Bartaman Patrika
চারুপমা
 

রান্নাঘরের রবিঠাকুর 

পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়: নবনীতা দেবসেন তখন খুব ছোট। বাবা নরেন্দ্র দেব ও মা রাধারানি দেবী দু’জনেই ছিলেন সাহিত্যক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত । শরৎচন্দ্র তাঁদের স্নেহ করতেন, পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের ভালোবাসা। কবির আমন্ত্রণে শিশুকন্যা নবনীতাকে নিয়ে তাঁরা একবার গিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে। স্নেহময় রবীন্দ্রনাথ তাঁদের আগমনে বড়ই আনন্দিত হয়েছিলেন । করেছিলেন উত্তরায়ণে মধ্যাহ্নভোজনের নেমন্তন্ন।
খেতে বসে ছোট্ট নবনীতা খানিক আশাভঙ্গের বেদনায় বলে উঠেছিলেন, ‘এ আবার কী রকম নেমন্তন্ন খাওয়া? এ তো ভাত খাওয়া! পোলাও কই?’
মা-বাবা দু’জনেই মেয়ের কাণ্ড দেখে লজ্জায় বিব্রত, বিপন্ন। অদূরে ইজিচেয়ারে বসেছিলেন নবনীতার ‘কবিদাদু’। ছোট্ট ফুটফুটে মেয়েটির মুখে আধো উচ্চারণে ও-কথা শুনে বকা দেওয়া তো দূরের কথা, বরং সমর্থন করে বলেছিলেন, ‘সত্যিই তো, পোলাও কই?’
সামনেই ছিলেন কবির ‘মামণি’, পুত্রবধূ প্রতিমা। মামণি ‘বাবামশায়’-এর হাতের ইশারায় কাছে আসেন। কবি কানে কানে তাঁকে কী যেন বলেছিলেন! পুত্রবধূ একমুহূর্ত দেরি না করে দৌড় দিয়েছিলেন রান্নাঘরে। নবনীতার লেখায় আছে, ‘একটু পরেই কেবল আমার একলার জন্যে ভুরভুরে গন্ধে ভরা রঙিন পোলাও এল। আমিও খুব আনন্দ করে নেমন্তন্ন খেয়ে নিলুম।’
সেদিন রবীন্দ্রনাথ প্রতিমা দেবীর কানে কানে বলেছিলেন ’ইন্সট্যান্ট পোলাও রান্নার রেসিপি’। চটজলদি পোলাও বানানোর সেই রাবীন্দ্রিক-রেসিপি কী ছিল, তা রাধারানি দেবীরও কানে গিয়েছিল। রেসিপি-রহস্য পরবর্তীকালে তিনি জানিয়েছিলেন কন্যা নবনীতাকে। নবনীতা দেবসেন তাঁর স্মৃতিচর্চায় জানিয়েছিলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ তাঁর ছেলের বউ শ্রীমতী প্রতিমা দেবীকে শিখিয়ে দিয়েছিলেন কানে কানে। …..কমলালেবুর গোটা কয়েক কোয়ার পাতলা খোসাটি ছাড়িয়ে নিয়ে তার ভিতরের ছোট্টো ছোট্টো কমলা নরম কোষগুলি এক মুঠো ভাতের সঙ্গে মেখে তাতে ভালো ঘি, নুন, চিনি আর বাদাম, কিসমিস মিশিয়ে বেড়ে দাও। প্রতিমা দেবী তাই দিয়েছিলেন। আমি পরে আমার মেয়েদের করে দিয়ে দেখেছি সত্যি সত্যি পোলাওয়ের মতোই লাগে।’
পোলাও গরিবগুর্বো পেলে আহ্লাদে আটখানা হয়েই খাবে! অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে কবিকণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছিল, ‘আমি তোমাদেরই লোক’। বড়োলোকি-খাবার বানানোর রেসিপি যেমন জানতেন তিনি, তেমনই জানতেন গরিবজনের ‘সুলভ-খাদ্য’ সুস্বাদু করে তোলার রেসিপি ।
