Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আমেরিকায় বেলাগাম রাজনীতির জয়!
পি চিদম্বরম

আরও একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। আমেরিকা বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্রের একটি। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সেখানকার নির্বাচনে স্বচ্ছতার সঙ্গেই জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে কেউই প্রশ্ন তুলতে পারে না। জয়ের জন্য ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোটের দরকার ছিল। রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ৩১২ এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সংগ্রহ ২২৬। এর পাশাপাশি ডোনাল্ড ট্রাম্প পপুলার বা জনপ্রিয় ভোটও পেয়েছেন সবচেয়ে বেশি: কমলা হ্যারিসের ৬৮.৩ মিলিয়নের জবাবে ৭২.৯ মিলিয়ন। দলটি সেনেটের নিয়ন্ত্রণ অর্জন করার কারণে ২০২৪ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হল আরও বেশি। একইসঙ্গে নিম্নকক্ষ বলে পরিচিত হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ বা প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণও ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ধরে রাখতে পারবে বলেই মনে হয়। অর্থাৎ প্রতিটি মানদণ্ডেই এটি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর রিপাবলিকান পার্টির জন্য একটি বিপুল বিজয়।
প্রাক-নির্বাচন সমীক্ষা, দেখা যাচ্ছে, ভুলে ভরা ছিল। তথাকথিত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই কোথাও হয়নি। এমনকী বহুচর্চিত সাতটি ‘সুইং’ প্রদেশও ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে এবং একতরফাই ঝুঁকল:
এই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে দু’পক্ষের জয়-পরাজয়ের ব্যবধানটিও পাওয়া গেল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
মাগা (মেক আমেরিকা গ্রেট আগেইন) মানে কী 
বেশিরভাগ স্বাধীন পর্যবেক্ষক এবং নিরপেক্ষ মিডিয়া একমত যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার এবং তাঁর ভাষণগুলি ছিল অশালীন, বর্ণবিদ্বেষপূর্ণ, অপমানজনক এবং বিভেদমূলক। কিন্তু আমেরিকার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ তাঁর এই নেতিবাচক ভূমিকাকে পাত্তাই দেয়নি। তারা বরং গুরুত্ব দিয়েছিল এবং বেশি ভাবিত ছিল অভিবাসন, মুদ্রাস্ফীতি এবং অপরাধমূলক কাজকর্ম নিয়ে। মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে নাগরিকের জীবনযাত্রা নিশ্চয় জড়িত। কিন্তু বাকি দুটি আমাদের ‘রুটিরুজি’র মতো কোনও জরুরি সমস্যা নয়। ওই সমস্যা দুটিকে মোটামুটিভাবে মরাবাঁচার চেতাবনি হিসেবে দেখা যেতে পারে। অভিবাসনকে ‘আমাদের মতো নয় এমন লোকেদের’ জন্য দরজা হাট করে খুলে দেওয়ার মতো বিপদ হিসেবে দেখা হয়, যাতে শ্বেতাঙ্গ খ্রিস্টান আমেরিকান নাগরিকদের স্বার্থ জলাঞ্জলি যাচ্ছে। এমনকী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আগে প্রবেশাধিকার পেয়ে যাওয়া অভিবাসীদের কাছেও নতুন অভিবাসীরা স্বাগত গণ্য হয়নি। বিশেষত লাতিন আমেরিকা বংশোদ্ভব পুরনো ভোটাররা নতুন অভিবাসীদেরকে তাদের জন্য বিপদ হিসেবেই দেখছে। মুদ্রাস্ফীতি প্রতিটি দেশের সকলকেই দুর্ভোগে ফেলেছে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি ২.৪ শতাংশের গণ্ডিতে থাকা সত্ত্বেও মার্কিন ফেড সুদের হার নীতিগতভাবে কমাতেও প্রস্তুত। ব্যাপারটিকে নিম্ন মুদ্রাস্ফীতির লক্ষণ হিসেবেই দেখা উচিত। তবুও এই মুদ্রাস্ফীতিই, নির্বাচনী প্রচারে রিপাবলিকান পার্টির হাতে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, নগরায়ণ এবং মাদকের রমরমার কারণে বেশিরভাগ দেশের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও অপরাধ বৃদ্ধির সাক্ষী হয়েছে। অপরাধ, যেকোনও শাসককের জন্য সবসময়ই এক মারাত্মক বিপদ।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ইস্যুগুলির পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেছেন। আর এই ইস্যুতে আক্রমণের জন্য তিনি বেছে নিয়েছিলেন অনবদ্য ট্রাম্পসুলভ অশালীন বা কুরুচিকর ভাষা প্রয়োগের রাস্তা। আমাকে সবচেয়ে অবাক করেছে যে, ভোটাররা এসব অকথা-কুকথাকে গায়েই মাখেননি!
