সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গার্স্টিন প্লেস নামের এই বহুতলটি প্রায় ১০০ বছরের পুরনো। বিল্ডিংয়ের ভিতরে ছোট ছোট প্রচুর অফিস রয়েছে। একতলায় বেশ কয়েকজন আইনজীবীর অফিসও রয়েছে। শুধু তাই নয়, এই বাড়িতে থাকেন অনেক ভাড়াটিয়াও। এদিন ভোরে আচমকা দোতলার মেজেনাইন ফ্লোর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দা রাজেশ শর্মা বলেন, ওই ফ্লোরে একটি অফিস রয়েছে। সেখানকার কম্পিউটারই আগুনের উৎস বলে মনে করা হচ্ছে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। ধোঁয়া দেখেই দমকলে খবর দেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, দমকল আসতে অনেকটাই দেরি করেছে। আগুন ছড়াতে শুরু করলে বাসিন্দাদের দ্রুত সরানো হয়। স্থানীয় কাউন্সিলার সন্তোষ পাঠকের দাবি, বিল্ডিংয়ের ২৫টি পরিবারকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। ধীরে ধীরে আগুন বাড়তে থাকে। তিনতলায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে একাধিক সিলিন্ডার ফাটার শব্দ পাওয়া যায়। এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, দু’-তিনটি সিলিন্ডার ফেটেছে। তার জেরে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হেয়ার স্ট্রিট থানা ও দমকল বিভাগের কর্মীরা। বাড়ির ভিতর ঘিঞ্জি পরিস্থিতি হওয়ায় আগুন আয়ত্তে আনতে কিছুটা সমস্যা পড়েন তাঁরা। আগুন নেভাতে ব্যবহৃত হয় দমকলের ল্যাডার। স্থানীয়দের বক্তব্য, পুরনো বাড়িতে রাসায়নিক গুদাম থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা।
এদিন সকালে ঘটনাস্থলে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি যেতেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। কেন দমকলের ইঞ্জিন দেরি করে এসেছে, মন্ত্রীর সামনেই এই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর ধরেই এখানে রাসায়নিক সামগ্রীর মজুত করা হচ্ছে। তারপরও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যেখানে আগুন লেগেছে, সেখানে কোনও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ‘কেমিক্যাল রাখা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। তারপরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি কেমিক্যাল থাকে, সেক্ষেত্রে শাস্তি দেওয়া হবে।’ এদিন বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পুরসভার সূত্রের খবর, মেজেনাইন ফ্লোরগুলি বেআইনিভাবে তৈরি করা হয়েছে।