Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এক দেশ এক নির্বাচন কার স্বার্থে?
হিমাংশু সিংহ

কেন ইস্তফা দেবেন না অমিত শাহ? দেশের দণ্ডমুণ্ডের কর্তাই যদি মুখ ফস্কে দেশের সংবিধান প্রণেতা সম্পর্কে এমন বালখিল্য মন্তব্য করেন তাহলে সরকারের অভিসন্ধি বুঝতে ভুল হওয়ার কথা নয়। সম্মান জানানো দূরস্থান, বি আর আম্বেদকরের ভূমিকাকে লঘু করার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁর ও তাঁর কট্টর মনুবাদী দলের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না। ‘আলটপকা’ এই মন্তব্যটা স্রেফ অজুহাত। স্পষ্ট হয়ে যায়, সবটাই রাজনীতির প্রয়োজনে এবং সঙ্ঘের গোপন এজেন্ডা চরিতার্থ করতে। তার জন্যই কংগ্রেসের হাতে উপেক্ষিত এক একটি অবহেলিত চরিত্রকে টেনে এনে এমন অতিনাটকীয় আক্ষেপের আয়োজন! আম্বেদকর, নেতাজি, সর্দার প্যাটেল কেউ এর বাইরে নন! সম্মান প্রদর্শনের এলাহি নাটক 
শুধু ভোটের জন্য জনগণকে বোকা বানাতে। 
আমরা কত উদার, সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার তাগিদে। গেরুয়া আকাশে আসল নেতা ঘুরেফিরে সেই ‘ওনলি সাভারকরই’! কে না জানে সঙ্ঘ 
চলে তার নিজস্ব সংবিধান মেনে। বিভাজন, সাম্প্রদায়িকতা এবং হিন্দুত্বই যার শুরু ও শেষ কথা। বাকি এক পোয়া ভড়ংবাজি!
কিন্তু সংবিধানের মন্দিরে, ধাক্কাধাক্কি-রক্তপাত? এও মানা যায়! একটা বিতর্ক, একরাশ উতোর চাপান। ইতিহাস খুঁড়ে তোপ, পাল্টা তোপ। দু’পক্ষেরই প্রকৃত সংবিধানবন্ধু সাজার ক্লান্তিকর প্রতিযোগিতা। সংসদের বহু কোটি টাকা মূল্যের সময় খরচ। শেষে প্রত্যাশামতোই যোগফল শূন্য। বিতর্কের কেন্দ্রে যিনি সেই আম্বেদকর সাহেবের নাম বার বার উচ্চারণ করাকে ‘ফ্যাশন’ বলে বক্রোক্তি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের! আগুনে ঘি দেওয়ার মতোই সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ইস্তফা দাবি সম্মিলিত বিরোধীদের। চুলচেরা লড়াইয়ে কম যায় না প্রতিপক্ষও। রাহুল গান্ধীর সাদা টি শার্ট পর্যন্ত নিমেষে বদলে গেল আম্বেদকর ঘেঁষা নীলের উজ্জ্বল আতিশয্যে। আগে থেকেই সব যেন মাপ করে বানানো। এবার ক্লাইম্যাক্স। হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন সংসদ ভবন চত্বরে ঠেলাঠেলি, রক্তপাত, মায় থানা পুলিস পর্যন্ত। দু’পক্ষের নেতারাই ছুটছেন পার্লামেন্ট থানায়। পুরনো নেতারাই শুধু ব্রাত্য নন, ব্রাত্য সৌজন্য, শিষ্টাচার এবং পারস্পরিক বিশ্বাস। কেসটা স্পিকারের হাতেও কি আছে? অপরাধ শাখার তদন্ত কি রাহুল গান্ধীকে নতুন করে সমস্যায় ফেলবে? এসবই ভবিষ্যৎ বলবে! 
মধ্যিখানে নিট ফল একটাই, সংবিধান ও তাঁর প্রণেতা এবারও সম্মান পেলেন না। আম্বেদকরজির বিদেহী আত্মা মকর দ্বার পেরিয়ে চার দেওয়ালের ঘেরাটোপে কতটা বিলাপ করছেন, তা বলতে পারব না। তবে একথা নিশ্চিত, এবারও বসন্ত গেল প্রকৃত মূল্যায়ন হল না ওই পবিত্র কিতাবের! দুঃখ উপশমও কি হল আমাদের? মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং নিত্যদিনের জীবন যন্ত্রণায় ক্লিষ্ট সাধারণ মানুষের? যাঁদের বেঁচে থাকা শুধু বিস্ফারিত চোখে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ফুলে ফেঁপে নেপোয় মারে দই প্রত্যক্ষ করার জন্য!