লুপ্ত সংযম ও শালীনতা  
অন্যদিকে, প্রচারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন গর্ভপাত এবং মহিলাদের অধিকার, সংবিধানের পবিত্রতা রক্ষা, সবার জন্য ন্যায়, জাতিগত সমতা এবং সহানুভূতির মতো বিষয়গুলির উপর। কিন্তু পরিতাপের সঙ্গে লক্ষ করা গেল যে, তাঁর প্রচারের প্রধান বিষয়গুলি বেশিরভাগ ভোটারকে নাড়া দেয়নি। যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই মূল্যবোধগুলির প্রতি সামান্য শ্রদ্ধাও নেই, তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধে এগুলির পরাজয় হয়েছে। 
মার্কিন নির্বাচনে ‘পরাজয়’ হয়েছে আরও যেসব বিষয়ের, তার মধ্যে থাকছে প্রায় ৪৪ হাজার ফিলিস্তিনি মানুষের (তাঁদের মধ্যে ছিলেন কয়েক হাজার নারী ও শিশু এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের কর্মী) নির্মম হত্যার ঘটনার। ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা মার্কিন জনমানসকে তেমন একটা আন্দোলিত করতে পারেনি। তাইওয়ানকে চীনের হুমকি, উত্তর কোরিয়া তাদের দূরপাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলে আমেরিকার মাটিতে আঘাত হানতে পারে, অনেকগুলি দেশে গৃহযুদ্ধ এবং একাধিক তথাকথিত গণতন্ত্রে স্বাধীনতার সীমাবদ্ধতার ইস্যুগুলি আমেরিকার বেশিরভাগ মানুষকে নাড়া দেয়নি। বেশিরভাগ ভোটার মনেই রাখেননি যে তাঁরা ভোট দিচ্ছেন—এবং অবশেষে নির্বাচিত করতে চলেছেন এমন একজনকে, যিনি ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত এবং অপেক্ষা করছেন শাস্তি ঘোষণার জন্য! এবার দেখা যাক তাদের অর্থনীতির দিকটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ করে তুলেছে তাদের যে নীতি (ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ট্রেড, শুল্কের নিম্নহার, অ্যান্টি-মনোপলি) তার থেকে সরে আসাকেও সে-দেশের জনগণ তেমন গুরুত্ব দিয়েছে বলে মনে হয় না। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় নিয়ে উল্লসিত ‘ইকনমিক প্লেয়াররা’ হল —বিগ অয়েল, বিগ ফার্মা এবং বিগ টেক—অর্থাৎ তেল, ওষুধ এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রের দানবতুল্য কর্পোরেটরা। 
লিঙ্গ এবং রং
শেষাবধি, আমেরিকান ভোটাররা তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন। পুরুষ ভোটাররা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করেছেন।  ১৮-২৯ বছর বয়সি বা তরুণদেরও পছন্দের প্রার্থী ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শ্রমিক শ্রেণির ভোটাররাও তাঁকে চেয়েছেন। নন-গ্র্যাজুয়েট বা অল্প শিক্ষিত ভোটাররা ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে। ল্যাটিনো ভোটাররা (মেক্সিকো, পুয়ের্তো রিকো এবং কিউবার থেকে আসা) ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পছন্দ করেছেন। কোনও ভণিতা না রেখে এটাই বলতে হয় যে, তাঁরা সকলেই কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। ভোটদাতাদের এই পছন্দ-অপছন্দের জন্য বিচার্য হয়েছে মূলত প্রার্থীর লিঙ্গ এবং ত্বকের রং। 
মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল অন্যান্য দেশের নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে কি না সেটাই আজকের ভাবনার বিষয়। ওরা পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপুল বিজয়—রূঢ় ভাষা এবং বিভাজনমূলক ভাষণ অনুকরণে, অন্যান্য দেশের নেতাদের প্ররোচিত করতে পারে। কেননা, এই নিন্দনীয় রাজনীতিই এবার আমেরিকার নির্বাচনে সফল হয়েছে। ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প মডেল’ অন্য দেশগুলিতে সংক্রামিত হলে তা হবে গণতন্ত্রের জন্য একটি মারাত্মক ধাক্কা।
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
11th  November, 2024
ত্রুটি সংশোধনই যখন লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

