Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

শেষ আপদ
সুমন মহান্তি

এই পাড়াকে শহরে সবাই একডাকে চেনে। অভিজাত এই পাড়ায় জমির দাম অনেক বছর আগেই আকাশছোঁয়া হয়েছিল, এখন জমি অমিল বলে পুরনো সব বাড়ি ভেঙে ফ্ল্যাট তৈরি শুরু হয়েছে। এই পাড়ার মধ্যেই আছে আরেক পাড়া, চকচকে মাখন-শরীরে বিসদৃশ ঘামফোঁড়া মনে হয় সেই পাড়াটিকে। চারপাশের ভদ্র ও শিক্ষিত পরিমণ্ডলে একেবারে বেমানান সেই পাড়ার একটাই নাম, বস্তিপাড়া। বস্তিপাড়ার মানুষেরা বাবুদের একেবারে কাছেই থাকে, একই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে, পেল্লাই বাড়িঘরের আড়ালে ঘিঞ্জি বস্তির ঘরগুলিতে আলোবাতাস ঢোকে না। বস্তিতে চেঁচামেচি, খিস্তিখেউড়, আর উচ্চগ্রামে ঝগড়া লেগেই থাকে। বিরক্ত হয়ে মনুবাবু একদিন বলেই ফেলেছিলেন, ‘এগুলো ছোটলোকই রয়ে গেল। রিকশ চালাবে, মাতলামো করে মরবে আর বউগুলো লোকের বাড়িতে ঠিকের কাজ করে সংসার চালাবে। এদের অন্ধকার কখনও কাটে না। এরা হল আপদ।’ 
শুভেন্দুও নিরাপদ দূরত্ব থেকে ওদের দেখে। মাঝেসাঝে রাতদুপুরে মাতলামো, অশ্লীল গালিগালাজ আর খিস্তিখেউড় কানে এলে তারও মাথা গরম হয়ে যায়। মনে মনে বিড়বিড় করে, ‘এই পাড়ার একটাই সমস্যা, এই জঘন্য বস্তি। এখানে কোনও ভদ্রলোক থাকতে পারে!’
গত তিন বছরে বস্তির চারজন পুরুষ মারা গিয়েছে। প্রত্যেকের বয়স চল্লিশের কোঠায়— লিভার সিরোসিসে অকালে চলে গিয়েছে। কোনও মৃত্যুই দুঃখের ছিল না, একেবারে চেনা ছক, চেনা পরিণতি। দিনরাত আকণ্ঠ চোলাই গিললে এমনটাই হয়। 
দরকার পড়লে অবশ্য ওদের কাজে লাগে। আজ শুভেন্দুর দেরি হয়ে গেছে। দশটার বাসটা মিস করলে খুব মুশকিল। সাত-আট মিনিট হেঁটে বটতলার মোড়ে প্রতিদিন সে বাস ধরে। হাতে সময় খুব কম, পাড়ার গলিতে অটো বা টোটো এখন পাওয়া যাবে না। বাইক নিয়ে গেলে রাখার জায়গা নেই মোড়ে। বল্টুকে দেখতে পেয়ে তার রিকশয় উঠে পড়ে শুভেন্দু বলল, ‘একটু তাড়াতাড়ি চল। বাসটা ধরতে হবে।’
বল্টুর রিকশ কিছুতেই আর ছোটে না। ঠিকমতো প্যাডেল করতে পারছে না বল্টু, ঘেমে উঠছে। রিকশ টানার ক্ষমতাই নেই শরীরে, লম্বাটে চেহারায় ভাঙচুর স্পষ্ট, হাতের আঙুল কাঁপছে, কণ্ঠার হাড় প্রকট, চার-পাঁচবার পা প্যাডেল করতে গিয়ে ফস্কে গেল। জোরে হাঁটলে বরং শুভেন্দু আগে পৌঁছে যাবে,বল্টুর রিকশর ওপর ভরসা করে লাভ নেই।
 সে বলল, ‘থাম এবার। নেমে যাব।’
 বল্টু অবাক, ‘কিন্তু তোমার বাস ধরার জায়গা তো আসে নাই!’
শুভেন্দু ধৈর্য হারিয়ে বলে, ‘সে আমি বুঝব। ওভাবে চালালে বাস আর ধরা হবে না।’ 
দশ টাকা বাড়িয়ে দিতেই বল্টু মাথা নাড়ে, ‘মাত্র দশ টাকা! এতটা রাস্তা এলাম, মাত্র দশ টাকা ঠেকাচ্ছ! মাসে এত এত মাইনে পাও! ইদিকে বউনির বেলা কম দিচ্ছ!’
শুভেন্দু পার্স থেকে একটি কুড়ি টাকার নোট বের করে বল্টুর হাতে গুঁজে দিল। তখনই বিশ্রী গন্ধে গা গুলিয়ে উঠল তার। গন্ধটা অনেকক্ষণ নাকে ঝাপটা দিচ্ছিল, সরাসরি ভাড়ার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে উগ্র কটু গন্ধ একেবারে নিশ্বাসে ঢুকে পড়েছে এখন। সে রুমালে নাক চেপে ফেটে পড়ল রাগে, ‘সাতসকালে চুল্লু গিলেছিস! রিকশ আর টানবি কী?’
শুভেন্দু বিরক্ত হল। নেশা করলেও টাকা আদায় করে নিতে এদের ভুল হয় না। মনুবাবু ভুল বলেননি। এদের অন্ধকারই ডেস্টিনি, কিছুতেই আলো ঢুকবে না এদের জীবনে। বল্টু অবশ্য বস্তির অন্যদের থেকে কিছুটা আলাদা। সে কখনও মাতলামো করে না, বউ পেটায় না, মুখ খারাপ করে না সহজে।  