ছাতু সহজে পেট ভরানোর ক্ষেত্রে শুধু উত্তম নয়, অতুলনীয়ও বটে ! ভরপেটে ছাতু-গোলা বা ছাতু-মাখা খেয়ে কত মানুষই তো দিনযাপন করে! রবীন্দ্রনাথ ছাতু-মাখার যে কায়দাকানুন জানিয়েছিলেন, তা কতখানি গরিবগুর্বো সাধারণজনের আয়ত্তাধীন, সে-প্রশ্ন অবশ্য রয়েই যায়। গরিবের খাবারের এক রাজসিক-সংস্করণ রবীন্দ্রনাথের হস্ত-নৈপুণ্যে সম্ভব হয়েছিল, সে আখ্যান আমাদের জানিয়েছেন মৈত্রেয়ী দেবী। কবির পাহাড়বাসের এক মনোরম স্মৃতিকথা রচনা করেছিলেন তিনি। রবীন্দ্রনাথ মৈত্রেয়ীকে বলেছিলেন, ‘আচ্ছা, তোমরা ছাতু খাও না কেন? ছাতু জিনিসটি ভালো, আর তেমন করে মাখতে পারলে অতি উপাদেয় ব্যাপার হয়। এক সময়ে ভালো ছাতু মাখিয়ে বলে আমার নাম ছিল …..।’
‘ভালো ছাতু মাখিয়ে’ হিসেবে পরিবারজীবনে নামডাক হয়েছিল। ‘মেজদা’ সত্যেন্দ্রনাথ ছিলেন কবির হাতে মাখা ছাতুর পরম গুণগ্রাহী। সে কথা জানার পর রবীন্দ্রনাথকে দিয়ে মংপু-পাহাড়ে মৈত্রেয়ী-গৃহে শুরু হয়েছিল ছাতু মাখানোর প্রস্তুতি।
বিশ্বখ্যাত রবীন্দ্রনাথ ছাতু মেখে খাওয়াতে সম্মত, এ-সংবাদ সত্যিই তো বিস্ময়ের উদ্রেক করে! মৈত্রেয়ীর কাছে যা ছিল কষ্টকল্পিত, তা নিয়ে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের আগ্রহ-পোষণ, তৎপরতা, এসব ভাবতেও পারেননি তিনি।
রবীন্দ্রনাথ মৈত্রেয়ী দেবীকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। স্নেহকাতর কবি তাঁর ডাকে চারবার ছুটে গিয়েছিলেন মংপুতে। দার্শনিক সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্তের কন্যা মৈত্রেয়ীর সঙ্গে বিবাহ হয়েছিল বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. মনোমোহন সেনের। মনোমোহন কর্মসূত্রে সপরিবারে থাকতেন মংপুতে। যুক্ত ছিলেন ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক তৈরির কর্মকাণ্ডে।
কবি ছাতু মেখে খাওয়াবেন, এ তো আর চাট্টিখানি কথা নয়! তখুনি শুরু হয়েছিল ছাতুর খোঁজাখুঁজি। সিনকোনা থেকে কুইনিন তৈরির কাজে যুক্ত মনোমোহন সেন ও তাঁর স্ত্রী মৈত্রেয়ী দেবী সমস্ত প্রভাব খাটিয়ে, বিস্তর খোঁজাখুঁজি করেও শেষপর্যন্ত মংপুতে যবের ছাতু জোগাড় করতে পারেননি। শেষে যবের বদলে মুড়ির ছাতু। সে ছাতু যে বাড়িতেই তৈরি হয়েছিল, তা বলাই বাহুল্য। মৈত্রেয়ী লিখেছেন, ‘মারমালেড এল, গোল্ডেন সিরাপ এল, আদার রস, দুধ, কলা, মাখন প্রভৃতি যেখানে যা আছে সব ছাতুর উপর পড়তে লাগল, আর মাখা চলল আধঘণ্টা ধরে।’
কবির ছাতু-মাখা সবার অবশ্য ভালো লাগেনি। তা বুঝতে পেরে রবীন্দ্রনাথ আত্মপক্ষ সমর্থনের সুরে বলেছিলেন, ‘তোমাদের ছাতুর দোষ গো ছাতুর দোষ, তা না হলে ভালো না হয়েই যায় না! মেজদার টেবিলে সবাই তো উৎসুক হয়ে থাকতেন ….।’ পরে অবশ্য ‘যব ভাজিয়ে যাঁতায় গুঁড়ো’ করে আবার ওইভাবেই রবীন্দ্রনাথ ছাতু মেখেছিলেন।
