Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে। মণিপুর সম্পর্কে সমস্ত ভারতবাসীর এই উদাসীনতাকে, একইভাবে, আর ক্ষমা করা যায় না।
গতবছর এই বিষয়ে আমার লেখার সময়েই অশুভ লক্ষণগুলি প্রকট ছিল। তখনই আমি বলেছিলাম যে ‘ব্যাপারটা হল, এথনিক ক্লিনসিং বা জাতিগত নির্মূলকরণের সূচনা।’  আরও বলেছিলাম, ‘আজ, আমি যে সমস্ত রিপোর্ট পেয়েছি বা পড়েছি তাতে এটাই স্পষ্ট যে, ইম্ফল উপত্যকায় কার্যত কোনও কুকি-জোমি নেই এবং কুকি-জোমি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে নেই মেইতেইরাও!’ গতবছর আমি লিখেছিলাম, ‘মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর অন্য মন্ত্রীরা শুধুমাত্র তাঁদের বাড়ির অফিস থেকেই কাজ করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে তাঁরা ঢুকছেন না অথবা ঢুকতেই পারছেন না’। আমি আরও বলেছিলাম যে ‘কোনও জাতিগোষ্ঠীই মণিপুর পুলিসকে আর বিশ্বাস করে না’ এবং ‘এমনকী, মৃত্যু নিয়ে সরকারের তরফে যে পরিসংখ্যান দেওয়া হচ্ছে সেসবেও বিশ্বাস নেই কারও।’
কাঠগড়ায় তিনজন
ব্যাপারটা দুঃখজনক হলেও, নিবন্ধগুলিতে আমার লেখা প্রতিটি শব্দই দিনের শেষে সত্য হয়েছে। মণিপুরের এই মর্মান্তিক চিত্রের দায়ভার সংসদীয় গণতন্ত্রে এক বা একাধিক কর্তৃপক্ষকে নিতেই হবে। এখানে সেই তিন ব্যক্তিকে রাখছি যাঁরা এর দায়িত্বে রয়েছেন—
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি: তিনি শপথ নিয়ে রেখেছেন যে, পরিস্থিতি যত খারাপই হোক না কেন, তিনি মণিপুর রাজ্যে যাবেন না। তাঁর মনোভাব দেখে এটাই মনে হয় যে, তিনি যেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করে বসে আছেন—‘মণিপুর জ্বলছে তো জ্বলতে দাও, আমি মণিপুরের মাটিতে পা দেব না!’। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির তৃতীয় মেয়াদে পথ চলা শুরু হয়েছে গত ৯ জুন। তারপর থেকে তিনি ইতালি (১৩-১৪ জুন), রাশিয়া (৮-৯ জুলাই), অস্ট্রিয়া (১০ জুলাই), পোল্যান্ড (২১-২২ আগস্ট), ইউক্রেন (২৩-২৪ আগস্ট), ব্রুনেই (৩-৪ সেপ্টেম্বর) এবং সিঙ্গাপুর (৪-৫ সেপ্টেম্বর) সফরের জন্য সময় খুঁজে নিয়েছেন। চলতি বছরের বাকি দিনগুলির জন্যও তাঁর সফরসূচির রেডি। সেইমতো তিনি ঘুরবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, লাওস, সামোস, রাশিয়া, আজারবাইজান এবং ব্রাজিল। এটা কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যাপার নয়। প্রধানমন্ত্রীর সময় নেই কিংবা তাঁর তাকতের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, সেরকমও নয় ব্যাপারটা। তাহলে নরেন্দ্র মোদি মণিপুরে একবারও গেলেন না কেন? কারণ বরং এটাই যে ওই ‘দুর্ভাগা’ ভূমিতে পা’ই রাখবেন না, মনে হয় এমন কোনও দৃঢ়অঙ্গীকার থেকেই তিনি মণিপুর সফর করছেন না। 
