সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
লিজ ট্রাসের পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। বিশ্লেষকদের মতে, দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুতে পদক্ষেপ করা সত্ত্বেও তিনি মানুষের আস্থা হারিয়েছেন। তাই এখন ব্রিটেনের হিন্দু ভোটারদের মন জয় করতে মরিয়া এই কনজারভেটিভ নেতা। সম্প্রতি একাধিক বক্তব্যে ধর্মের প্রতি নিজের কর্তব্যের কথা তুলে ধরেছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুনাক বলেছেন, ফলাফলের কথা না ভেবে দায়িত্ব পালনের কথা বলে ‘ধর্ম’। হিন্দু ধর্মের এই দর্শন তাঁকে সঠিক পথ অনুসরণ করতে সাহায্য করে।
সম্প্রতি ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে উঠে এসেছিল এই নির্বাচনে ধর্মীয় প্রভাবের প্রসঙ্গ। সেখানে গবেষক সোফি স্টোয়ার্স বলেন, ‘ভারতীয়, দক্ষিণ এশীয়দের সাধারণত একটি গোষ্ঠী হিসেবেই ধরা হয়। মনে করা হতো, তারা মূলত লেবার পার্টির সমর্থক। কিন্তু আমাদের সমীক্ষায় এই গোষ্ঠীর মধ্যে বৈচিত্র্যের বিষয়টি স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে। যেমন, ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা অর্থনৈতিক এবং সামাজিক চিন্তাভাবনার ক্ষেত্রে অনেক বেশি রক্ষণশীল। বিশেষ করে হিন্দুরা। কনজারভেটিভদের উপরেই তাঁরা বেশি ভরসা রাখছেন। ২০১৯ সালের নির্বাচন থেকেই তা স্পষ্ট।’ যদিও এবার লেবার পার্টির প্রতি মানুষের আস্থা অনেক বেশি বলে মনে করছেন সোফি। রাজনৈতিক মহলের মতে, এবার ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে ভোট ভাগাভাগির সম্ভাবনা যথেষ্ট। সোফির সাফ কথা, ‘কনজারভেটিভদের প্রতি খ্রিস্টান এবং হিন্দুদের আনুগত্য বাড়ছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, নির্বাচনে কি তা বড়সড় প্রভাব ফেলবে? ফলাফল বদলে দেবে? এমনিতে গাজা নিয়ে লেবার পার্টির অবস্থানে খুশি নন ব্রিটেনের মুসলিমরা। সদ্য সমাপ্ত স্থানীয় নির্বাচনে তার প্রভাব চোখে পড়েছে। যদিও সাধারণ নির্বাচনে সেই প্রবণতাকে কাজে লাগানো অত্যন্ত কঠিন।’
লেবার পার্টির জয়ের সম্ভাবনায় খুশি নন হ্যারোর বাসিন্দা অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়। সম্প্রতি খালিস্তানপন্থীদের তাণ্ডবের সাক্ষী থেকেছে গ্রেটার লন্ডনের এই শহরটি। হেরিটেজ বেঙ্গল গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা অনির্বাণ বলেন, ‘লেবার পার্টি ক্ষমতায় এলে ভারত-বিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি পেতে পারে। এটাই আমাদের উদ্বেগের অন্যতম কারণ।’