Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

দার্জিলিংয়ে স্বামীজি

স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য চারবার দার্জিলিং গিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। আতিথ্য নিয়েছিলেন মহেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বলেন ভিলা’য়, বর্ধমানরাজের প্রাসাদ ‘চন্দ্রকুঠী’তে। সেই ‘বলেন ভিলা’ আজ নিশ্চিহ্ন। কেমন আছে ‘চন্দ্রকুঠী’? খোঁজ নিলেন অনিরুদ্ধ সরকার  
 
শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াং হয়ে দার্জিলিং শহরে প্রবেশ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিচে পাহাড়ের ঢালে বিরাট পরিসর জুড়ে চোখে পড়ে এক বিরাট নীল গম্বুজওয়ালা প্রাসাদ। নাম ‘উদয়মহল’। বর্ধমান রাজাদের গ্রীষ্মকালীন আবাসভূমি। বর্ধমানের মহারাজা উদয়চাঁদের নামে নামকরণ হয় ‘উদয়মহল’। 
মহারাজ উদয়চাঁদের পূর্বসূরী বিজয়চাঁদের আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন স্বামীজি। দার্জিলিঙের রোজব্যাঙ্ক এলাকায় বর্ধমানরাজের প্রাসাদবাড়ির ঠিক উল্টোদিকে রাজবাড়ির অতিথি নিবাস ‘চন্দ্রকুঠী’তেই রাজ-আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন স্বামীজি। রাজপরিবারের উত্তরসূরী প্রণয়চাঁদ মহতাব এক লেখায় লিখছেন- “মহারাজ বিজয়চাঁদ একবার নিজের প্রাইভেট রিকশাতে স্বামীজীকে বসিয়ে নিজে স্বয়ং সেই রিকশা টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন।” তাহলেই বুঝুন, কি পরিমানে ভক্তি করতেন তিনি স্বামীজিকে।
এই বিজয়চাঁদ ছিলেন লর্ড কার্জনের ঘনিষ্ঠ। তাঁর  ঘড়ি ঠিক করতে একবার সুইজারল্যান্ড থেকে মেকানিক এসেছিল। বিজয়চাঁদের সন্ন্যাসীদের প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা ভক্তি ছিল। স্বয়ং ঘন্টার পর ঘন্টা ধ্যানে ডুবে থাকতেন। স্ত্রী রাধারাণী দেবীও সন্ন্যাসিনী হয়ে ঘর ছাড়েন। বেনারস কাটান শেষ জীবন।
রোজব্যাঙ্কের বর্ধমান হাউসের এই বাড়ি থেকে স্বামীজি একাধিক চিঠি লিখেছিলেন। যারমধ্যে অন্যতম ছিল ‘ভারতী’ পত্রিকার সম্পাদক সরলা ঘোষালকে লেখা চিঠি। সরলা ঘোষাল ছিলেন, রবীন্দ্রনাথের ভাগনি এবং স্বর্ণকুমারীদেবীর পুত্রী। স্বামীজি সরলা দেবীকে ‘ভারতী’ পত্রিকা প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে একটি পত্র লেখেন এবং পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রবন্ধ নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। 
স্বামী বিবেকানন্দের হাজারো স্মৃতি বিজড়িত দার্জিলিংয়ের এই ‘চন্দ্রকুঠী’। দার্জিলিং শহরের ঐতিহ্যশালী বাড়ি হিসেবে ‘চন্দ্রকুঠী’তে আজও বসেনি ব্লু-প্লাক বা নীল ফলক! ইদানীং কালে গ্লেনারিসে’ সেলফি প্রিয় ‘আত্মবিস্মৃত বাঙালি’র খুব কমজনই হয়ত এই বাড়িতে উঁকি দিয়েছেন।