চতুর্দিক থেকে দাবি ওঠার পরেও প্রধানমন্ত্রী একটিবারের জন্যও যে মণিপুরে গেলেন না, তাঁর একগুঁয়েমির পরিমাপ নেওয়ার জন্য এই ব্যাপারটাই যথেষ্ট। তাঁর একগুঁয়েমির ঝলক আমরা অবশ্য আগেই একাধিক ঘটনায় দেখেছি। সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল—গুজরাত দাঙ্গা এবং সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ ও তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের বিক্ষোভ দমন। তাঁর এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের আভাস আরও মিলেছিল—জরুরি বিষয় যেমনই হোক না কেন, সংসদের উভয় কক্ষে সমস্ত মুলতবি প্রস্তাবের বিরোধিতা করার জন্য যখন তিনি তাঁর মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ: রাজ্য সরকারের সিনিয়র অফিসারদের নিয়োগ থেকে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন পর্যন্ত মণিপুর-শাসনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁরই নির্দেশগুলি প্রযোজ্য। এখন মণিপুর সরকার বলতে তো স্বয়ং তিনিই। সেখানে যাবতীয় হিংসাত্মক ঘটনা লাফিয়ে বেড়েছে তো তাঁরই চোখের সামনে। মণিপুরের জনগণ শুধু বোমা-গুলি নিয়েই একে অন্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত নয়, স্বাধীন ভারতে এই প্রথমবার তারা রকেট এবং অস্ত্রবাহী ড্রোন দিয়েও লড়ছে। গতসপ্তাহে মণিপুর রাজ্যের দুই জেলায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। সেখানে ফের বন্ধ স্কুল-কলেজ। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পাঁচ জেলায়। এছাড়া ইম্ফলের রাস্তায় ছাত্রদের বিরুদ্ধে লড়াইতে নেমেছে পুলিস। ইতিমধ্যেই ২৬ হাজার নিরাপত্তা কর্মী সেখানে মোতায়েন রয়েছেন। তাঁদের হাত অধিক শক্ত করতে আরও দুই ব্যাটালিয়ন, মানে পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে দু’হাজার সিআরপিএফ পার্সোনেল মণিপুরে পাঠানো হয়েছে। 
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং: তিনি নিজেরই নির্মিত কারাগারে বন্দি! এমনকী, ইম্ফল উপত্যকাতেও তিনি ও তাঁর মন্ত্রীরা বেরতে পারছেন না। পরিস্থিতি তাঁরা এই জায়গা নিয়ে গিয়েছেন যে, কুকি-জোমি সম্প্রদায়ের মানুষজন আজ তাঁকে ঘৃণার চোখে দেখছেন। অন্যদিকে, মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষজন ভেবেছিলেন যে মুখ্যমন্ত্রী অন্তত তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারবেন। কিন্তু তাঁরাও কী দেখলেন? এন বীরেন সিং আসলে সবদিকেই হতাশ করেছেন। তাঁর এই সম্পূর্ণ ব্যর্থতা, মণিপুরে চরমভাবে জনপ্রিয়তা হারানো একজন মানুষ করে তুলেছে তাঁকে। এই হতাশ মানুষগুলির মধ্যে অবশ্যই রয়েছেন মেইতেইরাও। তাঁর জমানায় মণিপুর রাজ্যে প্রশাসনের কোনও আভাস, লক্ষণ, অস্তিত্ব নেই। এই যে অভূতপূর্ব নাগরিক অসন্তোষ অস্থিরতা গোটা মণিপুর জুড়ে, তার মূল কারণ তো এন বীরেন সিংয়ের অদক্ষ ও পক্ষপাতমূলক শাসননীতি। মণিপুরের বর্তমান সমস্যা আসলে তিনিই, মানে মুখ্যমন্ত্রীই স্বয়ং! সব পক্ষের উসকানিরও সূত্র তিনি। কয়েক মাস আগেই তাঁর পদত্যাগ করা উচিত ছিল। এত কাণ্ডের পরেও তিনি বহাল রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর পদে! এটা আসলে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের অদম্য স্বৈরাচার এবং কখনও ভুল স্বীকার না-করার মানসিকতারই প্রতিফলন।
