Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

রবীন্দ্রনাথ ও সত্যজিৎ

শান্তিনিকেতনের লাইব্রেরি তাঁকে সিনেমা সম্পর্কে কৌতূহলী করে তুলেছিল। প্রকৃতি ও জগৎকে দেখার চোখ খুলে দিয়েছিলেন বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় ও নন্দলাল বসু। শান্তিনিকেতন তথা রবীন্দ্র-সাহচর্যেই সত্যজিৎ রায় হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক। লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস

বৈশাখ আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সমার্থক। আর এই বৈশাখেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। রবীন্দ্রনাথ ‘গীতাঞ্জলি’ রচনার জন্য পেয়েছেন নোবেল পুরস্কার। আর সত্যজিৎ চলচ্চিত্রে আজীবন স্বীকৃতিস্বরূপ ভূষিত অস্কারে। কিন্তু ছোট থেকেই কী সেই স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি? অবচেতন মনে একবার ভেবেছিলেন বড় হয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক হবেন। ‘সাত রাজার ধন এক মানিক’ গ্রন্থে স্মৃতিকথায় উল্লেখ করেছেন নলিনী দাশ—“মাঝে মাঝে ‘ডাক্তার-ডাক্তার’ খেলতাম। আমরা রুগী হতাম, মানিক ডাক্তার আমাদের চিকিৎসা করত। ...একদিন দিদি একটা সুন্দর ছোট ব্রাউন ব্যাগে লিখল ‘ডক্টর সত্যজিৎ রায়, এম ডি, এফ আর সি এস, এম আর সি পি। মানিককে বলল, ‘তুমি বেশ মস্তবড় ডাক্তার, আমরা সবাই তোমার রুগী, তুমি আমাদের চিকিৎসা করবে।’ মানিক কিন্তু বেঁকে বসল, ‘না, আমি তো ডাক্তার হব না। আমি জার্মানি গিয়ে সিনেমা তৈরি শিখে এসে সিনেমা বানাব’।”
শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্র-সংস্পর্শই সত্যজিৎকে চলচ্চিত্রে কৌতূহলী করে তুলেছিল। বিশ্বভারতীর লাইব্রেরি ছিল তাঁর জীবনের রত্নভাণ্ডার। কী কী পেয়েছিলেন সেখান থেকে? চলচ্চিত্র বিষয়ক একাধিক বই, যেগুলো থেকে তিনি সিনেমা তৈরির টেকনিক ও ব্যাকরণ অনুধাবন করেছিলেন। যেমন—মার্কিন লেখক লিউইস জেকবসের ‘দ্য রাইজ অব দ্য আমেরিকান ফিল্ম’, সোভিয়েত পরিচালক পুডভকিনের লেখার ইংরেজি অনুবাদ ‘পুডভকিন অন ফিল্ম টেকনিক’ ও ‘ফিল্ম অ্যাকটিং’, ব্রিটিশ লেখক পল রোথারের ‘দ্য ফিল্ম টিল নাউ’ এবং ‘ডকুমেন্টারি ফিল্ম’, অন্য এক ব্রিটিশ লেখক রেমন্ড স্পটিসউডের ‘আ গ্রামার অব দ্য ফিল্ম : অ্যান অ্যানালিসিস অব ফিল্ম টেকনিক’ ইত্যাদি। এ ছাড়াও লাইব্রেরিতে পেয়েছিলেন জার্মান লেখক রুডলফ আর্নহেইমের ‘ফিল্ম’ গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ, রেনে ক্লেয়ারের ‘দ্য গোস্ট গোজ ওয়েস্ট’ ছবির চিত্রনাট্য। 
এখন প্রশ্ন হল, কার অনুমোদনে ওই বইগুলি এসেছিল শান্তিনিকেতনের লাইব্রেরিতে? উত্তরে বলা যায় একজনেরই নাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সত্যজিৎ যখন শান্তিনিকেতনে পড়তে গিয়েছিলেন, তখন কবিগুরু জীবিত। বইগুলো তিনি পড়েছিলেন কি না জানা যায়নি। তবে সিনেমা সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের প্রবল আগ্রহ ছিল। এই বিষয়ে তিনি একাধিকবার ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় (ডিজি), মধু বসু প্রমুখের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। মুরারী ভাদুড়িকে লেখা একটা চিঠিতে জানিয়েছেন সিনেমা সম্পর্কে নিজের উপলব্ধির কথা। “...