ইতিহাস বলছে, এই ‘চন্দ্রকুঠী’ তৈরি হয়েছিল ১৮৬০ সালে। এই চন্দ্রকুঠীর দোতলায় বিশাল হলঘরের ডান পাশের একটি ঘরে ১৮৯৭ সালের কয়েকটা দিন কাটিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। দোতলার সেই রাজকীয় অতিথিনিবাসের হলঘরে স্বামীজির একটি ছবি দেখতে পাওয়া যায়। পাশে দেখা মেলে একটি বাগছালের। ঘরে রয়েছে প্রচুর প্রাচীন আসবাবপত্র। এই হল থেকে বের হয়েই খোলা বারান্দা। যেখান থেকে আজও স্পষ্ট দেখা যায় দূরের কাঞ্চনজঙ্ঘা। অসাধারণ সেই দৃশ্য। 
স্বামীজি ২৮ এপ্রিল দার্জিলিং থেকে একটি চিঠি লিখছিলেন মিস মেরি হেলকে। যে চিঠি জুড়ে ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা আর দার্জিলিংয়ের নৈসর্গিক প্রকৃতির কথা। স্বামীজি চিঠিতে লিখছেন- “এই দার্জিলিং অতি সুন্দর জায়গা। এখান থেকে মাঝে মাঝে যখন মেঘ সরে যায়, তখন ২৮,১৪৬ ফুট উচ্চ মহিমামণ্ডিত কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় এবং নিকটের একটা পাহাড়ের চূড়া থেকে মাঝে মাঝে ২৯,০০২ ফুট উচ্চ গৌরীশঙ্করের চকিত দর্শন পাওয়া যায়।” 
বর্ধমান রাজের অতিথি নিবাসের দোতলার বারান্দা থেকে স্বামীজি হয়ত কাঞ্চনজঙ্ঘার সেই দৃশ্য উপভোগ করেই এই চিঠি লিখেছিলেন! স্বামীজি এখানকার আদি অধিবাসী- তিব্বতী, নেপালী এবং সর্বোপরি সুন্দরী লেপচা মেয়েদের কথাও উল্লেখ করেছেন বিভিন্ন লেখায়।
‘উদয় মহল’ ও ‘চন্দ্রকোঠীর’ বর্তমান মালিক সত্যেন গুরুংয়ের কথায়, “আমরা স্বামীজির চিঠিপত্র পড়ে জেনেছি বর্ধমান রাজবাড়ির চন্দ্রকুঠী অতিথিনিবাসের দোতলার ঘরে ছিলেন স্বামীজি। স্বামীজির স্মৃতিবিজড়িত ‘চন্দ্রকুঠী’র দোতলার সেই কক্ষটি ঐতিহাসিক। আমরা সংরক্ষণ করেছি৷ বর্তমানে বাড়িটি পুরোপুরিভাবে হেরিটেজ প্রাইভেট প্রপার্টি।”
সেবার স্বামীজী দার্জিলিং ত্যাগ করেন ২৮ এপ্রিল। কলকাতায় ফিরে মিসেস বুলকে লিখেছিলেন “ভগ্নস্বাস্থ্য ফিরে পাবার জন্য একমাস দার্জিলিং-এ ছিলাম। আমি এখন বেশ ভাল হয়ে গেছি। ব্যারাম-ফ্যারাম দার্জিলিং-এ একেবারেই পালিয়েছে।”
স্বামীজির দার্জিলিং যাওয়ার কারণ ছিল মূলত ভগ্নস্বাস্থ্য। ১৮৯৭ সালের শুরুর দিকে কলম্বোয় থাকাকালীন স্বামীজির ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। কলম্বো থেকে মাদ্রাজে হয়ে স্বামীজি কলকাতা ফেরেন। ডায়াবেটিস রোগিদের বেশি পরিশ্রম করতে নেই। সেসময় স্ট্রেপটোমাইসিন,  ইনসুলিনের মত ওষুধ বের হয় নি। ফলে রোগ প্রতিরোধের জন্য নিয়মমাফিক জীবনযাপন ছিল বেশি জরুরি। এদিকে স্বামীজির গরম একেবারেই সহ্য হচ্ছিল না। এইসময় চিকিৎসকরা স্বামীজিকে দার্জিলিং যাওয়ার পরামর্শ দিলে স্বাস্থ্য ফেরাতে স্বামীজি দার্জিলিং যাত্রা করেন। 
৮ মার্চ, ১৮৯৭ সাল। স্বামীজী সদলবলে প্রথম যাত্রা করেন দার্জিলিং অভিমুখে। সঙ্গী ছিলেন স্বামী ব্রহ্মানন্দ, স্বামী ত্রিগুণাতীতানন্দ, স্বামী জ্ঞানানন্দ, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, জে. জে. গুডউইন, ডাক্তার টার্নবুল এবং মাদ্রাজের ভক্ত আলাসিঙ্গা পেরুমল, জি. জি. নরসিংহাচার্য ও সিঙ্গারভেলু মুদালিয়র। ১০ মার্চ সদলবলে স্বামীজি দার্জিলিঙে পৌঁছলে তাঁদের অভ্যর্থনা জানান মহেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। 