পোলাওয়ের রেসিপি বলে দেওয়া বা অভিনব পদ্ধতিতে নিজের হাতে সুস্বাদু ছাতু-মাখা শুধু নয়, বিশ্ববন্দিত কবি এক সময়ে রান্নাঘরে গিয়ে রন্ধন-পটিয়সী স্ত্রীর পাশে মোড়া নিয়ে বসতেন। মৃণালিনী দেবীর রন্ধনকুশলতার জুড়ি ছিল না। তাঁর হাতের দইয়ের মালপো খেয়ে অভিভূত হয়েছিলেন নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ। কত কী তিনি বানাতেন রবীন্দ্রনাথের জন্য। কবির ভোজনরসিকতাকে স্বীকৃতি দিয়ে বানাতেন রকমারি মিষ্টিও। পত্নী-বিয়োগের পর একদিন ঘরে তৈরি মিষ্টি প্লেটে দিতেই কবি বলে উঠেছিলেন, ‘ঘরের মিষ্টি আর আমার দরকার নেই।’ বলাই বাহুল্য, স্ত্রীর মিষ্টি তৈরির কথা ভেবে সে-মুহূর্তে কবি বেদনাকাতর হয়ে পড়েছিলেন।
মৃণালিনী দেবীর দইয়ের মালপো শুধু নয়, চিঁড়ের পুলি ও পাকা আমের মিঠাইয়ের সুখ্যাতি ছিল। এমনকি শিঙাড়া-নিমকি-কচুরিও বানাতেন চমৎকার।
অভিধানকার হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন আশ্রম-শিক্ষক। দৈনন্দিন নানা ঘটনার সাক্ষী। তাঁর লেখা থেকে জানা যায়, রন্ধনদক্ষ স্ত্রীকে ‘সুদক্ষ’ করে তোলার ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের চেষ্টার ত্রটি ছিল না। হরিচরণ লিখেছেন, ‘…মোড়ায় বসিয়া তিনি নূতন রকমের রান্নার ফরমাশ করিতেন, মাল-মশলা দিয়া নূতন প্রণালীতে পত্নীকে রান্না শিখাইয়া শখ মিটাইতেন …।’
শখ মেটানোতেই সীমাবদ্ধ থাকেননি। রসিকতাও করছেন কবি। বলছেন, ‘দেখলে, তোমাদেরই কাজ, তোমাদের কেমন এই একটা শিখিয়ে দিলুম।’ কবির কথায় তাঁর রন্ধনকুশলতা নিয়ে অহমিকা গোপন থাকেনি। অনায়াসে কবিপত্নী পরিবেশটিকে সহজ করে দিয়েছেন। বলেছেন, ‘তোমাদের সঙ্গে পারবে কে ! জিতেই আছো সকলে।’
যে হাতে কলমই মানায়, সে হাতে রবীন্দ্রনাথ সানন্দে হাতা-খুন্তিও তুলে নিতেন। লেখার ক্ষেত্রে স্তব্ধ হয়ে কখনও থমকে দাঁড়াননি। নতুন, নতুনতর পথ অন্বেষণ করেছেন। চলেছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। কবির রন্ধনচর্চাও ছিল পরীক্ষা-নিরীক্ষাময়। নিজের মতো করে অভিনব ব্যঞ্জন উদ্ভাবন করেছেন। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘পত্নীর ন্যায় কবিরও নূতন নূতন খাদ্য আবিষ্কারের শখ ছিল নিতান্ত কম না।’
এই শখ আকস্মিক নয়, অনেক দিনের। রবীন্দ্রনাথ রন্ধনপ্রণালী লিখে রাখতেন একটি খাতায়, সে খাতা জমা থাকতো মৃণালিনী দেবীর কাছে। মৃণালিনী দেবীর কাছেৃ রক্ষিত খাতাটির আর খোঁজ মেলেনি। রবীন্দ্রনাথ শুধু জানতেন, খাতা হারানোর কথা। না, রবীন্দ্র-গবেষকরা কেউই পরবর্তীকালে সেই হারানো খাতার সন্ধান পাননি।
