Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

একটি রায় ও তার রাজনৈতিক স্বার্থ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সমাজতন্ত্র। এই একটি শব্দ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অ্যালার্জি চিরকালের। ১৯৭৬ সালে, সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে ‘সমাজতন্ত্র’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনা বা প্রিঅ্যাম্বলে যুক্ত হয়েছিল। এই ‘উদ্যোগে’র পুরোধা কে ছিলেন? ইন্দিরা গান্ধী। আর সময়টা ছিল জরুরি অবস্থার। ফলে গেরুয়া ব্রিগেড যে এতে আঁশটে গন্ধ পাবে, তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। তারা রাখেওনি। দাবি তাদের একটাই, সংবিধান থেকে এই দু’টিকে ছেঁটে ফেলতে হবে। তবে দাবিটা আনুষ্ঠানিক নয়। মানে, বিজেপি সরকারিভাবে বিবৃতি দিয়ে এমন প্রস্তাব দিচ্ছে না, বা প্রবল আকারে এই ইস্যুতে প্রচারেও নেমে পড়ছে না। কারণ, দিনের শেষে তারাও একটি রাজনৈতিক দল। কয়েকটি নির্দিষ্ট এজেন্ডায় ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ছুটে চলেছে। তাই তারা জানে, মানুষের পালসের বিরুদ্ধে গেলে ভোটে কাঁচি হতে বেশি সময় লাগবে না। আর মানুষের পালস কী? আম ভারতবাসী কিন্তু নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ বলে ভাবতেই পছন্দ করে। আর সমাজতন্ত্র? ১০ জনের মধ্যে আটজনই হয়তো মানে বলতে পারবেন না, তা সত্ত্বেও সংবিধানের এই শব্দে তাঁদের ভয়ানক আস্থা। তাই সবটাই হবে ‘ব্যক্তিগত’ স্তরে। যেমন, বিজেপির এমপিরা বছর চারেক ধরে এই ইস্যুতে সংসদে প্রাইভেট মেম্বার বিল এনে চলেছেন। দলের ভাবটা এমন, কোনও এমপি ব্যক্তিগত মত জানাতেই পারেন। তাঁর নিজস্ব ব্যাপার। দল তো আর সরকারিভাবে কিছু বলছে না! আসল লক্ষ্য হল, নিঃশব্দে একটা চাপ রেখে যাওয়া। এবং একটা প্রশ্ন বারবার চাপিয়ে যাওয়া, ‘সমাজতন্ত্র’ ধারণা কি আজকের ভারতে আদৌ খাপ খায়? 
প্রশ্ন যদি রাজনীতির অন্দরমহল থেকে উড়ে আসে, পাবলিক তেমন গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু যদি আইন ও বিচার ব্যবস্থার প্রধান স্তম্ভ এই প্রশ্ন তোলে? ভাবতে হবে বইকি! সম্প্রতি এই সংক্রান্ত দু’টি রায় সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে। প্রথম সিদ্ধান্ত সংবিধানের পক্ষে। অর্থাৎ, ‘সমাজতন্ত্র’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি ভারতের অন্তরের সঙ্গে মিশে রয়েছে। সংবিধান থেকে মুছে দেওয়া সম্ভব নয়। আর অন্য রায়টি প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন নয় সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের। মামলাটি ছিল তিন দশকের। নিম্ন আদালত, হাইকোর্টের বিভিন্ন বেঞ্চ ঘুরে দেশের প্রধান বিচারপতির এজলাসে এসে পৌঁছেছিল। মূল প্রশ্নটা ছিল, ব্যক্তিগত যে কোনও সম্পদ কি চাইলেই রাষ্ট্র অধিকার করতে পারে? কেন এই মামলা নিয়ে এত টানাটানি? কারণ, সংবিধানের দু’টি ধারা এই