সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
বনদপ্তরের প্রাক্তন কর্তারা বলছেন, হলং বনবাংলোর নামের সঙ্গে শুধু স্থানীয় হলং নদীই নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে একটি গাছেরও নাম। সেই গাছটির নামও হলং। সেই গাছ অসম ও অরুণাচল প্রদেশে দেখা যায়। একসময় জলদাপাড়াতেও এই গাছের অস্তিত্ব ছিল। এখন জলপাইগুড়ির গয়েরকাটার কাছে মোরাঘাট জঙ্গলে হলং গাছ আছে।
১৯৬৭ সালে জলদাপাড়ার ভিতরে হলং নদীর ধারে ঐতিহ্যবাহী এই বাংলো তৈরি হয়েছিল। স্থানীয় হলং নদী ও হলং গাছের নাম যুক্ত করে হলং বাংলোর নামকরণ হয়। হলং গাছের কাঠ তৈলাক্ত। ফাইবারের দেওয়ালে হলং কাঠের তক্তা বসিয়ে দিলে মসৃণ ও চকচকে দেখতে লাগে। ফুটে ওঠে এই কাঠের আভিজাত্য ও নিজস্ব গরিমা। তবে এই বাংলো গড়ে তোলার কাজে কিন্তু শাল, সেগুন ও গামারি কাঠেরও ব্যবহার করা হয়েছিল।
বাংলোয় হলং গাছের কাঠ যে ব্যবহার করা হয়েছিল, তা জানতেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্য বনপাল সম্পদ সিং বিস্ত। রাজ্যের আর এক প্রাক্তন মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা বলেন, আটের দশকে হলং বাংলো সংস্কার করা হয়েছিল। তখন শিশু, সেগুন ও ধূপি কাঠ ব্যবহার করা হয়েছিল।
এদিকে, হলং বাংলো পুড়ে যাওয়া নিয়ে জেলার বিভিন্ন মহল উপযুক্ত তদন্তের দাবি তুলেছে। জেলা সিপিএম আলিপুরদুয়ারে সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘটনা নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে। দলের জেলা কমিটির সদস্য মৃদুল সেনগুপ্ত ও প্রাক্তন জেলা সম্পাদক কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা হলং বাংলোর পুড়ে যাওয়ার ঘটনার কারণ নিয়ে উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
হলং বাংলোর আশপাশে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা না থাকা নিয়েও বিভিন্ন মহল প্রশ্ন তুলেছে। জলদাপাড়া লজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, মাদারিহাটের লজগুলিতে পুলিস, দমকল প্রায়ই সিসি ক্যামেরা অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে। হলং বাংলোতে পর্যাপ্ত ক্যামেরা ছিল কি না তারও তদন্ত হওয়া উচিত।
যদিও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও প্রবীণ কাসোয়ান বলেন, বাংলোর আশপাশে সিসি ক্যামেরা ছিল না, এই তথ্য ঠিক নয়। জাতীয় উদ্যানের প্রবেশপথ সহ সর্বত্র ক্যামেরা আছে। বাংলোর আশপাশে থাকা গেস্ট হাউস ও বিট অফিসের আশপাশেও সিসি ক্যামেরা আছে। সেই ফুটেজ পুলিসের হাতে তুলেও দেওয়া হয়েছে।
ফাইল চিত্র