Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। আবাস প্রকল্পের টাকা রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকেই দেওয়া হচ্ছে। এবং অবশ্যই তা জনগণের করের টাকা। তাহলে কি গরিব মানুষের বাড়ি তৈরির জন্য টাকা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভুল করলেন? সেটা না করে কি জ্যোতি বসুর স্টাইলে শিল্পপতি ধরার নামে রুটিন করে বিদেশ-ভ্রমণ করাই উচিত ছিল, নাকি শিক্ষকের চাকরি প্রার্থীদের মতো গরিব মানুষগুলোকেও ‘রাজনীতির বোড়ে’ বানালে ভালো হতো? তবে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি হল, কোন সরকার বা মন্ত্রী তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে জনসেবা করেন? এমনকী, বাংলাকে ৩৪ বছর শাসনের রেকর্ড সুজন চক্রবর্তীদের জিম্মায় থাকলেও এমন নজির তাঁরা সৃষ্টি করতে পারেননি।
গ্রামীণ এলাকার গরিব মানুষের মাথার উপর পাকা ছাদ নির্মাণই হল আবাস প্রকল্প। কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সহায়তায় গোটা দেশে গরিব গৃহহীন মানুষ পাকা বাড়ি পেয়ে থাকে। তিন বছর ধরে বাংলায় সেই প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথমে প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, এই অজুহাতে টাকা আটকে দিয়েছিল। এই প্রকল্পের ৪০ শতাংশ টাকা রাজ্য সরকার দিলেও গরিব মানুষের স্বার্থে কেন্দ্রের দাবি মেনে নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেও টাকা দেয়নি। কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে তৈরি হয়েছিল ১১ লক্ষের তালিকা। তারপরেও টাকা না মেলায় আন্দোলন মঞ্চেই কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে গরিব মানুষের ঘর তৈরির টাকা কেন্দ্র  না দিলে দেবে রাজ্যই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন এই ঘোষণা করেছিলেন সেদিন অনেকেই ভেবেছিলেন, সবটাই ফাঁকা আওয়াজ। এই বিপুল পরিমাণ টাকা জোগাড় করা অসম্ভব। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন, ইচ্ছা থাকলে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। আবাস তালিকায় থাকা ১১ লক্ষকে তো টাকা দিচ্ছেনই। তার সঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আরও ১ লক্ষ পরিবার পেতে চলেছে মাথার উপর পাকা ছাদ। কারণ তাঁরাও যে আশ্রয়হীন! মুখ্যমন্ত্রীর এই অভাবনীয় সিদ্ধান্তে গ্রামের বুকে জন্ম নিয়েছে এক নতুন স্লোগান, ‘যার নেই কোনও ক্ষমতা/ তার জন্য আছেন স্বয়ং মমতা’।
কথা দিলে কথা রাখেন মমতা। একুশের নির্বাচনের পর সেটা তিনি বিরোধীদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন। নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিটি প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন। আরও একবার প্রমাণ করলেন। শুধু ১২ লক্ষই নয়, তাঁর তালিকায় রয়েছে আরও ১৬ লক্ষ পরিবারের নাম। দু’দফায় আট লক্ষ করে দু’বারে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের টাকা দেওয়া হবে। টাকা দেওয়া হবে ছাব্বিশ সাল পর্যন্ত। ওই বছরই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তাই ‘ছাব্বিশের ভূত’ বিরোধীদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে। বিরোধীরাও বুঝতে পারছে, গরিবের বাড়ির ছাদ যত পাকা হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের তলার মাটি ততই মজবুত হবে। 
বিরোধীদের এই আশঙ্কা একেবারে অমূলক বলে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এ রাজ্যে সামগ্রিকভাবে শাসক দলের নেতাদের উপর সাধারণ মানুষ সন্তুষ্ট, এমন দাবি সম্ভবত অতি বড় তৃণমূল সমর্থকও করার সাহস পাবেন না। তা সত্ত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা যে অটুট, প্রতিটি নির্বাচনে তার প্রমাণ মিলেছে। ২০১৯ সাল ছাড়া তৃণমূলের আমলে অ্যান্টি ইনকামবেন্সির কোনও প্রভাব ভোটে পড়েনি। তার কারণ অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা একগুচ্ছ সামাজিক প্রকল্প। রাজ্যের অধিকাংশ মানুষ এখনও বিশ্বাস করে, ক্ষমতায় থাকার সুবাদে তৃণমূল দলটায় অনেক আগাছা জন্মালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরিব মানুষের জন্যই কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ায় সেই বিশ্বাসের ভিত আরও দৃঢ় হল।