মামলার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল। ৩৯বি এবং ৩১সি। প্রথম ধারাটি ডায়রেক্টিভ প্রিন্সিপাল অব স্টেট পলিসি বা নির্দেশমূলক নীতির অন্তর্গত। এতে সাফ বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত মালিকানার পার্থিব সম্পত্তি যদি বৃহত্তর স্বার্থে কাজে লাগে, তাহলে তার দখল রাষ্ট্র নিতে পারে। সাংবিধানিক ভাষায়, কমিউনিটির পার্থিব সম্পদ ভাগ হবে রাষ্ট্রের এবং সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে। সমাজতন্ত্রের প্রাথমিক ধারণা এক রেখে তাকে যদি বাস্তব রূপ দেওয়া যায়, তাহলে এর থেকে আলাদা কিছু হয় না। যাকে বলে সায়েন্টিফিক সোশ্যালিজম। সেটা অবশ্য কার্ল মার্ক্স আরও বড় আকারে ব্যাখ্যা করেছিলেন। তাঁর ব্যাখ্যায়, সম মনোভাবাপন্ন বেশ কয়েকজন মিলে এক একটা কমিউন গঠন করবেন। সেখানে ব্যক্তি সম্পদ বলে আলাদা কিছু থাকবে না। বরং তা ভাগ হবে কমিউনিটির সবার মধ্যে। এমন ধারণায় সরকারের প্রয়োজনীয়তাও ফিকে হয়ে যাবে। ভারতের সংবিধান অবশ্য সমাজতন্ত্রের পুঁথিগত ভাবনায় ঢুকে পড়েনি। বরং গণতন্ত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সমাজতান্ত্রিক একটা ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। তিনি মনে করেছিলেন, তখনকার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিতে সরকারকে অনেক বেশি সক্রিয় হতে হবে। সেই কারণেই ব্যাঙ্কের রাষ্ট্রীয়করণের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। আর প্রয়োজন ছিল পরিকাঠামো উন্নয়নের। রাস্তা, উড়ালপুল, ট্রেন লাইনের বিস্তারে জোর দিলে কাজ বাড়বে। মানুষের হাতে টাকা আসবে। ইকনমিও রোল হতে শুরু করবে। কিন্তু যথেচ্ছ পরিকাঠামো উন্নয়নে বাধা হতে পারে জমি। রাষ্ট্রীয় নীতি সুনির্দিষ্টভাবে থাকলে তার বিরোধিতা গোড়াতেই মেরে দেওয়া সম্ভব। ৩৯বি ধারা সরকারকে সেই ছাড়পত্র দিয়েছিল। ঠিক যেভাবে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েতকে দিয়েছে। আর এই রাষ্ট্রীয় নীতির রক্ষাকবচ হয়ে দাঁড়িয়েছিল সংবিধানের ৩১সি ধারা। কীভাবে? এতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় নীতি (ডাইরেক্টিভ প্রিন্সিপাল অব স্টেট পলিসি) কার্যকরের ক্ষেত্রে কোনও আইন যদি মৌলিক অধিকারেরও পরিপন্থী হয়, তা কার্যকর হবে না। অর্থাৎ, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে যদি সংবিধানের ৩৯বি ধারা কার্যকর করতে হয়, তাহলে সংবিধানের ১৪ (সমানাধিকার) এবং ১৯ (স্বাধীনতা) ধারারও কোনও মূল্য থাকবে না। রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকবে ৩১সি ধারা। লক্ষ করার মতো বিষয় হল, এই ধারাটিও কিন্তু ১৯৭১ সালে সংশোধনীর মাধ্যমেই সংবিধানে ঢোকানো হয়েছিল, আর ১৯৭৬ সালে তার হাত-পা আরও মজবুত করা হয়েছিল। বেশ মজার ব্যাপার কিন্তু! সমানাধিকার আছে, যতক্ষণ ‘বৃহত্তর স্বার্থ’ প্রকট না হচ্ছে। স্বাধীনতা আছে, যতক্ষণ রাষ্ট্র চাইছে। গণতন্ত্র চলছে, যতক্ষণ সমাজতন্ত্রের