Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

ট্রাম্পের আমেরিকা
মৃণালকান্তি দাস

‘ইফ হি উইনস’, এই শিরোনামেই টাইম ম্যাগাজিন গত মে মাসে সংখ্যা প্রকাশ করেছিল। সেই সংখ্যায় সাংবাদিক এরিক কোর্টেলেসা জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বহুযোজন এগিয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুধু তাই-ই নয়, ফ্লোরিডার পাম বিচে ‘প্রমোদভবন’ মার-এ লাগোতে বসে ডোনাল্ড ট্রাম্প অকপটে জানিয়ে দিয়েছিলেন, এবার তিনি ‘একনায়ক’ হতে চান। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এরিক কোর্টেলেসাকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ‘স্বৈরাচারী’ হতে চাওয়াকে অনেকেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিপরীত মতাদর্শ বলে মনে করতে পারেন, কিন্তু বহু আমেরিকান ট্রাম্পের মুখে এমন কথা শুনতেই পছন্দ করেন। কারণ, তিনি আমেরিকানদের মনের কথা বলেন। একইসঙ্গে ট্রাম্প বলেছিলেন, গদিতে বসলে এক পয়সাও ইউক্রেনকে দেবেন না। তিনি মনে করেন, ন্যাটোতে আমেরিকার অর্থ ঢালার কোনও মানেই হয় না। বিদেশনীতির ক্ষেত্রেও ট্রাম্প যে তাঁর আগের অবস্থানেই আছেন, তা বুঝতে বাকি ছিল না টাইম ম্যাগাজিনের সেই সাংবাদিকের।
সেদিন প্রমোদভবন মার-এ লাগোর পার্টি দেখে কে বলবে, একের পর এক মামলায় ট্রাম্প জর্জরিত। ট্রাম্পের কাছেই বসেছিলেন নির্বাচনী খরচের বড় জোগানদার ধনকুবের স্টিভ ওয়াইন। আমেরিকার বড় বড় ব্যবসায়ী তখন আমোদে মেতে। ওয়াগিউ স্টিক আর গ্রিল করা সামুদ্রিক মাছের স্বাদে বুঁদ হয়ে উঠেছিল ‘মাগা অব মক্কা’ (‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ স্লোগানটিকে এক শব্দে বলে ‘মাগা’)। টেবিলে রাখা আইপ্যাডে ট্রাম্পের তর্জনী তখন নতুন একটি গান খুঁজছিল। একটু পরেই সাউন্ড সিস্টেমে বেজে ওঠে, ৬ জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিল হামলায় জড়িত কারাবন্দিদের গাওয়া ‘দ্য স্টার স্প্যাঙ্গলড ব্যানার’ (আমেরিকার জাতীয় সঙ্গীত), যা ট্রাম্পের প্রতি তাঁদের আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ। কোনও রাখঢাক না রেখেই ট্রাম্প বলেন, আমি তাঁদের ‘জে-সিক্স প্যাট্রিয়ট’ (৬ জানুয়ারির দেশপ্রেমিক) বলে ডাকি।
নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা, আমেরিকাকে প্রতারণায় জড়ানোর ষড়যন্ত্র করা, জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক গোপনীয়তাকে নিজের কাছে লুকিয়ে রাখা এবং পর্ন তারকার মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেওয়ার তথ্য লুকানোর জন্য ব্যবসার রেকর্ডকে বিকৃত করাসহ কয়েক ডজন অপরাধমূলক অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার পরও ট্রাম্পকে বিচলিত মনে তো হয়ইনি, বরং এসব অভিযোগকে তিনি তাঁর রাজনৈতিক সম্মানের মুকুটের একেকটি সম্মানসূচক পালক বানানোর চেষ্টা করেছেন। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা কেলিয়ানি কোনওয়ে সেদিন বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের অ্যাজেন্ডা নিয়ে কোনও রাখঢাক নেই। তবে তিনি যে ধরনের তৎপরতা নিয়ে তাঁর পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়ন করবেন, তা দেখে গোটা দুনিয়া হয়তো ধাক্কা খাবে।’  ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো জনতুষ্টিবাদী কর্তৃত্বপরায়ণ নেতাদের মুখের ভাষা বড় অস্ত্র। অলঙ্কারও বলতে পারেন। ‘কালচারাল ব্যাকল্যাশ: ট্রাম্প, ব্রেক্সিট, অ্যান্ড অথরিটেরিয়ান পপুলিজম’ বইয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী পিপা নরিস ও রোনাল্ড ইঙ্গেলহার্ট অন্তত তা-ই বলেছেন। তাঁদের বক্তৃতা ‘আমি’ কেন্দ্রিক। ‘আমি’ এটা করেছি, ওটা করেছি, আমিই, আমিই সে। মুখে জনগণের জন্য জান দিয়ে দেন, কিন্তু পরিষেবা পান শুধু অনুগত গোষ্ঠীরাই। বিরোধী দলের নেতাদের অন্য দেশের ‘এজেন্ট’ বলা আর জাতীয়তাবাদের প্রচার করাই এদের উদ্দেশ্য। ব্যাপক সমালোচনার মুখেও তাঁরা দুঃখ প্রকাশ করেন না, মিথ্যে কথা বলায় লজ্জিতও হন না। স্বৈরতান্ত্রিক নেতাদের এই অসত্যের ফুলঝুরি সমাজবিজ্ঞানীদের ভাষায় বলে ‘পোস্ট ট্রুথ’।
কিন্তু এত কিছুর জানার পরও ট্রাম্পের সঙ্গে ধনকুবেরদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টার পিছনে কী কারণ থাকতে পারে, তা নিয়ে গবেষণা করেছেন ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা ‘দ্য গার্ডিয়ান’–এর কলামিস্ট মারিনা হাইড। তিনি লিখছেন, প্রথম পর্বে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি নির্দিষ্ট রুটিন ছিল। প্রতি সন্ধ্যায় সাড়ে ছ’টা নাগাদ বড় একটি চিজ বার্গার এবং একটি বালতি সাইজের ডায়েট কোক নিয়ে বিছানায় বসতেন। তাঁর সামনে অনেকগুলি টিভি চলত। যে টিভিতে তাঁকে নিয়ে আলোচনা হতো, রিমোট ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে শুধু সেই চ্যানেলগুলি তিনি দেখতেন।
টিভি দেখতে দেখতে বিলিয়নেয়ারদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে ভালোবাসতেন। তৃতীয় কোনও শিল্পপতির নামে কুৎসা গাইতেন, অসন্তুষ্টি প্রকাশ করতেন এবং এমন অনেক গোপন কথা বলে দিতেন, যা প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর বলার কথা নয়। ট্রাম্পের ফোন শেষ হতেই অপর প্রান্তের সেই ধনকুবের ভদ্রলোক হয়তো অন্য কোনও ধনকুবেরকে ফোন করতেন এবং ট্রাম্পের কথাবার্তা নিয়ে তাঁরা হাসাহাসি করতেন।
এক সন্ধ্যায় ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর মিডিয়া-ব্যারন রুপার্ট মারডক মন্তব্য করেছিলেন, ‘কী ধরনের একটা নির্বোধ লোক!’ সেদিন মারডক ট্রাম্পকে বুঝিয়েছিলেন, সিলিকন ভ্যালির ধনকুবেররা আসলে তাঁর (ট্রাম্পের) সাহায্যের ধার ধারেন না। কারণ প্রায় আট বছর ধরে ওবামা প্রশাসনকে কার্যত তাঁরাই চালিয়ে এসেছিলেন। রুপার্ট মারডক এমনিতেই একজন বদমেজাজি, ক্ষমতাবান ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। হলিউডের ‘মিন গার্লস’ সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘রেজিনা জর্জ’ (যিনি ক্ষমতা দিয়ে সবাইকে প্রভাবিত করতে চান)-এর সঙ্গে মারডকের তুলনা করা চলে। তবে মারডক ট্রাম্পের ‘ক্লিয়ার্ড কলার’-এর তালিকায় ছিলেন। অর্থাৎ, তিনি চাইলেই যেকোনও সময় ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন।
