Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল। ভালো এবং মন্দ দু’রকম ভাষণই শোনা গিয়েছে তখন। কিন্তু সেগুলির কোনোটিই আগামী ৭৫ বছর মনের রাখার মতো হয়ে উঠেত পারেনি, যেমন ১৯৪৭ সালের ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর ‘আ ট্রিস্ট উইথ ডেস্টিনি’ কিংবা ১৯৪৯ সালের ২৫ নভেম্বর সংবিধান পরিষদে বাবাসাহেব আম্বেদকরের ‘গভর্নমেন্ট বাই দ্য পিপল’ ভাষণ থেকে পাওয়া গিয়েছিল।
৭৫ বছর আগে, কংগ্রেস দলই ছিল গণপরিষদের আলোচনার মূল চালিকাশক্তি। গণপরিষদে ‘সংহতি ও শৃঙ্খলা’ নিয়ে আসার জন্য ডঃ আম্বেদকর কংগ্রেসকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন। আজ, কংগ্রেস লোকসভা এবং রাজ্যসভায় বিরোধী বেঞ্চে বসে। এটি ভাগ্যের একটি বেদনাদায়ক পরিবর্তন কিন্তু অপরিবর্তনীয় নয়।
বিজেপির ইমার্জেন্সি অবসেশন
কংগ্রেস-বিরোধী রাজনৈতিক পরিসরে, বিশেষ করে বিজেপি ও ডানপন্থী শক্তিগুলির ধারণায় সংবিধানের সঙ্গে কংগ্রেসের যোগ ছিল জরুরি অবস্থা (১৯৭৫ সালের জুন থেকে মার্চ ১৯৭৭ সাল) এবং নাগরিকের মৌলিক অধিকার হরণ করার সঙ্গে। নিঃসন্দেহে, কংগ্রেসের ১৩৯ বছরের ইতিহাসে এটি একটি জঘন্য অধ্যায় গিয়েছে, কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী সেই ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন এবং অঙ্গীকার করেছিলেন যে জরুরি অবস্থার পুনরাবৃত্তি আর কখনোই হবে না। ভারতবাসী ইন্দিরাজিকে 
ক্ষমাও করেছিল এবং তাঁকে ও কংগ্রেসকে ১৯৮০ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে ফিরিয়ে এনেছিল দেশের ক্ষমতায়। 
সংবিধান প্রণয়ন ও সংবিধানকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে কি কংগ্রেসের আর কোনও অবদান নেই? আছে, এবং সেই অনুপ্রেরণামূলক কাহিনি খুব কমই শোনানো হয়। সংবিধান সংশোধন করার জন্য সংসদকে ক্ষমতা দিয়েছে সংবিধানের ৩৬৮ নম্বর অনুচ্ছেদ। যেকোনও দেশের সংবিধানে এই প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দেওয়া থাকে। কেননা একটি জাতি পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই অগ্রসর হয়। একটি জাতির সামনে নতুন নতুন হুমকি উপস্থিত হয় এবং নতুন সুযোগেরও সম্মুখীন হয় দেশ। বিভিন্ন মামলার শুনানিতে বিচারপতিরা সংবিধানের ব্যাখ্যা এবং পুনঃব্যাখ্যাও করে থাকেন। সংবিধান এমন একটি জীবন্ত দলিল, জাতির পরিবর্তিত জীবনের সঙ্গে তাকে খাপ খাইয়ে চলতে হয়। 
সংশোধনীগুলি সংবিধানকে শক্তিশালী করেছে
বিতর্কে অংশ নিলে, কংগ্রেস সরকারগুলি সংবিধানের যেসব সংশোধনী এনেছিল আমি সেসবের কথাই স্মরণ করতাম। কেননা, ওই পদক্ষেপগুলি আসলে সংবিধানকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি সংবিধানের প্রস্তাবনায় নির্ধারিত মহান লক্ষ্যগুলিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয় সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার এবং মর্যাদা ও সুযোগের সমতার দিকগুলি।
সংবিধান (প্রথম সংশোধন) আইন, ১৯৫১ ছিল একটি মৌলিক আইন। তার দ্বারা, নাগরিকদের 
মধ্যে যারা সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে অনগ্রসর শ্রেণি বা যারা তফসিলি জাতি ও জনজাতির অন্তর্গত, তাদের অগ্রগতির জন্য সংরক্ষণকে সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত করা হয়েছিল। প্রথম সংশোধনীটি করা না-হলে সংরক্ষণের সম্পূর্ণ কাঠামোটি দাঁড় করানো যেত না।