ছায়াচিত্রের প্রধান জিনিষটা হচ্ছে দৃশ্যের গতিপ্রবাহ। এই চলমান রূপের সৌন্দর্য বা মহিমা এমন করে পরিস্ফুট করা উচিত যা কোন বাক্যের সাহায্য ব্যতীত আপনাকে সম্পূর্ণ সার্থক করতে পারে। তার নিজের ভাষার মাথার উপরে আর একটা ভাষা কেবলি চোখে আঙুল দিয়ে মানে বুঝিয়ে যদি দেয় তবে সেটাতে তার পঙ্গুতা প্রকাশ পায়। সুরের চলমান ধারায় সঙ্গীত যেমন বিনা বাক্যেই আপন মাহাত্ম্য লাভ করতে পারে তেমনি রূপের চলৎপ্রবাহ কেন একটি স্বতন্ত্র রসসৃষ্টি রূপে উন্মেষিত হবে না? হয় না যে সে কেবল সৃষ্টিকর্তার অভাবে-এবং অলসচিত্ত জনসাধারণের মূঢ়তায়, তারা আনন্দ পাবার অধিকারী নয় বলেই চমক পাবার নেশায় ডোবে।”
রবীন্দ্রনাথের ভাবনায় সিনেমা হল ‘দৃশ্যের গতিপ্রবাহ’ আর ‘রূপের চলৎপ্রবাহ’। সিনেমা সংক্রান্ত এই ভাবনার মিল পাওয়া যাচ্ছে পুডভকিন এবং আর্নহেইমের চলচ্চিত্র-বিষয়ক প্রবন্ধের। সত্যজিৎ এইসব বই থেকে মার্কিন চলচ্চিত্রের বিবর্তন, তথ্যচিত্র, সোভিয়েত চলচ্চিত্রের প্রকৌশল ও অভিনয় সম্পর্কে জেনেছিলেন। পাশাপাশি জানতে পেরেছিলেন চলচ্চিত্র উৎপাদনক্ষেত্রের বিবরণও। স্পটিসউডের বই পড়ে সত্যজিৎ উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন এই কারণে। স্পটিসউড বলেছিলেন যে, চলচ্চিত্র একটি নতুন তিলোত্তমা শিল্প। আর আর্নহেইমের বই থেকে তিনি জেনেছিলেন—সিনেমা হল দৃশ্যকলার এক নবদিগন্তের উন্মোচন।
সুপ্রভা দেবীর কথা রাখতে শেষপর্যন্ত শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলেন সত্যজিৎ। তাই কলকাতায় মুক্তি পাওয়া বেশ কিছু ছবি দেখার সুযোগ হারান। বলা যায়, নিরবচ্ছিন্ন সিনেমাযাপনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাঁর শান্তিনিকেতন-যাত্রা। কিন্তু সেই শান্তিনিকেতনই তাঁকে স্বপ্নপূরণের দিকে নিয়ে গিয়েছিল, যা তিনি ছোটবেলায় অবচেতনে ভেবেছিলেন। অর্থাৎ চলচ্চিত্র পরিচালক হওয়া। এসবের আগেই অবশ্য রবীন্দ্রনাথ নিউ থিয়েটার্স ১ নং স্টুডিয়োতে ‘নটীর পূজা’ পরিচালনা করেছিলেন। অভিনয়ে ছিলেন শান্তিনিকেতনের ছাত্রছাত্রীরা। ছবিটি ১৯৩২ সালের ২২ মার্চ ‘চিত্রা’ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল। এ ছাড়াও জার্মানির ছবি ‘The Child’-এর চিত্রনাট্য লিখেছিলেন তিনি। 
শান্তিনিকেতনে পড়তে আসার আগে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সত্যজিতের চারবার সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছিল। প্রথমবার তাঁর বয়স ছিল মাস পাঁচেকের মতো। ১৯২১ সালের পুজোর ছুটিতে মা-বাবার কোলে চেপে শান্তিনিকেতন গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি প্রথম রবীন্দ্র সান্নিধ্য পান, যদিও তখন কিছুই বোঝার বয়স হয়নি। সুকুমার রায় মারা যাবার পরে দ্বিতীয়বার মায়ের সঙ্গে শান্তিনিকেতন গিয়েছিলেন সত্যজিৎ। সেখানে আট মাস ছিলেন। এইসময়ই তাঁর মা সুপ্রভা দেবী ও মাসি কনকপ্রভা গান শুনিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথকে। এরপর আট বছর বয়সে (১৯২৯) মায়ের সঙ্গে যাওয়া শান্তিনিকেতনের পৌষমেলায়। এই সময়ই সত্যজিতের অটোগ্রাফ নেওয়ার খাতায় কবিগুরু লিখে দিয়েছিলেন বিখ্যাত একটি কবিতা। যেটি সকলেরই জানা—“বহুদিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে/ বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে/ দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা/ দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।/ দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া/ ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া/ একটি ধানের শিষের উপরে/ একটি শিশির বিন্দু।।” 
রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সত্যজিতের চতুর্থবার সাক্ষাৎ হয়েছিল কলকাতার পাইকপাড়ায়, সিংহ বাড়ির একটি সভায়। কবিগুরু চেয়েছিলেন, শান্তিনিকেতনে এসে শিল্পকলা নিয়ে পড়াশোনা করুক সুকুমার-পুত্র। কিন্তু সত্যজিৎ সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি। তার কারণ অবশ্য বিখ্যাত সংখ্যাতত্ত্ববিদ প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের প্রস্তাব— যদি অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা কর তবে ‘সংখ্যা’ পত্রিকায় মাসে আড়াইশো টাকা মাইনের একটি চাকরি হয়ে যাবে। মূলত এই কারণেই অর্থনীতি নিয়ে প্রেসিডেন্সিতে তাঁর ভর্তি হওয়া। কিন্তু শেষপর্যন্ত সুকুমার রায়ের সঙ্গে প্ল্যানচেটে কথোপকথন হয় রবীন্দ্রনাথের। এবং তার জেরে অনিচ্ছা সত্ত্বেও সত্যজিতের শান্তিনিকেতনে ভর্তি হওয়া। 
কলাভবনে ভর্তি হয়ে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সত্যজিতের কতবার সাক্ষাৎ বা কী কী কথা হয়েছিল জানা যায় না। তবে কলাভবনের দুই শিক্ষক নন্দলাল বসু ও বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়ের সংস্পর্শ চিত্রকলা সম্পর্কে তাঁকে অভিজ্ঞ করে তুলেছিল। নন্দলাল বসুর কাছ থেকে ছবি আঁকার কলাকৌশল হাতেকলমে শিখেছিলেন। আর সত্যজিতের মানসচক্ষুর উন্মেষ ঘটান বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়। দিয়েছিলেন প্রকৃতিকে দেখার দৃষ্টিও। ‘বিষয় চলচ্চিত্র’ গ্রন্থে তিনি ‘বিনোদদা’ শিরোনামে লিখেছেন, “...তিন ধাপ সিঁড়ি দিয়ে উঠে বাড়ির সামনের বারান্দায় পা দিতেই দৃষ্টি আপনা থেকেই উপর দিকে চলে গেল। সারা সিলিং জুড়ে একটি ছবি। গাছপালা মাঠ পুকুর মানুষ পাখি জানোয়ারে পরিপূর্ণ একটি স্নিগ্ধ বর্ণোজ্জ্বল গ্রাম্য দৃশ্য। বীরভূমের গ্রাম। দৃশ্য না বলে ট্যাপেস্ট্রি বলাই ভালো। অথবা এনসাইক্লোপিডিয়া।” পরবর্তীকালে বিনোদবিহারীকে নিয়ে তিনি তৈরি করেছিলেন বিখ্যাত তথ্যচিত্র ‘দ্য ইনার আই’। 
রামকিঙ্কর বেইজের সঙ্গেও সত্যজিতের স্মৃতি ছিল অমলিন। একদিন সন্ধ্যায় কিঙ্করের কণ্ঠে তোড়ি রাগে ‘রজনীর শেষ তারা আঁধারে গোপনে আধো ঘুমে’ শুনে তন্ময় হয়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে দিনকর কৌশিক তাঁর কাছে জানতে চান, কিঙ্করকে নিয়ে ডকুমেন্টারি না করে বিনোদবিহারী কেন? উত্তরে সত্যজিৎ বলেছিলেন, ‘কিঙ্করকে নিয়ে কাজ করা সহজ নয়।’
সত্যজিৎ নিজেই স্বীকার করেছেন, শান্তিনিকেতনের মাটিতে নন্দলালের কাছে নেওয়া প্রকৃতিপাঠ তাঁকে ‘পথের পাঁচালী’ নির্মাণে সহায়তা করেছিল। ১৯৪৯ সালে কলকাতায় আসেন জাঁ রেনোয়া। গ্রেট ইস্টার্ন হোটেলে দু’জনের সাক্ষাৎ। অতঃপর ঘুরে ঘুরে শুটিং দেখা। রেনোয়ার সান্নিধ্য সত্যজিৎকে নিজের দেশ, প্রকৃতিকে চিনতে সাহায্য করেছিল। তাঁর অস্তিত্বে ছিল ইতিহাসচেতনা আর বিশুদ্ধ শিল্পবোধ। ‘হলিউডের প্রভাব ঝেড়ে ফেলে দিয়ে নিজেদের দেশীয় রুচি কখনও যদি গড়ে তুলতে পারেন, আপনারা তাহলে একদিন মহৎ ফিল্মের জন্ম দিতে পারবেন।’ ‘দ্য রিভার’ ছবির শুটিংয়ের অবসরে পরামর্শ দিয়েছিলেন জাঁ রেনোয়া। আরও বলেছিলেন, ‘ফুল কিন্তু আমেরিকাতেও আছে। ...কিন্তু তাকিয়ে দেখুন ওই কলাগাছের ঝাড়, তার নীচে ছোট্ট সবুজ ডোবাটি। এ জিনিস ক্যালিফর্নিয়ায় নেই। এই হচ্ছে বাংলাদেশ।’ সেভাবেই পর্দায় বাংলাকে দেখিয়েছেন সত্যজিৎ। আর তা ছিল মাস্টারমশাই নন্দলাল বসুর কাছে পাওয়া শিক্ষারই সম্প্রসারণ। 
শান্তিনিকেতন তথা রবীন্দ্রসান্নিধ্যই গ্রাম চিনিয়েছিল সত্যজিৎকে। শিল্প বা সিনেমা সম্পর্কে যে ধারণা তাঁর মনে চিরস্থায়ী হয়, তার প্রাথমিক পাঠ সেখানেই। রবীন্দ্রনাথের একাধিক কাহিনি (পোস্টমাস্টার, মণিহারা, সমাপ্তি, নষ্টনীড়, ঘরে বাইরে) নিয়ে ছবি করেছেন। নিজের তৈরি আঠাশটি পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবির মধ্যে ষোলটিতেই রয়েছে রবীন্দ্র গানের ব্যবহার। কবিগুরুর জন্মশতবর্ষে তথ্যচিত্র করার পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তৈরি ডাকটিকিটের অলঙ্করণও করেছিলেন। 
শিল্পী রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সত্যজিৎ রায় দুজনেই ছিলেন নন্দলাল বসুর ছাত্র। এক স্মৃতিচারণে রামানন্দ জানালেন, “তখন ১৯৬১ সাল। রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষ। আমি শান্তিনিকেতনে নন্দলাল বসুর সামনে বসে আছি। হঠাৎ সত্যজিৎ ঢুকলেন। বসলেন আমার পাশেই। নন্দলাল জিগ্যেস করলেন, ‘কেমন আছ? তোমার তো এখন খুব পরিচিতি।’  প্রত্যুত্তরে সত্যজিৎ বললেন, ‘মাস্টারমশাই, আমি এসেছি আপনার কাছে। ভারত সরকার আমাকে রবীন্দ্রনাথের উপরে একটি তথ্যচিত্র তৈরির দায়িত্ব দিয়েছে। ভাবনাটা আমি আপনাকে দেখতে এসেছি।’ সত্যজিৎ মাস্টারমশাইয়ের সামনে খেরোর খাতা খুলে দেখালেন। নন্দলাল বললেন, ‘সুন্দর হয়েছে। তুমি তো ভালো করো।’ প্রত্যুত্তরে সত্যজিৎ বললেন, ‘আমার এই যে প্রকৃতি, মানুষ ইত্যাদিকে দেখা এসব আপনার চোখ দিয়েই তো দেখা’।” 
মাত্র ছত্রিশ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছিল সুকুমার রায়ের। সুকুমারের মৃত্যুশোক রবীন্দ্রনাথকে ব্যথিত করেছিল, অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুশোকে ব্যথিত হয়েছিলেন সত্যজিৎ। ১৯৪১-এর ২২ শ্রাবণ তাঁর মনে সৃষ্টি হয়েছিল এক বিরাট শূন্যতা। তা পূর্ণতা পেয়েছিল রবীন্দ্র-মৃত্যুর কুড়ি বছর পরে। ১৯৬১ সালে কবিগুরুর জন্মশতবর্ষে। সত্যজিৎ তখন বিশ্বজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক। তৈরি করলেন ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’ তথ্যচিত্র। সেখানে তাঁর দেওয়া ভাষণ এই সঙ্কট মুহূর্তেও আমাদের আশ্বস্ত করে, উদ্দীপ্ত করে। ছবির শুরুতে কবির মরদেহের সঙ্গে শোকযাত্রার ছবি। শোকে উন্মাদ জনতা, পরে রাতে শ্মশানে দাহের চিত্র। এই সময়ই ঘোষকের কণ্ঠে শোনা যায়—“রাত্রের মধ্যে মানুষটির মরদেহ আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল... কিন্তু তাঁর কবিতা, গান, সাহিত্য, ছবি ও মানবতাবোধ অমর হয়ে রইল।”
