Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

লকডাউনের দিনগুলি
ডাঃ শ্যামল চক্রবর্তী

মুখ্যমন্ত্রী দাঁড়িয়ে আছেন গাইনি বাড়ির উল্টোদিকে কার্ডিওলজি বিল্ডিংয়ের সামনে। পাশে পুলিস কমিশনার। খবর পেয়ে দ্রুত ওখানে চলে এলেন হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট ও ডেপুটি সুপার। মিটার দেড়েক দূরত্ব, করজোড়ে মুখ্যমন্ত্রী... ‘খুব ভালো কাজ করছেন আপনারা। চালিয়ে যান। পাশে আছি।’ সিপি অনুজ শর্মা কলকাতা পুলিসের গাড়ি থেকে কয়েকটা মাস্কের বাক্স তুলে দিলেন আমাদের স্টোর কিপারদের হাতে।
—‘ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বাস আসছে। হোটেল গেস্ট হাউসও ঠিক করা আছে। ওঁদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা আমাদের। একটু দেখে নেবেন, ওদের যেন কোনো সমস্যা না হয়।’
—‘অবশ্যই দেখব ম্যাডাম, আপনি সুস্থ থাকুন।’
—‘আপনারা সুস্থ থাকলেই আমরা ভালো থাকব। সবাই খুব সাবধানে কাজ করুন।’
দ্রুতলয়ে হেঁটে গাড়িতে উঠে এনআরএস হাসপাতালের দিকে রওনা হলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সবে শুরু হয়েছে লকডাউন। অনেকেই বিভ্রান্ত। বাড়ি ফিরব কীভাবে, সব ক্যান্টিন প্রায় বন্ধ, বন্ধ হোম সার্ভিস... খাব কোথায়? মুখ্যমন্ত্রী এসে উদ্বুদ্ধ করে যেতেই বোঝা গেল, লড়াইটা কঠিন। তবু জিততেই হবে আমাদের। গেস্ট হাউস, বাসরুট ঠিক করলেন ডেপুটি সুপার। পুরোদমে চালু হয়ে গেল ফিভার ক্লিনিক। ওয়ার্ডগুলোতে সন্দেহজনক কোভিড রোগীদের জন্য চালু হল আইসোলেশন ওয়ার্ড। মাস্ক, পিপিই কিটের অভাব অনেকটাই মিটে গেল।
জীবন বাজি রেখে লড়ে যাচ্ছি আমরা। সুপার, ডেপুটি বাড়ি ফিরছেন মধ্যরাতে। ওদিকে ইতালি, ইংল্যান্ড থেকে এসে পৌঁছচ্ছে একের পর এক ডাক্তারের মৃত্যুর খবর। একদিকে জনগণ তালি বাজিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। অন্যদিকে, ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়িছাড়া হচ্ছেন! একদিকে কুর্নিশ , অন্যত্র বাড়িতে ঢোকামাত্র সবাই যেন ভূত দেখছে, দৌড়ে পালাচ্ছে! এত কাজের চাপ, যখন তখন আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা, রাতে বাড়ি ফিরে মনে চোরা ভয়, কখন কে বলে বসে... আপনি আর এই আবাসনে না ফিরলেই ভালো!