ট্রাম্প জমানার শুরু থেকেই এই ‘বিলিয়নিয়াররা’ আমেরিকার ক্ষমতার বলয়ে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন এবং ট্রাম্পের সমর্থনে বিভিন্ন পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। মারিনা হাইড লিখছেন, ‘আমি ভেবেছিলাম এই ক্ষমতাধর ধনকুবের রাজনীতিকেরা জটিল প্রকৃতির হবে, কিন্তু তাঁরা আসলে তা নন। তাঁদের পার্টিতে শুধু ডলারের লেনদেন আর গল্পগুজব ছাড়া কিছুই হয় না।’ শো বিজে গসিপ বা গল্পগুজবকে সাধারণত হালকা ও ঠুনকো মনে করা হয়। কিন্তু বাস্তবে ‘মোগল’ শ্রেণির মধ্যে গসিপের ব্যাপকতা অনেক বেশি। অর্থ সুখ কিনতে পারে না ঠিকই, তবে এটা এমন উন্নতমানের গসিপের পথ তৈরি করে দেয়, যেখানে মারডক, বেজোস, স্টিভ উইন, স্টিফেন শোয়ার্জম্যানসহ অন্য ধনকুবেররা প্রায় ‘অস্ত্রসজ্জিত পর্যায়ের’ গসিপ চালান। এই ক্ষমতাশালীদের মধ্যে গসিপ ও শক্তির খেলা অনেকটাই নিষ্ঠুর ও কৌশলে ভরা। এটা তাঁদের মধ্যে একধরনের ‘হাই-কোয়ালিটি গসিপ’ বা প্রভাবশালী তথ্যবিনিময়ের সংস্কৃতি তৈরি করে।
এই গসিপ ও অর্থের চক্রের কাছে ট্রাম্প ‘নির্বোধ’ হিসেবেই রয়ে গিয়েছেন, যাঁর মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়া যায়। সেই কারণেই তাঁরা ট্রাম্পের যতই সমালোচনা করুন, শেষ পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে ট্রাম্পের গসিপ বা খোশগল্প চলতেই থাকবে। এই মোগল শ্রেণি মনে করে, অর্থ অর্জনের সবচেয়ে সহজ উপায়, সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া ও তার প্রশাসনকে ব্যবহার করে কর হ্রাস করা। আর ইলন মাস্ক ও জেফ বেজোসের মতো ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আরও লাভজনক হল, সরকারের বড় বড় ঠিকাদারির কাজ পাওয়া। এদের কাছে ট্রাম্প আসলে ‘বোকা রাজা’। আর তাই ট্রাম্পকে জেতাতে উজার করে দিয়েছেন রিপাবলিকানদের নির্বাচনী তহবিল। মার্কিন আদালতে রায় ঘোষণার পর ধারণা করা হয়েছিল, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ট্রাম্পের সমর্থনে হয়তো ভাটা পড়বে। কিন্তু সেই ধারণাকে উড়িয়ে দিয়ে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ট্রাম্প শিবিরে যোগ হয়েছিল ৫২.৮ মিলিয়ন ডলার। আর সেই অর্থ এসেছিল এই শিল্পপতি, ধনকুবেরদের পকেট থেকেই। ভোট প্রচারের সময় ডেমোক্র্যাটদের তহবিল নিয়ে সংবাদমাধ্যমে যত প্রচার হয়েছে, ততই বেড়েছে রিপাবলিকানদের অর্থ ভাণ্ডারও।
মার্কিন বিনিয়োগকারী নেলশন পেল্টজের কথাই ধরুন। তিন বছর আগে বলেছিলেন, ৬ জানুয়ারির মার্কিন কংগ্রেসে হামলা চালানোর জন্য ট্রাম্পকে আজীবন কলঙ্ক বইতে হবে। পেল্টজ সেই সময় ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু বছর পার হতেই দেখা যায়, সেই পেল্টজই আবার ট্রাম্পের প্রচারের জন্য তাঁর বাসভবনে অর্থ সংগ্রহের আয়োজন করেছেন। এতেই বোঝা যায়, ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক সুবিধার জন্য পেল্টজ নিজের অবস্থান বদলাতে দ্বিধা করেননি। পেল্টজের মূল উদ্দেশ্য ছিল, জেফ বেজোসের অ্যামাজনের উপর একটি অ্যান্টি-ট্রাস্ট তদন্ত চালানোর জন্য ট্রাম্পকে প্রভাবিত করা। কারণ, অ্যামাজন আমেরিকার ডাক বিভাগকে ক্ষতিগ্রস্ত করছিল বলে তাঁর অভিযোগ। যদিও ট্রাম্প অ্যামাজনের বিরুদ্ধে সরাসরি তদন্ত শুরু করেননি। তবে অ্যামাজনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ট্যুইট করেছিলেন। এমন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে সম্পর্কগুলি অনেক সময় ব্যক্তিগত স্বার্থ এবং ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমেই গড়ে ওঠে।