রবীন্দ্রনাথ জীবনের বেলা শেষে, মংপু বাসকালে ফিরে গিয়েছেন সুদূর অতীতে। মনে পড়েছে, এক সময় রান্নাতেও তিনি কুশলতার পরিচয় দিয়েছিলেন। দিনগুলি তখন নানা রঙের, আনন্দময়। সেই আনন্দস্মৃতিতে ডুব দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ফিরে পেয়েছিলেন হারানো অতীত। আচ্ছন্ন হয়েছেন স্মৃতিকাতরতায়। মনে পড়েছে মৃণালিনীর কথা, বউঠান জ্ঞানদানন্দিনীর কথা। রবীন্দ্রনাথ স্বহস্তে কত কিছু তৈরি করেছেন সেসময়। রান্না করে আনন্দ, খাইয়ে বরং বেশি আনন্দ। মৈত্রেয়ী দেবীর কাছে সেই আনন্দস্মৃতি উগড়ে দিয়ে কৌতুকচ্ছলে সাবধানবাণীও শুনিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। মৈত্রেয়ীকে বলেছেন, ‘তোমার অতিথিদের যদি একবার এ সবের স্বাদ দেখাও তাহলে আর তারা নড়তে চাইবে না।’
এমন লোভনীয় কী সেই ব্যঞ্জন! মাছের কচুরি ও জ্যামের প্যারাকী তাঁর হাতে কত সুস্বাদু হয়ে উঠতো সে কথা মৈত্রেয়ী দেবীকে জানাতে গিয়ে জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর প্রসঙ্গও এসেছে। রবীন্দ্রনাথ তাঁকে দিয়েও রকমারি ব্যঞ্জন প্রস্তুত করাতেন। মৈত্রেয়ীকে বলেওছিলেন, ‘আমি যখন মেজদার ওখানে ছিলুম তখন বৌঠাকরুনকে দিয়ে নানা রকম experiment করিয়েছি। ’
আসলে রান্নাকে ঘিরে রবীন্দ্রনাথের মনে এক ভিন্নতর ‘প্যাশন’ ছিল। তাই রান্না নিয়ে বিভিন্ন সময় রকমারি ‘এক্সপেরিমেণ্ট’ করেছেন। নিজে করেছেন, বউ ও বউঠানকে দিয়ে করিয়েছেন।
মজা করে গজা খাওয়ার স্মৃতি অনেকের মনেই জেগে আছে। মানকচুর জিলিপি বানানোর কথা কারও জানা আছে? হ্যাঁ, রবীন্দ্রনাথ মানকচুর জিলিপিও বানাতে পারতেন। পুত্র রথীন্দ্রনাথের লেখায় আছে সে সাক্ষ্য। তিনি লিখেছেন, ‘একদিন বাবা যখন মাকে মানকচুর জিলিপি করতে বললেন, মা হেসে খুব আপত্তি করলেন, কিন্তু তৈরি করে দেখেন এটাও উৎরে গেল। সাধারণ জিলিপির চেয়ে খেতে আরও ভালো হল। বাবার এই রকম নিত্য নূতন ফরমাশ চলত, মা-ও উৎসাহের সঙ্গে সেই মতো করতে চেষ্টা করতেন।’
শুধু জিলিপি নয়, তৈরি হতো রকমারি মিষ্টি। তৈরি হতো রবীন্দ্রনাথের রেসিপি মেনে। সে সব মিষ্টির নামকরণও করে দিতেন কবি। কবিপুত্রই জানিয়েছেন, ‘বাবার ফরমাশ মতো নানা রকম নতুন ধরণের মিষ্টি মাকে প্রায়ই তৈরি করতে হতো। সাধারণ গজার একটি নতুন সংস্করণ একবার তৈরি হল, তার নাম দেওয়া হল ‘পরিবন্ধ’। এটা খেতে ভালো, দেখতেও ভালো। তখনকার দিনে অনেক বাড়িতেই এটার বেশ চলন হয়ে গিয়েছিল।’
মৃণালিনীর সঙ্গে কবির সম্পর্ক-শীতলতা নিয়ে মনগড়া গল্পের শেষ নেই । মৃণালিনী দেবীর জীবনদীপ যেদিন নিভে যায়, সেদিন শোকমূহ্যমান কবি সারা রাত ছাদে পায়চারি করেছিলেন। এরপর আমিষ ত্যাগ করে কবি নিরামিষভোজী হয়ে উঠেছিলেন। অনেকদিন পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ আর মাছ-মাংস ছুঁতেন না। রান্নাঘর ঘিরে কবির যে আগ্রহ, তা ফিকে হয়ে যায়। নতুন, নতুনতর ব্যঞ্জন-প্রস্তুতি নিয়ে রবীন্দ্রনাথের ভাবনায় প্রায় ছেদ পড়ে। 
09th  May, 2020
মুখ ঢেকে যায় মাস্কে 