আজকাল প্রতিদিন বল্টুকে দেখতে পায় শুভেন্দু। গলির মোড়ে রাস্তার ওপর সারাদিন বসে-বসে ঝিমোয়। এতদিন ওখানে রাধু বসে থাকত একা, এখন বল্টু তার সর্বক্ষণের সঙ্গী হয়েছে। রাধু অনেক বছর আগেই আহত ও অবসৃত। মদের নেশায় চুর হয়ে রিকশ চালাতে গিয়ে উল্টে যায় একদিন, পায়ে সাংঘাতিক চোট লাগে। তারপর থেকে সে গলির মোড়ে ল্যাম্পপোস্টের নীচে সারাদিন বসে কাটায়। শুধু রাতের বেলা সে ঘরে আশ্রয় পায়। পঞ্চাশের ওপর বয়স, লাঠিতে ভর রেখে খুঁড়িয়ে হাঁটে, ছেলে বউ দয়া করে চাট্টি খেতে দেয়। রাধু পাড়ার প্রহরী এবং দর্শক। কোন গাড়ি পাড়ায় ঢুকছে, কে কী করল, কার কী হল এসব সে সারাক্ষণ দেখে। মনুবাবু ওদের দুজনকে পাশাপাশি দেখে একগাল হেসে বললেন, ‘রাধু নম্বর-টু তৈরি হয়ে গেল। এই বল্টু ব্যাটাও রিটায়ার্ড হার্ট। কেমন নির্জীবের মতো পড়ে আছে দেখছেন! ব্যস, এবার বউ ছেলের ঘাড়ে ভর করে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেবে। অবশ্য নাতি আছে, সে-ও রোজগার করবে।’
শুভেন্দু অবাক গলায় বলে, ‘নাতি!’ 
মনুবাবু তার অজ্ঞতায় হাসেন, ‘ওই ব্যাপারে এরা সরেস। ছেলে হোক আর মেয়ে হোক ষোলো সতেরো বছরে বিয়েটা সেরে ফেলে। পেটের ভাত জোটাতে না পারলেও বিয়েতে এগিয়ে থাকে। বল্টুর বয়স আন্দাজে বিয়াল্লিশ-তেতাল্লিশ হবে। ক্যালকুলেশন করে দেখুন, হিসেব মিলে যাবে।’
বল্টু একদিন শুভেন্দুর দিকে এগিয়ে আসে। বিনা ভূমিকায় বলে, ‘টাকা দাও, চা বিস্কুট খাব।’
শুভেন্দু প্রশ্ন করে, ‘রিকশ চালানো বন্ধ?’
—হ্যাঁ।
—কেন?
বল্টু অসহিষ্ণু স্বরে বলে, ‘অত কথায় কাজ কী? টাকাটা দাও।’
বিরক্ত শুভেন্দু অনিচ্ছার ভঙ্গিতে দশ টাকা দিয়ে বলে, ‘এটা রাখ। এর বেশি দেওয়া যাবে না।’
বল্টু খুশিতে মাথা নাড়ে, ‘যা দিয়েছ ওতেই হবে।’
দশ হাত দূরত্ব থেকে দেখেছে এই কয়েক সপ্তাহ, এই প্রথম এত কাছ থেকে দেখল। নোংরা জামা ঢাকতে পারছে না হাড্ডিসার চেহারা, পেঁচানো লুঙি, সরু হাত-পা, দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের চেহারা যেমনটা হয়ে থাকে। কত টাকাই তো ফালতু খরচ হয়ে যায়, রাধু প্রায়ই তার কাছে হাত পাতে, কখনও তাকে বিমুখ করে না। বল্টুকেও এবার থেকে সে ফেরাবে না। ছোটবেলা থেকেই বল্টুকে সে দেখছে, দু-পাঁচ টাকা মাঝেমধ্যে দিলে কী এমন ক্ষতি হবে? 
তাকে দেখলেই বল্টু নিঝুম অবস্থা থেকে যেন জেগে ওঠে, অশক্ত শরীরেই হনহনিয়ে আসে, হাত পাতে। কুড়ি টাকাতেও একদিন খুশি হল না বল্টু। বলে, ‘আজ বেশি লাগবে দাদা। সারাদিন কিছু খাইনি।’
শুভেন্দুর সন্দেহ হল। বিল্টুর মতো লোকেরা বউয়ের পরিশ্রমের টাকা কেড়ে নিয়ে মদ গিলতে ছোটে, ভিক্ষের টাকা বা ফোকটে পাওয়া টাকা পেলে তো কথাই নেই। শুভেন্দু সরাসরি জানতে চাইল, ‘মাল চলে এখন?’