পেল্টজের এই দ্বৈত মনোভাব আসলে এক বৃহত্তর চিত্রের অংশ। এখানে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ব্যক্তিরা রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার জন্য নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতে দ্বিধা করেন না। এখানে ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য কখনও সমালোচনা হালকা হয়ে যায়, আবার কখনও নতুন মিত্র তৈরি হয়। এর বড় উদাহরণ টেক জায়ান্ট ইলন মাস্ক। মাস্কের ব্যবসায়িক স্বার্থ টেসলা বৈদ্যুতিক যান থেকে শুরু করে স্পেসএক্স রকেট ও নিউরালিঙ্ক ব্রেন চিপ আমেরিকার সরকারি নিয়মকানুন, ভর্তুকি সুবিধা বা নীতির উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর তাঁর প্রশাসনকে মাস্ক কঠোর নিয়মকানুন বা বিধিনিষেধ কাটানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবেন, যাতে যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইলন মাস্ক এত বেশি করে রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে পড়ায় তাঁর শিল্প–সাম্রাজ্যকে ‘গিল্ডেড এজ’ (১৮৭০–এর দশকের শেষের দিক থেকে ১৮৯০–এর দশকের শেষের দিক)-এর পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। ওই সময় জে পি মরগান ও জন ডি রকফেলারের মতো শিল্পপতিরা তাঁদের ব্যবসা ও সম্পদ বাড়িয়ে নিতে সরকারি নীতির উপর প্রভাব বিস্তার করতেন।
কেনেডি জুনিয়র প্রাক্তন সিনেটর রবার্ট এফ কেনেডির ছেলে। তাঁর আরও একটি পরিচয় হল, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাইপো। এবারের নির্বাচনে প্রথমে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। এর জন্য তাঁকে আমেরিকার খাদ্যব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একচ্ছত্র ক্ষমতা দিতে চান ট্রাম্প। নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে নির্বাচনী সমাবেশে প্রকাশ্যে বলেছেন একথা। ফলে কেনেডি জুনিয়রের ব্যবসা যে রমরমিয়ে উঠবে তা শুধু সময়ের অপেক্ষা। কে এই কেনেডি জুনিয়র? যিনি টিকা নেওয়াকে তুলনা করেছিলেন নাৎসি জার্মান যুগের সঙ্গে। বলেছিলেন, জলে মেশা রাসায়নিক নাকি শিশুদের সমকামী করে তোলে।
ইতিহাস বলছে, আমজনতাকে উন্মত্ত করা নেতা অ্যাডলফ হিটলার আবির্ভূত হয়েছিলেন জার্মানির ‘ফুয়েরার’ হিসেবে। আমরা দেখলাম, আমজনতাকে আতঙ্কিত করা নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প আবির্ভূত হয়েছেন আমেরিকার ‘মাগা-ম্যান’ হিসেবে। আমেরিকার প্রাক্তন সহকারী প্রতিরক্ষাসচিব ও হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জোসেফ এস নাই বলেছেন, পতন নিয়ে আমেরিকানদের উদ্বিগ্ন হওয়ার ইতিহাস দীর্ঘ। আমেরিকা এবার সত্যিই পতনের মুখে!
10th  November, 2024
হারানো বইয়ের খোঁজে