বর্ধমান রাজবাড়ি ছাড়া দার্জিলিংয়ে দ্বিতীয় যে বাড়ির আতিথ্য স্বামীজি গ্রহণ করেছিলেন তা  হল, মহেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বলেন ভিলা’। স্বামীজির সঙ্গীরা ওঠেন অন্যত্র।
মহেন্দ্রনাথ বাবু তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র বলেন্দ্রনাথের নামানুসারে তাঁর বাড়ির নাম রেখেছিলেন ‘বলেন ভিলা’। এই বাড়ির অবস্থান ছিল দার্জিলিঙের চকবাজার অঞ্চলে। তারই কাছেই ছিল ‘ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল’ ও ‘ব্রাহ্মসমাজ মন্দির’। খুব দু:খের বিষয় হল, ‘বলেন ভিলা’- সংলগ্ন অন্য দুটি অট্টালিকা টিকে থাকলেও ‘বলেন ভিলা’ আজ নিশ্চিহ্ন!  
‘উদ্বোধন’ পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী - এই ‘বলেন ভিলা’র সামনেই চকবাজারের রাস্তা। বাড়িটি ছিল দ্বিতল। ওপরের তিনটি কুঠুরির শেষ কক্ষটিতে থাকতেন স্বামীজী, বাড়ির মধ্যে ছিল লাইব্রেরি আর সিঁড়ি বেয়ে উঠেই ছিল মহেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কক্ষ। এই বাড়িতে থাকাকালীন সময়ে স্বামীজী অধিক সময় কাটাতেন বাড়ির লাইব্রেরিতে।
মহেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়  ছিলেন সরকারি আইনজীবী। তাঁর মধ্যে একটা সাহেবি ব্যাপার থাকলেও তিনি ছিলেন মনেপ্রাণে বাঙালি। স্ত্রী কাশীশ্বরী দেবী বাঙালি গৃহবধূ হলেও, সমাজের জন্য কাজ করতে ভালোবাসতেন। 
মহেন্দ্রনাথ বাবুর সাথে স্বামীজির আলাপের যোগসূত্র প্রসঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দ গবেষক তড়িৎ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ‘উদ্বোধন’ ( আশ্বিন, ১৪২১) পত্রিকায় লিখছেন, “বিশ্ববিজয় সেরে মাদ্রাজে পদার্পণ করলে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে মহেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিং থেকে মাদ্রাজে হাজির হয়েছিলেন। এছাড়া সম্ভবত স্বামীজির পরিবার যখন বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত হয়েছিলেন তখন নরেন্দ্রনাথ সরকারি উকিল মহেন্দ্রনাথের সাথে যোগাযোগ করে থাকবেন।”
মহেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যম পুত্র ভূপেন্দ্রনাথ কর্মসূত্রে দার্জিলিংয়ের একটি চা-বাগানের সাথে যুক্ত ছিলেন। স্বামীজি তার সাথে তিন-চার মাইল ঘোড়ায় চড়ে একদিন গেলেন তাঁর চা-বাগান দেখতে। এই সূত্রে স্বামীজি এরপর দার্জিলিংয়ের আরও বেশ কয়েকটি চা বাগান পরিদর্শন করেন। 
