,  সাক্ষাত্‍ লক্ষ্মীঠাকরুন বউ হয়ে এলেন।’
তা,  বিয়েবাড়িতে অমন আদেখলাপনা,  প্রশংসার কথাবার্তা অনেক হয়। তবে এ বাড়ি ও বাড়ির মেয়েগুলো দশবার ‘নতুন বউদি’ করে এসে পড়ছিল। কলেজে পড়া ছেলেগুলো পর্যন্ত বশ। এমনি এমনিই বাড়ির সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে লোক, নতুন বউ জানলায় দাঁড়ালে তো কথাই নেই। নিরুর বন্ধুরা আড্ডা দিতে জাঁকিয়ে বসছিল। বছরের পর বছর তাদের এ বাড়িতে দেখা পাওয়া যায়নি। নিরুর বিয়ে হয়ে হঠাত্‍ সবার প্রিয় হয়ে উঠেছিল এ বাড়ি।
নতুন বউমার ঘোমটা তুলে মুখখানা দেখে মন ভরে উঠেছিল সুকৃতিরও। ফর্সা লাল লাল একখানা ঝলমলে মুখ। লাল বেনারসী, কপালে সিঁথিমৌর, হাতে গাছকৌটো। এত সুন্দর হয় কোনও মানুষ? আত্মীয়মহলেই বল, পাড়া-পড়শিদের ঘরেই বল,  এ তল্লাটে এমন সুন্দর বউ কারও নেই। দরজার ওপর আমপাতা, ফুলের মালা। দরজার বাইরে পূর্ণকলস, দেয়ালে স্বস্তিকচিহ্ন। বড় ঠাকুরঝির হাতে শাঁখ, ছোটপিসিমার হাতে বরণের থালা। চোখে ঘোর লেগেছিল। সাক্ষাত্‍ মা লক্ষ্মী। 
সেদিনের প্রতিটা মুহূর্ত মনে পড়ে আজকাল। 
...
বিয়ের পর দেড়বছর। ভালোবাসা, যত্ন, সম্মান দিয়ে নতুন বউকে ঘিরে রেখেছিল নিরু। বিষ্ণুপ্রিয়া হেঁটে গেলেও পদ্মফুল ফুটে ওঠে এমন ভাব। নিরুর বন্ধুরা, অফিসের কলিগরা, তাদের বউরা— বেশ একটা দল। আড্ডা, হাসি, গান। সবটাই বড্ড ভালো। বড্ড আলো।
কে জানত এত তাড়াতাড়িই সব আলো মুছে যাবে। নিরঞ্জনের প্রাপ্য টাকা আর বিষ্ণুপ্রিয়ার জন্য একটা চাকরির তদ্বির অফিস থেকেই করছে। অফিসিয়াল কাজে গিয়েই দুর্ঘটনা। তাই সব দায়িত্ব অফিসের।
সুকৃতি অবশ্য দায়ী করে বউকেই। ও মেয়ের কপালের দোষেই নিরু অকালে চলে গিয়েছে। কথাতেই আছে, ‘অতি বড় সুন্দরী না পায় ঘর’। অফিসের চাকরির কথা ভেবেই ওর এ বাড়িতে থাকা মেনে নিয়েছে। যদিও রোজই মনে মনে বলে, ‘ও বাপের বাড়ি ফিরে যাক।’
নিজের অজান্তেই চোখের জল নেমে এসেছে গাল বেয়ে, আঁচল তুলে মুছে নিল সুকৃতি। হাসিমুখের নিরুকে মনে পড়ে গেল। নিরু নেই, বাড়িটা খাঁ খাঁ করে। হঠাত্‍ যে কী হয়ে গেল! বিশ্বনাথ চলে যাবার দিনটা যেমন। একেবারে হঠাত্‍। দুপুরে খেয়েদেয়ে ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়েছিল মানুষটা। বাড়ি ফেরার পথে মাথা ঘুরে রাস্তায় পড়ে গিয়েছিল। ব্যস, চিকিত্‍সা করার সময়টুকুও দিল না। 