সত্যজিতের এই কথন তো রবীন্দ্রনাথেরই দার্শনিক চেতনার প্রতিফলন। রবীন্দ্রনাথ মৃত্যুর মধ্যে দিয়েই বাঁচতে চেয়েছিলেন। লিখেছিলেন, ‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে,/ মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।’ শান্তিনিকেতন থেকে নোবেল চুরি হয়ে গেছে ঠিকই, কিন্তু মানুষের মন থেকে রবীন্দ্রনাথ তো চুরি হননি। শুধু শান্তিনিকেতনে উত্তরায়ণ নয়; কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, পলাশ বা সোনাঝুরির ছায়ায় নয়—রবীন্দ্রসত্তা মিশে গেছে মানুষের মনে, আনন্দের সৃজনশীলতায়।
সত্যজিতের বিশ্ব-পরিচিতি চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে। ‘পথের পাঁচালী’ তৈরির সময়ও তাঁর মুখে সরাসরি শোনা যায়নি রবীন্দ্র প্রসঙ্গ। কিন্তু অমল ভট্টাচার্য সেন্টার ফর ইউরোপিয়ান স্টাডিজের বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন, “...শান্তিনিকেতন যেন আরেক পৃথিবী। সেখানে উদার উন্মুক্ত শূন্যতা, তার ওপর ধূলিবিহীন আকাশের চাঁদোয়া, মেঘমুক্ত কোনও রাতে যেখানে দেখা যায় নক্ষত্রপুঞ্জ যা কোনও শরতের আকাশে কোনওদিন দেখা যাবে না। শান্তিনিকেতন... আমার মনে ভাবুকতা এনে দিয়েছিল, একটা বিস্ময়ের ঘোর এনে দিয়েছিল।” 
পরোক্ষভাবে সত্যজিৎ সিনেমা তৈরির জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রভাবিত হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের দ্বারা। ডি. সিকার ‘বাইসাইকেল থিভস’ আর ইতালীয় নিওরিয়ালিজমকে স্বীকার করেই পুত্র সন্দীপ রায় শুনিয়েছেন সেকথা, “শিলাইদহে না গেলে রবীন্দ্রনাথের হাতে যেমন ছোটগল্প জন্মাত না, তেমনই শান্তিনিকেতন না গেলে হয়তো এইভাবে ‘পথের পাঁচালী’ ছবি হত না। ...‘পথের পাঁচালী’-তে যে গ্রামবাংলার ছবি আছে সেই গ্রাম্য পরিবেশের সঙ্গে শহুরে সত্যজিতের প্রথম পরিচয় হয়েছিল শান্তিনিকেতনেই।” মৃত্যুর আগে একটি সাক্ষাৎকারে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আমাকে বলেছিলেন, ‘‘‘পথের পাঁচালী’ ছবিতে যে প্রকৃতিকে দেখানো হয়েছে তা বীরভূমের রুক্ষ প্রকৃতি নয়। এখানে আছে কোমল প্রকৃতি। এই প্রকৃতি দেখার বোধ তাঁর মনে তৈরি করেছিল শান্তিনিকেতন। এই প্রকৃতির প্রতিচ্ছবি ও রবীন্দ্রদর্শনই তাঁকে ‘পথের পাঁচালী’ ছবি তৈরিতে প্রেরণা দিয়েছিল।”
রবি ঠাকুরের ‘সাহিত্যকোষ’ মানেই মনের শান্তি, প্রাণের আরাম। ঠিক এই কথাটাই উপেন্দ্রকিশোর বা সুকুমারের মতো বুঝতে পেরেছিলেন সত্যজিৎও। দুই পরিবারের সম্পর্ক তিন পুরুষের। উপেন্দ্রকিশোরই প্রথম রবীন্দ্র গানের ‘স্টাফ নোটেশন’ করেন। সুকুমার লন্ডনের বিদ্বৎসমাজে ভারতীয়দের পক্ষ থেকে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে প্রথম পাবলিক ভাষণ দেন। লেখেন, ‘দ্য স্পিরিট অব রবীন্দ্রনাথ টেগোর’। সাধারণ ব্রাহ্মসমাজে কবিগুরুর প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে নিজের জীবনকে তিলে তিলে ক্ষয় করেন। আর সত্যজিৎ? তিনি তো চলচ্চিত্রে, তুলির টানে, সঙ্গীতে কবিগুরুকে ছড়িয়ে দিয়েছেন দেশেবিদেশে। 
সবচেয়ে আশ্চর্যের, সেই বালক ও রবীন্দ্রনাথের নাম আজ একসঙ্গে উচ্চারিত। দু’জনেই বাঙালির বিকশিত সত্তার প্রতীক। শুধু বাঙালির নয়, বিশ্বমানবের। বাঙালির শিক্ষা-সংস্কৃতি-চেতনায় মিশে গিয়েছে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর আর গড়পারের রায় পরিবারের নাম।
লেখক কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক
05th  May, 2024
দাঁড়াও, পথিক-বর