স্বামীজি যখন চা-বাগান পরিদর্শনে যেতেন তখন চা-বাগানের শ্রমিকরা ভিড় করত ‘তরুণ সন্ন্যাসী’কে দেখার জন্য। চা-বাগানের শ্রমিকরা তাঁদের দু:খ দুর্দশার কথা বলতেন স্বামীজিকে। স্বামীজি মন দিয়ে তাদের কথা শুনতেন। চা-বাগানের শ্রমিকদের সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ছিল বাগানের ম্যানেজারদের দুর্নীতি নিয়ে। কারণ তাঁরা ছলে বলে কৌশলে মজুরদের ন্যয্য প্রাপ্য টাকা ছিনিয়ে নিত। স্বামীজি এই অন্যায়ের কথা শুনে গর্জে উঠলেন। তারপর চা বাগানের শ্রমিকদের একত্রিত করে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বললেন। তিনি সেখানেই থেমে থাকলেন না, স্বয়ং নিজে চা-বাগানের ইংরেজ মালিকদের সাথে এবিষয়ে কথা বললেন। শোনা যায়, স্বামীজির এই পদক্ষেপের ফলে অল্পসময়ের মধ্যে চাবাগানের শ্রমিকরা তাদের ন্যয্য অধিকার ফিরে পেয়েছিল। 
স্বামীজি চাবাগানের শ্রমিকদের সমস্যা সমাধান করেই থেমে থাকেন নি। ‘বলেন ভিলা’র কাছেই ছিল চাঁদমারী বস্তি। স্বামীজি প্রায়শই দলবল নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে হাজির হতেন সেই বস্তিতে। বস্তিবাসীদের অধিকাংশই ছিলেন নেপালি ও ভুটিয়া। বস্তির মহিলারা চা-বাগানে কুলির কাজ করতেন। স্বামীজি তাদের অবস্থা দেখে খুবই ব্যথিত হন। তাঁর নির্দেশে মহেন্দ্রনাথ বাবু ওই বস্তিবাসীর খাওয়া পরার দায়িত্ব নেন।
ডাক্তারদের হাজারো নিষেধ সত্ত্বেও স্বামীজি একদিন গেলেন সিকিম সীমান্ত ঘুরে দেখতে। খাদ্যরসিক স্বামীজির জন্য বিদেশ থেকে একদিন এল রোস্টার মেশিন। আর তাতে কাটা হল কচি পাঁঠা। স্বামীজি নিজে উৎকৃষ্ট পোলাও-মাংস রেঁধে সবাইকে খাওয়ালেন।
স্বামীজীর সঙ্গে মহেন্দ্রনাথ বাবু ও কাশীশ্বরী দেবীর ঘন্টার পর ঘন্টা ধর্মপ্রসঙ্গে আলোচনা চলত। স্বামীজীকে তাঁরা খুবই ভক্তি করতেন। সেবার মহেন্দ্রনাথ বাবুর জ্যেষ্ঠ পুত্র বলেন্দ্রনাথ স্বামীজির কাছে দীক্ষা নেন। তিনমাসের মত স্বামীজি ছিলেন ‘বলেন ভিলায়’।
এরই মধ্যে স্বামীজি চিঠি পেলেন। চিঠির বিষয়, স্বামীজির ঘনিষ্ঠ বন্ধু খেতরি রাজ অজিত সিংহ কলকাতা আসছেন। আসার কারণ, মহারানী ভিক্টোরিয়ার ‘হীরক জয়ন্তী উৎসব’ পালন উপলক্ষ্যে অন্যান্য রাজার সঙ্গে খেতড়ির মহারাজ অজিত সিংহ বিলেত যাবেন। বিলেতযাত্রার প্রাক্কালে তিনি তাঁর বন্ধুসম ‘গুরু’র সাথে দেখা করবেন। স্বামীজি রওনা দিলেন দার্জিলিং থেকে কলকাতা। শিয়ালদহ স্টেশনে দেখা হল দুই বন্ধুর। স্বামীজী  মহারাজাকে সঙ্গ দিলেন ২১ ও ২২ মার্চ।
এইসময় একদিন স্বামীজি হাজির হলেন বোসপাড়া লেনে। সারদা মা’র কাছে। সারাদা মা স্বামীজিকে জিজ্ঞেস করলেন “দার্জিলিং-এ কেমন ছিলে বাবা?”
উত্তরে স্বামীজী বলেন, “মা, সেখানে খুব যত্নে ভাল ছিলাম। আমার তো মনে হয় শরীর খুব ভাল আছে। এই গরমে দার্জিলিং বেশ ঠাণ্ডা এবং বেড়াতে বেশ আনন্দ বোধ হয়।”
১৮৯৭ সালের ২৩ মার্চ স্বামীজী দ্বিতীয় বার দার্জিলিং অভিমুখে রওনা দিলেন। পৌঁছলেন ২৫ মার্চ। এইসময় প্রায়রোজই সুট বুট পরে ‘প্রাত্যহিক ভ্রমণে’ বের হতেন স্বামীজি। একদিন তিনি দেখলেন, এক ভুটিয়া রমণী পিঠে ভারী বোঝা নিয়ে চলতে চলতে হঠাৎ পায়ে হোঁচট লেগে পড়ে যান ও পাঁজরে ভীষণ ব্যথা পান। স্বামীজী সে-দৃশ্য দেখে হৃদয়ে অত্যন্ত ব্যথা অনুভব করেন। স্বামীজির কাছে একথা শুনে মহেন্দ্রনাথ বাবুর স্ত্রী ভুটিয়া বস্তিতে গিয়ে ওই রমণীর খোঁজ করেন ও তাঁকে সারিয়ে তোলেন। ভুটিয়া রমণীর নাম যমুনা তামাং।