বিল্টু জিভ কাটে,  ‘মা কালীর দিব্যি। সকাল থেকেই চুল্লু গিলে এই অবস্থা। ডাক্তার বলে দিয়েছে খবরদার ওসব আর চলবেনি। লিভার একদম গেচে।’
—সত্যি বলছিস?
—জল-মুড়িই সহ্য হচ্ছেনি। পয়সা পাব কোত্থেকে? পেটে ওসব পড়লে আর বাঁচানো যাবেনি, ডাক্তার কান কামড়ে বলেচে। আগে সকাল থেকেই চুল্লু গিলে থাকতাম, কিছু পেটে দিতামনি।
শুভেন্দু বলে, ‘জানি। চুল্লু গেলার পর দোকানে গিয়ে ঘুগনি খাওয়া হতো। তাহলে রিকশ চালানো একেবারে বন্ধ?’ 
বল্টু অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে বলে, ‘না, ছ’মাস বিশ্রাম নিতে বলেচে ডাক্তার। শরীরে একটু বল পেলেই চালানো শুরু করব। কত কাল আর বসে বসে খাব?’
‘তাই?’ শুভেন্দুর গলায় অবিশ্বাস স্পষ্ট হতেই বল্টু ম্লান হাসে, ‘দেকে নিও দাদা।’ 
বল্টু চলে যেতেই মনুবাবু জানালাতে মুখ বাড়ালেন, ‘প্রায়ই দেখি আপনি ওকে টাকা দিচ্ছেন। রাধুকে দেন, ভালো কথা। ও ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড। মদ আর ছোঁয় না, বয়সও হয়েছে। ওই বল্টুকে দিচ্ছেন মানে টাকা তরলেই গেল। ভিক্ষা দিয়ে কখনও কারও ভালো করা যায়? আপনারাই যদি ডিগনিটি অফ লেবার না বোঝেন, লাই দেন, তাহলে এদের দোষ কোথায়?’
#
বল্টুর লোভ দিনের দিন বেড়েই চলেছে। আগে রয়েসয়ে চাইত, এখন স্থান-কাল-পাত্রের তোয়াক্কা না করেই চায়। বিব্রত শুভেন্দু দু-তিনবার এড়িয়ে গেল। এক ফুরন্ত বিকেলে বাসস্ট্যান্ড থেকে ফেরার সময় সে বল্টুকে দেখতে পেল। বল্টু রাস্তাতেই পাকড়াও করল তাকে, ‘চা-বিস্কুট খাব। তিরিশটা টাকা দাও।’ 
চোখ কুঁচকে শুভেন্দু বলল, ‘দশ টাকার বেশি দিতে পারব না।’ 
বল্টু হতাশ গলায় বলে, ‘তাই দাও।’
শুভেন্দুর মাথায় মনুবাবুর উপদেশ কুটকুট করে। করুণা বা সহানুভূতি যে কারণেই হোক সে টাকাটা দিচ্ছে আর সেই টাকা গিয়ে পড়ছে তরলে। সন্ধের মুখে এই রাস্তা ধরে হাঁটার মানেটা খুব পরিষ্কার। নেশা টেনে নিয়ে চলেছে বল্টুকে, তাই দশ-বিশ টাকার বদলে তিরিশ টাকার দাবি, বাকি কিছু লাগলে কোনও পরিচিত নেশাড়ুর কাছে হাত পাতা যাবে। সামান্য কুড়ি-তিরিশ টাকা দু’দিন বাদে দিয়ে নিজেকে মহৎ ভাবা আসলে বোকামো। সবচেয়ে বড় কথা এক অশিক্ষিত কামচোর রিকশওয়ালা তাকে ঠকাচ্ছে। পরের দিন বিকেলে বল্টু টাকা চাইতেই শুভেন্দু কঠিনমুখে বলল, ‘আমার কাছে খুচরো নেই, হবে না।’
তার অনড় হাবভাব দেখে বল্টু নিভন্ত স্বরে বলে, ‘মুড়ি-ঘুগনি খেতাম। খুচরা কিছু নাই?’
—না।
 বল্টু ম্রিয়মাণ ভঙ্গিতে ফিরে যায়।