নিরুর জন্যে অবশ্য বউ করেছিল। মাথায় চোট, ডান পা বাদ দিতে হয়েছে, বুকের পাঁজরে অপারেশন। রাত দিন জেগে শুশ্রূষা করেছে বউ। যত্নে, মায়ায়। নিরু যেদিন সব মায়া কাটিয়ে চলে গেল, বউ অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। তারপর এই সাত মাসে আরও দু’বার অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। পরের কয়েক সপ্তাহ কেমন ভয় পেয়ে থাকত। অনবরত শরীরে যন্ত্রণা হতো ওর।
ডাক্তার শরীরে কোনও রোগ খুঁজে পাননি। বলেছিলেন,  ‘মনের মধ্যে দুঃখ চেপে রেখে এমন। ওকে কাঁদানোর চেষ্টা করুন।’ খবর পেয়ে ওর বাবা-মা এসেছিলেন, নিয়ে যেতে চাইলেও বউ যায়নি। সুকৃতি দেখেছে, শোবার ঘরে নিরুর জামাকাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে শুয়ে আছে। 
নিজের কষ্ট, নিরুকে হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণায় বউয়ের দিকে তাকাবার অবকাশ হয়নি সুকৃতির। এত বড় বাড়ি, দুটো ঘরে মাত্র দু’জন মানুষ। যে যার দুঃখ নিয়ে একাকিনী। 
তবে আজকাল কিছুদিন ধরে বউ একটু ছটফট করছে। একদিন কবিতা পড়ছিল, সুকৃতি স্পষ্ট শুনেছে।
‘একটি নক্ষত্র আসে; তারপর একা পায়ে চ’লে
ঝাউয়ের কিনার ঘেঁষে হেমন্তের তারাভরা রাতে
সে আসবে মনে হয়; আমার দুয়ার অন্ধকারে
কখন খুলেছে তার সপ্রতিভ হাতে!...’
সুকৃতিকে ঘরের বাইরে দেখে চুপ করে গেল। মনের এই অবস্থায় এমন সব ভাবের কবিতা পড়ার মন হয়? জীবনানন্দের কবিতার বই। নিরুর বই। নিরুর বইটা নেবার আগে একবার সুকৃতির অনুমতি পর্যন্ত নেবে না?
পাড়ার অল্পবয়সি মেয়েগুলো আসছে মাঝে মাঝে। তাতে সুকৃতির খারাপ লাগার কিছু নেই। কিন্তু সেদিন দত্তদের নতুন বউ এসে বাহারি খোঁপা বেঁধে গেল বউমার কাছে। রবীন্দ্রজয়ন্তীর গান প্র্যাকটিস করে গেল ছেলেমেয়েরা। ভাগ্যিস বউ জলসায় গাইতে যায়নি। কিন্তু পড়শিরা কি দেখছে না যে,  বউয়ের মনে দোলা লেগেছে? স্বামীর মৃত্যুর একবছরও তো হয়নি।