হিন্দু না খ্রিস্টান—ধর্মীয় টানাপোড়েনে দেড় দিন মাইকেল মধুসূদন দত্তের নিথর দেহ পড়ে ছিল মর্গে! কবির মৃতদেহের দায়িত্ব নিতে রাজি ছিল না কেউ। কেন এমনটা হয়েছিল? লিখছেন অনিরুদ্ধ সরকার বিশদ

মাইকেলের সমাধি

কলকাতার কোলাহলমুখর অন্যতম ব্যস্ত মল্লিকবাজার মোড়। তার একটু আগেই শিয়ালদহ থেকে আসার পথে বাঁদিকে কলকাতার লোয়ার সার্কুলার রোড সেমেট্রি। গেট পার হলেই সোজা কিছুটা এগিয়ে ডান দিকে তাকালেই দেখা যাবে লেখা রয়েছে ‘মধু বিশ্রাম পথ’। বিশদ

বিস্মৃত বিপ্লবীর সন্ধানে

স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে বিপ্লবগুরু যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে নিরালম্ব স্বামী ও তাঁর চান্না আশ্রম। ইতিহাসের সেই অধ্যায় ছুঁয়ে এসে স্মৃতি উজাড় করলেন সৈকত নিয়োগী। বিশদ

16th  June, 2024
কোথায় বিপ্লব? কখন বিপ্লব?

পাথরের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ সন্ন্যাসীর। খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির ঘরে বসে আনমনা হয়ে মেঝেতে একটা বুলেট ঠুকছেন। পাশে ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রিভলভারের যন্ত্রাংশ। উল্টোদিকে মোড়ায় বসে এক যুবক ক্রমাগত তাঁকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছেন। বিশদ

16th  June, 2024
জামাইবাবু জিন্দাবাদ
কৌশিক মজুমদার

সে অনেককাল আগের কথা। এক পরিবারে দুই বউ ছিল। ছোট বউটি ছিল খুব লোভী। বাড়িতে মাছ কিংবা অন্য ভালো খাবার রান্না হলেই সে লুকিয়ে লুকিয়ে খেয়ে নিত আর শাশুড়ির কাছে গিয়ে বলত ‘সব ওই কালো বেড়ালটা খেয়ে নিয়েছে।’ বিড়াল মা-ষষ্ঠীর বাহন। বিশদ

09th  June, 2024
আদরের অত্যাচার
কলহার মুখোপাধ্যায়

মাছের মুড়ো মনে হচ্ছে হাঁ করে গিলতে আসছে। পাক্কা সাড়ে তিন কেজির কাতলা। জল থেকে তোলার পরও দু’মিনিট ছটফট করেছিল। এক-একটি পিস প্রায় ২৫০ গ্রামের। তেল গড়গড়ে কালিয়া হয়েছে। পাশে কাঁসার জামবাটিতে খাসির মাংস। সব পিসে চর্বি থকথক করছে। বিশদ

09th  June, 2024
ঝড়ের  ঠিকানা

কখনও আইলার মতো সরাসরি, কখনও বা রেমালের ‘লেজের ঝাপ্টা’—প্রায় প্রতি বছরই বর্ষার আগে বাংলায় আঘাত হানছে একের পর এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। একটার ক্ষত শুকোতে না শুকোতে আবার একটার তাণ্ডব। ব্যস, যাবতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার ব্যবস্থাপনা, পুনর্বাসন ও উন্নয়ন ধুয়েমুছে সাফ! শুধু জেগে থাকছে আতঙ্ক জাগানো একটা শব্দ, ‘সাইক্লোন’।
বিশদ

02nd  June, 2024
সবহারাদের কথা

সালটা ২০০৯। ২৬ মে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় আইলা। তছনছ হয়ে গিয়েছিল পাথরপ্রতিমা ব্লকের উত্তর গোপালনগর গ্রাম। গোবোদিয়া নদীবাঁধ ভেঙে সুন্দরবনের মধ্যে প্রথম প্লাবিত হয়েছিল এই গ্রামই। কোমরসমান জলের মধ্যে দাঁড়িয়েই শুরু হয় জীবনের লড়াই। সেই কথা মনে পড়লে আঁতকে ওঠেন স্থানীয়রা।
বিশদ

