Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

মহাশয় যা শুনিলেন
অমর মিত্র

তুমি কখন লেখ? শতাব্দ নিশ্চিত জবাব দেবে শিবরাম চক্রবর্তীর মতো, কেন পরদিন।
তরুণ লেখক বন্ধুকে আমি ফোন করলাম দুপুর গড়িয়ে এলে। ভাবলাম ফোন কি ধরবে? আমার বয়স হয়েছে। কোভিডের ভয়ে আট মাস নিভৃতযাপন করছি। বাড়ি থেকে বের হই না বড় একটা। হাঁটা হয় বেশ ভোরে, তাও এই ক’দিন। আগে ছাদে আকাশের নীচে হাঁটতাম। সারাদিন করব কী? সকালে কাগজ কলম নিয়ে মানে ল্যাপটপ খুলে বসি। আগডুম বাগডুম লিখি। তারপর স্নান এবং সামান্য ঘুম। ঘুমের আগে ফোন করি হয়তো চন্দননগরের বিশ্বজিৎ কিংবা চাকদহের গৌতম বা আরও পিছিয়ে রানাঘাটের মিলন বা বসিরহাটের অনিলকে। গড়গড়িয়ে কথা বলি। তার ভিতরেই তাদের কেউ হয়তো বলে, গগনদা আমার একটা ফোন আসছে, ফোনটা ধরি। হুঁ, ধরো। জানি ফোন ছাড়াবার ভালো উপায় হচ্ছে, আর একটি ফোন আসছে বলা। কিংবা ক্রমাগত হ্যালো হ্যালো করে যাওয়া। যেন ওদিকের কথা শোনাই যাচ্ছে না। আমার বয়স কম না। বুঝি আমার সঙ্গে তরুণ, অতি তরুণ কথা বলবে কেন? কী কথা বলবে। বুড়ো হলে জ্ঞান দেওয়ার প্রবণতা বাড়ে। আমার জ্ঞান শুনবে কেন তারা? কিন্তু স্বভাব যায় না ম’লে। মধ্যাহ্নের আহারের পর দিবা ঘুমের অভ্যাস আমার নেই। তখন বই নিয়ে বসি। পড়তে পড়তে বেলা গড়ায়, তখন মনে হয় ফোন করি। কথা বলি।
বছরটা একেবারে শূন্য গেল। সেই মার্চের পনেরো কুড়ি থেকে চলছে টানা। বাইশ তারিখে বর্ধমান যাওয়ার কথা ছিল। দোল পূর্ণিমা গেছে কোন তারিখে মনে নেই, অযোধ্যা পাহাড়ে বসন্ত উৎসবের আমন্ত্রণ ছিল। রাতের ট্রেনে রওনা, বরাভূম স্টেশনে নেমে ট্রেকারে চেপে অযোধ্যা পাহাড়। বসন্তোৎসব। যাওয়া হয়নি। তারপর দীর্ঘ গ্রীষ্ম গেল ভয়ের ভিতরে ডুবে। বর্ষা গেল। উম-পুন ঝড় গেল। বর্ষা শেষ হল। ঋতু বদল হতে হতে এখন অঘ্রান মাস। বিবাহের মাস। বন্ধু দেবাঞ্জনের মেয়ের বিয়ে হল। ফোনে জানাল। যাইনি। ভয়ে যায়নি। একা একা দিন কাটছে। ফোন করে দিন কাটছে। প্রতিটি ফোনের পর স্ত্রী বিরক্তি প্রকাশ করে। কেন ওদের বিরক্ত কর তুমি, ওদের তো কাজকম্মো আছে।
—যাদের নেই, তাদের ফোন করি।
—কাদের নেই? 
—ইস্কুল খোলেনি, কলেজ খোলেনি, বাড়িতে বসে আছে।
—না বসে নেই, অনলাইন ক্লাস হয়।
—সন্ধ্যায় কি অনলাইন ক্লাস হয়?
উনি, শ্রীমতী চন্দ্রাবতী বলেন, তাদের তো অন্য কাজও আছে, এত ফোন করবে না।
চন্দ্রাবতীর চাপে আমার ফোন করা কমেছে। কিন্তু তিনি যখন পাশের ঘরে টেলিভিশনে সিনেমা কিংবা সিরিয়াল দেখেন আমি কানে হিয়ারিং কর্ড ফিট করে ফোন করি, সুজিত কেমন আছো?
—আছি, ভালো আছি।
—তোমাদের ওখানে করোনার দাপট কেমন?
