Bartaman Patrika
চারুপমা
 

ডিপ্রেশনের ১০ দাওয়াই 

টানা চল্লিশ দিন ঘরবন্দি থাকলে তো অবসাদ আসতেই পারে। তবে তাকে দূরে সরিয়ে দিতে হবে। উপায় কী? মনোবিদ ডাঃ রিমা মুখোপাধ্যায়ের পরামর্শ নিয়ে বিষয়টিতে আলোকপাত করলেন সোমা লাহিড়ী।
লকডাউনের প্রথম পর্বেই আমার জুনিয়র কলিগরা বলতে শুরু করেছিল, খুব ডিপ্রেশড লাগছে খুব মন খারাপ লাগছে। আমি খানিকটা অবাকই হয়েছিলাম। বলেছিলাম, কেন রে! ওয়ার্ক ফ্রম হোম তো বেশ ভালো। বাড়িতে থাকাও হল অফিসের কাজও হল। প্রিয় মানুষদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারার সুযোগ তো সবসময় পাওয়া যায় না। এনজয় কর। সেদিন বলেছিলাম বটে কিন্তু এর কয়েকদিন পর থেকে আমার নিজেরও কেমন মনটা দমে গেল। সব কাজই করছি কিন্তু একটা অবসাদ যেন চেপে বসেছে। একঘেয়েমি কাটাতে কাছের মানুষদের সঙ্গে ফোনে গল্প করতে লাগলাম। আমার মামাতো বোন পাক্কা গৃহিণী। চাকরিবাকরি করে না, ঘর গেরস্থালি নিয়ে থাকতে ভালবাসে। তার মুখেও শুনলাম একই বিরক্তির কথা। ওর কিশোরী কন্যাটিও নাকি খুব খিটখিটে হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন পর সিমলা থেকে আমার মাসতুতো ভাইয়ের ফোন, দিদি একেবারে মেজাজ ঠিক নেই। কেমন যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে। ওয়ার্ক ফ্রম হোম, রানির কাছে রান্না শেখা, টুকাইয়ের সঙ্গে খেলা, সবই চলছে ... তবু যেন মনটা ভার হয়ে আছে। তাই তোমায় ফোন করলাম। আড্ডা দিলে যদি মেজাজটা ঠিক হয়। আশ্চর্য! আসমুদ্রহিমাচল সব্বার মনের অবস্থা এক! একি শুধু করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে আর অর্থনৈতিক মন্দার ভয়ে, নাকি আরও অন্য কোনও কারণ আছে এই অবসাদের? এর থেকে বেরনোর উপায় কী? বিষয়টি বিস্তারিতে জানতে চেয়েছিলাম মনোবিদ ডাঃ রিমা মুখোপাধ্যায়ের কাছে। রিমা বললেন, আসলে আমরা প্রত্যেকই জীবনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিশেষ রুটিনে অভ্যস্ত ছিলাম। এই প্রথম সেই রুটিনে ব্রেক হল। অনির্দিষ্টকালের জন্য সব কিছু বন্ধ। ঘরবন্দি জীবন। এটা মন কিছুতেই মানতে পারছে না।
এ ছুটি উপভোগ করার নয়
যখন আমরা কাজের মধ্যে থাকি তখন আমরা ছুটির গুরুত্ব বুঝতে পারি। খুব কাজের চাপ থেকে দুদিনের একটা ব্রেক আমাদের মনকে চাঙ্গা করে তোলে। কাছের মানুষদের সঙ্গে কয়েকদিন মজা করে কাটানোই হোক বা কোনও বিশেষ দরকারেই হোক ছুটির একটা প্রয়োজন আছে জীবনে। প্রথম যখন লকডাউন ঘোষণা হল তখন মানুষ এটাকে ছুটি হিসেবেই নিয়েছিলেন। অনেকে পড়ে থাকা কাজগুলো করবেন ভেবেছিলেন। যত দিন যাচ্ছে