চেন্নাইয়ে কোভিডে মৃত চিকিসকের শববাহী গাড়ি তাড়া করছে উন্মত্ত জনতা, কোনওরকমে প্রাণ হাতে করে দেহ কবর দিচ্ছেন সঙ্গী ডাক্তার। শেষকৃত্যে থাকতে পারলেন না চিকিৎসকের বাড়ির লোকজন। অসহ্য লাগত, দম বন্ধ হয়ে আসত আমাদের, মনে হতো, এই আমাদের জন্মভূমি? এ দেশেই আমাদের জন্য দিয়া জ্বালান কোটি কোটি ভারতবাসী! এখন কোভিডে আমি মরে গেলে স্ত্রী-পুত্র-কন্যাও থাকতে পারবে না শেষ দেখাটুকু দেখতে! মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়, তীব্র বিষাদে জুড়োতে চায় না চোখ, এ কোন পেশায় এলাম? জানপ্রাণ দিয়ে করোনার সঙ্গে লড়ে যাওয়া আমাদের ছেলেমেয়েদের জন্য কী ভবিতব্য অপেক্ষায় আছে! জুনিয়র ডাক্তাররা সন্তানসম, ওদের জন্য বুক ভেঙে যায়।
কেউ হাসি না আর, ক্যাপমাস্কের আড়ালে শুধু যোদ্ধার জোড়া জোড়া চোখ। কাজের ফাঁকে আড্ডা কবে চুকেবুকে গেছে। সকাল থেকে রাত, শুধু রোগী দেখা আর অপেরেশন। জ্বর হয়েছে রোগীর? শ্বাসকষ্ট আছে? বাইরে থেকে এসেছেন? বাইরের দেশ থেকে কেউ এসেছে বাড়িতে? রুটিন প্রশ্ন করতে শিখছি সবাই। ভুল হলেই বিপন্ন হব। পড়াশোনা করতে হচ্ছে, জেনে নিতে হচ্ছে গাইডলাইন। সাবধান হতে হচ্ছে রোগী দেখায়, অপারেশন টেবিলে। আলাদা ওটি হচ্ছে আইসোলেশন ওয়ার্ডে। জুনিয়ররা বাঁচাতে চাইছে আমাদের... ‘আপনি সাবধান স্যার, আমি নামছি ওটিতে’, নন্দিনীর কথা শুনে মনে হয়, এখনও সব আলো যায়নি নিভে।
দিনগুলো মেঘাচ্ছন্ন তবু, মৃত্যুর খবর দিচ্ছে। একের পর এক ডাক্তার, সিস্টার, স্বাস্থ্যকর্মী চলে যাচ্ছেন কোয়ারেন্টাইনে। চারদিক থেকে আসছে ডাক্তারদের আক্রান্ত হওয়ার খবর। না, ভয় পাইনি আমরা... এতটুকু না। যখন যেমন দরকার, নিজেদের কাজ করে গিয়েছি। ওটিতে ফিরে আসছে রসিকতা। সিজারে সদ্যোজাতকে হাতে নিয়ে নাম দিচ্ছি লকডাউন সিং! পিপিই কিট পরা পিজিটি পৌলমীকে ডাকছি ‘ফ্রন্টলাইন’ বলে। মানুষ যে আজকাল আমাদের ‘ফ্রন্টলাইন ওয়ারিয়র’ নামে ডাকে!
প্রকৃতি আহ্লাদে আছে, গাছের সবুজ পাতায় পিছলে পড়া আলো। জারুল কৃষ্ণচূড়া রাধাচূড়া দেখে খুশির তুফান ওঠে প্রাণে। হাসপাতালের বাগানে মাদক কামিনীর ফুটফুটে সাদা পাপড়ি ঝরে পড়ে করতলে। কনকচাঁপার গন্ধে মনে পড়ে হারিয়ে যাওয়া মাকে। চড়াই, শালিক, টিয়া, দোয়েল, ঘুঘু, কাঠবিড়ালি লকডাউনের বন্ধু হয়ে যায়। পুলিসকে জানিয়ে সন্ধ্যায় চলে যাই নদীর কিনারে। দূষণহীন বাতাস, নিঃশব্দ পথ, গান গাইছে নদী। গঙ্গায় স্ফটিকস্বচ্ছ জল বহুযুগ বাদে। মনে হয় আঁজলা করে তুলে খাই। গঙ্গায় শুশুক নাকি আসছে আবার। নদীর পশ্চিম তীরে অপার্থিব সূর্যাস্ত ওই। রঙের উৎসব দেখে হারিয়ে যায় মনখারাপের চিঠি।