সন্দীপদা, মানে ‘কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রের’ স্থাপক এবং লিটল ম্যাগাজিন সংগ্রাহক সন্দীপ দত্ত চলে গেছেন প্রায় দেড় বছর হল। বছর চারেক আগে খোলামেলা এক আড্ডায় সন্দীপদা বলেছিলেন, “৭২এ স্কটিশে বাংলা অনার্স পড়ার সময় আমি মাঝেমাঝেই ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে যেতাম। মে মাসের একটা ঘটনা। … দেখলাম বহু পত্রিকা একজায়গায় জড়ো করা আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
ভাইজানের বিপদ
সমৃদ্ধ দত্ত

এই গ্রুপটাকে সবাই একটু ভয় পায়। কলেজের মধ্যে এই চারজন সর্বদাই একসঙ্গে থাকে। পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে চলে আসে দুপুর গড়াতেই। আর সেখানেই তাদের ঘোরাফেরা সবথেকে বেশি। হুড খোলা একটা মাহিন্দ্রা জিপ চালায় যে, তার আসল নাম বলকারান ব্রার। বিশদ

03rd  November, 2024
কাজীর কালীবন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

ভয়ে হোক বা ভক্তিতে, মা কালীর মধ্যে কিন্তু একটা ব্যাপার আছে। যে কারণে কেরেস্তানি কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি সাহেবের লেখা পদেও ‘শ্যামা সর্বনাশী’কে পাওয়া যায়, শোনা যায় ‘জয় কালীর ডঙ্কা’। আবার ত্রিপুরার নারায়ণপুরের মৃজা হুসেন আলিকে জয় কালীর নামে যমকেও তাচ্ছিল্য করতে দেখি। বিশদ

27th  October, 2024
শুভ বিজয়া
কৌশিক মজুমদার 

বিজয়ার থেকেই ধীরে ধীরে দিনগুলো, রাতগুলো কেমন অদ্ভুত ঝিমধরা ক্লান্ত লাগে। প্রতি মুহূর্তে মনে হয় যেন এবার আরও অনেক কিছু করার ছিল, জীবনপাত্র উছলিয়া ভরার ছিল। ভরা হল না।  বিশদ

20th  October, 2024
শ্রী শ্রী দুর্গা সহায়
সোমা চক্রবর্তী

১৯৮৬। তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। ছুটিতে দু’বেলা আর অন্যান্য দিন সন্ধ্যায় পড়তে বসা— এই ছিল রোজের রুটিন। পুজোর অপেক্ষায় থাকতাম সারা বছর। কারণ, আমাদের বাড়িতে নিয়ম ষষ্ঠী থেকে নবমী বই ছোঁয়া যাবে না। দশমীর দিন যাত্রা করে আবার পড়া শুরু। বিশদ

20th  October, 2024
নানা রঙের দশভুজা
দেবযানী বসু 

মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা! বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, মহাকাব্য—সর্বত্র তাঁর মহিমার জয়গান। মতভেদও কম নেই। আর তা শুধু আবির্ভাব নয়, গাত্রবর্ণ নিয়েও। বেদ-পুরাণের বর্ণনায় দেবী গৌরবর্ণা, স্বর্ণবর্ণা, পীতবর্ণা, অতসীবর্ণা। বিশদ

06th  October, 2024
পুজোর টানে ফেরা
সুকান্ত ঘোষ

মহালয়ার ভোর। ঘুম থেকে উঠেই ঘরে চালিয়ে দিয়েছি ‘বীরেনবাবু স্পেশাল’। বেশ জোরে। খানিক পরেই দরজায় টোকা। খুলতেই দেখি, আমার ডানপাশের ঘরের জোসেফ ও বাঁ পাশের ঘর থেকে ফাউস্টো ঘুম ঘুম চোখে দাঁড়িয়ে। ঘরে ঢুকল দু’জনে। বিশদ