02nd  June, 2024
বাস্তবের সাইবর্গরা
কল্যাণ কুমার দে

মেরিন কর্পে কাজ করতেন ক্লডিয়া মিশেল। মোটরবাইক দুর্ঘটনায় একটি হাত হারিয়ে ফেলেন। সেখানে স্থাপন করা হয় একটি বায়োনিক হাত। সেটিকে যুক্ত করা হয় শরীরের নার্ভাস সিস্টেম বা স্নায়ুতন্ত্রের সঙ্গে। এখন এই যান্ত্রিক হাতে তিনি এতটাই সাবলীল যে ফলের খোসা ছাড়াতেও কোনও অসুবিধা হয় না। বিশদ

26th  May, 2024
টেলিপ্যাথির ১০০ দিন

টেলিপ্যাথির দাম নাকি ৮ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা! ইলন মাস্ক অবশ্য এখনও প্রাইসট্যাগ লাগাননি। কিন্তু তাঁর সংস্থার যুগান্তকারী আবিষ্কার নিউরালিঙ্ক বা এনওয়ান চিপ মস্তিষ্কে বসাতে এতটাই খরচ হতে পারে বলে সংবাদমাধ্যমের দাবি। সঙ্গে রয়েছে আনুষঙ্গিক বিমা, ৩৩ লক্ষ ২৪ হাজার টাকার। বিশদ

26th  May, 2024
এসো কালবৈশাখী

বৈশাখ শেষের তামাটে বিকেলেই ধেয়ে আসে সর্বনাশী মেঘ। সব লন্ডভন্ড করে দেওয়া সেই ঝড়ের স্মৃতি ও একটুকরো ইতিহাস লিখলেন কৌশিক মজুমদার বিশদ

19th  May, 2024
সেকালের কলকাতার ঝড়বৃষ্টি

‘মনে হচ্ছে দুনিয়া ভাসিয়ে দেবার জন্য স্বর্গের জানলাগুলো খুলে গেছে। ভয়ানক বাজ আর তীব্র বিদ্যুৎ। ইউরোপে এমন বাজের আওয়াজ কোনওদিন শুনিনি। সেখানে বৃষ্টি মানে নেহাত আনন্দ। ঝড় আর বাজের এমন রূপ কেউ চিন্তাও করতে পারে না!’ লিখেছিলেন ফ্যানি পার্কস। বিশদ

19th  May, 2024
রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দের সংগ্রাম
পূর্বা সেনগুপ্ত

বুদ্ধের সেবা আর খ্রিস্টান মিশনারীদের সেবা—দুই সঙ্ঘবদ্ধ সন্ন্যাসীদের অভিজ্ঞতা মিশিয়ে স্থাপিত হয় রামকৃষ্ণ মিশন। বিশদ

12th  May, 2024
বরানগর মঠ: প্রতিষ্ঠা কাহিনি

শ্রীরামকৃষ্ণের দেহাবসানের ১৫ দিনের মাথায় ছেড়ে আসতে হয়েছিল কাশীপুর উদ্যানবাটী। সারদা দেবী গৃহীভক্ত বলরাম বসুর পরিবারের সঙ্গে তীর্থে চললেন। গুরুভাইদের নিয়ে পথে নেমে এসেছিলেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত। সব ছেড়ে নবীন সন্ন্যাসীদের মঠে যাওয়ার ডাক দিতেন। বিশদ

12th  May, 2024
একনজরে
রাজ্য বা জাতীয় সড়ক দীর্ঘ যাত্রাপথ। এই লম্বা রাস্তায় শৌচালয়ের কোনও ব্যবস্থা ছিল না আগে। সরকারে আসার পর রাস্তার ধারে পথসাথী থেকে শুরু করে শৌচাগার তৈরি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবে এখানে নাকাল হতে হচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। ...

পুরাতন মালদহের নালাগোলা রাজ্য সড়কের মুচিয়ার আদমপুরে বেসরকারি বাস এবং টোটো চালকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে। লাঠি এবং রড নিয়ে মারামারিতে দু’পক্ষের কয়েকজন জখম হয়েছেন বলে ...

শনিবার অসমে বন্যা পরিস্থিতির সামান্য হলেও উন্নতি হয়েছে। রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টি থেমেছে। এজন্য পরিস্থিতি কিছুটা শুধরেছে। আপাতত রাজ্যের ১৯টি জেলা বন্যা কবলিত।  তবে ...

