Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। ইংরেজদের খুশি করতে বাবুরা বড়দিন বা  ইংরেজি নববর্ষ পালনের ব্যবস্থা করতেন। আনন্দে রঙিন হয়ে উঠত নাচঘরের রাত। বাঈজিদের ঘুঙুরের বোল যখন মিলিয়ে যেত, তখন পূব আকাশে আলো ফুটছে। বাবুরা ফরাসে কাৎ। ধীরে ধীরে বাঈজিরা বিদায় নিলে, নাচঘরের আলো ম্লান হয়ে এলে সেই সব উৎসবে নাচের আসর দখল করে নেন মেমরা। সাহেব-মেমের যুগল নৃত্যে যে কোনও পার্টিই হয়ে উঠত জমজমাট। বিশেষ করে বড়দিন বা বর্ষবরণের রাত হলে তো কথাই নেই। সারারাত ধ্রুবতারার মতো জেগে থাকত উৎসবে জোয়ারে ভেসে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা। তাতে ইন্ধন জোগাত বিলিতি কোম্পানির রঙিন পানীয়। ক্লারেট, মোসেল, পেরিয়া, রেনিস, পেল এল ইত্যাদি। সেই সাহেবি পার্বণে বহু ভারতীয় আমন্ত্রিত থাকতেন। 
শীত পড়লেই সাহেবরা যেমন নতুন কোট-প্যান্ট বানাতে ছুটতেন, তেমনই দেশি বাবুরাও  লক্ষ লক্ষ টাকার বাহারি কাশ্মীরি শাল, পশমিনাতে সেজে উঠতেন। বাবুদের সেই শীতবিলাস আরও মধুর হতো বড়দিনের ছোঁয়ায়। ব্যারিস্টার অ্যান্টনি ফে’র স্ত্রী এলিজা ফে ১৭৮১ সালে এক চিঠিতে তাঁর বান্ধবীকে লিখেছিলেন, ‘কলকাতায় ক্রিসমাসের আনন্দে ডুবে আছি। আমার মনে হয় না, ইংল্যান্ডেও এত জাঁকজমক দেখেছি।’ 
সেই আনন্দের ছবি কিছু ধরা পড়ে ঈশ্বর গুপ্তের কবিতায়। ‘খ্রিস্টের জন্মদিন বড়দিন নাম / বহু সুখে পরিপূর্ণ কলকাতা ধাম / কেরানি, দেয়ান আদি বড় বড় মেট / সাহেবের ঘরে ঘরে পাঠাতেছে ভেট।’ বড়দিন ও নতুন বছরকে সামনে রেখে দেশি বাবুরা সাহেবদের খুশি করার আপ্রাণ চেষ্টা করতেন।  
তবে আনন্দ করতে জানতেন সাহেবরা। শুধু ঘরে বসে রঙিন সুধা পান করার মধ্য দিয়ে যে সব আনন্দটুকু উপভোগ করা যায় না, সেটা তাঁরা জানতেন। তাই তাঁরা দৌড়ে যেতেন রেসের মাঠে। তখন কলকাতায় রেস হতো এলেনবরা কোর্সে কিংবা আকরার মাঠে। পাশাপাশি গার্ডেনরিচ এবং বারাসতেও ঘোড়দৌড়ের ব্যবস্থা ছিল। পরে অবশ্য রেসকোর্স তৈরি হয়। সাহেবদের প্রয়োজন মতো কলকাতা শহরে গির্জার সংখ্যাও বাড়তে থাকে। ১৮৪৭ 
সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চ। এছাড়া শীত পড়লেই সাহেবরা পিকনিকের আয়োজন করতেন বারাকপুর কিংবা ‘বেলভেডেরে’।   
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে বড়দিন পালন করতেন। ১৯১০ সাল থেকেই তিনি আশ্রমে খ্রিস্টোৎসবের আয়োজন করেছিলেন। যিশুকে রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন ‘পরম-আনন্দঃ পরমাগতিঃ’। বিভিন্ন বছরের ২৫ ডিসেম্বর এই ‘মানবপুত্র’কে নিয়ে তিনি কবিতা বা প্রবন্ধ লিখেছেন।  ‘খৃস্টোৎসব’ প্রবন্ধে তিনি লিখলেন, ‘যে মহাপুরুষ তাঁর জীবনের মধ্যেই অমৃতলোকের পরিচয় দিয়াছিলেন,তাঁর মৃত্যুর দ্বারা অমৃতরূপ পরিস্ফুট হয়ে উঠেছিল,আজ তাঁর মৃত্যুর অন্তর্নিহিত সেই পরম সত্যটিকে যেন আমরা স্পষ্ট আকারে দেখতে পাই।’ 