—কমেছে মনে হয়।
—কী পড়লে? 
—আবার বিভূতিভূষণ। 
—তোমাদের ডুলং নদী কেমন আছে?
—ভালো আছে, গতকাল নদীর ধারে গিয়ে বসেছিলাম, ওপারে শাল জঙ্গল, আমাদের এখান থেকে সিংভূমের পাহাড় দেখা যায়।
—একবার তোমাদের ওখানে যেতে ইচ্ছে হয়।
সুজিত বলল, আসুন না, করোনা কমুক। 
—কী করছ এখন।
—সিনেমা... গগনদা, আমাকে জ্যোতির্ময় ফোন করছে, ফোনটা ধরি। 
আমার কী মনে হল, জ্যোতির্ময়কে একটি ফোন করি। জ্যোতির্ময় থাকে বাঁকুড়ায়। দেখি সুজিতকে সে ফোন করেছে কি না। কিন্তু ফোন করতে গিয়েও চুপ করে গেলাম। কিন্তু এর মানে এই নয় যে আমিই সব ফোন করি। আমারও ফোন আসে। পুরনো বন্ধু বহুদিন বাদে ফোন করে। সে বড় একটা বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে। করোনা হয়েছিল। ২১ দিন হাসপাতালে থেকে বাড়ি ফিরেছে। কিন্তু খুব সাবধানে আছে। করোনা পরবর্তী বিপদ না আসে। বন্ধু সুজন বলল, কে জানে তার হার্ট, লাংস নষ্ট করে দিয়ে গেছে কিনা ভাইরাস। এসব ফোন আমার ভালো লাগে না। সুজনই খবর দিল জিতেন চলে গেছে। সকালে বারান্দায় বসে খবরের কাগজ পড়ছিল। হার্ট অ্যাটাক। মন খারাপ লাগল। জিতেন আমার ঘনিষ্ঠ সহকর্মী ছিল। পত্র-পত্রিকায় কবিতা লিখত যৌবনে। তারপর ইউনিয়নের ম্যাগাজিনে লিখত। অবসরের পর রিইউনিয়নে গিয়ে কবিতা পড়ে শোনাত। মন সন্ধে থেকেই খারাপ। মনে হচ্ছিল আবার যদি কাউকে ফোন করি, সেও হয়তো কোনও খারাপ খবর দেবে। তাইই তো। চঞ্চল বসু পাড়ার লোক, মর্নিং ওয়াকের সঙ্গী, তাঁর কাছ থেকে খবর পেয়েছি জগন্নাথবাবু মারা গেছেন। কোভিড নেগেটিভ, জ্বর ছাড়ছিল না। 
আমি ল্যাপটপে ইউটিউবে সিনেমা দেখি। ‘অপুর সংসার’ দেখছিলাম। বউ এসে বলল, আজ যে ফোন কম!
—সিনেমা দেখছি। 
—সিনেমা তো এখন, তার আগে ফোন করনি তো।
চন্দ্রার ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসি, কেউ ফোন ধরছে না বুঝি।
জিতেনের মৃত্যু সংবাদ দিলাম না। জিতেনকে চন্দ্রা চিনত না। হার্ট অ্যাটাক এক অদ্ভুত ঘটনা। এই আছে এই নেই। খবর দিয়ে আসে না। পরদিন বেলা গড়িয়ে আসতে ফোন করলাম শতাব্দকে। শতাব্দ আমেদ। থাকে সোনামুখী। আমি একসময় ওই অঞ্চলে কাটিয়েছি। সেই ৩৫ বছর আগে। শতাব্দর বয়স বছর ২৪। তার মানে আমি যখন ছিলাম ওই গঞ্জে, শতাব্দর জন্ম হয়নি। শতাব্দ গল্প লেখে। মাসখানেক আগে ওর সঙ্গে কথা হয়েছিল অনেক। বলেছিলাম, ফোন কর না কেন?
—আপনাকে বিরক্ত করব, সেই ভয়ে ফোন করি না স্যার।
—স্যার আবার কী কথা শতাব্দ? 
—আমাকে অলীক বসু স্যার বলতে বলেছেন, নাহলে নাকি কলকাতার লোক রাগ করে!
হা হা করে হেসেছিলাম। আমি তোমার সহযাত্রী লেখক শতাব্দ। স্যার বলতে হবে না। তখন শতাব্দ বলেছিল, স্যার মানে মহাশয়, তাহলে কি মহাশয় বলব স্যার? 