লকডাউন কত কী শিখিয়ে দিয়ে যায়! উর্দির আড়ালের পুলিসকে চেনা হল নতুন করে। দেখলাম পুলিসের এতকাল লুকিয়ে থাকা মানবিক মুখ। দেখলাম, আমাদের চাঙ্গা রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন ওরা। হয়তো ডাক্তার আর পুলিস খেটেছে, মানুষের দুঃখ দেখেছে সবচাইতে বেশি। দু’জনেই সমব্যথী তাই। নতুন করে চিনছি আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মীদের। মানুষ ভয়ে কাঁপছে ঠকঠক করে। ওঁদের মাইনে কম, তবু দায়িত্ব নিয়ে করে যাচ্ছেন কাজ। মেন বিল্ডিংয়ের এক লিফটম্যানের কোভিড ইনফেকশন হল, ভর্তি হলেন আইডি হাসপাতালে। তবু কাজ করে গেলেন অন্য লিফটম্যানেরা।
একটা ভাইরাস এসে কেড়ে নিল কত কত মানুষের কাজ। কত মানুষ কাল কী খাবেন, ভেবে হলেন নিদ্রাহারা। বাস নেই, নেই ট্রেন, অটো। রোগীর বাড়ির লোক হাসপাতালে রাত কাটাবেন ভুখা পেটে? এগিয়ে এল পাড়ার ছেলেদের দল। সাধ্য মতো খাবার দিল দু’বেলা ওদের। হাজার হাজার বেসরকারি সংস্থা রাজ্যজুড়ে, দেশজুড়ে নিরন্ন অভুক্ত মানুষকে জোগাল রেশন, দু’বেলার খাবার। যাদবপুর আর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জোট বেঁধে আজও কলকাতা ও কলকাতার বাইরে প্রত্যন্ত জেলায় একটানা চালিয়ে যাচ্ছে কমিউনিটি কিচেন। মন্মথর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল লকডাউন, আরও কত তরুণের সঙ্গে। মাঠে, গাছতলায়, পাড়ার পার্কে উনান জ্বালিয়ে খাবার রান্না করছেন যাঁরা, নিরন্নকে জোগাচ্ছেন অন্ন, তাঁদের দিকে তাকাতেই সব বিষাদ কেটে গিয়েছে গত ষাট দিনে।
তবু বুক ভেঙে যায়। লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক হেঁটে চলেছে নিরন্তর। টাকা নেই, খাদ্য নেই, নেই যানবাহন। নো পলিটিক্স প্লিজ! তত্ত্ব ভুলতে শেখাল লকডাউন। ডাক্তার হলেও নাগরিক তো বটে! প্রশ্নটা কুড়ে খায়, বলার সময় এসেছে। দেশজুড়ে লকডাউন শুরু করতে এত তাড়াহুড়ো কেন? কয়েকটা দিন সময় নিয়ে, পরিকল্পনা করে সবাইকে ঘরে ফিরিয়ে দুয়ার আটকানো যেত না কি?
শরীরের দক্ষ মিস্ত্রি আমরা, জানি ছোঁয়াচে রোগ, ভাইরাস, সংসর্গ এড়িয়ে চলার বিধি ব্যাকরণ। লকডাউন অবশ্য দরকারি, একমাত্র পথ কিন্তু নয়। রাতারাতি সব বন্ধ করে দেওয়া মানে সমাজে গভীর ক্ষত। হয় তুক, নয় তাক করে কোভিডের রোগী হয়তো কমে, ঢাকা যায় না দেশে জনস্বাস্থ্যের গভীর বিবর।
তবু বাজারই শেষ কথা নয়, শেষ কথা বলে না যুদ্ধবিমান-মিসাইল-সাবমেরিন। শেষ কথা ভালোবাসা, আরোগ্যের রাষ্ট্রীয় আশ্বাস। শেষ কথা কর্মহীনতার প্রতিষেধক বটিকা। স্বাস্থ্য মানে শুধু রোগের চিকিৎসা নয়, স্বাস্থ্যের জন্য চাই গরিবের, প্রান্তিক মানুষের সুষম আহার। দায় শুধু স্বেচ্ছাসেবীদের? নাকি রাষ্ট্রেরও?
আত্মঘাতী বাঙালির দ্বিচারিতার কোনও শেষ হয়তো নেই। লকডাউন তবু প্রশ্ন রেখে যায়...।
 লেখক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক
24th  May, 2020
করোনা কক্ষের ডায়েরি
ডাঃ চন্দ্রাশিস চক্রবর্তী