আপাতত করোনাভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই জীবনে চলতে হবে। নানা মহল থেকে এখন উঠে আসছে এই কথাটা। ভাইরাসের সঙ্গে যুঝতে সঙ্গে রাখতে হবে অস্ত্রও। মাস্ক তার মধ্যে অন্যতম। মুখ ঢেকে রাখার এই সংস্কৃতি কীভাবে বদলে দিচ্ছে আমাদের জীবনযাপন, লিখছেন অন্বেষা দত্ত। 
বিশদ

23rd  May, 2020
‘পুরনো জীবনটা
কেউ ফিরিয়ে দিক!’

প্রশ্ন: এই লম্বা সময়টা কাটছে কী করে, মাথা কীভাবে ঠান্ডা রাখছ?
নন্দিনী: মাথা ঠান্ডা রাখাটা সত্যি খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। চারদিক থেকে এত রকম চাপ! বাড়ি বসে অফিসের কাজ। তার মধ্যে আমাদের যাঁরা সব সময় সাহায্য করেন, সেই পরিচারিকারাও আসতে পারছেন না। তাই বাচ্চাকে দেখা, রান্নাবান্না... সবই তো করতে হচ্ছে মিলিয়ে মিশিয়ে।
বিশদ

16th  May, 2020
‘তিনজনে বেশ আনন্দেই আছি’

প্রশ্ন: লকডাউনে দিন কাটছে কীভাবে? মাথা কীভাবে ঠান্ডা রাখছ?
সৃজা: সকালটা কাজ আর এক্সারসাইজ করে কেটে যাচ্ছে। প্রথমে রান্না, অবন্তিকাকে (কন্যা) খাওয়ানো, স্নান করানো এই সব চলে। তার পরে ৪৫ মিনিট ধরে ওয়েট ট্রেনিং করি। দুপুরে খাওয়ার পরে মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে একটু ওয়েব সিরিজ দেখি। বিকেলে চা খেতে খেতে আমি আর অর্জুন আড্ডা দিই।
বিশদ

16th  May, 2020
সত্যেরে লও সহজে 

রবীন্দ্রনাথ নিজেও জানতেন সত্যকে সহজে মেনে নেওয়া কত কঠিন। যেমন এই মুহূর্তে হচ্ছে আমাদের। কবিগুরুর জন্মদিনে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি শুনশান, রবীন্দ্রসদনে কোনও সুরের মূর্ছনা নেই, কবিপক্ষ জুড়ে অনুষ্ঠানের আলো নেই - এ সত্য যেন অসহনীয়। তারই মাঝে আশার আলো জ্বালাল সোশ্যাল মিডিয়া। ইউ টিউব,ফেসবুক আর ওয়েব পেজ জুড়ে কীভাবে পালন করা হচ্ছে কবিগুরুর জন্মদিন, শিল্পীরা কে কী ভাবছেন তারই ঝলক রইল সোমা লাহিড়ীর প্রতিবেদনে। 
বিশদ