৭৫ বছর ধরে দেশ চালনার পবিত্র পথ প্রদর্শক ভারতীয় সংবিধান। কিন্তু এক দেশ এক ভোট নিয়ে মাতামাতি প্রকৃত সমস্যা থেকে সাধারণের নজর ঘোরাতেই। মধ্যিখানে সংসদের মূল্যবান সময় শুধু নষ্ট হল। যার প্রতি মিনিটের মূল্য আড়াই লক্ষ টাকা। অর্থাৎ ঘণ্টায় দেড় কোটি টাকা। ইতিহাসই সাক্ষী, জীবিত অবস্থাতেই পদে পদে অপমানিত হয়েছেন দলিত নেতা, পিছড়ে বর্গের প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব বি আর আম্বেদকর। তাঁর নাম ও কাজের সঙ্গে সংবিধান প্রায় সমার্থক। অথচ প্রাপ্য গুরুত্ব ও সম্মানটুকুও জোটেনি জীবদ্দশায়। সেই অভিমানেই কি তিনি মাঝপথে ইস্তফা দিয়েছিলেন নেহরু মন্ত্রিসভা থেকে, তা আজও রহস্য! পদে পদে অবহেলিত হলেও তাঁর প্রণীত সংবিধানকে বুকে করেই দেশ চলেছে টানা ৭৫ বছর। যুদ্ধ, জরুরি অবস্থা, আর্থিক সঙ্কট, মূল্যবৃদ্ধি, মহামারী, নতুন অর্থনীতির যাত্রা কিংবা থমকে যাওয়া, যুযুধান বিতর্ক যেমন হয়েছে, তেমনি নেমে এসেছে আক্রমণও। শতাধিক সংশোধন আনা হয়েছে। কিন্তু আজও তাকে অস্বীকার করার সাহস কেউ দেখাতে পারেনি। ঝাঁ চকচকে সংসদে ফাঁকা কিতাবই হোক কিংবা রাষ্ট্রের বিবেকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে পথনির্দেশ, বারে বারে আলো ছড়িয়েছে আম্বেদকরের ‘ম্যাগনাম ওপাস’। 
এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার যেন সব বাঁধ ভাঙল। আগের দিন অমিত শাহের ইস্তফার দাবিতে উত্তাল হয়েছিল পার্লামেন্ট। আর পরদিন সংসদ শুধু উত্তপ্তই হল না, রক্তাক্তও হল। প্রতাপ ষড়ঙ্গী কিংবা মুকেশ রাজপুতের সঙ্গেই জখম হল সংসদীয় রাজনীতির আবেগ, ঐতিহ্য এবং পরম্পরা। জখমদের একজনের বয়স ৬৯। অন্যজন ৫৬। দু’জনেই প্রবীণ। আহত হয়ে ভর্তি হলেন হাসপাতালে। ঠেলাঠেলি ও মারার অভিযোগ উঠল স্বয়ং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে। নাগাল্যান্ডের মহিলা এমপি বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে তার চেয়েও ভয়ঙ্কর অভিযোগ ও ইঙ্গিত করলেন। এমনকী সোনিয়াপুত্রের বিরুদ্ধে প্রাণে মারা চেষ্টর ধারা যুক্ত করার চেষ্টাও চলল দিনভর। যদিও শেষ পর্যন্ত পার্লামেন্ট পুলিস স্টেশন সেই ১০৯ নম্বর ধারা বাতিল করে স্বস্তি দেয় রাহুল গান্ধীকে। কংগ্রেসের পাল্টা অভিযোগ, অমিত শাহের আম্বেদকর বিরোধী মন্তব্য থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে পরিকল্পিত হাঙ্গামা পাকিয়েছে বিজেপিই। অমিত শাহকে বাঁচাতেই নাকি এই ধাক্কাধাক্কি নাটকের অবতারণা। এসবই অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ। 
এর সত্যাসত্য কোনওদিন জানা যায় না।  বোফর্স থেকে রাফাল, একই ট্র্যাডিশন সমানে চলে। 
চলতে থাকে।
আলোচনার কথা ছিল সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্তি এবং এক দেশ এক নির্বাচন বিল নিয়ে। সংসদের দুই কক্ষেই কোমর বেঁধে নেমেছিল সরকার পক্ষ। সপ্তাহভর। নেহরু, ইন্দিরা জমানা থেকে রাজীব গান্ধীর সময়, বারে বারে গান্ধী পরিবারের হাতে ভারতীয় সংবিধানের আক্রান্ত হওয়া নিয়ে তোপ দেগেও শেষরক্ষা কি হল গেরুয়া পার্টির। কংগ্রেসের ৫৫ বছরের শাসনকালে সংবিধান সংশোধন হয়েছে ৭৭ বার। দোসর এক দেশ এক নির্বাচন বিল। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই সরকারপক্ষ স্বস্তি পায়নি। উল্টে সপ্তাহ শেষের কিসসা দেশের সংসদীয় ইতিহাসে আর এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা করল। সংসদ চত্বরে শাসক ও প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সদস্যদের লজ্জাজনক ধাক্কাধাক্কি। শাসকদলের দুই এমপি’র জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি যেমন নাটকীয়, তেমনই পরপর দু’পক্ষের পার্লামেন্ট থানায় গিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের মোটেও গৌরবের নয়। স্পিকার পদের গুরুত্ব মহান। সংসদ চত্বরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও বিচারের কাণ্ডারী তিনিই। তাঁকে অন্ধকারে রেখে পুলিসের শরণাপন্ন হওয়া কি সুস্থ লক্ষণ, বিচারটা কি তিনি করতে পারতেন না? সংসদ কি তাহলে বিতর্কের বদলে শারীরিক কসরৎ ও শক্তি প্রদর্শনের জায়গা হল। দুই এমপি’র হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং পরবর্তী অপ্রীতিকর ঘটনা প্রমাণ করে প্রতিষ্ঠিত এলিট এমপিরা পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে বিরোধ মেটাতে ব্যর্থ। এবং ব্যর্থ হলেন বলেই মামলা পুলিস, থানা পর্যন্ত গড়াল। অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের এই বহর সংসদীয় ইতিহাসে কি খুব উজ্জ্বল নিদর্শন হয়ে থাকল ভবিষ্যৎ ইতিহাসের জন্য? দেশের স্বাধীনতার মতোই সংবিধানের শতবর্ষও আসন্ন। সেদিন আমরা অনেকেই 
হয়তো থাকব না। কিন্তু মারামারি রক্তপাতের এই ইতিহাস নিয়ে সেদিন কিন্তু আজকের শাসক ও বিরোধী, দু’পক্ষকেই কাঠগড়ায় তোলার লোকের অভাব হবে না! 
এদেশে ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতা লাভের পর দু’দশক লোকসভা ও বিধানসভার ভোট একসঙ্গে হয়েছিল। ১৯৬৭ সালের পর থেকেই আলাদা আলাদা ভোট হয়, যা গত ৫৭ বছর ধরে চলে আসছে। আচমকা সেই ধারা বদলে বিজেপি এক দেশ এক নির্বাচনের নেশায় মত্ত কেন? দেশের ভালোর জন্য? স্রেফ খরচ ও সময়ের সাশ্রয়ের জন্য? নাকি বহুত্ববাদ ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে একটি দল ও তার নেতার হাতে কেন্দ্রীভূত করতে? ভারতের বিশেষত্বই হল তার বহুত্ববাদ ও বিকেন্দ্রীকরণ মন্ত্র। সেই বিবিধ মত ও পথের অচিন পাখিকে একটি দল যদি কেন্দ্রীকরণের খাঁচায় বন্দি করতে চায়, তা ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপরই আঘাত। আঘাত সংবিধান ও স্বয়ং আম্বেদকরজির আদর্শের উপর। তাই গুরুত্বপূর্ণ বিলটি পেশের সময় সরকারপক্ষ দুই তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা পায়নি। সরকার পক্ষের অন্তত কুড়িজন সদস্যই ভোট দেয়নি। গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রতিটি দলের উচিত এক দেশ এক নির্বাচনের জুমলাকে রুখে দেওয়া। একমাত্র তাহলেই সংবিধানের বহুত্ববাদ রক্ষিত হবে। অন্যথায় দেশে বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলি সংসদীয় ব্যবস্থায় চিরতরে গুরুত্ব হারাবে। গেরুয়া সংস্কৃতিই দেশের মূল চালিকাশক্তি হলে সংবিধানের সর্বনাশ!
22nd  December, 2024
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। বিশদ