স্বামীজি তৃতীয়বার দার্জিলিং যাত্রা করেন ১৮৯৮ সালের ৩০ মার্চ। সফরসঙ্গী ছিলেন স্বামী নির্ভয়ানন্দ ও নিত্যগোপাল বসু। কিছুদিন পরে দার্জিলিংয়ে হাজির হন স্বামী অখণ্ডানন্দ ও  মিস মূলার। 
সেবার দার্জিলিংয়ের ‘হিন্দু হল’-এ স্বামীজি একটি বক্তৃতা দেন। এই বক্তৃতা সম্বন্ধে তিনি একটি চিঠিতে লিখছেন- “দার্জিলিংয়ে হিন্দুদের কাছে একটা ছোট্ট বক্তৃতা করেছিলাম; ইচ্ছে করেই এবং তাদের সম্মতি নিয়ে তাদের সকল দোষত্রুটি বলেছিলাম। আশা করি এ নিয়ে তাদের তর্জন-গর্জন হবে।” 
এই বক্তৃতার আয়োজক ছিলেন মহেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাশীশ্বরীদেবী। এই ‘হিন্দু হলে’র বর্তমান নাম ‘ভারতীভবন’। এই হলের দোতলায় আজও মহেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি পোর্ট্রেট দেখা যায়। স্বামীজি এইসময়ে ‘সান্দাকফু’ ভ্রমণ করেন। 
মহেন্দ্রনাথ বাবুর ‘বলেন ভিলায়’ থাকাকালীন স্বামীজি হিল ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। একজন নেপালি আয়া লক্ষ্মী রাই স্বামীজির দিনরাত সেবা করে সারিয়ে তোলেন। স্বামীজী তাঁকে ‘লক্ষ্মী মা’ বলে সম্বোধন করতেন। এই লক্ষ্মী’কে মানুষ করেছিলেন কাশীশ্বরী দেবী। আর তাঁকে আয়ার কাজ শিখিয়েছিলেন কাশীশ্বরী দেবীর বন্ধু দার্জিলিংয়ের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসক ডাক্তার মিসেস এম যোশেফ। একদিন স্বামীজী লক্ষ্মী মা’কে বলেন, “জীবন কখনও বাধাবিহীন হয় না। বাধাকে অতিক্রম করিবার শক্তিই হল জীবন।”
‘বলেন ভিলায়’ অবস্থানকালে স্বামীজি খবর পান কলকাতায় প্লেগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। শোনামাত্রই অত্যন্ত বিচলিত হয়ে পড়েন তিনি। ২৯ এপ্রিল এক ভক্তকে জানান, “আমি যে শহরে জন্মেছি, সেখানে যদি প্লেগ এসে পড়ে, তবে আমি তার প্রতিকার-কল্পে আত্মোৎসর্গ করব বলেই স্থির করেছি।” ২ মে স্বামীজি রওনা দেন কলকাতার পথে।
স্বামীজীর ইংরেজী জীবনীগ্রন্থ-মতে স্বামীজির শেষ দার্জিলিং সফর ছিল ১৯০১ সালে। সেবছর তিনি ৯ অগস্ট থেকে ২৪ অগস্ট পর্যন্ত প্রায় ১৬ দিন দার্জিলিংয়ের ‘বলেন ভিলায়’ অবস্থান করেছিলেন। স্বামীজির সেই যাত্রা প্রসঙ্গে জীবনীকার লিখছেন-   “On August 7 (1901) he (Swamiji), his sister, and Mrs. Banerjee (of Darjeeling) went to Darjeeling by the mail train....”
১৯০১ সালে স্বামীজির দার্জিলিং সফরের ঠিক পরের বছর ১৯০২ সালে স্বামীজি দেহ রাখেন। ‘দেড়শো নট আউট’ যুগনায়কের দার্জিলিং স্মৃতির অধিকাংশ অধ্যায় আজও অজানা। তাঁর স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলিও প্রায় বিলুপ্তির পথে। যে কয়েকটি স্থান এখনও টিকে রয়েছে তা যেন অবহেলায় হারিয়ে না যায়। আর তা দেখার দায়িত্ব আমার, আপনার সবার...।
অঙ্কন : সুব্রত মাজী
12th  January, 2025
মানে-বদল