এবার বেশ কঠোরভাবে না বলতে পেরেছে সে, স্পষ্ট বুঝিয়ে দেওয়া গিয়েছে যে, এরকম আর চলবে না। বল্টু তাকে দেখলে আর এগিয়ে আসে না, হাত পাতে না, একবার তো তার দিকে কিছুটা এসেও থমকে পিছিয়ে গেল। 
রাধু তার কাছে মাসে একবার চায়। তার চাওয়ার মধ্যে একরকম অসহায় আর্তি থাকে, না-চাইতেও একদিন রাধুকে পঞ্চাশ টাকা গুঁজে দিল শুভেন্দু। কাঠফাটা রোদে মাথায় গামছা জড়িয়ে একহাত দূরে বসেছিল বল্টু, নিষ্প্রাণ চোখে একবার তাকিয়ে দেখল শুধু।   
তিনদিন বাদে বল্টুকে রিকশ নিয়ে বেরতে দেখে সে অবাক হল। যাক, শুভবুদ্ধি জেগেছে তাহলে। সে বল্টুকে দেখে হাত নাড়ে, বল্টুও হাসে, নড়বড়ে রিকশ নিয়ে মন্থরগতিতে এগয় বল্টু। শুভেন্দু ভাবে, এতদিন অভ্যেস নেই, শরীর ভেঙে গিয়েছে, ঠিক পারবে ক’দিন পর। বল্টুকে বিকেলে সেই ল্যাম্পপোস্টের নীচে ঝিমোতে দেখে সে নিজেই এগিয়ে গেল। বল্টু বিষণ্ণভাবে বলে, ‘কুড়িটা টাকা হবে?’ 
শুভেন্দু জানতে চাইল, ‘রিকশ নিয়ে বেরলি যে আজ!’
বল্টু ক্লান্তভাবে বলে, ‘রিকশর সেই বাজার কোথায়? টোটোর বাজার। কেউ রিকশতে চড়ে না। দশ টাকা দিলেই যেখানে খুশি যাচ্চে সব। রিকশ সব বসে গেচে, আমার মতো দুব্বল লোক ঘের খুঁজে পাবেনি। আমাদের দিন শেষ।’
রিকশ শুধু নয়, অটো পর্যন্ত টোটোর দাপটে প্যাসেঞ্জার পাচ্ছে না। রুট নিয়ে অটোওয়ালা ও টোটোওয়ালাদের মধ্যে প্রায়ই গন্ডগোল, মারপিট চলছে। বল্টুর পাড়াতেই অনেকে রিকশ ছেড়ে পুঁজিপাটা উজাড় করে টোটো কিনে চালানো শুরু করেছে। বল্টুর জীবন ধার এবং তরলে চলে, টোটো কেনার ক্ষমতা তার এই জন্মে হবে না।   
পরের দিন থেকে ল্যাম্পপোস্টের নীচে রাধুর পাশেই সারাক্ষণ বসে থাকা শুরু করল বল্টু। আবার হাত পেতে টাকা চাওয়াও শুরু হল। আবদারের সুর বদলে গেল অনুনয়ে। ভাবখানা এমন যে চেষ্টা সে খুব করেছিল, সাধ্যে কুলয়নি, তাই তাকে কিছু না-দেওয়াটা অন্যায়। পাঁচবারের বেলায় শুভেন্দু ধৈর্য হারাল। কোনও সাড়া না দিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিল। মনে-মনে বলল, ডিসগাস্টিং।
#
রাতে বাড়ি ফেরার সময় চেনা গলির মুখে এসে দাঁড়িয়ে পড়ে শুভেন্দু। ল্যাম্পপোস্টের নীচে হলুদ আলোর বৃত্তে রাধুর পাশের জায়গাটায় এখন কেউ থাকে না। কেমন যেন ফাঁকা লাগে তার। মনে হয় এই বুঝি বল্টু তাকে দেখতে পেলে নড়বড়ে পায়ে উঠে আসবে। কাঁচুমাচু মুখে বলবে, ‘দাদা, কুড়িটা টাকা হবে? চা-বিস্কুট খেতাম।’
পাড়া থেকে লাগোয়া বস্তির শেষ রিকশওয়ালা, সুদাম হাতি ওরফে বল্টু, আটদিন আগে এক বৃষ্টিমুখর রাতে ক্ষীণ হরিবোল ধ্বনির মধ্যে চলে গিয়েছে শ্মশানে। 
ভদ্রপাড়া থেকে ‘আপদ’ বিদায় হয়েছে!
অঙ্কন: সুব্রত মাজী
03rd  January, 2021
মাটির গন্ধ
অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী

একথা বলে সুমন মিটিমিটি হাসতে লাগল। তখন আমরা মাঠ পেরচ্ছি। দইয়ের ডোবা, মুক্তি ডোবা— আমাদের আশপাশের ডোবাদের নাম। ডোবা মানে যে বিশাল ব্যাপার, তা কিন্তু নয়। একেবারে নাতিদীর্ঘ আয়তন, বর্ষায় টইটম্বুর হয়ে ফুলে থাকে। জল যত কমে, টুলু পাম্প বসিয়ে তুলে নেয় চাষিরা। বিশদ

17th  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- অষ্টম কিস্তি। বিশদ

17th  January, 2021
চলার পথে

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশদ

17th  January, 2021
সিনেমা  তোলার 
ঝকমারি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন প্রদীপচন্দ্র বসু। বিশদ

10th  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- সপ্তম কিস্তি। বিশদ

10th  January, 2021
চলার পথে
উপলব্ধি

চলার পথে তো কত কিছুই ঘটতে থাকে, কিন্তু সেইসব ঘটনা সাধারণত নজরেই পড়ে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত তার মাহাত্ম্য উপলব্ধি হচ্ছে। এমনটা ঘটেছিল কল্লোল যুগের প্রখ্যাত সাহিত্যিক প্রবোধকুমার সান্যালের অভিজ্ঞতায়। হিমালয় ভ্রমণের সময় একবার রাস্তার পাশে সুদৃশ্য এক পাথর তাঁর নজরে আসে। বিশদ

03rd  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- ষষ্ঠ কিস্তি। বিশদ

03rd  January, 2021
বিশ্বাস অবিশ্বাস

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন কাবেরী রায়চৌধুরী। বিশদ

27th  December, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- পঞ্চম কিস্তি। বিশদ

27th  December, 2020
কালবৈশাখী
অদিতি বসুরায়

কলকাতা শহরটাতে কী যে আছে ভেবে পায় না রাকা। এই  ‘কিছু’ থাকাটা মানে বড় বড় আকাশছোঁয়া বাড়ি, বাস-ট্রাম, মস্ত তিন-চারতলা দোকান-টোকান নয়। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, চিড়িয়াখানা, ময়দান, রাজভবন এসবও নয়। একেবারে আলাদা কিছু। দুর্গাপুজোর ঢাকের বোলের মতো। ‘ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন’— মন ভালো হয়, আবার পালাই-পালাইও করে। ঠিকঠাক বুঝিয়ে সে বলতে পারে না। বিশদ

20th  December, 2020
চারিদিক যখন শূন্য

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন অনীশ দেব। বিশদ

20th  December, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- চতুর্থ কিস্তি। বিশদ

20th  December, 2020
মহাশয় যা শুনিলেন
অমর মিত্র

তরুণ লেখক বন্ধুকে আমি ফোন করলাম দুপুর গড়িয়ে এলে। ভাবলাম ফোন কি ধরবে? আমার বয়স হয়েছে। কোভিডের ভয়ে আট মাস নিভৃতযাপন করছি। বাড়ি থেকে বের হই না বড় একটা। হাঁটা হয় বেশ ভোরে, তাও এই ক’দিন। আগে ছাদে আকাশের নীচে হাঁটতাম। সারাদিন করব কী? সকালে কাগজ কলম নিয়ে মানে ল্যাপটপ খুলে বসি। আগডুম বাগডুম লিখি। বিশদ