তত মানুষ উপলব্ধি করছেন এটা কতটা বিরক্তিকর, কতটা অস্বাভাবিক। তাই অবসাদ আসছে ডিপ্রেশন বাড়ছে। ছুটি মানে আমাদের কাছে মুক্তির আনন্দ। এ ছুটির যে পায়ে বেড়ি বুকে ভয়। কাজের পরিবেশও মনকে সতেজ রাখে। এই যে আমরা রোজ সকালে ট্রেনে বাসে করে অফিস যাই তাতে যত ধকলই হোক না কেন সেটাও আমাদের মনের রসদ জোগায়। অফিসে নিজের ডিপার্টমেন্ট নিজের টেবল নিজের কাজ সব মিলিয়ে একটা পরিবেশ তৈরি হয়। যাঁরা কাজকে এনজয় করেন তাঁরা দিনের শেষে একটা অদ্ভুত আত্মতৃপ্তি পান। ওয়ার্ক ফ্রম হোমে এই মানসিক তৃপ্তি আসে না। কাজের পরিবেশের সঙ্গে কলিগদেরও খুব বড়ো ভূমিকা আছে জীবনে। দিনের অনেকটা সময় তাদের সঙ্গে কাটে, সুখ দুঃখের কথা হয়, হাসি ঠাট্টা হয় —এটা সম্পূর্ণ নিজের জগৎ। পরিবার জীবনের সমান্তরালে চলতে থাকে। লকডাউনে এই জগৎ থেকেও ছিটকে যেতে হয়েছে মানুষকে। এটাও মন খারাপের একটা দিক।
যাঁরা বাড়িতে থাকেন তাঁরা নিজস্ব সময় হারাচ্ছেন
এটা বাড়ির গৃহিণীদের ক্ষেত্রে বেশি হচ্ছে। সকালে স্বামী কাজে বেরিয়ে যান। ছেলেমেয়েরাও স্কুল কলেজে চলে যায়। সারাটা দিন তাঁরা নিজের মতো করে সময় কাটান। কেউ হয়তো বিশেষ কোনও টিভি সিরিয়াল দেখেন, কেউ হয়তো বাপের বাড়িতে ফোন করেন, কেউ বন্ধুদের সঙ্গে শপিংয়ে বেরোন, কেউ ফেসবুকে মন দেন। লকডাউনে সবাই বাড়িতে। হয়তো তিনি দুপুরের সিরিয়ালটা দেখতে বসলেন, স্বামী ঘরে ঢুকে মন্তব্য করলেন কী যে ছাইপাঁশ দেখো এসব। ব্যস মেজাজটা বিগড়ে গেল। মুখে একটা ফেস প্যাক লাগাতে যাবেন ছেলে বলল, মা এক কাপ চা দেবে? বিরক্তির এক শেষ। আসলে গৃহিণীরা ঘরে থাকলেও নিজের মতো করে বাঁচেন। এখন সেই একান্ত নিজস্ব জায়গাটা, নিজের সময়টা দখল হয়ে যাওয়ায় তাঁরাও অবসাদে ভুগছেন।
টিনএজাররাও খিটখিটে হয়ে গিয়েছে
কৈশোরে নানারকম অজানা বিষয়ে আকর্ষণ জন্মায়। তখন শুধু বাড়ির গুরুজনের সান্নিধ্য নয়, বন্ধুবান্ধব, স্কুল কলেজ, কোচিং সেন্টার, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, গুগল, নেটফ্লিক্স তাকে হাতছানি দেয়। এখন স্কুল কলেজ কোচিং ক্লাস সব বন্ধ। অন লাইন ক্লাস হলেও বন্ধুবান্ধব, মজা, ফুচকা, মোমো, জোকস কিচ্ছুটি নেই। বোরিং লাইফ। তার অপর বাবা-মা দু’ জনই বাড়িতে। সবসময় নজরদারি চলছে। ভালো লাগে? সঙ্গে রয়েছে টিভি নিউজের করোনাভাইরাস সংক্রমণ সংক্রান্ত ভয়াবহ বিবরণী। কেন যে সারাটা দিন চালিয়ে রাখে বাবা। খুব টেনশন হয়। ছোটদেরও মনের মধ্যে নানারকম চাপান উতোর চলে। তাদের ডিপ্রেশনটা আর গভীর।
একেবারে ছোট্টরাও ভালো নেই