 গত ১০০ বছরে পৃথিবী এরকম মহামারী দেখেনি। শহরের প্রায় সমস্ত বড় হাসপাতালে এখন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি। ফলে আউটডোর চলছে গুটিকয়েক রোগী নিয়ে, হাসপাতালের ক্যান্টিন বন্ধ, ভিতরের রাস্তাগুলো ফাঁকা, বাইরে গাড়ির লাইন নেই…।
বিশদ

24th  May, 2020
এয়ারলিফট 
সমৃদ্ধ দত্ত

একটা স্তব্ধতা তৈরি হল ঘরে। সন্ধ্যা হয়েছে অনেকক্ষণ। এখন আর বেশি কর্মী নেই। অনেকেই বাড়ি চলে গিয়েছেন। তবু কিছু লাস্ট মিনিট আপডেট করার থাকে। তাই কয়েকজন এখনও রয়েছেন অফিসে। তাঁদেরও ফিরতে হবে।  
বিশদ

17th  May, 2020
রবির মানিক 

শ্রীকান্ত আচার্য: অতীতে কলকাতায় বরাবরই ঠাকুর পরিবার এবং রায়চৌধুরী পরিবার, সব দিক থেকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ ছিল। তা সে জ্ঞানের পরিধি বলুন বা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল—সব ক্ষেত্রেই এই দুই পরিবার উন্নত করেছে বাংলাকে। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর জন্ম ১৮৬৩ সালে।  
বিশদ

10th  May, 2020
অনুরাগের রবি ঠাকুর 

সন্দীপ রায়: বাবার কলাভবনে ভর্তি হওয়া থেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে সংযোগটা একরকম তৈরি হয়ে গিয়েছিল। যদিও আপনারা জানবেন, শৈশবে ওঁর মোটেই শান্তিনিকেতন যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না। তবে হ্যাঁ, সেখানে গিয়ে কিন্তু তাঁর অবশ্যই মন পরিবর্তন হয়েছিল। 
বিশদ

10th  May, 2020
‘ছবিটা ভাই ভালো হয়েছে। তবে
চলবে কি না, বলতে পারছি না!’ 

প্রশ্ন: ‘চারুলতা’-র জন্য নিজেকে কীভাবে তৈরি করেছিলেন?
মাধবী: ছ’বছর বয়স থেকে কাজ করা শুরু করেছিলাম। তারপর নানা পথ পেরিয়ে প্রেমেন্দ্র মিত্রের সঙ্গে কাজ। ‘সাহসিকা’ বলে একটি ছবিতে হিরোইনের ছেলেবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। 
বিশদ

10th  May, 2020
বন্ধু আমার...
দীপ্তি নাভাল

আমি হতবাক: আমি বাকরুদ্ধ। চিন্টুর চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। তবে অসুস্থতার খবর আগেই পেয়েছিলাম। চিন্টুর মৃত্যুর আগের দিন ইরফানের খবরটা পাই। তখনই মানসিকভাবে বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম। এর পরপরই খবর আসে যে চিন্টু অসুস্থ। বিশদ

03rd  May, 2020
তোমার স্মৃতিতে...
অমিতাভ বচ্চন

দেওনার কটেজে প্রথম দেখেছিলাম চিন্টুকে। প্রচণ্ড হাসিখুশি, প্রাণবন্ত এক তরুণ। দু’চোখ ভরা দুষ্টুমি। দিনটা আমার কাছে সত্যি বিরল। কারণ, রাজ জি’র বাড়িতে আমন্ত্রণ পাওয়ার মতো সৌভাগ্য আমার তখন খুব একটা হতো না। তারপর থেকে আরও বেশি করে দেখতাম ওকে... আর কে স্টুডিওয়। 
বিশদ