আসছে অশোক, পলাশ, শিমুল, পারুলে রাঙানো ৮ ফাল্গুন। আজ না হয় ফেব্রুয়ারির একুশের বদলে বাংলা তারিখটাই আগে থাকুক। একটি ভূখণ্ডের স্বাধীনতার জন্য নয়, শুধুমাত্র ভাষার জন্য মানুষ শহীদ হয়েছেন। সেই মহান বিপ্লব শহীদ শব্দটির ধর্মীয় তকমা মুছে দিয়েছে।
বিশদ

16th  February, 2025
ভাষাইলি রে

আর মাত্র কয়েকটা দিন পরেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ২১ ফেব্রুয়ারি। বাংলা ভাষাভাষী প্রত্যেকটি নাগরিকের কাছে চোখ ভেজা আনন্দের দিন।
বিশদ

16th  February, 2025
রাজা হবুচন্দ্রের বংশধর

যদি বলি, এটি আমারই পূর্বজদের নিয়ে লেখা একটা ছড়া, আমার সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার? তখন তা শুধু রসে-বশে গল্পের খোরাকই নয়, একপ্রকার আত্ম-পরিচয়ের স্মারকও হয়ে ওঠে নাকি? এ ছড়া তো মাত্র গত শতকের কথা। ইতিহাসের আরও গভীরে আর্যপূর্ব যুগের লোককাহিনীতে যদি নিজের পূর্বজদের সন্ধান পাওয়া যায়, তবে কেমন হবে? তখন কী আমাদের দু’দেশের সমবর্তী সংস্কৃতি, কল্পনা, এবং ঐতিহ্যকে আর রাজনৈতিক সীমারেখায় আটকে রাখা যাবে?
বিশদ

09th  February, 2025
কম্বলদাদু,  হনুজেঠু ও  লেপসাহেব

আমাদের  পাশের বাড়িতে থাকতেন অমরদাদু। শীত পড়লেই তিন-তিনটে নানা রঙের কম্বল নিয়ে বাড়ির ছাতে গিয়ে কম্বলমুড়ি দিয়ে বসে পড়তেন  দাদু। পাড়ার সবাই দাদুকে ‘কম্বলদাদু’ নামে একডাকে চিনতেন।
বিশদ

02nd  February, 2025
সাধারণতন্ত্র  ৭৫

একমাস আগে, ২৫ জুন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ২২ জুলাই পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সামনে বসে থাকা বিরোধীদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আপনারা এতকাল আমাকে আক্রমণ করে বলতেন আমি নাকি ডিক্টেটর। স্বৈরাচারী। অথচ আমি মোটেই স্বৈরাচারী ছিলাম না।’ একটু থেমে তাকালেন  সকলের দিকে।
বিশদ

26th  January, 2025
মেহফিল-এ ডোভার লেন
সায়নদীপ ঘোষ

পাঁচের দশকের একদম শুরুর দিকের কথা। সিংহি পার্কের বিজয়া সম্মিলনি। নাটক, আধুনিক গান আর শাস্ত্রীয় সঙ্গীত মিলিয়ে তিনদিনের জমজমাট অনুষ্ঠান। দেখা গেল, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রতি পাড়ার মানুষদের আগ্রহ সবথেকে বেশি। সই দেখে পাড়ার যুবকরা ঠিক করলেন, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বার্ষিক অনুষ্ঠান করতে হবে। বিশদ

19th  January, 2025
‘না’ বলার সুযোগ ছিল না
পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়