অনেকে ভাবেন ছোটদের টেনশন হয় না। ডিপ্রেশন হয় না। এই ভাবনা একেবারে ভুল। তারা সবটা ঠিক মতো বুঝে উঠতে পারে না বলে মন খারাপ বেশি হয় তাদের। এই যে বাড়িতে সবসময় অসুখবিসুখ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে টিভিতে রাতদিন করোনাভাইরাস নিয়ে চর্চা চলছে এটা ছোটদের মন বিষণ্ণ করে তুলছে। বড়দের মতো তারাও প্রথমে লকডাউনকে ছুটি হিসেবে নিয়েছিল। বাবা-মা বাড়িতে থাকলে খুব মজায় কাটবে ভেবেছিল। কিন্তু এখন তারাও বুঝেছে এই ছুটিতে কোনও মজা নেই। বরং বাবা-মা সবসময় বাড়িতে থাকার ফলে এমন অনেক কিছুই সে করতে পারছে না যা আয়ামাসির কাছে থাকলে করতে পারে। বাবা-মায়ের নিজেদের মনও অবসাদগ্রস্ত। তাই তারাও সন্তানদের সঙ্গে ব্যবহারে ধৈর্য রাখতে পারছেন না। বকাবকি করছেন, মারধর করছেন। পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য টিকটিক করছেন। অন্যদিকে তারা স্কুলের বন্ধু, টিফিনের মজা, খেলাধুলো, আন্টিদের স্নেহ, ক্লাসরুম, এমনকী স্কুলে যাওয়ার পথটিকেও মিস করছে। অন লাইনে ক্লাস তাদের অভ্যাসে নেই। অথচ করতে হচ্ছে। তাই ছোটদের ছোট্ট মন অশান্ত ভারাক্রান্ত।
অবসাদ থেকে বেরনোর উপায় কী?
২৪দিন ২৪ঘণ্টা একটানা একসঙ্গে কাটানো কিন্তু খুব স্বাভাবিক ঘটনা নয়। তার সঙ্গে আছে কাজকর্ম চাকরি অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে টেনশন। আর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আতঙ্ক। এই একঘেয়ে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে গেলে মনকে শান্ত রাখতে হবে। জীবন থেকেই খুজে নিতে হবে আনন্দে থাকার উপাদান। মনোবিদ ডাঃ রিমা মুখোপাধ্যায় ১০টি পরামর্শ দিয়েছেন আমাদের জন্য। ডিপ্রেশনের ১০ দাওয়াই —
১. রোজের রুটিন বদলাবেন না
লকডাউনের জন্য বাড়িতে রয়েছেন বলে যখন খুশি ঘুম থেকে উঠবেন, যতক্ষণ ইচ্ছে খাবেন, রাত জেগে সিরিজ বা সিনেমা দেখবেন, এমনটা করবেন না। বাড়ির কাউকে করতেও দেবেন না। শরীর ঠিক রাখা জরুরি।
২.পরিবারের প্রত্যেককে নিজস্ব স্পেস দিতে হবে
২৪ ঘণ্টা বাড়িতে একসঙ্গে কাটাতে আমরা অভ্যস্ত নই। তাই কর্তা গিন্নি বাড়ির বয়স্ক মানুষ এবং ছোটদেরও কিছুটা সময় নিজের মতো করে কাটাতে দিতে হবে। সবসময় সবার ব্যপারে ইন্টারফেয়ার করলে তর্ক হবে, মনোমালিন্য বাড়বে।
৩. যেসব বিষয়ে মতের অমিল হয় তা এখন তুলবেন না
কিছু বিষয় থাকে যা উঠলেই তর্কাতর্কি হয়। শুধু স্বামী-স্ত্রী র মধ্যেই নয়, বাবা-ছেলের মধ্যে হতে পারে, মা-মেয়ের মধ্যে হতে পারে, শাশুড়ি-বৌমার মধ্যে হতে পারে। বন্দিদশায় এইসব প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়া উচিত। উঠলেও একজন চুপ করে যাবেন। কারণ এই সময় ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স বাড়ছে। মেজাজ হারিয়ে অনেকেই ভুল কাজ করে ফেলছেন।