03rd  May, 2020
বিদায়
তিগমাংশু ধুলিয়া

দীর্ঘ ৩৪ বছরের বন্ধুত্ব তাঁদের। ইরফান খানের সঙ্গে জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক-অভিনেতা তিগমাংশু ধুলিয়ার পথ চলা শুরু ‘ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা’ র আঙিনা থেকে। এরপর তিগমাংশুর পরিচালনায় হাসিল, চরস, পান সিং তোমার, সাহেব বিবি অউর গ্যাংস্টার রিটার্নস ছাড়া একাধিক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে কাজ করেছেন ইরফান।
বিশদ

03rd  May, 2020
প রি বা র...
সুতপা, বাবিল, অয়ন
সুতপা শিকদার

 পরিবারের পক্ষ থেকে লিখতে বসে একটাই প্রশ্ন বারবার মনে আসছে... কী করে লিখব? এটা কি শুধু আমার পরিবারের ক্ষতি? গোটা দুনিয়াকে দেখছি... সবাই যেন পাথর হয়ে গিয়েছে ও চলে যাওয়ার পর। বিশদ

03rd  May, 2020
অক্ষয় হোক এই তৃতীয়া!
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

 ভারতবর্ষ সেই দেশ, যে দেশের মানুষ সৃষ্টির আদিতে শুনেছিল স্রষ্টার কণ্ঠস্বর—তোমরা সবাই অমৃতের পুত্র। গড়ে উঠেছিল অপূর্ব এক শান্ত সভ্যতা। পেয়েছিল একটি ধর্ম, যার মূল কথা ছিল জীবনের চারটি স্তম্ভ— ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ।
বিশদ

26th  April, 2020
কেমন যাবে ১৪২৭
শ্রীশাণ্ডিল্য

  ১৪২৭ সালের সূচনাকালে রাশিচক্রে নবগ্রহের অবস্থান— রবি মেষে, শুক্র বৃষে, রাহু মিথুনে, চন্দ্র ও কেতু ধনুতে, মকরে বৃহস্পতি, শনি, মঙ্গল ও মীনে বুধ। তিথি— কৃষ্ণ সপ্তমী, শিবযোগ,ববকরণ পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র। মেষ থেকে লগ্ন আরম্ভ। বারোটি রাশির নতুন বছরের ভাগ্যবিচার। তাই ‘অন্নগতপ্রাণ’ মানুষের আর্থ-সামাজিক, পারিবারিক ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বকেই প্রাধান্য দেওয়া হল।
বিশদ

19th  April, 2020
 টি ২০ নয়,
এটা টেস্ট ম্যাচ

পিজি হাসপাতালের লিভার সংক্রান্ত বিদ্যা হেপাটোলজি’র অধ্যাপক। পূর্ব ভারতের সরকারিভাবে লিভার ট্রান্সপ্লান্টেশনের অন্যতম উদ্যোগী মানুষ। পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় তৈরি রাজ্যের একাধিক শীর্ষ কমিটির সদস্য, কো-অর্ডিনেটর। একইসঙ্গে অনেকগুলি দায়িত্ব পালন করছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী। সাক্ষাৎকারে বিশ্বজিৎ দাস।
বিশদ

12th  April, 2020
সামাজিক দূরত্বই ওষুধ
ডাঃ দেবী শেঠি
বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ

 ১৯১৮ সালে আমেরিকায় আঘাত হানল ভয়ঙ্কর স্প্যানিশ ফ্লু। ফিলাডেলফিয়া প্রদেশে প্রাণহানি হল হাজার হাজার মানুষের। অথচ, ওই একই মহামারীর প্রকোপে সেন্ট লুইস শহরে প্রাণহানি ঘটল ফিলাডেলফিয়ার তুলনায় অর্ধেক! কারণ ভয়ঙ্কর মহামারীর ওই আতঙ্কের আবহেও, ফিলাডেলফিয়ায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমর্থনে আয়োজিত হয়েছিল বিরাট জন সমাবেশের। বিশদ

12th  April, 2020
 দিল্লির প্রথম আক্রান্ত

 সৌম্য নিয়োগী: রোহিত দত্ত। ৪৫ বছরের এই ব্যবসায়ীই রাজধানী দিল্লির রাতের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছিলেন। ইতালি থেকে ফিরেছিলেন সংক্রমণ নিয়ে। ফিরে এসে ছেলের জন্মদিনে দিল্লির বিলাসবহুল হোটেলে পার্টি করেছেন। তারপর সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
বিশদ