24th  December, 2024
সংবিধানের উপর বিরাট আঘাত
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধান গ্রহণের ৭৫তম বার্ষিকী আমরা উদযাপন করেছি ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর। সংবিধানের ৭৫ বছরের যাত্রাকে স্মরণ করার জন্য সংসদের দুটি কক্ষই তাদের নিয়মিত কার্যাবলির বাইরে দুটি দিন আন্তরিকতার সঙ্গেই উৎসর্গ করেছিল।
বিশদ

23rd  December, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

21st  December, 2024
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
একনজরে
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর জঙ্গি হানায় রক্তাক্ত হয়েছিল মুম্বই। সেই হামলার অন্যতম চক্রান্তকারী আবদুল রহমান মাক্কির মৃত্যু হয়েছে। এই মাক্কি ছিল লস্কর-ই-তোইবার সেকেন্ড ইন কমান্ড। ...

তাঁকে ঘিরে ঘন ঘন ক্যামেরার ফ্ল্যাস ঝলসে উঠবে, আশপাশের হাজারো মানুষ হাত মেলাতে চাইবে তাঁর সঙ্গে, দু’দিক থেকে হবে পুষ্পবৃষ্টি—এসব একেবারেই পছন্দ ছিল না ডঃ ...

১৭ দিনের ব্যবধানে নন্দীগ্রামে দু’জন তৃণমূল কর্মী খুন হলেন। আর ওই খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তরা এখনও অধরা। এই অবস্থায় পুলিসের উপর প্রবল চাপ বাড়ছিল। সেই চাপের মুখে শেষপর্যন্ত নন্দীগ্রাম থানার আইসি অনুপম মণ্ডলকে সরিয়ে দেওয়া হল। ...

২০১০ সাল। বামফ্রন্ট সরকারের শেষ সময়। ইউপিএ-২ সরকারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম-নেতাইয়ের গণহত্যা নিয়ে তখন গোটা বাংলা উত্তাল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্ম, বিদ্যাশিক্ষায় দিনটি শুভ। বৃত্তিগত প্রশিক্ষণে সাফল্যের সুবাদে নতুন কর্মপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। দেহে আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৩৬: দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া এবং অ্যাডিলেড প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৮৫:মুম্বইয়ে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়
১৯১০: ভারতে প্রথম বিমান উড্ডয়ন প্রদর্শিত হয়
১৯১১: স্বাধীনতা পেল মঙ্গোলিয়া
১৯১৭: চলচ্চিত্র পরিচালক চন্দ্রমৌলি চোপড়া ওরফে রামানন্দ সাগরের জন্ম 
১৯৯৮: যাত্রাপালাকার ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯২১: কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের উদ্বোধন
১৯৩৭: শিল্পপতি রতন টাটার জন্ম
১৯৫৪:  থিয়েটার অভিনেতা তথা পরিচালক ও নাট্যকার রমাপ্রসাদ বণিকের জন্ম
১৯৮৩: সঙ্গীতশিল্পী তথা চলচ্চিত্র অভিনেতা ও নাট্য অভিনেতা রবীন মজুমদারের মৃত্যু
১৯৮৪:  ত্রিশতম সেঞ্চুরিটি করে টেস্ট ক্রিকেটে সুনীল গাভাস্কার, ব্রাডম্যানের বিশ্বরেকর্ড ভঙ্গ করেন
২০২০:মসলিনকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৭৩ টাকা ৮৬.৪৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৭ টাকা ১০৯.০৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৫ টাকা ৯০.৮১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৮,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৮,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪। ত্রয়োদশী ৫৩/৫ রাত্রি ৩/৩৩। অনুরাধা নক্ষত্র ৩৯/৪৫ রাত্রি ১০/১৩। সূর্যোদয় ৬/১৯/২৮, সূর্যাস্ত ৪/৫৬/৫৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ৯/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৮ গতে ২/৪৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/১৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৪/৪০ গতে উদয়াবধি। 
১২ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪। ত্রয়োদশী রাত্রি ২/৫৫। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ১০/১৭। সূর্যোদয় ৬/২২, সূর্যাস্ত ৪/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৫০ গতে ৯/৫০ মধ্যে ও ১২/৬ গতে ২/৫৮ মধ্যে ও ৩/৩৯ গতে ৪/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৫ গতে ২/৫২ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪১ মধ্যে ও ১২/৫৯ গতে ২/১৮ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৪/৫৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৭ মধ্যে ও ৪/৪১ গতে ৬/২২ মধ্যে। 
২৫ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
চম্পাহাটি বিস্ফোরণ কাণ্ড: মৃত্যু হল একজনের

11:43:00 PM

দিল্লিতে পৌঁছলেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা

11:00:00 PM

ছত্তিশগড়ের সুকমা থেকে দুটি আইইডি উদ্ধার করল নিরাপত্তা বাহিনী

10:58:00 PM

দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণন

10:55:00 PM

আগামী ৪ জানুয়ারি খানৌরি সীমান্তে কিষাণ মহাপঞ্চায়েতের ডাক দিল আন্দোলনরত কৃষকরা

10:51:00 PM

উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে লাগল আগুন, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিস

10:18:00 PM