প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে অনুচ্ছেদ ৩১-এ এবং ৩১-বি যুক্ত করা হয়। এই ব্যবস্থা আসার ফলেই অত্যাচারী, সামন্ততান্ত্রিক জমিদারি প্রথার বিলুপ্তির পথ প্রশস্ত হয়েছিল। ওই ব্যবস্থা মুক্তি দিয়েছিল লক্ষ লক্ষ কৃষক ও খেতমজুরকেও। ভূমি সংস্কার এবং জমি বণ্টন প্রক্রিয়াও সহজতর করেছিল ওই ব্যবস্থা।
প্রথম সংশোধনীটি রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প-বাণিজ্য ক্ষেত্র প্রতিষ্ঠার আইনি ভিত্তি গড়ে দিয়েছিল। নাগরিকের সম্পূর্ণ বা আংশিক ক্ষেত্র বাদে—যেকোনও বাণিজ্য, শিল্প, ব্যবসা বা পরিষেবা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারি ক্ষেত্রকে আইনি পরিসর দিয়েছিল ওই সংশোধনী। 
সংবিধানে অনেক পরিবর্তন ঘটানোর কারণে সংবিধান (৪২তম সংশোধনী) আইন, ১৯৭৬ বিশেষভাবে সমালোচিত হয়েছিল। যাই হোক, এতে যে-দুটি পরিবর্তন করা হয়েছিল, উত্তর প্রজন্ম তা মনে রাখবে বলে কেউ ভাবে না। তার মধ্যে প্রথমটি ছিল ৩৯-এ অনুচ্ছেদের সন্নিবেশ। সবার জন্য সমান ন্যায়বিচার নিশ্চিত ব্যাপারে এটির মাধ্যমে ‘বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদান’ করতে রাষ্ট্রকে আইনত 
বাধ্য করা হয়। অন্যটি ছিল ৪৮-এ অনুচ্ছেদের সন্নিবেশ। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা ও তার উন্নয়ন এবং বন ও বন্যপ্রাণ রক্ষা রাষ্ট্রের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 
সংবিধান (৫২তম সংশোধনী) আইন, ১৯৮৫-র মাধ্যমে সংবিধানের দশম তফসিলটি প্রবর্তিত হয়েছিল। এটাই ছিল আয়ারাম-গয়ারাম বা দলত্যাগের মতো ক্রনিক সমস্যা মোকাবিলার প্রথম প্রচেষ্টা। ওই আইন, দুঃখজনকভাবে, নির্বাচিত বিধায়কদের ধূর্তামি কিংবা স্পিকারদের যোগসাজশ অথবা আদালতের বিভ্রান্তিকর রায়ের কথা মাথায় রাখেনি। দশম তফসিলের উদ্দেশ্য সফল করতে হলে ওই তফসিলের ফের সংশোধনই জরুরি।
তবে সংবিধানের সবচেয়ে সুদূরপ্রসারী সংশোধনী ছিল—সংবিধান (৭৩তম সংশোধন) আইন, ১৯৯২ এবং সংবিধান (৭৪তম সংশোধন) আইন, ১৯৯২। এই দুটির মাধ্যমে পঞ্চায়েত এবং পুরসভাগুলির জন্য পৃথক বিধান তৈরি হয়েছিল। গণতন্ত্র আরও গভীর ও শক্তিশালী হয়েছিল তার দ্বারা। এইভাবে লক্ষ লক্ষ নারী এবং তফসিলি জাতি ও জনজাতির সদস্যকে রাজনৈতিক মূলধারায় আনা সম্ভব হয়েছে। গণতান্ত্রিক ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার দেওয়া গিয়েছে তাঁদের। ক্ষমতা হস্তান্তর এবং পুনঃবণ্টনের এত বড় দৃষ্টান্ত ইতিহাসে আর নেই।
উভয় কক্ষে যে বিতর্ক, তা দুর্ভাগ্যবশত ছিল অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের। এই বিতর্কে সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রায় একমাত্র বিকৃতিটির উপর গুরুত্ব আরোপের ব্যাপারটি সত্যিই দুঃখজনক। এক জাতি এক নির্বাচন এবং বিজেপির অন্যান্য মতলবি পরিবর্তনগুলি আরও খারাপ। ওইসব পরিবর্তনের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে গণতন্ত্র এবং ফেডারেলিজম বা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে দুর্বল করার বীজ। যাই হোক, আমি নিশ্চিত যে সংবিধানের মজবুত মেরুদণ্ড এবং এর শক্তিশালী ও প্রগতিশীল চেতনাই শেষ পর্যন্ত জয়ী হবে।
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
23rd  December, 2024
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। বিশদ