29th  September, 2024
কল্যাণীর বিভূতিভূষণ

মুরাতিপুর গ্রাম। তাঁর মামার বাড়ি। জন্মস্থানও। গ্রামটি আর নেই। সেখানেই গড়ে উঠেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৩০ তম জন্মবার্ষিকীতে এমন অনেক অজানা কাহিনি লিখলেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

22nd  September, 2024
স্বপ্ন হলেও সত্যি
কলহার মুখোপাধ্যায়

মামা বলল, ‘আগে ভালো করে লাটাই ধরতে শেখ, তারপর ঘুড়ি ওড়াবি।’ বাবা বলল, ‘আগে ভালো করে সিট বেল্ট বাঁধতে শেখ, তারপর গাড়ির স্টিয়ারিং ধরবি।’   পাড়ার ন্যাপাদা বলল, ‘মাঠে ঠিকমতো দৌড়তে শেখ আগে, তারপর বলে পা দিবি
বিশদ

15th  September, 2024
ঘুড়ির পিছে ঘোরাঘুরি
রজত চক্রবর্তী

আরও আরও উপরে। আরও উপরে। ওই আমাদের বাড়ি ছোট হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। বুল্টিদের বাড়ির ছাদ ছোট্ট হয়ে গিয়েছে। দড়িতে টাঙানো বুল্টির লাল জংলা ফ্রক আর দেখা যাচ্ছে না। করদের মাঠ, পুকুর, আম-জাম-পাকুড়-লিচুগাছেদের ভিড়, বাড়িগুলো সব ছোট ছোট, শুধু ছাদের পর ছাদ।
বিশদ

15th  September, 2024
মলমাস
রোহিণী ধর্মপাল 

জিন্স পরিহিতা রীতিমতো আধুনিকা বললেন, ‘ঠাকুরমশাই, গৃহপ্রবেশে কোনও ত্রুটি রাখতে চাই না। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হলে আমাদের খুব সুবিধা হয়।’ অফিসের ফোন আসায় একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন সঙ্গী যুবক। এবার ফোনটা মিউট করে সুবেশ ছেলেটি বললেন, ‘তারপরেই আসলে আবার আমাদের অস্ট্রেলিয়া ফিরতে হবে তো! বিশদ

08th  September, 2024
মলিন মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

সারা বাড়ি আনন্দে গমগম করছে। আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়ে যেন উৎসবের হাট বসেছে। বাড়ির একমাত্র ছেলে শুভদীপের বিয়ে। বিয়ের দিন সবাই সেজেগুজে প্রস্তুত। এখনই বর বেরবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাবা তাড়া দিচ্ছে শুভদীপকে। ‘তাড়াতাড়ি বেরো। এতটা পথ যেতে হবে। সময়মতো পৌঁছতে না পারলে সমস্যা হয়ে যাবে।’  বিশদ

08th  September, 2024
যব ছোড় চলে...

আজ, ১ সেপ্টেম্বর নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের মৃত্যুদিন। ১৩৭ বছর আগে নির্বাসিত নবাবের মৃত্যু ঘিরে আজও রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। মেটিয়াবুরুজ ঘুরে সেই অতীতের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার।
বিশদ

01st  September, 2024
বর্ষামঙ্গল
শ্যামল চক্রবর্তী

কেশববাবু ছাতা কিনেছেন। প্রয়োজনে নয়, দুঃখে! হেড অফিসের ছোটবাবু কেশব দে রিটায়ার করার পর থেকেই দিনরাত স্ত্রীর গঞ্জনা শুনতে শুনতে, এক বর্ষার সকালে বেরিয়ে পড়েছেন। গণশার দোকানে পাউরুটি আর ঘুগনি দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে মেট্রোগামী অটোতে চেপে বসলেন। বিশদ

25th  August, 2024
একনজরে
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি বিভাগের নতুন কর্মাধ্যক্ষ হলেন প্রাক্তন বিধায়ক এটিএম আবদুল্লা (রনি)। শুক্রবার বারাসতে জেলা পরিষদ ভবনের তিতুমীর কক্ষে বৈঠকের ...