09th  May, 2020
রান্নায় ঠাকুরবাড়ির স্বাদ  

ঠাকুরবাড়ির হেঁশেলে নানারকম রান্না হতো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেও রান্না নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে ভালবাসতেন। ঠাকুরবাড়ির রান্নার কয়েকরকম রেসিপি দিলেন সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রপৌত্রবধূ শুভ্রা ঠাকুর। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন কমলিনী চক্রবর্তী।  
বিশদ

09th  May, 2020
 ফ্রি হ্যান্ডে রোগ দূরে

 জিম বন্ধ। তাতে কী? ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। বললেন প্রাক্তন মিস্টার ইন্ডিয়া ফাইনালিস্ট মডেল অভিনেতা সম্রাট মুখোপাধ্যায়। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর ১০টি পরামর্শ দিয়েছেন আজ আপনাদের। লিখেছেন চৈতালি দত্ত।
বিশদ

25th  April, 2020
দ্রুত প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান

প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ১২টি জরুরি পরামর্শ দিয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশিস মিত্র। কথা বলেছেন স্নেহাশিস সাউ। বিশদ

25th  April, 2020
বাই বাই অবসাদ 

মনকে শান্ত রাখার পরামর্শে যোগাচার্য প্রেমসুন্দর দাস। লিখেছেন স্নেহাশিস সাউ। 
বিশদ

18th  April, 2020
ডিপ্রেশনের ১০ দাওয়াই 

টানা চল্লিশ দিন ঘরবন্দি থাকলে তো অবসাদ আসতেই পারে। তবে তাকে দূরে সরিয়ে দিতে হবে। উপায় কী? মনোবিদ ডাঃ রিমা মুখোপাধ্যায়ের পরামর্শ নিয়ে বিষয়টিতে আলোকপাত করলেন সোমা লাহিড়ী।  
বিশদ

18th  April, 2020
নববর্ষে স্বাস্থ্যবিধি মানার শপথ নিচ্ছি 

বললেন টলিউডের ব্যস্ততম অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। লক ডাউনের আগেই তিনি পাড়ি দিয়েছেন সিঙ্গাপুরে। স্বামী ছেলে মেয়ের সঙ্গে কাটবে এবার বাংলা নববর্ষের দিনটি। কীভাবে কাটাবেন আর কী কী অঙ্গীকার নেবেন জানলেন পাঠকদের।  জীবনে কখনও ভাবিনি এমন অখণ্ড অবসর পাবো। কল্পনাতেও ছিল না স্বামী ছেলে মেয়ের সঙ্গে নিভৃতে এতগুলো দিন কাটাতে পারব। করোনা ভাইরাস সংক্রমণে সারা বিশ্ব বিপর্যস্ত। 
বিশদ

11th  April, 2020
জড়োয়া গয়না পুরাতন প্রসঙ্গ 

জড়োয়া গয়না ছিল আভিজাত্য, বনেদিয়ানার প্রতীক। পরিবারের অর্থ কৌলীন্য ঠিকরে পড়ত জড়োয়া গয়নার দামি পাথরের দ্যুতিতে। লিখেছেন শ্যামলী বসু।
বিশদ

28th  March, 2020
বসন্ত সাজে 

বসন্ত মানেই ফুরফুরে মেজাজ। তাই রঙিন সাজে সেজে উঠতে মন চায়। এমন দিনে কেমন হবে প্রসাধন পরামর্শ দিচ্ছেন মেকআপ এক্সপার্ট গৌরী বোস।   বিশদ

21st  March, 2020
বসন্ত এসে গেছে 

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে যখন বক্ষ দুরু দুরু, তখন কি আর বসন্ত মনে দোলা দেয়? তবু বসন্ত সম্ভারে তো চোখ রাখতেই হয়। লিখেছেন সোমা লাহিড়ী। 
বিশদ

