সমস্যার সাগরে হাবুডুবু খেয়েও যাঁরা মাথা তুলে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে চেয়েছেন, দেবীপক্ষে রইল তাঁদেরই কথা।
ষাট বছর উদ্যাপন করতে একটু ভিন্ন ধরনের ভাবনায় সেজে উঠেছে ফার্ন পল্লির পুজো। প্রতিমা, মণ্ডপ সবই সাজাচ্ছেন ঝাড়খণ্ডের সোরাই উপজাতির মহিলারা।
কখনও তিনি মা। কখনও বা মেয়ে। দুগ্গাঠাকুর বছরে এই সময়টাই মর্তে আসেন বটে। কিন্তু বাঙালির ঘরে ঘরে বছরভর মা বা মেয়ে রূপে তাঁর বাস। মায়ের আরাধনায় গত বেশ কয়েক বছর ধরে মহিলা পুরোহিতদের কাজ অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ডঃ নন্দিনী ভৌমিকের নেতৃত্বে ‘শুভমস্তু’।
ঘুম জড়ানো হাতে রেডিওর নব ঘোরাতেই শোনা যায়, মহালয়া। নিমেষের মধ্যে ঘুম উধাও! দাঁত মেজে বসতে না বসতে শুরু হয়ে যায় মহালয়ার সেই বহু প্রতীক্ষিত আশ্বিনের শারদ প্রাতে জেগে উঠেছে আলোক মঞ্জীর...।
হুগলি জেলার অন্যতম মহিলা প্রতিমাশিল্পী, দেবীর চোখ যাঁর হাতে অপার্থিব হয়ে ওঠে। ষাটোর্ধ্ব মহিলা মৃৎশিল্পীর সংগ্রামের কাহিনি উঠে আসে পুজো ক্যানভাসে।
সাদা মেঘের ভেলা আর শিউলি ফুলের আদর জানান দিত মা আসছেন। লোহার জিনিস ধুয়ে মুছে সাফ করতেন বাড়ির বড়রা। বুঝতাম সামনেই বিশ্বকর্মা পুজো। ছোটদের মধ্যে শুরু হয়ে যেত ঘুড়ি বানানোর বিরাট আয়োজন।
পুজোর থিম প্যান্ডেল তৈরি করছেন শিল্পী ঝুনু দেবনাথ। কেমন সেই লড়াই?
চালচিত্রে ধরে রাখেন পটচিত্রের কাহিনি। রেবা পালের তুলিতে কীভাবে জীবন্ত হয়ে ওঠে ইতিহাস?
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু সমস্যা তো বাচ্চাদের আক্রমণ করেই। তাছাড়াও আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় এই প্রচণ্ড বৃষ্টি তো তারপরেই মারাত্মক গরম, এটাও রোজকার রুটিন। এর মধ্যে বাচ্চাকে কীভাবে ভালো রাখা যায়, তার পরামর্শ দিলেন ডাঃ সহেলি দাশগুপ্ত।
ঘরে-বাইরে ধারাবাহিকভাবে মানসিক নির্যাতন ও হেনস্তার শিকার হতে হয় মেয়েদের। হার না মেনে সামলে নেওয়ার উপায় জানালেন মনোবিদ অমিত চক্রবর্তী।
পারিবারিক সম্পত্তির বেচাকেনায় অর্থাগম। ব্যয় বৃদ্ধির চাপ আসতে পারে। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
পেরিয়ে গিয়েছে আড়াই শতাব্দী। তবু জৌলুস একবিন্দু কমেনি মধ্য কলকাতার তালতলা পাল বাড়ির সাবেকি দুর্গাপুজোর আড়ম্বরে। সম্প্রতি ৯৬বি, এসএন ব্যানার্জি রোডের এই পুজো পড়ল ২৫০ বছরে। ১৭৪২ সালে পাল পরিবারের পূর্বপুরুষ স্বর্গীয় নকুড়চন্দ্র পাল হুগলির পোলবা গ্রাম থেকে কুলদেবতা ‘শ্রী শ্রীধর জিউ’-কে কলকাতায় নিয়ে আসেন। তিনি ছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিখ্যাত ঠিকাদার। সেই ব্যবসার সূত্র ধরেই বিত্তের বৃদ্ধি হয়। নকুড়চন্দ্র পাল ১৭৮০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন দুর্গাদালান। শুরু হয় দুর্গা পুজো। পরে স্বর্গীয় রাইচরণ পাল ১৯২৩ সালে ধর্মীয় ট্রাস্ট গঠন করে এই পুজোর স্থায়িত্ব দান করেন। উল্লেখ্য, তালতলা এলাকায় রাইচরণ পালের বহু জনহিতকর কাজের নিদর্শন রয়েছে। দুঃস্থদের নিখরচায় পাঠনপাঠন ও চিকিত্সার জন্য দাতব্য চিকিত্সালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গোবরা এলাকায় রাইচরণ পালের নামাঙ্কিত একটি রাস্তাও রয়েছে। পাল পরিবারের বর্তমান উত্তরসূরিরা জানিয়েছেন, আশ্বিনের শুক্লা প্রতিপদে দশভুজার বোধন হয়। ডাকের সাজে সাজনো হয় একচালা প্রতিমাকে। তবে অস্ত্রশস্ত্র সবই রুপোর। অলঙ্কার সোনা-রুপোয় মেশানো। ১২-১৩ বছরের এক কুমারীকে মালা পরিয়ে, কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে দেবীমূর্তির পাশে বসিয়ে দেবীজ্ঞানে অর্চনা করা হয়। চারজন পুরোহিত পালবাড়ির পুজো সম্পন্ন করেন। একই বংশের পুরোহিত এই পুজো করে আসছেন। পুজো উপলক্ষ্যে ঠাকুরবাড়ির দালানে আগে হতো পালাকীর্তন। সেসব দিন আর নেই। পাল পরিবারের এক সদস্য জানালেন, পালা না হলেও পুজো উপলক্ষ্যে দেশ-বিদেশ থেকে আত্মীয়সমাগম হয়। পুজোয় অংশগ্রহণ করেন প্রতিবেশীরা। সকলেই পুজোর আনন্দ ভাগ করে নেন। সে পাওনাও বড় কম নয়।