২১৭ রানে ১৭ উইকেট! সংক্ষেপে শুক্রবার অপ্টাস স্টেডিয়ামের এটাই আসল স্কোর। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির পয়লা টেস্টের প্রথম দিনে উঠল ২১৭ রান, পড়ল ১৭ উইকেট। ডনের দেশে ...

রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির বাস্তব রূপায়ণ ঘটানো এবং সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়া—সুনির্দিষ্ট এই বার্তাকে সামনে রেখে এবার একটি সম্মেলন করার উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। ...

এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ হয়েছে প্রচুর টাকা। কিন্তু সেই নিকাশি নালা নির্মাণের কাজ চলছে অত্যন্ত ঢিমেতালে। ব্যস্ততম স্ট্যান্ডে জল জমে থাকছে। ফলে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক দায়মুক্তি অবসান দিবস
১৮৮৩: লেখক প্যারীচাঁদ মিত্রের মৃত্যু
১৮৯৭: লেখক নীরদচন্দ্র চৌধুরির জন্ম
১৯০৭: বিশিষ্ট বেতার সম্প্রচারক, গীতিকার, প্রযোজক ও নাট্য পরিচালক বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্যের জন্ম (বাণীকুমার) নামেই পরিচিত
১৯২২: রাজদ্রোহের অভিযোগে কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেফতার হন এবং সরকার কর্তৃক তার বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়
১৯২৬: হিন্দু ধর্মগুরু, আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ সত্য সাঁই বাবার, (পূর্বাশ্রমের নাম সত্যনারায়ণ রাজু) জন্ম
১৯৩০: সঙ্গীতশিল্পী গীতা দত্তর জন্ম
১৯৩৭: বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর মৃত্যু  
১৯৫০: লেখক,ইতিহাসবেত্তা ও ভারততত্ববিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর জন্ম
১৯৬৪: ব্রিটেনে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক বেতার কেন্দ্র চালু হয়
১৯৮৭: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক, শিল্পনির্দেশক চিত্রনাট্যকার  রাজেন তরফদারের মৃত্যু 
১৯৯৭: ভারতে সরকারি সম্প্রচার সংস্থা প্রসার ভারতী গঠিত হয়।
২০০৩: প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের একজন দিকপাল ঐতিহাসিক দিলীপকুমার বিশ্বাসের মৃত্যু
২০০৬: বাংলা প্যারোডি গানের রচনাকার ও গায়ক মিন্টু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬৭ টাকা ৮৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৫৫ টাকা ১০৮.২৭ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৯ টাকা ৯০.২৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী ৩৫/৪৮ রাত্রি ৭/৫৮। মঘা নক্ষত্র ৩৩/৪০ রাত্রি ৭/২৭। সূর্যোদয় ৫/৫৮/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৩২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৭/২৪ গতে ৯/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৪ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪২ গতে ২/২৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২৭ গতে ৩/২০ মধ্যে। বারবেলা ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/২৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি। 
৭ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ১০/২৬। মঘা নক্ষত্র রাত্রি ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/১, সূর্যাস্ত ৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৩ মধ্যে ও ৭/৩৫ গতে ৯/৪৩ মধ্যে ও ১১/৫১ গতে ২/৪১ মধ্যে  ও ৩/২৩ গতে ৪/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৫০ গতে ২/৩৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৩৬ গতে ৩/৩০ মধ্যে। কালবেলা ৭/২১ মধ্যে ও ১২/৪৫ গতে ২/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৪/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৬/১ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে একটি গ্রামে বোমাবাজি
এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে গ্রামের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি। ...বিশদ

09:39:00 PM

আইএসএল: জামশেদপুরকে ৩-০ গোলে হারাল মোহন বাগান

09:36:00 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ৩-জামশেদপুর ০ (৮৭ মিনিট)

09:15:00 PM

নাগপুরের বাড়িতে পৌঁছলেন মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ

09:13:00 PM

আমাদের লক্ষ্য দেশ নির্মাণ: প্রধানমন্ত্রী

09:12:00 PM

হিমাচল প্রদেশের কুলুতে তুষারপাত

09:08:00 PM