আটের দশকের কথা। ডোভার লেনে বাজাবেন উস্তাদ জাকির হুসেন। কিন্তু কোনও কারণে আসতে পারেননি উনি। এদিকে অনুষ্ঠানের মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। তিন ঘণ্টা আগে বাড়িতে হাজির উদ্যোক্তারা। ‘না’ বলার কোনও সুযোগ ছিল না। গাড়ি করে নিয়ে গেলেন। বিশদ

19th  January, 2025
শীতের সার্কাস
কৌশিক মজুমদার

আমাদের দক্ষিণবঙ্গে শীত আসে দেরিতে, যায় তাড়াতাড়ি। জয়নগর থেকে মোয়া আসা শুরু হয়েছে। স্বর্ণচূড় ধানের খই দিয়ে তৈরি, উপরে একফালি বাদামি কিশমিশ। রোদের রং সোনা হয়েছে। সকালের রোদ বাড়তে বাড়তে পা ছুঁলেই মিষ্টি এক উত্তাপ। বিশদ

05th  January, 2025
বছর শেষে কোন পথে দেশ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘তালা খুলে দাও!’ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে বললেন অরুণ নেহরু। ১৯৮৬ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ। শাহবানু মামলা নিয়ে হিন্দুরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। খোদ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও গুপ্তচর সংস্থাগুলি তেমনই রিপোর্ট দিচ্ছে। রাজীব গান্ধী উদ্বিগ্ন। তিনি বুঝতে পারছেন, ক্রমেই রাজনীতির মধ্যে হিন্দুত্ব প্রবেশ করছে। বিশদ

29th  December, 2024
আকাশ ছোঁয়ার শতবর্ষ

কলকাতা বিমানবন্দরের ১০০ বছর! গড়ের মাঠের এয়ারফিল্ড থেকে দমদমার মাঠে বিমানবন্দর গড়ে ওঠার কাহিনি রূপকথার মতো। সেই অজানা ইতিহাসের খোঁজে অনিরুদ্ধ সরকার
বিশদ

22nd  December, 2024
অজানা আতঙ্ক ডিজিটাল অ্যারেস্ট
সৌম্য নিয়োগী

পুলিস নেই, হাতকড়া নেই, গারদ নেই... স্রেফ ইন্টারনেট যুক্ত কম্পিউটার বা ট্যাবলেট নিদেনপক্ষে একটা স্মার্টফোন থাকলেই ব্যস— ইউ আর আন্ডার অ্যারেস্ট থুড়ি ডিজিটাল বিশদ

15th  December, 2024
আজমিরের দরবারে
সমৃদ্ধ দত্ত

 

আজমির দরগায় কি মহাদেবের মন্দির ছিল? আচমকা এমন এক প্রশ্ন ঘিরে তোলপাড় দেশ। যুক্তি, পাল্টা যুক্তির মধ্যেই ইতিহাসের পাতায় চোখ বোলাল ‘বর্তমান’ বিশদ

08th  December, 2024
উমা থেকে দুর্গা

বিভূতিভূষণের সেই দুর্গা বইয়ের পাতা থেকে উঠে এল সত্যজিতের ছবিতে। সারা জীবনে একটি ছবিতে অভিনয় করে ইতিহাস হয়ে আছেন। কিন্তু নতুন প্রজন্ম মনে রাখেনি তাঁকে। ১৮ নভেম্বর নিঃশব্দে চলে গেলেন তিনি। ‘পথের পাঁচালী’-র দুর্গা, উমা দাশগুপ্তকে নিয়ে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

01st  December, 2024
পাগল হাওয়া
দেবজ্যোতি মিশ্র

কবি, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীতকার... কোনও বিশেষণই তাঁর জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি সলিল চৌধুরী। শতাব্দী পেরিয়েও বাঙালি জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে তাঁর গান। জন্মশতবর্ষের সূচনায় ‘গুরুবন্দনা’য় কলম ধরলেন দেবজ্যোতি মিশ্র বিশদ

24th  November, 2024
একনজরে
শুক্রবার দুপুর থেকেই মোহন বাগান তাঁবুতে ভিড়। ওড়িশা ম্যাচের টিকিট যেন হটকেক। কয়েক মাইল দূরের যুবভারতীতে তখন অন্য ছবি। প্র্যাকটিসের পর বিশাল কাইথ, কামিংস আর ...