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণেই বাংলার গরিব মানুষ বিজেপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, আঁকড়ে ধরছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একুশের নির্বাচনের পরাজয়ের বদলা নিতে বন্ধ করে দেয় ১০০ দিনের কাজ। তারপরই দুর্নীতি হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে আটকে দেয় আবাসের টাকা। তিন বছরে ৬৯টি কেন্দ্রীয় টিম পাঠিয়ে তদন্ত করার পরেও টাকা দেয়নি। তাতে লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষ অসহায় অবস্থার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে। বিজেপি বাংলার অসহায় মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ২৪ হাজার কোটি টাকা দিতে না পারলেও ২০২৩-’২৪ সালে বন্ধু শিল্পপতিদের প্রায় পৌনে দু’লক্ষ কোটি টাকার ঋণ অনায়াসেই মকুব করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে যত বঞ্চিত করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাব্বিশের লড়াইটা ততই সহজ হয়ে যাবে।
সিপিএমের মুখপত্র ‘গণশক্তি’ পত্রিকায় লেখা হয়েছে, আবাস তালিকার ১২ লক্ষের নাম ছাঁটল রাজ্য। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০২৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে অনুদান খাতে টাকা খরচকেই টার্গেট করেছে নবান্ন।’ এই সিপিএমের তাত্ত্বিক নেতারাই বাম আমলে দিতেন সাংবাদিকতার পাঠ। বলতেন, ‘গঠনমূলক সমালোচনা করুন। গ্লাসে অর্ধেকটা জল থাকলে আপনারা খালি অংশটাই তুলে ধরেন। জল যে আছে, সেটা বলেন না। মানুষের, সমাজের মঙ্গল চাইলে ভালো দিকটা তুলে ধরতে হয়।’ শূন্যে পৌঁছে সিপিএম সেই নীতিবাক্য বেমালুম 
ভুলে গিয়েছে। 
একথা ঠিক, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রকল্প ঘোষণা ও কর্মসূচির পিছনে থাকে সরকারে টিকে থাকার অথবা ক্ষমতায় ফেরার লক্ষ্য। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সমস্ত আর্থিক ব্যয়ভার নেওয়ার পিছনে শাসক দলের রাজনৈতিক ফায়দা অবশ্যই আছে। কিন্তু, কাজ করে ভোট নিলে অসুবিধে কোথায়? 
মানুষ তো সেই দলকেই ভোট দেয় যে জিতলে 
তাদের উপকার হয়। এই অঙ্ক কষার জন্য স্কুলে যাওয়ার দরকার হয় না। জীবনের পাঠাশালায় অভিজ্ঞতার আলোয় সেই শিক্ষা লাভ হয়। তারজন্যই একুশে সর্বশক্তি নিয়োগ করেও বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে পারেনি। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনেও বঙ্গ বিজেপি ঠেকাতে পারেনি তাদের রক্তক্ষরণ।
কেতুগ্রামের বিল্বেশ্বর পঞ্চায়েতের বারান্দা গ্রামের শ্যামল মাঝির অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের টাকা। মাটির দেওয়ালের উপর চাপানো কিছু খড়ই তাঁদের বাড়ি। দু’টি ঘরে এতদিন ছিল আটটি প্রাণীর বাস। এখন কমে সাত। খড়ের চাল বেয়ে বৃষ্টির জল যত না বাইরে যায়, তারচেয়েও বেশি পড়ে ভিতরে। এবারের অতিবৃষ্টিতে অবস্থা একটু বেশিই করুণ হয়েছিল। শ্যামলবাবুর বৃদ্ধা মা পুষ্পাদেবী নেতাদের দেখলেই বলতেন, ‘হ্যাঁ গো, আমার ব্যাটাটার একটা ইটের ঘর হবে না।’ শুধু এইটুকুই। কাউকে কোনওদিন দোষারোপ করেননি। নেতারা শুধু বলতেন, টাকা ঢুকবে। কিন্তু দিন যায়, মাস যায়, বছরও ঘোরে। বাড়ির টাকা আসে না। ‘ব্যাটার ইটের ঘর হবে না?’ এই প্রশ্ন এড়াতে নেতারা নিতান্ত বাধ্য না হলে শ্যামলবাবুর বাড়ির সামনে যেতেন না।
সেই পুষ্পাদেবীর ছেলের অ্যাকাউন্টে বুধবার ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের ৬০ হাজার টাকা ঢুকেছে। মাটির বাড়ি ভেঙে তৈরি হবে ইটের দেওয়াল। জীর্ণ খড়ের চালার জায়গায় তৈরি হবে ঢালাই ছাদ। আকাশে মেঘ করলে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ আর মনে ভিড় করবে না। তবুও বাড়ির লোকজনের মনে আনন্দ নেই। কারণ সাতদিন আগেই পুষ্পাদেবী সকলকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। শ্যামলবাবুর স্ত্রী বুধু মাঝি বলেন, শাশুড়ির খুব ইচ্ছা ছিল, বেটার একটা ইটের ঘর হোক। এবার সেই ঘর হবে। শাশুড়ির শ্রাদ্ধের কাজ মিটলেই ঘর তৈরির কাজে হাত দেব। মমতাদির কৃপায় স্বপ্নপূরণ হবে আমার শাশুড়িমায়ের।
রাজার নীতি রাজনীতি, নাকি নীতির রাজা, সেটা আজও বুঝে ওঠা সম্ভব হল না। রাজনীতির জাঁতাকলে পড়ে গরিব, খেটে খাওয়া মানুষগুলোর ছোট ছোট স্বপ্নগুলো প্রতিনিয়ত পেষাই হয়। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষ বুঝে গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন ততদিন পুষ্পাদেবীদের স্বপ্নগুলোকে পিষে মারার ক্ষমতা কারও নেই। বাস্তবের মাটিতে একদিন না একদিন মাথা তুলবেই।
21st  December, 2024
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। বিশদ

