উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দিনটি শুভ। কর্মস্থলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। আর্থিক দিক অপেক্ষাকৃত শুভ। ... বিশদ
অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন রোবট আবার হেসে উঠবে কী করে! এবার সেই কাজটিই করে দেখালেন টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এতদিন রোবটদের সংসারে কাজে দক্ষ, অসীম মেধার অধিকারী, তৎপর ও ১০০ জন মানুষের কাজ একাই নিমেষে করতে পারে এমন এআই প্রযুক্তির নানা রোবট ছিল। কিন্তু মানুষের সঙ্গে তাদের তফাত একটাই। তাদের শুধুই শরীর। মন নেই। তাই হাসি-কান্না-রাগ-অভিমান কিছুই নেই। নেই বিশ্রাম চাওয়ার মতো স্বভাবও। তারা ক্লান্ত বা স্ট্রেসড হয় না। কিন্তু অনুভূতি না থাকায় অভিব্যক্তি প্রকাশে তারা অপারগ। এবার রোবটদের জগতকে আর একধাপ এগিয়ে দিলেন জাপানের এই গবেষকদল। গবেষকদের প্রধান শোজি তাকেউচি জানিয়েছেন, ‘রোবটও যাতে হাসতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা অবিচল ছিলাম। মানুষের মুখের মতোই দেখতে একটি মুখের অবয়ব দেওয়া হয় এই রোবটকে। মানুষের ত্বকে থাকে এমন ‘ভি আকারের ছিদ্রযুক্ত সারফেস মেটেরিয়াল দিয়ে বানানো হয়েছে এর ত্বক। জীবন্ত ত্বকের টিস্যু ও লিগামেন্টকে প্রযুক্তিগতভাবে বসানো হয়েছে সেখানে। মানুষের ত্বকের মতোই এতে পুরু এপিডার্মিস স্তর দেওয়া হয়েছে। মানুষের ত্বকের মতোই কুঞ্চন ও বলিরেখা আনারও চেষ্টা করা হয়েছে। যাতে মানুষের পেশির মতই প্রসারিত ও সঙ্কুচিত হতে পারে এই রোবটের মুখ।’ সেল রিপোর্টস ফিজিক্যাল সায়েন্স’ নামক এক জার্নালে প্রকাশিত এই খবরে গবেষকদলের দাবি, এই প্রক্রিয়া বিশ্বজনীনভাবে সফল হলে ভবিষ্যতে প্রসাধনী ও প্লাস্টিক সার্জারিতেও এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। রোবোটিক কঙ্কালের উপর ত্বকের কৃত্রিম কোলাজেন স্তর তৈরি করে মোশন অ্যাকুয়েটরের সাহয্যে নিয়ে তাকে হাসানো হয়েছে। ভবিষ্যতের ত্বকে সংবেদন তৈরি, ছিদ্র এমনকী ঘাম গ্রন্থি এবং চর্বিও যুক্ত করা হবে। তখন সেগুলি হয়তো অবিকল মানুষের মুখের আকার নেবে। তবে এই রোবটকে হাসাতে গেলে বাইরে থেকে তাপ, চাপ, স্পর্শের মতো কিছুটা বল প্রয়োগ করতে হবে। সেদিন খুব দূরে নয়, যখন আপনার প্রিয় রোবট বন্ধু আপনার সাহায্য পেলে হেসেও উঠতে পারে আপনাকে খুশি করতে!