ফর্মুলা প্রয়োগের কথা রাষ্ট্রের মনে পড়ছে না। মানেটা পরিষ্কার—রাষ্ট্রের যখন যেমন প্রয়োজন হয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা বা স্বৈরতন্ত্রকে হাতিয়ার করে সে সংবিধান বদলে ফেলেছে। আজ থেকে ৫০ বছর আগে সমাজতন্ত্রের প্রয়োজন ছিল। এখন আর আছে বলে মনে করছে না সুপ্রিম কোর্টই। সরাসরি সে কথা না বললেও প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বুঝিয়ে দিয়েছেন, কোনও সম্পদের পার্থিব মূল্য থাকা মানেই তাতে রাষ্ট্রের দখল প্রতিষ্ঠিত হয় না। তাকে ‘কমিউনিটি রিসোর্স’ হিসেবে চিহ্নিত করার আগে দেখতে হবে তার প্রকৃতিটা কী, সামাজিক উন্নয়নে তার প্রভাব কতটা এবং অবশ্যই যাঁর থেকে সেই সম্পত্তি নেওয়া হচ্ছে, তাঁর প্রয়োজনীয়তা। অর্থাৎ, অধিগ্রহণ হইতে সাবধান। তাহলে উপায় কী? পশ্চিমবঙ্গ মডেল? অধিগ্রহণ নয়, জমি কিনে উন্নয়নের কাজে লাগানো? প্রধান বিচারপতি সে কথা বলেননি। তিনি শুধু বুঝিয়ে দিয়েছেন, ১৯৭৭ সালে বিচারপতি কৃষ্ণ আইয়ারের রায় সেই সময়ের আর্থ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল ছিল। জরুরি অবস্থা, ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে মাপকাঠি ধরলে যে সিদ্ধান্তকে অকাট্য বলে মনে হয়েছিল, তার প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে। উদার অর্থনীতির জমানায় পা রাখার পর নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। মানেটা পরিষ্কার, সমাজতন্ত্র আর জরুরি নয়। সোজা কথায়, নতুন ভারতে ওই কনসেপ্ট অচল। মার্কেট ইকনমির উপর ভিত্তি করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেই সিদ্ধান্ত কী? তাহলে কি সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে বাদ যেতে চলেছে ‘সমাজতন্ত্র’? আরও একটি স্বপ্ন পূরণ হবে বিজেপির? এই রায়ের কয়েকদিন আগেই কিন্তু বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেছিলেন, ‘সোশ্যালিজম মানে তো সবার জন্য সমান সুযোগও হতে পারে! আমরা সেভাবে বিষয়টিকে দেখব না কেন? সমানাধিকার। সেটাও তো অর্থ সমাজতন্ত্রের। পশ্চিমি ধারণার চশমা চোখে লাগিয়ে দেখার প্রয়োজন কী?’ তাহলে সেটাই বা বিচারপতি চন্দ্রচূড় স্পষ্ট করে দিলেন না কেন? কী স্বার্থে? এটাই কিন্তু এখন চর্চার বিষয়। তবে শুধু এই একটা প্রশ্ন নয়। গোটা চর্চাটাই সদ্য প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে। যতটা আশা জাগিয়ে তাঁর জমানার সূচনা হয়েছিল, মেয়াদ শেষে ততটা উচ্ছ্বসিত হওয়ার মতো কিছু পাওয়া যাচ্ছে না বলে। 