৪. দিনের কোনও একটা সময় পরিবারের সবাই মিলে মজা করে কাটান
সবাই যখন বাড়িতেই আছেন তখন লাঞ্চ ডিনার একসঙ্গে করুন। ওয়ার্ক ফ্রম হোম, বাড়ির কাজকর্ম, পড়া লেখার বাইরে এক দু’ ঘণ্টা সবাই একসঙ্গে আনন্দ করে কাটান। লুডো দাবা ক্যারাম খেলতে পরেন, ভালো মুভি দেখতে পরেন, টিভিতে মজার শো দেখতে পারেন, না হলে নিছকই গল্প করে কাটান। মন ভালো হয়ে যাবে।
৫. সারাদিন টিভিতে নিউজ চালিয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর শুনবেন না
এতে নিজের যেমন উত্তেজনা বাড়বে তেমনি বাড়ির বয়স্ক ও ছোটদের মনে আতঙ্ক জারিত হবে।
৬. হালকা করে গান চালিয়ে রাখুন
রবীন্দ্রনাথের গান বা ওয়েস্টার্ন মিউজিক যাই বাজান তা যেন মনকে শান্ত রাখে। উদ্দাম উত্তেজক কিছু বাজাবেন না।
৭ .বাড়ির কাজ ভাগ করে নিন
বিশেষ করে টিনএজার ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নিয়ে রান্না করুন, ঘর গোছানোর কাজ দিন। ওদের বোঝান পরবর্তীতে যখন বাইরের দেশে পড়তে বা কাজ করতে যাবে তখন এসব কাজে লাগবে। তাই এই সুযোগে শিখে নিতে হবে। দেখবেন ওরা মনের আনন্দে কাজে লেগে যাবে।
৮. ছোটদের স্মার্টফোন স্মার্টলি কাজে লাগাতে বলুন
সবসময় ফোন নিয়ে খুটখাট করছে বলে বকাবকি না করে এই অবসরে স্মার্টফোন থেকে পছন্দের কিছু শিখতে বলুন। সেটা স্পোকেন ইংলিশ হতে পারে, কুকিং হতে পারে কোনও বিশেষ স্কিল হতে পারে। এতে শেখাও হবে একটা আত্মতৃপ্তিও আসবে। মন ভালো হয়ে যাবে।
৯. নিজের ক্রিয়েটিভিটি পুনরুদ্ধার করুন
কাজের চাপে আপনার যেসব গুণ চাপা পড়ে গিয়েছিল তার চর্চা শুরু করে দিন। ফেব্রিক পেন্টিং, সেলাই, হাতের কাজ, কবিতা লেখা, আঁকা যার যা ভালো লাগত তাই করুন নতুন করে। অদ্ভুত একটা তৃপ্তি আসবে। গ্লানি মুছে যাবে।
১০. বাড়ির সবাই একসঙ্গে যোগ ব্যায়াম বা প্রাণায়াম করুন
দিনের যে কোনও সময় কুড়ি মিনিট যোগ আর প্রাণায়াম করুন। ডিপ্রেশন কাটানোর এর থেকে ভালো আর কোনও ওষুধ নেই।
সবশেষে বলি, বাড়িতে আছেন বলে একঘেয়ে বারমুডা বা নাইটি পরে কাটাবেন না। ছেলেরা অনেকে দেখছি শেভ করাই ছেড়ে দিয়েছেন। মেয়েরাও ক্লামজিভাবে কোনও রকমে দিন কাটাচ্ছেন। এতে অবসাদ আরও বাড়ছে। পরিচ্ছন্ন থাকুন সেজেগুজে থাকুন। এতে মন ঝরঝরে হবে। ডিপ্রেশন দূরে যাবে।
মডেল : প্রীত ও পিয়ালী  ছবি: প্রদীপ পাত্র
গ্রাফিক্স: সোমনাথ পাল 
18th  April, 2020
 ভুরুর ধনুক বাঁকা