24th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন কার স্বার্থে?
হিমাংশু সিংহ

কেন ইস্তফা দেবেন না অমিত শাহ? দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাই যদি মুখ ফস্কে দেশের সংবিধান প্রণেতা সম্পর্কে এমন বালখিল্য মন্তব্য করেন তাহলে সরকারের অভিসন্ধি বুঝতে ভুল হওয়ার কথা নয়। সম্মান জানানো দূরস্থান, বি আর আম্বেদকরের ভূমিকাকে লঘু করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর ও তাঁর কট্টর মনুবাদী দলের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না। ‘আলটপকা’ এই মন্তব্যটা স্রেফ অজুহাত।
বিশদ

22nd  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

21st  December, 2024
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
একনজরে
১৭ দিনের ব্যবধানে নন্দীগ্রামে দু’জন তৃণমূল কর্মী খুন হলেন। আর ওই খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তরা এখনও অধরা। এই অবস্থায় পুলিসের উপর প্রবল চাপ বাড়ছিল। সেই চাপের মুখে শেষপর্যন্ত নন্দীগ্রাম থানার আইসি অনুপম মণ্ডলকে সরিয়ে দেওয়া হল। ...

রোগীর শরীরে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়াল রায়গঞ্জ মেডিক্যাল চত্বরে। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন চিকিৎসক, নার্স ও অন্য রোগীরা। পুলিস অভিযুক্ত প্রকাশ মৃধা (৩৮) ও রামপ্রসাদ দাস (৪২) নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। ...

তাঁকে ঘিরে ঘন ঘন ক্যামেরার ফ্ল্যাস ঝলসে উঠবে, আশপাশের হাজারো মানুষ হাত মেলাতে চাইবে তাঁর সঙ্গে, দু’দিক থেকে হবে পুষ্পবৃষ্টি—এসব একেবারেই পছন্দ ছিল না ডঃ ...

গির্জার ভিতর ঢুকে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়ায় ঘটনা ঘটল মেঘালয়ে। এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিস। বৃহস্পতিবার মাওলিননং গ্রামের একটি গির্জায় ওই ঘটনা ঘটে। বুধবার ছিল ক্রিসমাস। তার ঠিক পরদিন আকাশ সাগর নামে এক ব্যক্তি গির্জায় ঢুকে পড়ে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্ম, বিদ্যাশিক্ষায় দিনটি শুভ। বৃত্তিগত প্রশিক্ষণে সাফল্যের সুবাদে নতুন কর্মপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। দেহে আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩৬: দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া এবং অ্যাডিলেড প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৮৫:মুম্বইয়ে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়
১৯১০: ভারতে প্রথম বিমান উড্ডয়ন প্রদর্শিত হয়
১৯১১: স্বাধীনতা পেল মঙ্গোলিয়া
১৯১৭: চলচ্চিত্র পরিচালক চন্দ্রমৌলি চোপড়া ওরফে রামানন্দ সাগরের জন্ম 
১৯৯৮: যাত্রাপালাকার ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯২১: কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের উদ্বোধন
১৯৩৭: শিল্পপতি রতন টাটার জন্ম
১৯৫৪:  থিয়েটার অভিনেতা তথা পরিচালক ও নাট্যকার রমাপ্রসাদ বণিকের জন্ম
১৯৮৩: সঙ্গীতশিল্পী তথা চলচ্চিত্র অভিনেতা ও নাট্য অভিনেতা রবীন মজুমদারের মৃত্যু
১৯৮৪:  ত্রিশতম সেঞ্চুরিটি করে টেস্ট ক্রিকেটে সুনীল গাভাস্কার, ব্রাডম্যানের বিশ্বরেকর্ড ভঙ্গ করেন
২০২০:মসলিনকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৭৩ টাকা ৮৬.৪৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৭ টাকা ১০৯.০৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৫ টাকা ৯০.৮১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪। ত্রয়োদশী ৫৩/৫ রাত্রি ৩/৩৩। অনুরাধা নক্ষত্র ৩৯/৪৫ রাত্রি ১০/১৩। সূর্যোদয় ৬/১৯/২৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৬/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ৯/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৮ গতে ২/৪৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/১৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৪/৪০ গতে উদয়াবধি। 
১২ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪। ত্রয়োদশী রাত্রি ২/৫৫। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ১০/১৭। সূর্যোদয় ৬/২২, সূর্যাস্ত ৪/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৫০ গতে ৯/৫০ মধ্যে ও ১২/৬ গতে ২/৫৮ মধ্যে ও ৩/৩৯ গতে ৪/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৫ গতে ২/৫২ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪১ মধ্যে ও ১২/৫৯ গতে ২/১৮ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৭ মধ্যে ও ৪/৪১ গতে ৬/২২ মধ্যে। 
২৫ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
চম্পাহাটি বিস্ফোরণ কাণ্ড: মৃত্যু হল একজনের

11:43:00 PM

দিল্লিতে পৌঁছলেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা

11:00:00 PM

ছত্তিশগড়ের সুকমা থেকে দুটি আইইডি উদ্ধার করল নিরাপত্তা বাহিনী

10:58:00 PM

দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণন

10:55:00 PM

আগামী ৪ জানুয়ারি খানৌরি সীমান্তে কিষাণ মহাপঞ্চায়েতের ডাক দিল আন্দোলনরত কৃষকরা

10:51:00 PM

উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে লাগল আগুন, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিস

10:18:00 PM