12th  April, 2020
একনজরে
 নিউ ইয়র্ক, ২৭ মে: আবার মুখোমুখি মাইক টাইসন ও ইভান্ডার হোলিফিল্ড। চ্যারিটি লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার জন্য প্রাক্তন দুই হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন অবসর ভেঙে রিংয়ে ফিরছেন। এই লড়াইয়ের দিন ঠিক হয়েছে ২৬ জুন। উল্লেখ্য, হোলিফিল্ডের বয়স এখন ৫৮ বছর। তাঁর থেকে ...

সংবাদদাতা, গাজোল, রতুয়া ও পতিরাম: জামাইষষ্ঠীতে মালদহের বাজারগুলিতে পোল্ট্রির মাংসের দাম বাড়ল প্রায় দ্বিগুণ। দু’এক সপ্তাহ আগেও ইংলিশবাজার ও পুরাতন মালদহ শহরের বাজারগুলিতে পোল্ট্রির মুরগীর ...

  নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিক, তীর্থ যাত্রী বা চিকিৎসার কাজে বাইরে যাওয়া মানুষজনকে নিয়ে একের পর এক ট্রেন আসছে হাওড়া স্টেশনে। প্রায় প্রতিদিনই কমপক্ষে একটি ট্রেন তো ঢুকছেই হাওড়ায়। ...

জয়পুর, ২৭ মে: দেশে করোনার সংক্রমণের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে পঙ্গপালের হানা। ইতিমধ্যে পশ্চিমের রাজ্যগুলিতে হানা দিতে শুরু করেছে পঙ্গপালের ঝাঁক। লকডাউনের মধ্যে নয়া ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৪২ - লন্ডনে প্রথম ইনডোর সুইমিংপুল চালু
১৮৮৩- স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনায়ক দামোদর সাভারকারের জন্ম
১৯২৩- রাজনীতিক ও তেলুগু দেশম পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এনটি রামা রাওয়ের জন্ম
২০১০- পশ্চিমবঙ্গে জ্ঞানশ্বেরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় অন্তত ১৪১জনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৮৯ টাকা ৭৬.৬১ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮৮ টাকা ৯৪.১২ টাকা
ইউরো ৮১.২৯ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৮ মে ২০২০, বৃহস্পতিবার, ষষ্ঠী ৪৬/১৯ রাত্রি ১১/২৮। পুষ্যা নক্ষত্র ৬/১৬ দিবা ৭/২৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬/১৭, সূর্যাস্ত ৬/১১/২০। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৩ গতে ৯/২ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৫ গতে ২/৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৩০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৫২ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৪ মধ্যে।
১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৮ মে ২০২০, বৃহস্পতিবার, ষষ্ঠী রাত্রি ৮/৫৩। পুষ্যানক্ষত্র প্রাতঃ ৫/৩৫ পরে অশ্লেষানক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৪৫। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪০ গতে ৬/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২ গতে ৯/১০ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ২/৬ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। কালবেলা ২/৫৪ গতে ৬/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৫ গতে ১২/৫৫ মধ্যে।
৪ শওয়াল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
১৭৪২ - লন্ডনে প্রথম ইনডোর সুইমিংপুল চালু১৮৮৩- স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনায়ক ...বিশদ

07:03:20 PM

লকডাউন নিয়ে মতামত জানতে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ 

10:24:41 PM

গুজরাতে করোনায় আক্রান্ত আরও ৩৬৭ জন, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫,৫৭২ 

09:18:00 PM

মহারাষ্ট্রে করোনা পজিটিভ আরও ২,৫৯৮ জন, মোট আক্রান্ত ৫৯,৫৪৬ 

08:49:48 PM

১৭ জুন শুরু হচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

08:41:00 PM

উম-পুন: সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি ফিরহাদ হাকিমের 
উম-পুন উত্তর কলকাতায় দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ ...বিশদ

07:33:14 PM