ধনুকের ছিলার মতো টান টান ভুরু মুখে আনে কমনীয় ব্যক্তিত্ব। পার্লার বন্ধ। তাই ভ্রুয়ের দফারফা। আনওয়ান্টেড হেয়ারে মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। লকডাউন শেষে পার্লার খুললেও যেতে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই। তাহলে নিজেকে প্রেজেন্টেবল রাখার উপায় কী? পরামর্শ দিলেন সেলিব্রিটি এস্থেটিশিয়ান মেক আপ আর্টিস্ট স্টাইলিস্ট কৌশিক - রজত। লিখেছেন সোমা লাহিড়ী।
বিশদ

30th  May, 2020
মুখ ঢেকে যায় মাস্কে 

আপাতত করোনাভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই জীবনে চলতে হবে। নানা মহল থেকে এখন উঠে আসছে এই কথাটা। ভাইরাসের সঙ্গে যুঝতে সঙ্গে রাখতে হবে অস্ত্রও। মাস্ক তার মধ্যে অন্যতম। মুখ ঢেকে রাখার এই সংস্কৃতি কীভাবে বদলে দিচ্ছে আমাদের জীবনযাপন, লিখছেন অন্বেষা দত্ত। 
বিশদ

23rd  May, 2020
‘পুরনো জীবনটা
কেউ ফিরিয়ে দিক!’

প্রশ্ন: এই লম্বা সময়টা কাটছে কী করে, মাথা কীভাবে ঠান্ডা রাখছ?
নন্দিনী: মাথা ঠান্ডা রাখাটা সত্যি খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। চারদিক থেকে এত রকম চাপ! বাড়ি বসে অফিসের কাজ। তার মধ্যে আমাদের যাঁরা সব সময় সাহায্য করেন, সেই পরিচারিকারাও আসতে পারছেন না। তাই বাচ্চাকে দেখা, রান্নাবান্না... সবই তো করতে হচ্ছে মিলিয়ে মিশিয়ে।
বিশদ

16th  May, 2020
‘তিনজনে বেশ আনন্দেই আছি’

প্রশ্ন: লকডাউনে দিন কাটছে কীভাবে? মাথা কীভাবে ঠান্ডা রাখছ?
সৃজা: সকালটা কাজ আর এক্সারসাইজ করে কেটে যাচ্ছে। প্রথমে রান্না, অবন্তিকাকে (কন্যা) খাওয়ানো, স্নান করানো এই সব চলে। তার পরে ৪৫ মিনিট ধরে ওয়েট ট্রেনিং করি। দুপুরে খাওয়ার পরে মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে একটু ওয়েব সিরিজ দেখি। বিকেলে চা খেতে খেতে আমি আর অর্জুন আড্ডা দিই।
বিশদ

16th  May, 2020
রান্নাঘরের রবিঠাকুর 

পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়: নবনীতা দেবসেন তখন খুব ছোট। বাবা নরেন্দ্র দেব ও মা রাধারানি দেবী দু’জনেই ছিলেন সাহিত্যক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত । শরৎচন্দ্র তাঁদের স্নেহ করতেন, পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের ভালোবাসা। কবির আমন্ত্রণে শিশুকন্যা নবনীতাকে নিয়ে তাঁরা একবার গিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে।  
বিশদ

09th  May, 2020
সত্যেরে লও সহজে 

রবীন্দ্রনাথ নিজেও জানতেন সত্যকে সহজে মেনে নেওয়া কত কঠিন। যেমন এই মুহূর্তে হচ্ছে আমাদের। কবিগুরুর জন্মদিনে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি শুনশান, রবীন্দ্রসদনে কোনও সুরের মূর্ছনা নেই, কবিপক্ষ জুড়ে অনুষ্ঠানের আলো নেই - এ সত্য যেন অসহনীয়। তারই মাঝে আশার আলো জ্বালাল সোশ্যাল মিডিয়া। ইউ টিউব,ফেসবুক আর ওয়েব পেজ জুড়ে কীভাবে পালন করা হচ্ছে কবিগুরুর জন্মদিন, শিল্পীরা কে কী ভাবছেন তারই ঝলক রইল সোমা লাহিড়ীর প্রতিবেদনে। 
বিশদ

09th  May, 2020
রান্নায় ঠাকুরবাড়ির স্বাদ  

ঠাকুরবাড়ির হেঁশেলে নানারকম রান্না হতো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেও রান্না নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে ভালবাসতেন। ঠাকুরবাড়ির রান্নার কয়েকরকম রেসিপি দিলেন সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রপৌত্রবধূ শুভ্রা ঠাকুর। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন কমলিনী চক্রবর্তী।  
বিশদ