24th  December, 2024
সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল।
বিশদ

23rd  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন কার স্বার্থে?
হিমাংশু সিংহ

কেন ইস্তফা দেবেন না অমিত শাহ? দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাই যদি মুখ ফস্কে দেশের সংবিধান প্রণেতা সম্পর্কে এমন বালখিল্য মন্তব্য করেন তাহলে সরকারের অভিসন্ধি বুঝতে ভুল হওয়ার কথা নয়। সম্মান জানানো দূরস্থান, বি আর আম্বেদকরের ভূমিকাকে লঘু করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর ও তাঁর কট্টর মনুবাদী দলের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না। ‘আলটপকা’ এই মন্তব্যটা স্রেফ অজুহাত।
বিশদ

22nd  December, 2024
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
একনজরে
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর জঙ্গি হানায় রক্তাক্ত হয়েছিল মুম্বই। সেই হামলার অন্যতম চক্রান্তকারী আবদুল রহমান মাক্কির মৃত্যু হয়েছে। এই মাক্কি ছিল লস্কর-ই-তোইবার সেকেন্ড ইন কমান্ড। ...

তাঁকে ঘিরে ঘন ঘন ক্যামেরার ফ্ল্যাস ঝলসে উঠবে, আশপাশের হাজারো মানুষ হাত মেলাতে চাইবে তাঁর সঙ্গে, দু’দিক থেকে হবে পুষ্পবৃষ্টি—এসব একেবারেই পছন্দ ছিল না ডঃ ...