13th  December, 2020
কাঠের আলমারি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন অভিজিৎ তরফদার। বিশদ

13th  December, 2020
একনজরে
নিজেদের দাবি আদায়ে আরও বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিক্ষোভরত কৃষকরা। আগামী ২৬ জানুয়ারি, সাধারণতন্ত্র দিবসের আগেই একপ্রকার নজিরবিহীনভাবে দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় আয়োজন করা হতে পারে ‘কিষান সংসদ’। ...

সামনেই নেতাজি জয়ন্তী ও সাধারণতন্ত্র দিবস। হাতে সময় কম, বড়বাজারে জমে উঠেছে জাতীয় পতাকার বিক্রি। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, করোনা আবহ এখন অনেকটাই কেটে গিয়েছে, তাই আমাদের ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে জমা পড়া অভিযোগের নিষ্পত্তি বা পাড়ায় সমাধান কর্মসূচিতে রূপায়িত প্রকল্পের ব্যাপারে মানুষকে আরও বেশি করে জানাতে হবে। প্রকল্পস্থলে উদ্বোধনী ...

৪০টি শ্রম আইনকে একত্রিত করে চারটি লেবার কোডে পরিণত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১ এপ্রিলের আগেই সারা দেশে কার্যকর করা হতে পারে সেই চার লেবার কোড। এমনটাই খবর শ্রমমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

 বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০১ - টেলিফোনের উদ্ভাবক ইলিশা গ্রে-র মৃত্যু
১৯৪৫- স্বাধীনতা সংগ্রামী রাসবিহারী বসুর মৃত্যু
১৯৫০- ইংরেজ সাহিত্যিক জর্জ অরওয়েলের মৃত্যু
১৯৬৮- চারটি হাইড্রোজেন বোমা সহ গ্রিনল্যান্ডে ভেঙে পড়ল আমেরিকার বি-৫২ যুদ্ধবিমান
১৯৭২ - মনিপুর, মেঘালয় ও ত্রিপুরা ভারতের পূর্ণ রাজ্যে পরিণত হয়।
১৯৮৬- অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের জন্ম 
২০০৮ - কালো সোমবার হিসেবে বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে প্রতিষ্ঠিত। এফটিএসই ১০০-এর সূচক একদিনে সবচেয়ে বড় পতন ঘটে। ইউরোপীয় স্টক এক্সচেঞ্জগুলো ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০১ - এর পর সবচেয়ে খারাপ করে শেষ হয়। এশিয়ার শেয়ার মার্কেটগুলোর সূচক ১৪% কমে যায়।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.২৯ টাকা ৭৪.০০ টাকা
পাউন্ড ৯৮.১৩ টাকা ১০১.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ মাঘ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি ২০২১, অষ্টমী ২৩/২০ দিবা ৩/৫১। অশ্বিনী নক্ষত্র ২৩/৪ দিবা ৩/৩৬। সূর্যোদয় ৬/২২/৪২, সূর্যাস্ত ৫/১৩/১০। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/২৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪৮ গতে ১/২৭ মধ্যে। 
৭ মাঘ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি ২০২১, অষ্টমী দিবা ৩/৪৪। অশ্বিনী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/২। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১২। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ১০/৪৩ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। কালবেলা ২/৩০ গতে ৫/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৯ গতে ১/২৮ মধ্যে।
৭ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল-এ আজ মোহন বাগান ১ : ০ গোলে হারাল চেন্নাইয়ানকে 

09:30:58 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ১ চেন্নাইয়ান ০ (৯০ মিনিট) 

09:24:48 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ০ চেন্নাইয়ান ০ (প্রথমার্ধ)

08:24:23 PM

পুনের অগ্নিকাণ্ডে পাঁচজনের দেহ উদ্ধার
পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে ...বিশদ

06:12:59 PM

বর্ধমান ও আসানসোলে বিজেপি-র গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে
বর্ধমান শহর ও আসানসোলে একসঙ্গে দু’জায়গায় প্রকাশ্যে এল বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ...বিশদ

05:12:00 PM

পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটে আগুন
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল দেশের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা  পুনের সিরাম ...বিশদ

03:20:00 PM