আর এই ব্যাপারটা। কেউ আসে। রোজ রাতে দরজা খোলা, দরজা বন্ধ হওয়ার আওয়াজ পায় সুকৃতি। ‘নিরু রে’... বুকের মধ্যে থেকে কান্নাটা বেরিয়েই এল। দ্বিচারিণী বউ ফাঁকি দিচ্ছে নিরুকে। সেই নিরু, যে চোখে হারাত তার বিষ্ণুপ্রিয়াকে। 
বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ল সুকৃতি। আজ হাতেনাতে ধরতেই হবে। বাইরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে, বাদলা হাওয়ায় গাছের ডালগুলো শব্দ করে দুলছে। তার মধ্যেই শব্দ হল একটা। বারান্দায় গ্রিলের শব্দ না? কে যেন কথা বলল। দূরে রাস্তাটা নিঝুম, স্ট্রিট-লাইটের আলো পড়ে আছে জায়গায় জায়গায়। নকশা-কাটা জলের পুকুরের মতো দেখাচ্ছে। রাতজাগা একটা পাখি ডেকে উঠল। 
একটু চমকেই উঠেছে সুকৃতি। এই জল-ঝরঝর রাতে পাখিটা জেগে আছে?
নিরুর ঘরের দরজায় শব্দ হল আবার। অনেকদিন তেল দেওয়া হয় না, কব্জাগুলোয় আওয়াজ হয় আজকাল। সুকৃতির মাথায় আগুন জ্বলে উঠল। এত তাড়াতাড়ি নিরুকে ভুলে গেল মেয়েটা? অবশ্য পরের বাড়ির মেয়ের কাছে বেশি চাহিদা থাকাই উচিত নয়। এ বাড়িকে নিজের বাড়ি করে নেবার আগেই তো নিরু চলে গেল। তবু এখানেই আছে যখন, বাড়ির সম্ভ্রমের কথা ভাববে না? 
আস্তে আস্তে নিরুর ঘরের দিকে এগিয়ে গেল সুকৃতি। দরজাটা অল্প অল্প দুলছে। কেউ কী ভেতরে আছে? ‘বউমা’,  চাপা গলায় ডাক দিল।
হালকা একটা আওয়াজ এল। ঘরের ভেতর কেউ আছে। চাপা গলায় কিছু বলল কেউ? 
‘বউমা,  দরজা খোল, ’ জোরে ডেকে উঠল সুকৃতি। তারপরই থমকে গেল। চারদিক নির্জন। বৃষ্টির শব্দ ছাড়া কোনও শব্দ নেই। জোর গলার আওয়াজে যদি কেউ জেগে ওঠে? পাশের বাড়ির মুখুজ্জেগিন্নি ঘুম না হওয়ার অসুখে ভুগছে। সামনের বাড়ির সাহাদের ছেলেটা ভোর ভোর উঠে মাঠে প্র্যাকটিস করতে যায়। চ্যাটার্জিদের মেয়েটা রাত জেগে ডাক্তারির পড়া করে।
‘বউমা!’  
‘কে?’ চাপা গলা, ধরা ধরা। যেন ঠান্ডা লেগেছে। ঘরের মধ্যে থেকে এল আওয়াজটা? নাকি গ্রিলের দিক থেকে? আর ধৈর্য রাখা গেল না। হাত বাড়িয়ে দরজাটা খুলে দিতে গেল সুকৃতি।
‘মা! কী হয়েছে? শরীর খারাপ?’ পেছন থেকে গলার আওয়াজ। 
বিষ্ণুপ্রিয়া। হাতে একটা লম্বা সাদা মোমবাতি। 
‘তুমি এদিকে কোথায় গেছিলে?’ বউ এখানে, তাহলে ঘরের মধ্যে কে?
‘কারেন্ট চলে গেছে মা। রান্নাঘরে গেছিলাম। মোমবাতি...’
‘তোমার ঘরে কে এসেছে?’ সুকৃতি তীব্র গলায় বলে উঠল।
‘ঘরে? কে এসেছে মা? কী করে ঢুকল?’ ভয়ে দু’চোখ বড় হয়ে উঠল বিষ্ণুপ্রিয়ার। 
আর তখনই চোখে পড়ল সুকৃতির, মেয়েটার চোখে জল, গালেও জলের ধারা লেগে রয়েছে। কাঁদছিল ও? তাই বুঝি গলাটা ধরা ধরা?
মনটা নরম হয়ে আসছিল,  পলকে কঠিন হল সুকৃতি,  ‘কে এসেছে ঘরে, তুমিই তো বলবে। গ্রিল খুলেছিলে কেন? রোজ দরজা খোল, বন্ধ কর। কেন? কে আসে?’
‘গ্রিল? গ্রিল খোলা?’ 
ঠিক তখনই ঝোড়ো হাওয়ার একটা জোরালো ধাক্কা দিল দু’জনকেই, আর গ্রিলটা আওয়াজ করে কেঁপে উঠল। সামনে বিষ্ণুপ্রিয়ার ঘরের দরজাও সেই ধাক্কায় হাট হয়ে খুলে গেল, আবার বন্ধ হয়ে এল। দু’বারই দরজায় লোহার কব্জাগুলো আওয়াজ করে উঠল। হাওয়ার ধাক্কায় শব্দ করে কেঁপে উঠল দেয়ালের ছবি, আলমারির কাঠের পাল্লা।
‘আমার খুব ভয় করে মা।’ কান্নাভেজা গলায় বলে উঠেছে বিষ্ণুপ্রিয়া,  ‘দরজা বন্ধ করলেই ভয় করে। তাই দরজাটা খোলা রাখি। রাত হলেই বড্ড ভয় করে। বড়...’ কথা শেষ না করেই চোখ নামিয়ে নিল। 
‘একা লাগে। বড় একা লাগে’...না বলা কথাটা সুকৃতির বুকের মধ্যে বেজে উঠল। 
তাই তো। হঠাত্‍ বৈধব্য। কী করতে হবে, বুঝতে না পেরে মনের দুঃখ মনে চেপে রেখে কষ্ট সহ্য করছে মেয়েটা। ও যাতে নিজের বৈধব্যের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, তার জন্য কী সাহায্য করেছে নিরুর মা? আহা, বড্ড ভালোবাসা ছিল দু’টিতে।
হাত বাড়িয়ে মোমবাতিটা হাতে নিল সুকৃতি, মোমের আলোয় মেয়ের মুখখানা আলো আলো। তেল তেল, ঠিক লক্ষ্মীঠাকুরের মতো। ধরা গলায় বলল, ‘আয় মা। আজ থেকে রাতে তুই আমার কাছে থাকবি।’
অঙ্কন: সোমনাথ পাল
গুপ্ত রাজধানী: মির্জা গালিবের হাভেলি
সমৃদ্ধ দত্ত