09th  May, 2020
 ফ্রি হ্যান্ডে রোগ দূরে

 জিম বন্ধ। তাতে কী? ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। বললেন প্রাক্তন মিস্টার ইন্ডিয়া ফাইনালিস্ট মডেল অভিনেতা সম্রাট মুখোপাধ্যায়। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর ১০টি পরামর্শ দিয়েছেন আজ আপনাদের। লিখেছেন চৈতালি দত্ত।
বিশদ

25th  April, 2020
দ্রুত প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান

প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ১২টি জরুরি পরামর্শ দিয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশিস মিত্র। কথা বলেছেন স্নেহাশিস সাউ। বিশদ

25th  April, 2020
বাই বাই অবসাদ 

মনকে শান্ত রাখার পরামর্শে যোগাচার্য প্রেমসুন্দর দাস। লিখেছেন স্নেহাশিস সাউ। 
বিশদ

18th  April, 2020
নববর্ষে স্বাস্থ্যবিধি মানার শপথ নিচ্ছি 

বললেন টলিউডের ব্যস্ততম অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। লক ডাউনের আগেই তিনি পাড়ি দিয়েছেন সিঙ্গাপুরে। স্বামী ছেলে মেয়ের সঙ্গে কাটবে এবার বাংলা নববর্ষের দিনটি। কীভাবে কাটাবেন আর কী কী অঙ্গীকার নেবেন জানলেন পাঠকদের।  জীবনে কখনও ভাবিনি এমন অখণ্ড অবসর পাবো। কল্পনাতেও ছিল না স্বামী ছেলে মেয়ের সঙ্গে নিভৃতে এতগুলো দিন কাটাতে পারব। করোনা ভাইরাস সংক্রমণে সারা বিশ্ব বিপর্যস্ত। 
বিশদ

11th  April, 2020
জড়োয়া গয়না পুরাতন প্রসঙ্গ 

জড়োয়া গয়না ছিল আভিজাত্য, বনেদিয়ানার প্রতীক। পরিবারের অর্থ কৌলীন্য ঠিকরে পড়ত জড়োয়া গয়নার দামি পাথরের দ্যুতিতে। লিখেছেন শ্যামলী বসু।
বিশদ

28th  March, 2020
বসন্ত সাজে 

বসন্ত মানেই ফুরফুরে মেজাজ। তাই রঙিন সাজে সেজে উঠতে মন চায়। এমন দিনে কেমন হবে প্রসাধন পরামর্শ দিচ্ছেন মেকআপ এক্সপার্ট গৌরী বোস।   বিশদ

21st  March, 2020
বসন্ত এসে গেছে 

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে যখন বক্ষ দুরু দুরু, তখন কি আর বসন্ত মনে দোলা দেয়? তবু বসন্ত সম্ভারে তো চোখ রাখতেই হয়। লিখেছেন সোমা লাহিড়ী। 
বিশদ

21st  March, 2020
একনজরে
  নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়-১ ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ থেকে বোমাবাজির জেরে জখম হয়েছেন কয়েকজন। আহতরা সকলে যুব শিবিরের অনুগত। প্রতিবাদে যুব গোষ্ঠী রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে। ...

সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: গঙ্গারামপুর পুরসভায় প্রশাসক বোর্ড দায়িত্ব নিয়েই শহরের জল প্রকল্প ও নিকাশি নালার কাজের উপর জোর দিল। গত ২০ মে পুরসভায় তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর রাজ্যের নির্দেশে পাঁচ জনের প্রশাসক বোর্ড ২৩ মে দায়িত্ব নিয়েছে।  ...

চেন্নাই, ৩১ মে (পিটিআই): কেন্দ্রীয় সরকার ৩০ জুন পর্যন্ত শুধুমাত্র কন্টেইনমেন্ট জোনে লকডাউন চালানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা সত্ত্বেও মহারাষ্ট্র সরকার গত নির্দেশিকা বদলের কোনও ঘোষণা করেনি। ...