বিচারপতির বিচার শুরু হয় অবসরের পর। সব উৎসুক নজর ঘুরে যায় তাঁর দিকে। আইন ও বিচার ব্যবস্থার ওই সর্বোচ্চ আসনটি ছেড়ে তড়িঘড়ি সরকারের কোন ‘পদে’ ভূষিত হতে চলেছেন তিনি? রামমন্দির রায়ের পর যেমন বহু দেশবাসীর মনে কৌতূহল ছিল—এই বিচারপতিদের ভবিষ্যৎ কী হবে? কাকতালীয় হতেই পারে, সুপ্রিম কোর্টের ওই বেঞ্চের পাঁচ বিচারপতির মধ্যে চারজনই কিন্তু অবসরের পর নানাবিধ ‘আরামদায়ক’ পদ পেয়েছেন। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ তো রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য হিসেবে রাজ্যসভা আলোকিত করে রয়েছেন। বাকি ছিলেন একজন। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর বেলায় ব্যতিক্রম কেন? কারণ, তিনি সিটিং জাস্টিস। উপরন্তু দেশের প্রধান বিচারপতি হয়েছেন। সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে। আর সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, এবার কি তাহলে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের পালা? কেন এই প্রশ্ন? সংশয় যে তিনিই জাগিয়েছেন। নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থাকে বেআইনি রায় দিয়ে বন্ধ করেছেন। কিন্তু তদন্তের নির্দেশ দেননি। আধার বিলকে অর্থ বিলের আসনে বসিয়ে সংসদে পাশ করিয়ে নেওয়ার ঘটনাকে সাংবিধানিক প্রতারণা বলে রায় দিয়েছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি। আরটিআই আইনে মোদি সরকারের গা-জোয়ারি সংশোধনী নিয়েও কথা বলেননি তিনি। তাঁর রায়ের বিরুদ্ধে অর্ডিন্যান্স জারি হয়েছে, তারপরও কঠোর হতে দেখা যায়নি বিচারপতি চন্দ্রচূড়কে। উল্টে গণেশ পুজোয় তাঁর বাড়িতে আমন্ত্রিত ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। এমনকী, অবসরের আগে তাঁর নজরকাড়া মন্তব্য—রামমন্দির রায়ের আগের দিন তিনি ঈশ্বরের সামনে বসে জানতে চেয়েছিলেন, সিদ্ধান্ত কী হওয়া উচিত। ঈশ্বর তাঁকে পথ দেখিয়েছিলেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই এইসব ঘটনাক্রম সমালোচকদের প্রশ্নবাণে শান দিয়েছে। আর বাড়িয়েছে অপেক্ষা—এবার তিনিও সরকারের প্রাইজ পোস্টিংয়ে যাবেন না তো? 
কঠিন পরিস্থিতি। সাধারণ মানুষ এত মারপ্যাঁচ বোঝে না। তারা জানে শুধু বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ফারাকটা। আইন ব্যবস্থা সরকারের কথায় চলে না—এটাই হল বিশ্বাস। আর কোনও সিদ্ধান্তে সরকার বা শাসকের যদি সুবিধা হয়, তাহলে সেটা অবিশ্বাসের জন্ম দেয়। সমাজতন্ত্র ভাবনাটা যদি এই রায়ের উপর ভর করে সংবিধান থেকে মুছে যায়, তাহলে সংশয় কিন্তু বাড়বে। আর উঠে আসবে আরও একটা প্রশ্ন—এরপর কি ধর্মনিরপেক্ষতার পালা? সঙ্ঘ মনে করে, ভারত হিন্দুরাষ্ট্র। সেই ভাবনাকেই বাস্তব রূপ দিতে ছুটে চলেছে বিজেপি। তারা ভুলে গিয়েছে, দেশভাগের পর লাগাতার দাঙ্গা থেকে মুক্তি দিয়েছিল শুধু এই একটি শব্দ। মানুষ বিশ্বাস করেছিল, ধর্মের নামে ভারতবর্ষ নয়। সহিষ্ণুতাই এই মাটির ভিত। গণতন্ত্রে সবার সমান অধিকার। ধর্মের নামে মারামাটি কাটাকাটি যত হবে, বাড়বে সামাজিক অস্থিরতা। কমবে শিক্ষার মান। ক্ষমতালোভী শাসকের লক্ষ্য সেটাই। কারণ, তখনই থাকবে আধিপত্য। স্বেচ্ছাচার। কে বলতে পারে, দু’দশক পরের টার্গেট আর একটি শব্দ হবে না... ‘গণতন্ত্র’।
12th  November, 2024
ত্রুটি সংশোধনই যখন লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