আম তো কমবেশি একইরকম দেখতে! তা আবার এত মন দিয়ে দেখার কী আছে। অধিক ফলবতী গাছের কাছে গিয়ে নুইয়ে পড়া আম ধরে ধরে মির্জা কী দেখছে? বিস্মিত হলেন সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর। একটু আগে তিনি বেরিয়েছেন বৈকালিক ভ্রমণে। বেশিদূর নয়। বিশদ

আজও রহস্য: স্পেডলিনস ক্যাসেলের ভূত
সমুদ্র বসু

আন্নান নদীর দক্ষিণ তীরে আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে যে দুর্গ সেট হল স্পেডলিনস টাওয়ার। এটি একসময়ে ছিল  ডামফ্রিসশায়ার কাউন্টি, আজকের দিনে স্কটল্যান্ডের লকারবি-এর অংশ। ভূত মানে যেমন অশরীরী তেমনই ভূত মানে অতীত। বিশদ

একটি প্রেমের গল্প
শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ

—তুমি তো দেখছি বাসনটাও মাজতে পার না ভালো করে! হাসতে হাসতে ইংরেজিতে বলেছিল ক্যাথারিন। ইতালির মেয়ে। কলকাতায় এসেছিল গবেষণা করতে কালীপুজো নিয়ে। বিশদ

16th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ফিরোজ শাহ কোটলা দুর্গ
সমৃদ্ধ দত্ত

তিমুর ই বেগের মধ্যে সৃষ্টি ছিল না। তার পূর্ববর্তী আরও অনেক শাসকদের মতোই তার আনন্দ ছিল ধ্বংসে। ধ্বংস মানেই লুটপাট। লুট মানেই পাহাড়সমান সম্পদ। যত সম্পদ, তত বড় হবে সেনাবাহিনী। যত বড় হবে সেনাবাহিনী, ততই বেড়ে চলবে সাম্রাজ্য। বিশদ

16th  June, 2024
অতীতের আয়না: গ্রীষ্মকালের পথচলা
অমিতাভ পুরকায়স্থ

উনিশ শতকের কলকাতাবাসী অনেক সস্তায় চাল খেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু গ্রীষ্মের ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে মেট্রোর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় ভ্রমণ? উঁহু, সেটা তাদের ভাগ্যে জোটেনি। বিশদ

16th  June, 2024
চাবুক
কাকলি ঘোষ

ছেলেটাকে নিয়ে আর পারে না রঞ্জা। রোজ কিছু না কিছু অশান্তি বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। এত বোঝায়! মাঝে মাঝে রাগও দেখায়। তবুও ছেলের সেই একই চাল। কী যে করে একে নিয়ে? এক এক সময় তো ডাক ছেড়ে কাঁদতে ইচ্ছে করে ওর। বিশদ

09th  June, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মজনু কা টিলা
সমৃদ্ধ দত্ত

জাহাঙ্গির: হিন্দুদের আরাধ্য পরমেশ্বর আর ইসলামের সর্বশক্তিমান ঈশ্বর আল্লাহের মধ্যে পার্থক্য কী? বুঝিয়ে বলুন।  বিশদ

09th  June, 2024
আজও রহস্য: মৃত্যুর রাস্তা
সমুদ্র বসু

বৈচিত্র্যময় ভারতবর্ষের বিচিত্র সব জায়গা। যাদের প্রত্যেকের রয়েছে নিজস্ব  কিংবদন্তি। সত্যি মিথ্যার বিতর্ক সরিয়ে রাখলে এই কিংবদন্তি যে জায়গার আকর্ষণ বৃদ্ধি করে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। আর সেই সব কিংবদন্তি যদি রহস্য ও অলৌকিক সম্পর্কিত হয় তাহলে কৌতূহলীর অভাব হয় না। বিশদ