মদমে মধ্যরাতে গলায় ছুরি ধরে বৃদ্ধ দম্পতির সর্বস্য লুটের ঘটনার কিনারা এখনও করতে পারেনি পুলিস। ঘটনার চারদিন পরও একজন দুষ্কৃতীও গ্রেপ্তার হয়নি। ফলে এলাকাবাসীরা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। ...

আর দিন ছয়েক সময়। তার মধ্যে স্কুলের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার নম্বর পোর্টালে জমা না দিলে পড়ুয়া পিছু ১০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে স্কুলকে। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ...

ঋণের অর্থে কোনওরকমে চলছে পাকিস্তান। দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। বিদেশি সংস্থাগুলিও সরকারকে ঋণ দিতে গিয়ে রীতিমতো ইতস্তত করছে। কারণ সে টাকা ফেরত পাওয়া অনিশ্চিত। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিশেষ কোনও কর্মের আর্থিক সংস্থান নিয়ে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক ঝুঁকি নেবার আগে দুবার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৩২: গ্যালিলিও গ্যালিলির ডায়ালগ কনসার্নিং‌ দ্য টু চীফ ওয়ার্ল্ড সিস্টেমস প্রকাশিত
১৭৩২: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটনের জন্ম
১৮৫৩: এলিয়ট সেমিনারি হিসেবে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ইন সেইন্ট লুইস প্রতিষ্ঠিত
১৮৮৭:  চারণকবি মুকুন্দ দাসের জন্ম
১৮৮৮: ভারতে সাইকেল নির্মাণ ও বিকাশের অন্যতম পথিকৃৎ বাঙালি শিল্পপতি সুধীরকুমার সেনের জন্ম
১৯০৬: অভিনেতা পাহাড়ি সান্যালের জন্ম
১৯২২: বিশিষ্ট বেহালাবদক ভি. জি. জোগ-এর জন্ম
১৯২২: রাগপ্রধান গানের প্রথম মহিলা বাঙালি শিল্পী দীপালি নাগের জন্ম
১৯৪৪: মহাত্মা গান্ধীর স্ত্রী কস্তুরবা গান্ধীর মৃত্যু
১৯৫৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী আবুল কালাম আজাদের মৃত্যু
১৯৭৪: বিশিষ্ট গিটারবাদক তথা কাজী নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্র কাজী অনিরুদ্ধর মৃত্যু
২০১৫: বাংলাদেশে নৌকাডুবি, মৃত ৭০
 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৮৬ টাকা ১১১.৬২ টাকা
ইউরো ৮৯.১৯ টাকা ৯২.৫৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১০ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। নবমী ১৮/০ দিবা ১/২০। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ২৮/৫০ সন্ধ্যা ৫/৪০। সূর্যোদয় ৬/৭/৩৫, সূর্যাস্ত ৫/৩২/৫৭। অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৬ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৮/৩ গতে ১০/৩৪ ম঩ধ্যে পুনঃ ১২/১৫ গতে ১/৫৬ মধ্যে পুনঃ ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৩ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪১ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৩ গতে উদয়াবধি। 
৯ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। নবমী দিবা ৯/৪৩। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র দিবা ২/৪২। সূর্যোদয় ৬/১০, সূর্যাস্ত ৫/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪৯ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৬ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ১/৪৯ মধ্যে ও ২/৩৮ গতে ৪/১৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৬ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪২ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৩২ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৫২ মধ্যে ও ৪/৩৬ গতে ৬/১০ মধ্যে। 
২৩ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আমেরিকার পেনসেলভানিয়াতে একটি হাসপাতালে বন্দুকবাজের তাণ্ডব

11:49:00 PM

ফ্রান্সে ছুরি দিয়ে হামলা চালাল এক দুষ্কৃতী, মৃত ১, জখম ৩

11:41:00 PM

ডব্লুপিএল: দিল্লিকে ৩৩ রানে হারাল উত্তরপ্রদেশ

10:58:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হলেন জশ ইংলিশ

10:47:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে জয়ী অস্ট্রেলিয়া

10:36:00 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: সেঞ্চুরি করলেন জশ ইংলিশ, অস্ট্রেলিয়া ৩১৬/৫ (৪৪.৩ ওভার), টার্গেট ৩৫২

10:11:00 PM