শতাব্দ রসিক যুবক। গল্প লেখে। ওর গল্প পড়ে আমার ভালোও লেগেছে। এখন নানা জায়গায় ওর লেখা বেরতে শুরু করেছে। ক’দিন আগে বর্ষার আমন ধান রোপণ নিয়ে একটি গল্প লিখেছিল। ঘন মেঘের বিবরণ দিয়েছিল কী ভালো। মেঘ নীচে নেমে এসেছে। চিকুর হানা শুরু হয়ে গেছে। বজ্রপাত হতে পারে। বাপ তার ভিতরে ছেলেকে ধান রোয়ার কাজ শেখাচ্ছে। পড়তে পড়তে মনে পড়ে গিয়েছিল আমার যৌবনকালের কথা। সোনামুখীর সবুজ কৃষিক্ষেত্রের মাথায় ঘন মেঘ। শতাব্দ আমার ফোন ধরল না। মন খারাপ হল আরও। জিতেন আমার সঙ্গে সোনামুখীতেই চাকরি করেছে। সোনামুখীর কথা শুনতেই শতাব্দকে ফোন করা। শিবুদার চায়ের দোকানটি আছে? ন্যারো গেজ ট্রেন এখন ব্রড গেজ হয়ে গেছে। লালমাটি, শাল জঙ্গল। এখন কি পাতা ঝরতে আরম্ভ করেছে শতাব্দ? আমি আর জিতেন পাতা ঝরা শালবনে ঘুরেছি শীতের দিনে। তখন দলমার হাতি নেমে আসত না ওদিকে। এখন হাতির উপদ্রব খুব বেশি। সোনামুখী থেকে বেলিয়াতোড়ে যেতে একটি গ্রামে হেমন্ত দাস বাউল থাকতেন। তাঁর আখড়ায় গিয়ে আমরা দুই বন্ধু গান শুনেছি। শতাব্দ এবং সোনামুখীর কথা মানে মৃত বন্ধুকে স্মরণ করা। ফোন এল। রিং টোন বদলেছি আমি আজই ভোরে। ‘ও নদীরে, একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে...’ গানটি গায়ে শিহরন নিয়ে এল। ভুলেই গেছি ভোরে এই গান নিয়ে এসেছি জিতেনকে স্মরণ করতে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে খুব পছন্দ করত জিতেন। আমার একটি ক্যাসেট প্লেয়ার ছিল। ব্ল্যাঙ্ক ক্যাসেটে হেমন্তর পঞ্চাশটি গান ভরে জিতেন আমাকে উপহার দিয়েছিল। তার প্রথম গান এই গান। শেষ গানও ছিল এই গান। জিতেন বলেছিল আরম্ভে শুনবি। শেষেও শুনবি। গানটা আমাকে মনে করাবে গগন।  
—মহাশয় ফোন করেছিলেন? শতাব্দ জিজ্ঞেস করে।
—আমি না করলে মনে পড়ে না লেখক আমাকে?
—খুব কাজের চাপ মহাশয়।  
—কাজ তো চিরকাল আছে, ফোন করা যায় না একটা?
শতাব্দ বলল, বেশি কথা বলি কখন মহাশয়, ধান কাটা হচ্ছে, ভোরে বেরিয়ে যাই, কাটছি, আঁটি বাঁধছি, ঘর আনছি, আব্বার বয়স হয়েছে মহাশয়।
—ধান কাটা চলছে এখন?
—হ্যাঁ মহাশয়, এখন আমার সময় নেই, আমি তো এক ছেলে, বোন আছে এক। সে ছোট। সেও কাজ করে মহাশয়, উঠোন নিকিয়েছে গোবরে, খেজুর পাতার পাটি বুনেছে সে, সেই পাটিতেই ধানের বোঝা রাখছি।
সেই যে বাপ-বেটায় ধান রোয়া করছিল বর্ষার মেঘের নীচে, সেই ধান ঘরে উঠছে। ওদের মজুর নেই। ওদের সে ক্ষমতা নেই, জোয়ান ছেলে নিজেই করছে সব।
—তোমার বাবার বয়স হয়েছে, উনিও কি?