রামকৃষ্ণ মিশনে যিশুখ্রিস্টের পুজো চালু করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। তিনি মনে করতেন হিন্দুধর্মের যে বিশাল শক্তি রয়েছে, তার জোরেই সে সমস্ত ধর্মের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে পারে। এই সমন্বয় চেতনা স্বামীজির মধ্যে তৈরি করে দিয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণই। বিভিন্ন সন্ন্যাসীর লেখা থেকে জানা যায়, শ্রীরামকৃষ্ণ সাধনার সময় যিশু এবং বুদ্ধদেবের দর্শন লাভ করেছিলেন। ঠাকুর সবসময় ধর্মীয় কূপমণ্ডকতার বাইরে গিয়ে এক মুক্ত ধর্মের সাধনা করে গিয়েছেন। 
সময়ের বদলের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয় সংস্কৃতির। বদলে যায় উৎসবের ঘরানা। বর্তমানে পার্ক স্ট্রিট হয়ে উঠেছে কলকাতায় বড়দিন অথবা ইংরেজি নতুন বছরে উৎসবের প্রাণকেন্দ্র। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, কেন পার্ক স্ট্রিট হয়ে উঠল উৎসবের এপিসেন্টার? এর জন্য নাম করতে হয় এলিজা ইম্পের। একসময় কলকাতায় ছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই কোর্টের চিফ জাস্টিস ছিলেন স্যার এলিজা ইম্পে। তিনিই প্রথম পার্ক স্ট্রিটে বড়দিন এবং ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষ্যে মডেল ও আলো দিয়ে সাজানোর ব্যবস্থা করেন। সেখানে তিনি ডিয়ার পার্ক তৈরি করেন। সেখানে বসানো হয় একটা মডেল। দেখা যায়, স্লেজ গাড়িতে বসা সান্তাক্লজকে টানছে বল্গা হরিণের দল। সেটা দেখতে বহু সাহেব ও দেশীয়রা ভিড় করেছিলেন। পরে পার্ক স্ট্রিটের রাস্তা ও সাহেবদের বাড়ি বানানো হলে, সেই পার্কটি ভেঙে দেওয়া হয়। কিন্তু একটা পরম্পরা তৈরি হয়ে গেল। সেই পার্ক থেকেই রাস্তাটির নাম হয়ে গেল পার্ক স্ট্রিট। এখনও বড়দিন এবং ইংরেজি নতুন বছরের টানে লক্ষ লক্ষ মানুষ পার্ক স্ট্রিটে ছুটে আসেন আলো আর আনন্দের জোয়ারে ভাসতে। পার্বণের সেই ট্রাডিশন সমানে চলছে। বড়দিন মানেই আজ ঘুরে বেড়ানো, কেক খাওয়া। অথচ একসময় বাঙালি বাবুরা সাহেবদের কেক খেয়ে মাথায় গঙ্গাজল ছিটিয়ে ঘরে ঢুকতেন।     
সারা বিশ্ব প্রভু যিশুর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে মেতে ওঠে। এ এক আন্তর্জাতিক উৎসব। এর মধ্যেই গত ৫০-৬০ বছর ধরে একটা নতুন বিতর্ক চলছে। আচ্ছা, যিশু কি কখনও ভারতে এসেছিলেন? একটা গবেষণা বলছে, যিশু ভারতে এসেছিলেন। সেই কাহিনির সত্যাসত্য বিচার আজও অবশ্য হয়নি। তবে ইদানীং এটা নিয়ে চর্চা চলছে যে, যিশু যখন কাশ্মীরে এসেছিলেন, তখন সেখানে ছিল রাজা গোপদত্তের শাসনকাল। যিশুকে নিয়ে পরবর্তীকালে অনেকেই গবেষণা করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন সুফি মতিউর রহমান বেঙ্গালি। ১৯৬৩ সালে প্রকাশিত তাঁর একটি বই ‘দ্য টম্ব অব জেসাস’ থেকে জানা যায়, যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হলেও তিনি মারা যাননি। রাজসৈন্যরা তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করে চলে যাওয়ার পর তাঁর অনুগতরা তাঁকে নামিয়ে আনেন এবং এক গোপন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে সুস্থ করে তোলেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে যিশু দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। কয়েকদিনের শুশ্রুষায় তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাঁর ভক্তরা বলেন, ‘প্রভু এই স্থান আপনার জন্য নিরাপদ নয়।’ তাই ভক্তদের প্রার্থনা শুনে যিশু এক ঝড়জলের রাতে গোপনে বেরিয়ে পড়েন। এরপর তিনি বিভিন্ন দেশ ঘুরে কাশ্মীরে পৌঁছে যান। সেখানে একশো কুড়ি বছর বয়সে তিনি মারা যান। শ্রীনগরের রোজবালে একটি সমাধি আছে। তার গায়ে লেখা আছে ‘ইয়ুস আসফ’। ইয়ুস শব্দের অর্থ যিশু এবং আসফ শব্দের অর্থ জমায়েত। অর্থাৎ বলা হচ্ছে, সেই সময় যিশুর টানে বহু ইজরায়েলি এখানে এসে বসবাস শুরু করেন। ইজরায়েলের দশ বিলুপ্ত জাতিগোষ্ঠীকে কাশ্মীর সহ ভারত ও আফগানিস্তানে পাওয়া যায় বলে পণ্ডিতদের দাবি। পণ্ডিতরা বলেন, কাশ্মীরে যে লাদাখ, লে, গিলগিট নামগুলি পাই, সেগুলি এসেছে প্রাচীন সিরিয়ার ল্যাড্ডাক, লেহি এবং গোলগাথা থেকে। নিউ টেস্টামেন্ট থেকে জানা যায়, জেরুজালেমের বাইরে যে পাহাড়টা ছিল, সেটারই নাম ছিল গোলগাথা। সেখানেই যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল। 
মতিউর আরও বলেছেন, যিশুকে যে মসিহা বলা হয়, তার দু’টি অর্থ। একটি হল পরিব্রাজক। এই শব্দের উৎস হল সিয়াহাট। আর একটি অর্থ হল ঐশ্বরিক ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি। প্রায় দু’শো বছর আগে কাশ্মীরের এই সমাধি নিয়ে সুফি কবি খাজা মহম্মদ আজম দিদামারি লিখেছিলেন, এই সমাধি এমন এক ব্যক্তির, যিনি ঐশ্বরিক ক্ষমতাসম্পন্ন। তিনি বিদেশ থেকে এসেছিলেন। মানুষের মধ্যে তিনি প্রেম ও করুণা বিলিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর নাম ইয়ুস আসফ। মতিউর বললেন, ইনিই হলেন যিশু।    
যিশুকে নিয়ে আজও গবেষণা চলছে। যিশুর প্রতিকৃতি নিয়ে চলছে অন্বেষণ। কেমন দেখতে ছিল যিশুকে? তাঁর কি সত্যিই অমন লম্বা চুল ছিল? দাড়ি ছিল? তাই নিয়ে নানা মত আছে। তবে সকলেই একবাক্যে স্বীকার করেছেন, তাঁর চোখজুড়ে ছিল এক গভীর প্রসন্নতা। ভালোবাসার নীল প্রশান্তি। বিভিন্ন শিল্পীর আঁকা ছবিতে এই প্রসন্নতার ছায়া বারবার ফিরে এসেছে। বেশ কিছুদিন আগে মিশরে প্রাপ্ত একটি ছবি নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। সেখানকার এক প্রাচীন শহর অক্সিরিংকাস। কায়রো থেকে সেই শহরের দূরত্ব প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। এখানেই রয়েছে মিশরীয়দের দেবতা অসিরিসের মন্দির। সেখানে একদল ছাত্রকে নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিলেন বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ পেড্রো। সেখানে সপ্তম শতাব্দীর একটি সমাধি খনন করে তাঁরা একটি ছবি পান। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে একটি মানুষ, তাঁর চুল কোঁকড়া ও অনেকটা লম্বা। হাতের মুদ্রায় আশীর্বাদের ভঙ্গিমা। এই ছবিটি পাওয়ার পর গবেষকদের সিদ্ধান্ত হল, এটাই যিশুর সবথেকে পুরনো ছবি।
যিশুর যে মানবধর্ম, তার চৈতন্যে রয়েছে শুধুই ভালোবাসা। পৃথিবীর সকল মহাপুরুষই যুগে যুগে মানুষকে ভালোবাসার কথাই বলে গিয়েছেন। পরবর্তীকালের কিছু হীনচেতা মানুষ আপন স্বার্থে সেই ধর্মের মধ্য থেকে নানা বিভেদ খুঁজে বের করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফিরতে হবে আলোর পথেই। আজ বড়দিন তাই বড় মনের মানুষ হয়ে ওঠার দিন।
25th  December, 2024
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। বিশদ