মৃণালকান্তি দাস, কলকাতা: চার্লস মিলারের গল্পটা জানেন তো? স্কটল্যান্ডে পড়াশোনা শেষে চার্লস ব্রাজিলে ফিরেছিলেনএকটি ফুটবল হাতে নিয়ে। সবাই জানতে চেয়েছিল, ‘ওই গোল জিনিসটা কী?’ উত্তর ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব দুগ্ধ দিবস
১৮৭৪ - ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি বিলুপ্ত হয়।
১৯২৬- আমেরিকার মডেল, অভিনেত্রী ও গায়িকা মেরিলিন মনরোর জন্ম
১৯২৯- অভিনেত্রী নার্গিসের জন্ম
১৯৩৪ - কবি, নাট্যকার ও চিত্রনাট্যকার মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৬৪- সঙ্গীত পরিচালক ইসমাইল দরবারের জন্ম
১৯৬৮- মার্কিন লেখিকা ও সমাজকর্মী হেলেন কেলারের মৃত্যু
১৯৭০- অভিনেতা আর মাধবনের জন্ম
১৯৮৫ - ভারতীয় ক্রিকেটার দিনেশ কার্তিকের জন্ম।
১৯৯৬-ভারতের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীব রেড্ডির মৃত্যু
২০০১- নেপাল রাজপরিবারে হত্যাকাণ্ড। যুবরাজ দীপেন্দ্র গুলি করে হত্যা করে বাবা, মা, নেপালের রাজা বীরেন্দ্র এবং রানি ঐশ্বর্যসহ পরিবারের একাধিক সদস্যকে।
২০০২ - দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক হানসি ক্রোনিয়ের মৃত্যু,
২০০৯- রিও ডি জেনেইরো থেকে প্যারিস আসার পথে অতলান্তিক মহাসাগরে ভেঙে পড়ল এয়ার ফ্রান্সের এয়ারবাস এ ৪৪৭। মৃত ২২৮ আরোহী।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৪.৭৯ টাকা ৭৬.৫১ টাকা
পাউন্ড ৯১.৭৩ টাকা ৯৫.০৩ টাকা
ইউরো ৮২.৪৬ টাকা ৮৫.৫০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
31st  May, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪১,৮৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৯,৭৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪০,৩৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  March, 2020

দিন পঞ্জিকা

১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ১ জুন ২০২০, সোমবার, দশমী ২৫/৫ দিবা ২/৫৮। হস্তা নক্ষত্র ৫০/১৮ রাত্রি ১/৩। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৩৬, সূর্যাস্ত ৬/১২/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৮ গতে ১০/১৪ মধ্যে। রাত্রি ৯/৫ গতে ১১/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১/২১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৫ মধ্যে পুনঃ ২/৫৩ গতে ৪/৩৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৩ গতে ১১/৩৪ মধ্যে।
১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ১ জুন ২০২০, সোমবার, দশমী দিবা ১২/১৪। হস্তানক্ষত্র রাত্রি ১১/১। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৫। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩০ গতে ১০/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৮ গতে ১১/৫৮ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৬ মধ্যে ও ২/৫৫ গতে ৪/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৩৫ মধ্যে।
৮ শওয়াল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: বিদ্যার্থীদের সময় নষ্ট না করা উচিত। বৃষ: কোন ব্যক্তিকে অতিরিক্ত ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব দুগ্ধ দিবস১৮৭৪ - ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি বিলুপ্ত হয়।১৯২৬- আমেরিকার ...বিশদ

07:03:20 PM

উত্তর প্রদেশে করোনা আক্রান্ত আরও ২৯৬, মৃত ৫ 
উত্তর প্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ২৯৬ জন। ...বিশদ

09:21:40 PM

মুম্বইয়ে করোনা আক্রান্ত আরও ১৪১৩, মৃত ৪০ 
মুম্বইয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ১৪১৩ জন। মৃত ...বিশদ

09:12:55 PM

গুজরাটে করোনা আক্রান্ত আরও ৪২৩, মৃত ২৫ 
গুজরাটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪২৩ জন করোনা আক্রান্ত ...বিশদ

08:55:01 PM

বন্ধ কামাক্ষ্যা মন্দির, হচ্ছে না অম্বুবাচী মেলাও 
আগামী ৩০ জুন অবধি বন্ধ থাকছে কামাক্ষ্যা মন্দির। এজন্য এবছর ...বিশদ

08:46:05 PM