কথা অসমাপ্ত থেকে গেল, শতাব্দ বলল, আব্বু পারে, তবে বেশি পারে না, নিচু হয়ে কোমর বাঁকিয়ে ধান কাটায় কষ্ট কম না।
ধান উঠলে নিশ্চিন্ত। আমি বললাম।
শতাব্দ বলল, মেশিনে ঝাড়তে হবে, কলে নিয়ে গিয়ে ভানতে হবে।
—এখন আর ঢেঁকি নেই না শতাব্দ?
—না, কবে উঠে গেছে ঢেঁকি মহাশয়।
আমি গগন সরকার। কম বয়সে গ্রামে চাকরি করেছি। গ্রাম যা দেখেছি তা লিখেছি। কিন্তু আমি ভাবতে পারছি না শতাব্দ গল্প লেখে আবার ধান কাটে। ধান উঠলে সর্ষে বুনবে। এই এখনই সর্ষে বুনতে শুরু করেছে। আর শীতের সব্জি। বাঁধা কপি, মুলো, পালং...। বুনবে শতাব্দ নিজেই। আব্বু পারে না। বয়স হয়েছে। চাষা খাটতে খাটতে তাড়াতাড়ি বুড়ো হয়ে যায় মহাশয়। আমি বললাম, লিখছ।
—সারাদিন এইসব করে সন্ধের পর শরীর আর নেয় না মহাশয়।
তাহলে? জিজ্ঞেস করলাম উদ্বিগ্ন হয়ে। 
—লিখতে সময় পাচ্ছি না, অথচ লেখা মাথায় এসে গেছে।
—তাহলে লিখতে তো হবে।
হ্যাঁ মহাশয়, লিখতে হবে, না লিখলে হবে না। শতাব্দ বলল।
—তাহলে লিখে ফেল। 
—না লিখতে পেরে খুব কষ্ট হচ্ছে, লেখা এসে গেছে, কিন্তু সময় নাই।
তোমায় একটা সময় বের করতে হবে। বললাম। 
শতাব্দ বলল, মহাশয়, একটা গল্প মাথায় ঘুরছে খুব, এদিকে ধান কাটা লাগল, শীতের চাষ লাগল, দিল্লি তো যাব না, দিল্লির দিকে চাষিরা হাঁটছে,  কতকাল ধরে চাষিদের সব্বোনাশ হয়ে যাচ্ছে, আরও সব্বোনাশ সামনে, চাষি গলায় দড়ি দিচ্ছে ফসলের দাম না পেয়ে,... গল্প এসে গেছে, আমি তো চাষি, মহাশয়, মিছিলে নাই বলে লিখতে পারব না! মহাশয়, আমি বলতে পারব না— পরের দিন লিখব, চাষ পরের দিন হয় না। শিবরাম এমন বলেছিলেন না, পরের দিন লেখেন।
হ্যাঁ, ঠাট্টা করে, আলিস্যি করে, কিন্তু এই গল্প দিনের দিন না লিখলে হবে না, আমি বললাম।
তারপর  আমি আর শতাব্দ আলোচনা করতে লাগলাম কখন লেখা যায়। দিনের দিনেই। সন্ধেতে ঘুম আসে। ঘুমিয়ে নাও, তারপর ঘণ্টা খানেক বাদে উঠে পড়।
শতাব্দ বলে, ভাবতে হবে মহাশয়, আপনি বলুন, বলুন না, কিছু পরামর্শ দিন। আমি আর শতাব্দ আলাপ করতে লাগলাম, সারাদিনের খাটনির পর যে ঘুমটি আসে, সেই ঘুম ছাড়িয়ে উঠবে কী করে এই লেখক। লেখক ধান কাটেন। লেখক বীজ বোনেন। লেখক লেখেন। লেখাও তো বীজ বোনা, পরের দিনের কথা ভেব না শতাব্দ, চাষ পরের দিন হয় না। আচ্ছা লেখক, সোনামুখীর শিবুদার চায়ের দোকান চেনো?
কে বটে? শতাব্দ বলে, আপনার আমলের কেউ নাই মহাশয়। 
জিতেনের কথাটি আমি বলতে পারলাম না শতাব্দকে। ফোন নীরব হল আবার বেজে ওঠার জন্য। আমার কত সময়। কিন্তু আমার দিন যায় পরের দিন নয়, আগের দিনের কথা ভেবে। সে আমলের কথা ভেবে।
13th  December, 2020
মাটির গন্ধ
অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী

একথা বলে সুমন মিটিমিটি হাসতে লাগল। তখন আমরা মাঠ পেরচ্ছি। দইয়ের ডোবা, মুক্তি ডোবা— আমাদের আশপাশের ডোবাদের নাম। ডোবা মানে যে বিশাল ব্যাপার, তা কিন্তু নয়। একেবারে নাতিদীর্ঘ আয়তন, বর্ষায় টইটম্বুর হয়ে ফুলে থাকে। জল যত কমে, টুলু পাম্প বসিয়ে তুলে নেয় চাষিরা। বিশদ

17th  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- অষ্টম কিস্তি। বিশদ

17th  January, 2021
চলার পথে

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশদ

17th  January, 2021
সিনেমা  তোলার 
ঝকমারি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন প্রদীপচন্দ্র বসু। বিশদ

10th  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- সপ্তম কিস্তি। বিশদ

10th  January, 2021
শেষ আপদ
সুমন মহান্তি

এই পাড়াকে শহরে সবাই একডাকে চেনে। অভিজাত এই পাড়ায় জমির দাম অনেক বছর আগেই আকাশছোঁয়া হয়েছিল, এখন জমি অমিল বলে পুরনো সব বাড়ি ভেঙে ফ্ল্যাট তৈরি শুরু হয়েছে। এই পাড়ার মধ্যেই আছে আরেক পাড়া, চকচকে মাখন-শরীরে বিসদৃশ ঘামফোঁড়া মনে হয় সেই পাড়াটিকে। বিশদ

03rd  January, 2021
চলার পথে
উপলব্ধি

চলার পথে তো কত কিছুই ঘটতে থাকে, কিন্তু সেইসব ঘটনা সাধারণত নজরেই পড়ে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত তার মাহাত্ম্য উপলব্ধি হচ্ছে। এমনটা ঘটেছিল কল্লোল যুগের প্রখ্যাত সাহিত্যিক প্রবোধকুমার সান্যালের অভিজ্ঞতায়। হিমালয় ভ্রমণের সময় একবার রাস্তার পাশে সুদৃশ্য এক পাথর তাঁর নজরে আসে। বিশদ

03rd  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- ষষ্ঠ কিস্তি। বিশদ

03rd  January, 2021
বিশ্বাস অবিশ্বাস

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন কাবেরী রায়চৌধুরী। বিশদ

27th  December, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- পঞ্চম কিস্তি। বিশদ

27th  December, 2020
কালবৈশাখী
অদিতি বসুরায়

কলকাতা শহরটাতে কী যে আছে ভেবে পায় না রাকা। এই  ‘কিছু’ থাকাটা মানে বড় বড় আকাশছোঁয়া বাড়ি, বাস-ট্রাম, মস্ত তিন-চারতলা দোকান-টোকান নয়। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, চিড়িয়াখানা, ময়দান, রাজভবন এসবও নয়। একেবারে আলাদা কিছু। দুর্গাপুজোর ঢাকের বোলের মতো। ‘ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন’— মন ভালো হয়, আবার পালাই-পালাইও করে। ঠিকঠাক বুঝিয়ে সে বলতে পারে না। বিশদ

20th  December, 2020
চারিদিক যখন শূন্য

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন অনীশ দেব। বিশদ

20th  December, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- চতুর্থ কিস্তি। বিশদ

20th  December, 2020
কাঠের আলমারি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন অভিজিৎ তরফদার। বিশদ