দু’বছর আগে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়েও সামনে এসেছিল বিস্তর অনিয়ম। পাকা বাড়ির, এমনকী চারতলা বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল আবাসের তালিকায়। বাদ পড়েছিলেন দুঃস্থরা। এখন সার্ভে চলছে সেই আবাসেরই। এবারও দুঃস্থের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোটিপতি ও বহুতলের মালিকরা। বিশদ

বাজেটের টাকাগুলো সব যাচ্ছে কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

মাত্রাছাড়া দূষণ হলে কার ক্ষতি? যারা সরকারের সব কথা মান্য করে তাদের। অর্থাৎ ভোটের সময় ভোট দেয়। কেনাকাটা অথবা আয় করার সময় ট্যাক্স দেয়। আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে। সোজা কথায় জনগণ। আর কাদের লাভ? এয়ার পিউরিফায়ার, মাস্ক, নিবুলাইজার এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ কোম্পানিদের। বিশদ

22nd  November, 2024
হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

21st  November, 2024
অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। বিশদ

19th  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
বিরোধীদের এমন ছত্রভঙ্গ চেহারা কবে দেখেছি?
হিমাংশু সিংহ

শতাব্দীর সেরা প্রহসন বোধ হয় একেই বলে! রাজ্যের তাবৎ বিরোধী শক্তির আজন্ম স্বপ্ন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। কালীপুজোর রাত এলে ফাটে না একটা বাজিও। দেড় ফুটের চেয়ে উপরে ওঠে না তুবড়ির ঝিলিক দেওয়া ফুল!
বিশদ

17th  November, 2024
আত্মবিশ্বাস নেই বলেই প্রহসনের গাওনা!
তন্ময় মল্লিক

বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা’। সস্তার জিনিস ভালো হয় না, বেশিদিন চলে না, তাই আর্থিক ক্ষতি হয়। দিল্লির বিজেপি নেতারা সম্ভবত এই প্রবাদটি জানেন না। জানলে একটা মিসড কল দিয়ে সদস্য হওয়ার সহজ রাস্তাটা পরিহার করতেন।
বিশদ

16th  November, 2024
ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন
দ্রৌপদী মুর্মু (ভারতের রাষ্ট্রপতি)

তাঁর আকাঙ্ক্ষাগুলি—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদা—আমাদের দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের প্রতিটি প্রেক্ষাপট আমাদের মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের অনন্য প্রতিভা দিয়েই ভারতের চেতনার প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিশদ

15th  November, 2024
এক দশকের অপমান
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি সর্বদাই নতুন কিছু করে দেখাতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে তাঁর পছন্দের সবজেক্ট অথবা প্রিয় হবি হল, নেহরু গান্ধী পরিবারের প্রধানমন্ত্রীদের আমলে ভারতে যা কিছু হয়েছে, সেগুলি বদলে দেওয়া। সম্পূর্ণ নতুন একটি যুগের সূচনা করা। যাকে মহাকাল আখ্যা দেবে মোদিযুগ। বিশদ

15th  November, 2024
ট্রাম্পের জয়, বাংলাদেশের ভয়!
মৃণালকান্তি দাস

তিনি ঘোষিত ‘ঘোর ট্রাম্প বিরোধী’। অন্তত ২০১৬ সালে তাই ছিলেন। সেই বছর প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।’ সেই মহম্মদ ইউনুস এখন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। বিশদ

14th  November, 2024
শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী
সন্দীপন বিশ্বাস

সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছেন সলিল চৌধুরী। খুব ইচ্ছে তাঁর লেখা কয়েকটা গান যেন ‘হেমন্তদা’ রেকর্ড করেন। সলিল তাঁকে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের জন্য বাঁধা কয়েকটি গান শোনান। সেই গান শুনে হেমন্ত বললেন, ‘না, এখন এই গান রেকর্ড করা যাবে না। বিশদ

13th  November, 2024
আমেরিকায় বেলাগাম রাজনীতির জয়!
পি চিদম্বরম

আরও একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। আমেরিকা বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্রের একটি। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সেখানকার নির্বাচনে স্বচ্ছতার সঙ্গেই জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে কেউই প্রশ্ন তুলতে পারে না।
বিশদ

11th  November, 2024
একনজরে
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি বিভাগের নতুন কর্মাধ্যক্ষ হলেন প্রাক্তন বিধায়ক এটিএম আবদুল্লা (রনি)। শুক্রবার বারাসতে জেলা পরিষদ ভবনের তিতুমীর কক্ষে বৈঠকের ...