১৭ দিনের ব্যবধানে নন্দীগ্রামে দু’জন তৃণমূল কর্মী খুন হলেন। আর ওই খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তরা এখনও অধরা। এই অবস্থায় পুলিসের উপর প্রবল চাপ বাড়ছিল। সেই চাপের মুখে শেষপর্যন্ত নন্দীগ্রাম থানার আইসি অনুপম মণ্ডলকে সরিয়ে দেওয়া হল। ...

গির্জার ভিতর ঢুকে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়ায় ঘটনা ঘটল মেঘালয়ে। এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিস। বৃহস্পতিবার মাওলিননং গ্রামের একটি গির্জায় ওই ঘটনা ঘটে। বুধবার ছিল ক্রিসমাস। তার ঠিক পরদিন আকাশ সাগর নামে এক ব্যক্তি গির্জায় ঢুকে পড়ে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্ম, বিদ্যাশিক্ষায় দিনটি শুভ। বৃত্তিগত প্রশিক্ষণে সাফল্যের সুবাদে নতুন কর্মপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। দেহে আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩৬: দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া এবং অ্যাডিলেড প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৮৫:মুম্বইয়ে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়
১৯১০: ভারতে প্রথম বিমান উড্ডয়ন প্রদর্শিত হয়
১৯১১: স্বাধীনতা পেল মঙ্গোলিয়া
১৯১৭: চলচ্চিত্র পরিচালক চন্দ্রমৌলি চোপড়া ওরফে রামানন্দ সাগরের জন্ম 
১৯৯৮: যাত্রাপালাকার ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯২১: কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের উদ্বোধন
১৯৩৭: শিল্পপতি রতন টাটার জন্ম
১৯৫৪:  থিয়েটার অভিনেতা তথা পরিচালক ও নাট্যকার রমাপ্রসাদ বণিকের জন্ম
১৯৮৩: সঙ্গীতশিল্পী তথা চলচ্চিত্র অভিনেতা ও নাট্য অভিনেতা রবীন মজুমদারের মৃত্যু
১৯৮৪:  ত্রিশতম সেঞ্চুরিটি করে টেস্ট ক্রিকেটে সুনীল গাভাস্কার, ব্রাডম্যানের বিশ্বরেকর্ড ভঙ্গ করেন
২০২০:মসলিনকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৭৩ টাকা ৮৬.৪৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৭ টাকা ১০৯.০৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৫ টাকা ৯০.৮১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪। ত্রয়োদশী ৫৩/৫ রাত্রি ৩/৩৩। অনুরাধা নক্ষত্র ৩৯/৪৫ রাত্রি ১০/১৩। সূর্যোদয় ৬/১৯/২৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৬/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ৯/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৮ গতে ২/৪৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/১৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৪/৪০ গতে উদয়াবধি। 
১২ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪। ত্রয়োদশী রাত্রি ২/৫৫। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ১০/১৭। সূর্যোদয় ৬/২২, সূর্যাস্ত ৪/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৫০ গতে ৯/৫০ মধ্যে ও ১২/৬ গতে ২/৫৮ মধ্যে ও ৩/৩৯ গতে ৪/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৫ গতে ২/৫২ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪১ মধ্যে ও ১২/৫৯ গতে ২/১৮ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৭ মধ্যে ও ৪/৪১ গতে ৬/২২ মধ্যে। 
২৫ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
চম্পাহাটি বিস্ফোরণ কাণ্ড: মৃত্যু হল একজনের

11:43:00 PM

দিল্লিতে পৌঁছলেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা

11:00:00 PM

ছত্তিশগড়ের সুকমা থেকে দুটি আইইডি উদ্ধার করল নিরাপত্তা বাহিনী

10:58:00 PM

দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণন

10:55:00 PM

আগামী ৪ জানুয়ারি খানৌরি সীমান্তে কিষাণ মহাপঞ্চায়েতের ডাক দিল আন্দোলনরত কৃষকরা

10:51:00 PM

উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে লাগল আগুন, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিস

10:18:00 PM