24th  December, 2024
সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল।
বিশদ

23rd  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন কার স্বার্থে?
হিমাংশু সিংহ

কেন ইস্তফা দেবেন না অমিত শাহ? দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাই যদি মুখ ফস্কে দেশের সংবিধান প্রণেতা সম্পর্কে এমন বালখিল্য মন্তব্য করেন তাহলে সরকারের অভিসন্ধি বুঝতে ভুল হওয়ার কথা নয়। সম্মান জানানো দূরস্থান, বি আর আম্বেদকরের ভূমিকাকে লঘু করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর ও তাঁর কট্টর মনুবাদী দলের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না। ‘আলটপকা’ এই মন্তব্যটা স্রেফ অজুহাত।
বিশদ

22nd  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

21st  December, 2024
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
একনজরে
১৭ দিনের ব্যবধানে নন্দীগ্রামে দু’জন তৃণমূল কর্মী খুন হলেন। আর ওই খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তরা এখনও অধরা। এই অবস্থায় পুলিসের উপর প্রবল চাপ বাড়ছিল। সেই চাপের মুখে শেষপর্যন্ত নন্দীগ্রাম থানার আইসি অনুপম মণ্ডলকে সরিয়ে দেওয়া হল। ...

২০১০ সাল। বামফ্রন্ট সরকারের শেষ সময়। ইউপিএ-২ সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম-নেতাইয়ের গণহত্যা নিয়ে তখন গোটা বাংলা উত্তাল। ...

দলের শক্তি নির্ভর করে রিজার্ভ বেঞ্চের উপর। কঠিন সময়ে ডাগ আউটই পার্থক্য গড়ে দেয়। মরশুমের শুরুতে সোনায় মোড়া স্কোয়াড গড়েছিল মোহন বাগান টিম ম্যানেজমেন্ট। ...

তাঁকে ঘিরে ঘন ঘন ক্যামেরার ফ্ল্যাস ঝলসে উঠবে, আশপাশের হাজারো মানুষ হাত মেলাতে চাইবে তাঁর সঙ্গে, দু’দিক থেকে হবে পুষ্পবৃষ্টি—এসব একেবারেই পছন্দ ছিল না ডঃ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্ম, বিদ্যাশিক্ষায় দিনটি শুভ। বৃত্তিগত প্রশিক্ষণে সাফল্যের সুবাদে নতুন কর্মপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। দেহে আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩৬: দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া এবং অ্যাডিলেড প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৮৫:মুম্বইয়ে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়
১৯১০: ভারতে প্রথম বিমান উড্ডয়ন প্রদর্শিত হয়
১৯১১: স্বাধীনতা পেল মঙ্গোলিয়া
১৯১৭: চলচ্চিত্র পরিচালক চন্দ্রমৌলি চোপড়া ওরফে রামানন্দ সাগরের জন্ম 
১৯৯৮: যাত্রাপালাকার ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯২১: কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের উদ্বোধন
১৯৩৭: শিল্পপতি রতন টাটার জন্ম
১৯৫৪:  থিয়েটার অভিনেতা তথা পরিচালক ও নাট্যকার রমাপ্রসাদ বণিকের জন্ম
১৯৮৩: সঙ্গীতশিল্পী তথা চলচ্চিত্র অভিনেতা ও নাট্য অভিনেতা রবীন মজুমদারের মৃত্যু
১৯৮৪:  ত্রিশতম সেঞ্চুরিটি করে টেস্ট ক্রিকেটে সুনীল গাভাস্কার, ব্রাডম্যানের বিশ্বরেকর্ড ভঙ্গ করেন
২০২০:মসলিনকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৭৩ টাকা ৮৬.৪৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৭ টাকা ১০৯.০৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৫ টাকা ৯০.৮১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪। ত্রয়োদশী ৫৩/৫ রাত্রি ৩/৩৩। অনুরাধা নক্ষত্র ৩৯/৪৫ রাত্রি ১০/১৩। সূর্যোদয় ৬/১৯/২৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৬/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ৯/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৮ গতে ২/৪৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/১৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৪/৪০ গতে উদয়াবধি। 
১২ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪। ত্রয়োদশী রাত্রি ২/৫৫। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ১০/১৭। সূর্যোদয় ৬/২২, সূর্যাস্ত ৪/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৫০ গতে ৯/৫০ মধ্যে ও ১২/৬ গতে ২/৫৮ মধ্যে ও ৩/৩৯ গতে ৪/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৫ গতে ২/৫২ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪১ মধ্যে ও ১২/৫৯ গতে ২/১৮ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৭ মধ্যে ও ৪/৪১ গতে ৬/২২ মধ্যে। 
২৫ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
চম্পাহাটি বিস্ফোরণ কাণ্ড: মৃত্যু হল একজনের

11:43:00 PM

দিল্লিতে পৌঁছলেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা

11:00:00 PM

ছত্তিশগড়ের সুকমা থেকে দুটি আইইডি উদ্ধার করল নিরাপত্তা বাহিনী

10:58:00 PM

দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণন

10:55:00 PM

আগামী ৪ জানুয়ারি খানৌরি সীমান্তে কিষাণ মহাপঞ্চায়েতের ডাক দিল আন্দোলনরত কৃষকরা

10:51:00 PM

উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে লাগল আগুন, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিস

10:18:00 PM