21st  March, 2020
বসন্ত বাহার

বসন্ত মানেই রঙবাহারি শাড়ির আয়োজন। সঙ্গে সঙ্গত দিতে চাই অভিনব অলঙ্কার। লিখেছেন সোমা লাহিড়ী।  বিশদ

14th  March, 2020
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: সুপার সাইক্লোনের পাঁচ দিন পরেও বরানগর, কামারহাটি, পানিহাটির একাধিক ওয়ার্ড জলমগ্ন। পুরসভার কর্তারা জানাচ্ছেন, বাগজোলা খাল পরিপূর্ণ থাকায় বরানগর ও কামারহাটির ওয়ার্ডগুলি থেকে জল নামতে সময় লাগছে।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪৯ জন আক্রান্ত হলেন নোভেল করোনায়। মারা গেলেন আরও ৬ জন। এর মধ্যে কলকাতার ৪ জন রয়েছেন এবং বাকিরা ...

সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: লকডাউনেও আলিপুরদুয়ার জেলায় প্রাত্যহিক চাহিদা অনুসারে মাছের জোগান স্বাভাবিক রাখতে এবার জেলার প্রান্তিক মৎস্য চাষিরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণের সুবিধা পেতে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড পাবেন। জেলায় মাছ চাষে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে ঋণ দেওয়ার সুবিধা এ বছরই প্রথম। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সানরাইজ ফুডস প্রাইভেট লিমিটেডের ১০০ শতাংশ ইক্যুইটি শেয়ার কিনে নেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হল আইটিসি লিমিটেড। গত ৭০ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছে সানরাইজ, যা গুঁড়ো মশলার বাজারে পূর্ব ভারতের অন্যতম সেরা ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পেয়ে এসেছে।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৯৩: জাপানে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃত্যু হয় ৩০ হাজার মানুষের
১৮৯৭: ব্রাম স্টোকারের উপন্যাস ড্রাকুলা প্রকাশিত হয়
১৯৪৫: মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখের জন্ম
১৯৪৯: মার্কিন কম্পিউটার প্রোগামিং বিশেষজ্ঞ ওয়ার্ড কানিংহামের জন্ম। তিনিই উইকিপিডিয়ার প্রথম সংস্করণ বের করেছিলেন
১৯৭৭: ইতালির ফুটবলার লুকা তোনির জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৮৯ টাকা ৭৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮৮ টাকা ৯০.৮৮ টাকা
ইউরো ৯০.৮৮ টাকা ৮৪.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  May, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৫ মে ২০২০, সোমবার, তৃতীয়া ৫০/৫৪ রাত্রি ১/১৯। মৃগশিরানক্ষত্র ৩/২ প্রাতঃ ৬/১০। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/১০/৮। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৮ গতে ১০/১৪ মধ্যে। রাত্রি ৯/২ গতে ১১/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৫ মধ্যে পুনঃ ২/৫২ গতে ৪/৩২ মধ্যে । কালরাত্রি ১০/১২ গতে ১১/৩৩ মধ্যে।  
১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২৫ মে ২০২০, সোমবার, তৃতীয়া রাত্রি ১২/০। মৃগশিরানক্ষত্র প্রাতঃ৫/৩৩। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১২। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩০গতে ১০/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৮ গতে ১১/৫৮ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৫ মধ্যে ও ২/৫৩ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে।  
১ শওয়াল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে 
১২৯৩: জাপানে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃত্যু হয় ৩০ হাজার মানুষের১৮৯৭: ব্রাম ...বিশদ

07:03:20 PM

কাস্টমার সার্ভিসে আমাদের সুনাম রয়েছে: সিইএসসি 

04:46:27 PM

যে কোনও দুর্যোগেই সমন্বয় রেখে কাজ করতে হয়: সিইএসসি 

04:44:16 PM

আজ মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমে বৃষ্টির সম্ভাবনা 

04:44:00 PM

পুরসভার সঙ্গে সমন্বয়ের সমস্যা নেই: সিইএসসি 

04:43:40 PM

প্রায় ১৫০টি টিম কাজ করছে: সিইএসসি 

04:41:27 PM