13th  December, 2020
একনজরে
দুর্গাপুজো থেকে রামনবমী, গত কয়েক বছরে বাঙালির বিভিন্ন উৎসবেও লেগেছে রাজনৈতিক রং। পুজো অথবা উৎসবে কোন দল কতটা আন্তরিক, তা নিয়ে দড়ি টানাটানি আকছার চোখে পড়ছে।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে জমা পড়া অভিযোগের নিষ্পত্তি বা পাড়ায় সমাধান কর্মসূচিতে রূপায়িত প্রকল্পের ব্যাপারে মানুষকে আরও বেশি করে জানাতে হবে। প্রকল্পস্থলে উদ্বোধনী ...

৪০টি শ্রম আইনকে একত্রিত করে চারটি লেবার কোডে পরিণত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১ এপ্রিলের আগেই সারা দেশে কার্যকর করা হতে পারে সেই চার লেবার কোড। এমনটাই খবর শ্রমমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে। ...

নিজেদের দাবি আদায়ে আরও বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিক্ষোভরত কৃষকরা। আগামী ২৬ জানুয়ারি, সাধারণতন্ত্র দিবসের আগেই একপ্রকার নজিরবিহীনভাবে দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় আয়োজন করা হতে পারে ‘কিষান সংসদ’। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

 বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০১ - টেলিফোনের উদ্ভাবক ইলিশা গ্রে-র মৃত্যু
১৯৪৫- স্বাধীনতা সংগ্রামী রাসবিহারী বসুর মৃত্যু
১৯৫০- ইংরেজ সাহিত্যিক জর্জ অরওয়েলের মৃত্যু
১৯৬৮- চারটি হাইড্রোজেন বোমা সহ গ্রিনল্যান্ডে ভেঙে পড়ল আমেরিকার বি-৫২ যুদ্ধবিমান
১৯৭২ - মনিপুর, মেঘালয় ও ত্রিপুরা ভারতের পূর্ণ রাজ্যে পরিণত হয়।
১৯৮৬- অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের জন্ম 
২০০৮ - কালো সোমবার হিসেবে বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে প্রতিষ্ঠিত। এফটিএসই ১০০-এর সূচক একদিনে সবচেয়ে বড় পতন ঘটে। ইউরোপীয় স্টক এক্সচেঞ্জগুলো ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০১ - এর পর সবচেয়ে খারাপ করে শেষ হয়। এশিয়ার শেয়ার মার্কেটগুলোর সূচক ১৪% কমে যায়।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.২৯ টাকা ৭৪.০০ টাকা
পাউন্ড ৯৮.১৩ টাকা ১০১.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৭.২৫ টাকা ৯০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ মাঘ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি ২০২১, অষ্টমী ২৩/২০ দিবা ৩/৫১। অশ্বিনী নক্ষত্র ২৩/৪ দিবা ৩/৩৬। সূর্যোদয় ৬/২২/৪২, সূর্যাস্ত ৫/১৩/১০। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/২৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪৮ গতে ১/২৭ মধ্যে। 
৭ মাঘ ১৪২৭, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি ২০২১, অষ্টমী দিবা ৩/৪৪। অশ্বিনী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/২। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১২। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৭ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ১০/৪৩ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। কালবেলা ২/৩০ গতে ৫/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৯ গতে ১/২৮ মধ্যে।
৭ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল-এ আজ মোহন বাগান ১ : ০ গোলে হারাল চেন্নাইয়ানকে 

09:30:58 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ১ চেন্নাইয়ান ০ (৯০ মিনিট) 

09:24:48 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ০ চেন্নাইয়ান ০ (প্রথমার্ধ)

08:24:23 PM

পুনের অগ্নিকাণ্ডে পাঁচজনের দেহ উদ্ধার
পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে ...বিশদ

06:12:59 PM

বর্ধমান ও আসানসোলে বিজেপি-র গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে
বর্ধমান শহর ও আসানসোলে একসঙ্গে দু’জায়গায় প্রকাশ্যে এল বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ...বিশদ

05:12:00 PM

পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটে আগুন
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল দেশের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা  পুনের সিরাম ...বিশদ

03:20:00 PM