দু’বছর আগে আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময়েও সামনে এসেছিল বিস্তর অনিয়ম। পাকা বাড়ির, এমনকী চারতলা বিল্ডিংয়ের মালিকের নাম ছিল আবাসের তালিকায়। বাদ পড়েছিলেন দুঃস্থরা। এখন সার্ভে চলছে সেই আবাসেরই। এবারও দুঃস্থের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোটিপতি ও বহুতলের মালিকরা। বিশদ

বাজেটের টাকাগুলো সব যাচ্ছে কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

মাত্রাছাড়া দূষণ হলে কার ক্ষতি? যারা সরকারের সব কথা মান্য করে তাদের। অর্থাৎ ভোটের সময় ভোট দেয়। কেনাকাটা অথবা আয় করার সময় ট্যাক্স দেয়। আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে। সোজা কথায় জনগণ। আর কাদের লাভ? এয়ার পিউরিফায়ার, মাস্ক, নিবুলাইজার এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ কোম্পানিদের। বিশদ

22nd  November, 2024
হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

21st  November, 2024
অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। বিশদ

19th  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
বিরোধীদের এমন ছত্রভঙ্গ চেহারা কবে দেখেছি?
হিমাংশু সিংহ

শতাব্দীর সেরা প্রহসন বোধ হয় একেই বলে! রাজ্যের তাবৎ বিরোধী শক্তির আজন্ম স্বপ্ন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। কালীপুজোর রাত এলে ফাটে না একটা বাজিও। দেড় ফুটের চেয়ে উপরে ওঠে না তুবড়ির ঝিলিক দেওয়া ফুল!
বিশদ

17th  November, 2024
আত্মবিশ্বাস নেই বলেই প্রহসনের গাওনা!
তন্ময় মল্লিক

বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা’। সস্তার জিনিস ভালো হয় না, বেশিদিন চলে না, তাই আর্থিক ক্ষতি হয়। দিল্লির বিজেপি নেতারা সম্ভবত এই প্রবাদটি জানেন না। জানলে একটা মিসড কল দিয়ে সদস্য হওয়ার সহজ রাস্তাটা পরিহার করতেন।
বিশদ

16th  November, 2024
ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন
দ্রৌপদী মুর্মু (ভারতের রাষ্ট্রপতি)

তাঁর আকাঙ্ক্ষাগুলি—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদা—আমাদের দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের প্রতিটি প্রেক্ষাপট আমাদের মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের অনন্য প্রতিভা দিয়েই ভারতের চেতনার প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিশদ

15th  November, 2024
এক দশকের অপমান
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি সর্বদাই নতুন কিছু করে দেখাতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে তাঁর পছন্দের সবজেক্ট অথবা প্রিয় হবি হল, নেহরু গান্ধী পরিবারের প্রধানমন্ত্রীদের আমলে ভারতে যা কিছু হয়েছে, সেগুলি বদলে দেওয়া। সম্পূর্ণ নতুন একটি যুগের সূচনা করা। যাকে মহাকাল আখ্যা দেবে মোদিযুগ। বিশদ

15th  November, 2024
ট্রাম্পের জয়, বাংলাদেশের ভয়!
মৃণালকান্তি দাস

তিনি ঘোষিত ‘ঘোর ট্রাম্প বিরোধী’। অন্তত ২০১৬ সালে তাই ছিলেন। সেই বছর প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।’ সেই মহম্মদ ইউনুস এখন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। বিশদ

14th  November, 2024
শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী
সন্দীপন বিশ্বাস

সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছেন সলিল চৌধুরী। খুব ইচ্ছে তাঁর লেখা কয়েকটা গান যেন ‘হেমন্তদা’ রেকর্ড করেন। সলিল তাঁকে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের জন্য বাঁধা কয়েকটি গান শোনান। সেই গান শুনে হেমন্ত বললেন, ‘না, এখন এই গান রেকর্ড করা যাবে না। বিশদ

13th  November, 2024
একটি রায় ও তার রাজনৈতিক স্বার্থ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সমাজতন্ত্র। এই একটি শব্দ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অ্যালার্জি চিরকালের। ১৯৭৬ সালে, সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে ‘সমাজতন্ত্র’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনা বা প্রিঅ্যাম্বলে যুক্ত হয়েছিল। এই ‘উদ্যোগে’র পুরোধা কে ছিলেন? ইন্দিরা গান্ধী। আর সময়টা ছিল জরুরি অবস্থার।
বিশদ

12th  November, 2024
একনজরে
২৬/১১ মুম্বই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১৬৬ জন। ২০০৮ সালের সেই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর হুসেন রানা। পাকিস্তান-জাত কানাডার এই নাগরিক বর্তমানে আমেরিকার জেলে ...