২৬/১১ মুম্বই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১৬৬ জন। ২০০৮ সালের সেই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর হুসেন রানা। পাকিস্তান-জাত কানাডার এই নাগরিক বর্তমানে আমেরিকার জেলে ...

বিহারের কিষানগঞ্জের সাইবার গ্যাংয়ের জালিয়াতির শিকার উত্তরবঙ্গের চা-শ্রমিকরা। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে তারা কয়েক হাজার শ্রমিকের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়েছে। ...

রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির বাস্তব রূপায়ণ ঘটানো এবং সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়া—সুনির্দিষ্ট এই বার্তাকে সামনে রেখে এবার একটি সম্মেলন করার উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক দায়মুক্তি অবসান দিবস
১৮৮৩: লেখক প্যারীচাঁদ মিত্রের মৃত্যু
১৮৯৭: লেখক নীরদচন্দ্র চৌধুরির জন্ম
১৯০৭: বিশিষ্ট বেতার সম্প্রচারক, গীতিকার, প্রযোজক ও নাট্য পরিচালক বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্যের জন্ম (বাণীকুমার) নামেই পরিচিত
১৯২২: রাজদ্রোহের অভিযোগে কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেফতার হন এবং সরকার কর্তৃক তার বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়
১৯২৬: হিন্দু ধর্মগুরু, আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ সত্য সাঁই বাবার, (পূর্বাশ্রমের নাম সত্যনারায়ণ রাজু) জন্ম
১৯৩০: সঙ্গীতশিল্পী গীতা দত্তর জন্ম
১৯৩৭: বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর মৃত্যু  
১৯৫০: লেখক,ইতিহাসবেত্তা ও ভারততত্ববিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর জন্ম
১৯৬৪: ব্রিটেনে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক বেতার কেন্দ্র চালু হয়
১৯৮৭: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক, শিল্পনির্দেশক চিত্রনাট্যকার  রাজেন তরফদারের মৃত্যু 
১৯৯৭: ভারতে সরকারি সম্প্রচার সংস্থা প্রসার ভারতী গঠিত হয়।
২০০৩: প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের একজন দিকপাল ঐতিহাসিক দিলীপকুমার বিশ্বাসের মৃত্যু
২০০৬: বাংলা প্যারোডি গানের রচনাকার ও গায়ক মিন্টু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬৭ টাকা ৮৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৫৫ টাকা ১০৮.২৭ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৯ টাকা ৯০.২৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী ৩৫/৪৮ রাত্রি ৭/৫৮। মঘা নক্ষত্র ৩৩/৪০ রাত্রি ৭/২৭। সূর্যোদয় ৫/৫৮/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৩২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৭/২৪ গতে ৯/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৪ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪২ গতে ২/২৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২৭ গতে ৩/২০ মধ্যে। বারবেলা ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/২৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি। 
৭ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ১০/২৬। মঘা নক্ষত্র রাত্রি ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/১, সূর্যাস্ত ৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৩ মধ্যে ও ৭/৩৫ গতে ৯/৪৩ মধ্যে ও ১১/৫১ গতে ২/৪১ মধ্যে  ও ৩/২৩ গতে ৪/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৫০ গতে ২/৩৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৩৬ গতে ৩/৩০ মধ্যে। কালবেলা ৭/২১ মধ্যে ও ১২/৪৫ গতে ২/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৪/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৬/১ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে একটি গ্রামে বোমাবাজি
এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে গ্রামের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি। ...বিশদ

09:39:00 PM

আইএসএল: জামশেদপুরকে ৩-০ গোলে হারাল মোহন বাগান

09:36:00 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ৩-জামশেদপুর ০ (৮৭ মিনিট)

09:15:00 PM

নাগপুরের বাড়িতে পৌঁছলেন মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ

09:13:00 PM

আমাদের লক্ষ্য দেশ নির্মাণ: প্রধানমন্ত্রী

09:12:00 PM

হিমাচল প্রদেশের কুলুতে তুষারপাত

09:08:00 PM