আগামী ৪ জুলাই ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় কনজারভেটিভ পার্টির পতনের ইঙ্গিত স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, সব ঠিকঠাক থাকলে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫১৯ - ব্রিটেনে দাসপ্রথা বাতিল
১৫৫৫ - হুমায়ুন সিন্ধু নদী পার হয়ে লাহোর দখল করে নেন এবং সিকান্দর সুরিকে দিল্লীর সিংহাসন থেকে উৎখাত করেন
১৫৫৫- সিরহিন্দ যুদ্ধে জয়লাভের পর হুমায়ুনকে সম্রাট আকবরের উত্তরাধিকার ঘোষণা
১৬৩৩- ‘পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে ’- এই অভিমতের জন্য গ্যালিলিও গ্যালিলির বিচার শুরু
১৮১৪- লন্ডনে লর্ডসের ক্রিকেট মাঠে প্রথম ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়
১৯০৪ - আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন (ফিফা)-এর জন্ম
১৯৩৯- সুভাষচন্দ্র বসু জাতীয় কংগ্রেস ত্যাগ করে ফরোয়ার্ড ব্লক প্রতিষ্ঠা করেন
১৯৮৬ - বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিখ্যাত ‘হ্যান্ড অফ গড’  গোলটি করেন  দিয়েগো মারাদোনা। ম্যাচটিতে আর্জেন্তিনা ২-১ গোলে জয়লাভ করে
১৮৮৯- কবি কালীদাস রায়ের জন্ম
১৮৯৮- লেখক এরিখ মরিয়া রেমার্কের জন্ম
১৯০০- বিপ্লবী গণেশ ঘোষের জন্ম
১৯০৪- আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশনের (ফিফা) জন্ম
১৯২২- সঙ্গীত পরিচালক, আবহসঙ্গীত পরিচালক ও যন্ত্র সঙ্গীত শিল্পী ভি বালসারার জন্ম
১৯৩২- অভিনেতা অমরীশ পুরীর জন্ম
১৯৪১- অভিনেতা স্বরূপ দত্ত-র জন্ম
১৯৪৮ - পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত ভারতীয় সন্তুরবাদক পণ্ডিত ভজন সোপরির জন্ম
১৯৫৯- অভিনেতা তুলসী লাহিড়ীর মৃত্যু
১৯৬৪- মার্কিন লেখক ড্যান ব্রাউনের জন্ম
১৯৭৬ - সংস্কৃত-তন্ত্র পণ্ডিত ও দার্শনিক গোপীনাথ কবিরাজের মৃত্যু
১৯৮৬- বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিখ্যাত ‘হ্যান্ড অফ গড‘ গোলটি করেন  মারাদোনা, ম্যাচটিতে আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে জয়লাভ করে
২০২০ - বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানী অমলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু  

22nd  June, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭৭ টাকা ৮৪.৫১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.১৬ টাকা ১০৭.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৮.০৭ টাকা ৯১.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
22nd  June, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  June, 2024

দিন পঞ্জিকা

৮ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪। প্রতিপদ ০/৪৩ প্রাতঃ ৫/১৪ পরে দ্বিতীয়া ৫৬/১৫ রাত্রি ৩/২৭। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ৩০/১৮ অপরাহ্ন ৫/৪। সূর্যোদয় ৪/৫৭/৮, সূর্যাস্ত ৬/২০/১৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৪ গতে ৯/২৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫ গতে ২/৪৫ মধ্যে রাত্রি ৭/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১০/৩৫ গতে ১২/৪৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩২ গতে ৫/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৮ গতে ১/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/১৯ মধ্যে। 
৮ আষাঢ়, ১৪৩১, রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪। প্রতিপদ প্রাতঃ ৫/৪৬ পরে দ্বিতীয়া শেষরাত্রি ৪/৩৩। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/২৫। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৮ গতে ৯/২৮ মধ্যে ও ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৮ গতে ১২/৪৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৯ গতে ১/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/১৭ মধ্যে।
১৬ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি-২০ বিশ্বকাপ: আমেরিকাকে ১০ উইকেটে হারাল ইংল্যান্ড

10:39:35 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: ইংল্যান্ডকে ১১৬ রানের টার্গেট দিল আমেরিকা, ক্রিস জর্ডনের হ্যাট্রিক

09:41:12 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: আমেরিকার বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত ইংল্যান্ডের

07:39:01 PM

ফের ছেলেধরা গুজব দেগঙ্গায়!
ফের ছেলেধরা গুজব! পাশাপাশি ছড়িয়েছে পাচারের গুজবও। তাকে ঘিরেই চাঞ্চল্য ...বিশদ

04:49:00 PM

মহারাষ্ট্রের ইয়াবত গ্রামে পথ দুর্ঘটনায় জখম ২০-২৫ জন বাসযাত্রী

03:55:18 PM

আমহার্স্ট স্ট্রিটে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুনের চেষ্টা, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত স্বামী পাপ্পু দাস

03:48:46 PM