বিহারের কিষানগঞ্জের সাইবার গ্যাংয়ের জালিয়াতির শিকার উত্তরবঙ্গের চা-শ্রমিকরা। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে তারা কয়েক হাজার শ্রমিকের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়েছে। ...

এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ হয়েছে প্রচুর টাকা। কিন্তু সেই নিকাশি নালা নির্মাণের কাজ চলছে অত্যন্ত ঢিমেতালে। ব্যস্ততম স্ট্যান্ডে জল জমে থাকছে। ফলে ...

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি বিভাগের নতুন কর্মাধ্যক্ষ হলেন প্রাক্তন বিধায়ক এটিএম আবদুল্লা (রনি)। শুক্রবার বারাসতে জেলা পরিষদ ভবনের তিতুমীর কক্ষে বৈঠকের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সপরিবারে নিকট ভ্রমণের পরিকল্পনা। সহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে শত্রুতা করতে পারে। নতুন কোনও কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মক্ষেত্রে বদলির ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক দায়মুক্তি অবসান দিবস
১৮৮৩: লেখক প্যারীচাঁদ মিত্রের মৃত্যু
১৮৯৭: লেখক নীরদচন্দ্র চৌধুরির জন্ম
১৯০৭: বিশিষ্ট বেতার সম্প্রচারক, গীতিকার, প্রযোজক ও নাট্য পরিচালক বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্যের জন্ম (বাণীকুমার) নামেই পরিচিত
১৯২২: রাজদ্রোহের অভিযোগে কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেফতার হন এবং সরকার কর্তৃক তার বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়
১৯২৬: হিন্দু ধর্মগুরু, আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ সত্য সাঁই বাবার, (পূর্বাশ্রমের নাম সত্যনারায়ণ রাজু) জন্ম
১৯৩০: সঙ্গীতশিল্পী গীতা দত্তর জন্ম
১৯৩৭: বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর মৃত্যু  
১৯৫০: লেখক,ইতিহাসবেত্তা ও ভারততত্ববিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর জন্ম
১৯৬৪: ব্রিটেনে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক বেতার কেন্দ্র চালু হয়
১৯৮৭: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক, শিল্পনির্দেশক চিত্রনাট্যকার  রাজেন তরফদারের মৃত্যু 
১৯৯৭: ভারতে সরকারি সম্প্রচার সংস্থা প্রসার ভারতী গঠিত হয়।
২০০৩: প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের একজন দিকপাল ঐতিহাসিক দিলীপকুমার বিশ্বাসের মৃত্যু
২০০৬: বাংলা প্যারোডি গানের রচনাকার ও গায়ক মিন্টু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬৭ টাকা ৮৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৫৫ টাকা ১০৮.২৭ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৯ টাকা ৯০.২৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৩৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী ৩৫/৪৮ রাত্রি ৭/৫৮। মঘা নক্ষত্র ৩৩/৪০ রাত্রি ৭/২৭। সূর্যোদয় ৫/৫৮/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৩২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৭/২৪ গতে ৯/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৪ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪২ গতে ২/২৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/২৭ গতে ৩/২০ মধ্যে। বারবেলা ৭/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/২৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২০ গতে উদয়াবধি। 
৭ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪। অষ্টমী রাত্রি ১০/২৬। মঘা নক্ষত্র রাত্রি ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/১, সূর্যাস্ত ৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৩ মধ্যে ও ৭/৩৫ গতে ৯/৪৩ মধ্যে ও ১১/৫১ গতে ২/৪১ মধ্যে  ও ৩/২৩ গতে ৪/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৫০ গতে ২/৩৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৩৬ গতে ৩/৩০ মধ্যে। কালবেলা ৭/২১ মধ্যে ও ১২/৪৫ গতে ২/৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৪/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৬ মধ্যে ও ৪/২১ গতে ৬/১ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে একটি গ্রামে বোমাবাজি
এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে গ্রামের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি। ...বিশদ

09:39:00 PM

আইএসএল: জামশেদপুরকে ৩-০ গোলে হারাল মোহন বাগান

09:36:00 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ৩-জামশেদপুর ০ (৮৭ মিনিট)

09:15:00 PM

নাগপুরের বাড়িতে পৌঁছলেন মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ

09:13:00 PM

আমাদের লক্ষ্য দেশ নির্মাণ: প্রধানমন্ত্রী

09:12:00 PM

হিমাচল প্রদেশের কুলুতে তুষারপাত

09:08:00 PM