সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
১৬০৯ সালে মুর্শিদাবাদ থানার মোতিঝিলের পশ্চিমপাড়ে শ্রীপাট কুমোরপাড়ায় রাধামাধব মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয়। মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার বিগ্রহ রয়েছে। মন্দিরের মহান্ত বিশ্বজিৎ রায় বলেন, জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার দিনই রাধামাধবের স্নানযাত্রা উৎসব হয়। মন্দিরেই রাধামাধবকে দুধ দিয়ে স্নান করানো হয়।
নদীয়ার কৃষ্ণনগর থেকে এসেছিলেন কানুহরি দাস। তিনি বলেন, ১০ বছর ধরে এখানে আসছি। শত কাজ থাকলেও রাধামাধবের স্নানযাত্রার সময় এখানে আসবই। স্থানীয় বাসিন্দা নকুল মণ্ডল বলেন, স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে গ্রামে উৎসবের মেজাজ থাকে। সারা বছর আমরা এই কয়েকটা দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকি।
তিথি অনুসারে শুক্র ও শনিবার বহরমপুরের বিভিন্ন মন্দিরে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব হল। স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে শনিবার বহরমপুর শহরের ঘাটে ঘাটে গঙ্গাস্নানে ঢল নেমেছিল।
এবার কোনও মন্দিরে শুক্রবার, কোথাও শনিবার স্নানযাত্রা হয়েছে। বেশ কিছু মন্দির কর্তৃপক্ষ দু’দিনই স্নানযাত্রা উৎসব পালন করে। বহরমপুরের খাগড়া এলাকার প্রাচীন জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত সজল মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রথামতো আমরা শুক্রবার স্নানযাত্রা উৎসব করেছি। শনিবার ভোরে পুরীর মন্দির থেকে নির্দেশ আসায় এদিনও মহা সমারোহে স্নানযাত্রা উৎসব হয়েছে। খাগড়ার জগন্নাথ মন্দিরে শুক্রবার দুপুরে অন্নভোগের পর সন্ধ্যায় লুচির ভোগ নিবেদন করা হয়েছে। শনিবার জগন্নাথদেবের প্রিয় মালপোয়া, গজা সহযোগে পোলাও ভোগ দেওয়া হয়েছে।
গোরাবাজারে ভাগীরথীর তীরে জগন্নাথদেবের আরও একটি প্রতিষ্ঠিত মন্দির আছে। সেখানকার পুরোহিত রবি ঠাকুর বলেন, আমরা রীতি মেনে শনিবার স্নানযাত্রার আয়োজন করেছিলাম। জগন্নাথদেবের ভোগে পঞ্চব্যঞ্জন, রকমারি ভাজা, ডাল, পরমান্ন ও আতপ চালের ভাত নিবেদন করা হয়। এছাড়া, বহরমপুরে জগন্নাথঘাট সহ আরও অনেক মন্দিরে স্নানযাত্রা উৎসব হয়েছে।
খাগড়ার বাসিন্দা রুমেলা চক্রবর্তী বলেন, সকাল থেকে পুজোপাঠে অংশ নিয়েছিলাম। প্রসাদ নিয়ে বাড়ি ফিরব। মধুপুর থেকে পুজো দিতে এসেছিলেন দেবশ্রী মণ্ডল। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরে এবারই প্রথম স্নানযাত্রায় জগন্নাথদেবের পুজো দিলাম। খুব ভালো লাগছে।