09th  June, 2024
প্রেশার
মহুয়া সমাদ্দার

বাসে বসে প্রথমেই শিপ্রাদিকে ফোন করল মিত্রা। গতকাল থেকে ভীষণ ব্যস্ততায় আর ফোন করা হয়ে ওঠেনি তার। শিপ্রাদি ফোন ধরতেই মিত্রা বলল, ‘দিদি, আমি বাসে আছি। বাসস্ট্যান্ডে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম। আর মিনিট পনেরো-কুড়ি লাগবে।’ একটু ভয়ে ভয়েই বলল। বিশদ

26th  May, 2024
গুপ্ত রাজধানী: মখদম সাহিবের তাবিজ রহস্য
সমৃদ্ধ দত্ত

সেই তাবিজটা কোথায়? ওই তাবিজ যদি ইব্রাহিম লোধি পরে থাকতেন, তাহলে কি এত সহজে সমরখন্দ, ফরঘনা, তৈমুর লং আর চেঙ্গিজ খানের সম্মিলিত এক শক্তিশালী পেডিগ্রি থাকলেও জহিরউদ্দিন মহম্মদ বাবরের হাজার দশেক সেনার কাছে লোধি পরাস্ত হতেন? বিশদ

26th  May, 2024
অতীতের আয়না: তপ্ত দিনে তৃপ্তির স্নান
অমিতাভ পুরকায়স্থ

চৈত্রের শেষ থেকেই  ট্রেনে-বাসে, হাটে-বাজারে বা সমাজ মাধ্যমের দেওয়ালে উঠে আসে প্রতিদিন গরমের রেকর্ড ভাঙার আলোচনা। চল্লিশ ডিগ্রি পেরিয়েও আরও একটু উচ্চতা ছোঁয়ার জন্য যেন সকাল থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেন সূয্যি মামা। বিশদ

26th  May, 2024
মহাপাপ
প্রদীপ আচার্য

 

দরদর করে ঘামছিলেন বিজন। প্রায় অন্ধকার ঘরে একা বসে আছেন তিনি। তাঁর মাথাটা নুইয়ে আছে। চিবুক ঠেকে আছে বুকে। চেয়ারে ওভাবে ভেঙেচুরে বসে বসেই একটা ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন তিনি। অপমানিত, লাঞ্ছিত আর কলঙ্কিত বিজনের সামনে এখন এই একটাই মুক্তির পথ খোলা। বিশদ

19th  May, 2024
আজও রহস্য আকাশবাণীর অশরীরী
সমুদ্র বসু

রহস্য, ভৌতিক-অলৌকিক চিরকালই মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্বাস-অবিশ্বাস, সত্যি-মিথ্যার দ্বন্দ্ব সত্ত্বেও এর কৌতূহল অনস্বীকার্য। আজকে আমরা জানব খাস কলকাতায় অবস্থিত তেমনই এক জায়গার কথা, অতীত  হয়েও যা বর্তমান। বিশদ

12th  May, 2024
অসমাপ্ত
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

মাতৃসঙ্ঘ ক্লাবের সামনে পৌঁছে মার্জিত ও অভ্যস্ত কণ্ঠে ক্যাব ড্রাইভার বলল, ‘লোকেশন এসে গিয়েছে ম্যাডাম।’  বিশদ

12th  May, 2024
একনজরে
পুরাতন মালদহের নালাগোলা রাজ্য সড়কের মুচিয়ার আদমপুরে বেসরকারি বাস এবং টোটো চালকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে। লাঠি এবং রড নিয়ে মারামারিতে দু’পক্ষের কয়েকজন জখম হয়েছেন বলে ...

এবার বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের প্রচারে তৃণমূলের অন্যতম ইস্যু ছিল- গোবরডাঙা হাসপাতাল চালু করা। বনগাঁ লোকসভার অন্তর্গত কল্যাণীতে এক জনসভায় গোবরডাঙা হাসপাতাল চালু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ...

রামপুরহাটের জঙ্গলে ঘেরা বনহাট গ্রামে ব্যাঘ্রচণ্ডী মাতার মন্দিরে অম্বুবাচী উৎসবে মেতে উঠলেন প্রায় হাজার দশেক মানুষ। প্রাচীন এই উৎসব এলাকাবাসীর কাছে সম্প্রীতির পুজো নামেও খ্যাত। ...

গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এখন অস্তিত্ব সঙ্কটে। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পরাজয়ের পর রীতিমতো চাপে জস বাটলারের দল। এই পরিস্থিতিতে সুপার এইটে ২ নম্বর গ্রুপের ম্যাচে রবিবার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫১৯ - ব্রিটেনে দাসপ্রথা বাতিল
১৫৫৫ - হুমায়ুন সিন্ধু নদী পার হয়ে লাহোর দখল করে নেন এবং সিকান্দর সুরিকে দিল্লীর সিংহাসন থেকে উৎখাত করেন
১৫৫৫- সিরহিন্দ যুদ্ধে জয়লাভের পর হুমায়ুনকে সম্রাট আকবরের উত্তরাধিকার ঘোষণা
১৬৩৩- ‘পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে ’- এই অভিমতের জন্য গ্যালিলিও গ্যালিলির বিচার শুরু
১৮১৪- লন্ডনে লর্ডসের ক্রিকেট মাঠে প্রথম ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়
১৯০৪ - আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন (ফিফা)-এর জন্ম
১৯৩৯- সুভাষচন্দ্র বসু জাতীয় কংগ্রেস ত্যাগ করে ফরোয়ার্ড ব্লক প্রতিষ্ঠা করেন
১৯৮৬ - বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিখ্যাত ‘হ্যান্ড অফ গড’  গোলটি করেন  দিয়েগো মারাদোনা। ম্যাচটিতে আর্জেন্তিনা ২-১ গোলে জয়লাভ করে
১৮৮৯- কবি কালীদাস রায়ের জন্ম
১৮৯৮- লেখক এরিখ মরিয়া রেমার্কের জন্ম
১৯০০- বিপ্লবী গণেশ ঘোষের জন্ম
১৯০৪- আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশনের (ফিফা) জন্ম
১৯২২- সঙ্গীত পরিচালক, আবহসঙ্গীত পরিচালক ও যন্ত্র সঙ্গীত শিল্পী ভি বালসারার জন্ম
১৯৩২- অভিনেতা অমরীশ পুরীর জন্ম
১৯৪১- অভিনেতা স্বরূপ দত্ত-র জন্ম
১৯৪৮ - পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত ভারতীয় সন্তুরবাদক পণ্ডিত ভজন সোপরির জন্ম
১৯৫৯- অভিনেতা তুলসী লাহিড়ীর মৃত্যু
১৯৬৪- মার্কিন লেখক ড্যান ব্রাউনের জন্ম
১৯৭৬ - সংস্কৃত-তন্ত্র পণ্ডিত ও দার্শনিক গোপীনাথ কবিরাজের মৃত্যু
১৯৮৬- বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিখ্যাত ‘হ্যান্ড অফ গড‘ গোলটি করেন  মারাদোনা, ম্যাচটিতে আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে জয়লাভ করে
২০২০ - বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানী অমলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু  

22nd  June, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭৭ টাকা ৮৪.৫১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.১৬ টাকা ১০৭.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৮.০৭ টাকা ৯১.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
22nd  June, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  June, 2024

দিন পঞ্জিকা

৮ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪। প্রতিপদ ০/৪৩ প্রাতঃ ৫/১৪ পরে দ্বিতীয়া ৫৬/১৫ রাত্রি ৩/২৭। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ৩০/১৮ অপরাহ্ন ৫/৪। সূর্যোদয় ৪/৫৭/৮, সূর্যাস্ত ৬/২০/১৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৪ গতে ৯/২৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ২/৪৫ মধ্যে রাত্রি ৭/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৫ গতে ১২/৪৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩২ গতে ৫/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৮ গতে ১/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/১৯ মধ্যে। 
৮ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪। প্রতিপদ প্রাতঃ ৫/৪৬ পরে দ্বিতীয়া শেষরাত্রি ৪/৩৩। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/২৫। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৯ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/১৭ মধ্যে।
১৬ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি-২০ বিশ্বকাপ: আমেরিকাকে ১০ উইকেটে হারাল ইংল্যান্ড

10:39:35 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: ইংল্যান্ডকে ১১৬ রানের টার্গেট দিল আমেরিকা, ক্রিস জর্ডনের হ্যাট্রিক

09:41:12 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: আমেরিকার বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত ইংল্যান্ডের

07:39:01 PM

ফের ছেলেধরা গুজব দেগঙ্গায়!
ফের ছেলেধরা গুজব! পাশাপাশি ছড়িয়েছে পাচারের গুজবও। তাকে ঘিরেই চাঞ্চল্য ...বিশদ

04:49:00 PM

মহারাষ্ট্রের ইয়াবত গ্রামে পথ দুর্ঘটনায় জখম ২০-২৫ জন বাসযাত্রী

03:55:18 PM

আমহার্স্ট স্ট্রিটে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুনের চেষ্টা, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত স্বামী পাপ্পু দাস

03:48:46 PM