কার্যত বিভক্ত
মণিপুর এখন কার্যত দুটি রাজ্য। চূড়াচাঁদপুর, ফেরজওয়াল এবং কাংপোকপি—এই তিন জেলা পুরোপুরি কুকি সম্প্রদায়ভুক্ত জনগণের দখলে চলে গিয়েছে। অন্যদিকে, টেংনৌপাল জেলা (সীমানা ঘেঁষা শহর মোরেহ্-সহ), যেখানে কুকি-জোমি এবং নাগাদের মিশ্র বসতি, বস্তুত সেই অঞ্চলও চলে গিয়েছে কুকি-জোমি জনগণের নিয়ন্ত্রণে। কুকি-জোমিরা একটি পৃথক প্রশাসন পরিচালনা করছে। কুকি-জোমি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় মেইতেই জনগোষ্ঠীর  কোনও সরকারি কর্মচারী নেই। তাঁরা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছেন উপত্যকার জেলাগুলিতে। যেখানে মেইতেইরা সংখ্যাগরিষ্ঠ (৬০ সদস্যের বিধানসভায় তাঁদের ৪০ জন এমএলএ), কুকি-জোমিরা সেই রাজ্যের অংশ আর থাকতে চান না। অন্যদিকে, মেইতেইরা মণিপুর রাজ্যের পরিচয় ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করার পক্ষে। তবে, এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতার মাত্রা মারাত্মক এবং তা পৌঁছে গিয়েছে গভীর পর্যন্ত। 
কোনোরকম আলোচনা হচ্ছে না—না সরকার ও জাতিগোষ্ঠীগুলির মধ্যে—না মেইতেই এবং কুকি-জোমিদের ভিতরে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নাগাদের যে নিজস্ব ক্ষোভ রয়েছে, তা ঐতিহাসিক। মেইতেই বনাম কুকি-জোমি দ্বন্দ্বে তাঁরা নিজেদের জড়াতে চান না।
কোথাও আলো নেই
মণিপুর আটকে গিয়েছে সন্দেহ, প্রতারণা ও জাতিগত সংঘাতের জালে। মণিপুরে শান্তি বজায় রাখা এবং সরকার পরিচালনা করা অবশ্য কখনোই সহজসাধ্য ব্যাপার ছিল না। সেই পরিস্থিতি এখন এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে যা অকল্পনীয়। কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতা, নির্মমতা এবং রাজ্য সরকারের অপদার্থতাই এর জন্য দায়ী। বলা বাহুল্য, কেন্দ্র এবং রাজ্য দুটিরই দায়িত্বে এখন বিজেপি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত বুঝতে পেরেছেন যে দেশেরই অন্যতম অঙ্গরাজ্য মণিপুর সফর তাঁর পক্ষে চন্দ্রপৃষ্ঠের অন্ধকার দিকে যাত্রার মতোই বিপজ্জনক হবে! 
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
16th  September, 2024
ইতিহাসে থেকে যাবে বাংলার অসম্মানটুকুই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রচার আর অপপ্রচারের মধ্যে ফারাকটা একচুলের। দুটোই চিরন্তন। আর দুটোই রাষ্ট্রের হাতিয়ার। তফাৎ? প্রথমটা গণতন্ত্রের অস্ত্র এবং দ্বিতীয়টি হিংসার। স্বৈরতন্ত্রের। সম্প্রতি সিবিআই নামক কেন্দ্রীয় সরকারি ‘যন্ত্র’টি সুপ্রিম কোর্টে বেধড়ক ঝাড় খেয়েছে। বিশদ

কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট প্রত্যাখ্যাত হবে
পি চিদম্বরম

একযোগে নির্বাচনের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনে সরকারের প্রকৃত উদ্দেশ্য তার টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) থেকেই খোলসা হয়ে গিয়েছে। কমিটিকে প্রথম টিওআর ‘বলেছিল, একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পরীক্ষার পর সুপারিশ করতে ...।’
বিশদ

23rd  September, 2024
বিচারের সামনে দাঁড়াতে হবে সবাইকে!
হিমাংশু সিংহ

গত সপ্তাহে একদিন দুপুরে হাতিবাগানে ঘুরছিলাম। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতেও পুজোর মাত্র একমাস আগে এমন বিবর্ণ বিধান সরণি দেখিনি। কয়েকদিন আগে গড়িয়াহাটেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বড় বড় ঝাঁ-চকচকে দোকানে সেলসম্যানের চেয়ে ক্রেতা কম। বিশদ

22nd  September, 2024
বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ করার ছক বানচাল
তন্ময় মল্লিক

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কি ভুল করলেন? গত কয়েকদিন ধরে এটাই ছিল মূল চর্চিত বিষয়। কলকাতা পুলিসের কমিশনার সহ স্বাস্থ্যকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার পরেও চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলতে গড়িমসি করছেন। বিশদ

21st  September, 2024
আবেগ, আন্দোলন এবং আইন
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রথমে হয়ে উঠেছিল নাগরিক আন্দোলন। কথা ছিল পর্যবসিত হবে গণআন্দোলনে। অথচ মাত্র এক মাসের মধ্যে সেই আন্দোলন আবদ্ধ হয়ে গেল নিছক জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং অবস্থানের আবর্তে। কেন? এর উত্তর সন্ধান করতে হবে নাগরিকদের। বিশদ

20th  September, 2024
বিচার না রাজনীতি, সিবিআই কী চায়?
মৃণালকান্তি দাস

সিবিআই, ইডি, ভিজিলেন্স এজেন্সিকে রাজনৈতিক দাসত্ব ছাড়তে হবে। বলেছিলেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না। বিশদ

19th  September, 2024
চিকিৎসা ব্যবসাতেও স্বচ্ছতার দাবি মানুষের
সন্দীপন বিশ্বাস

বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ বা বীরভূমের ঢাকিপাড়ায় ইতিমধ্যে বোধন হয়ে গিয়েছে। বসন্ত, রসিক কিংবা শ্যামাপদর ঢাকের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামের বুকে। আর দিনকয়েক পরেই কাঁধে ঢাক নিয়ে ওঁরা বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন মণ্ডপে।
বিশদ

18th  September, 2024
অচলাবস্থায় ক্ষতি সরকারের নয়, মানুষের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিশ্বাসবাবু কাল মিছিলে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। বেসরকারি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। না গেলে আর হচ্ছিলও না। কলেজের ছেলেমেয়েগুলো বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল। ওরা রোজই প্রায় হাজিরা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থানে। বিশদ

17th  September, 2024
‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বিশদ

15th  September, 2024
এরপরেও আন্দোলন অরাজনৈতিক!
তন্ময় মল্লিক

অভয়া খুনের জাস্টিস, নাকি প্রশাসনিক কর্তাদের পদত্যাগ? এই মুহূর্তে রাজ্যের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইটা ঠিক কী নিয়ে, সেটাই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন ‘অরাজনৈতিক’ প্রমাণে ডাক্তারবাবুরা বিজেপি নেতাদের আন্দোলনস্থলের ত্রিসীমানায় দেখলেই রে রে করে উঠছেন। বিশদ

14th  September, 2024
একক শক্তির জয়যাত্রা
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুই রকম শক্তি আছে। ভিড়ের শক্তি। আর একক শক্তি। ভিড়ের শক্তির মধ্যে অনেক সময় মিশে থাকে একটি বিভ্রান্তি। সেটি হল, ওই দলবদ্ধ শক্তিকেই নিজের শক্তি হিসেবে ভেবে নেওয়া। এবং আমিও খুব শক্তিশালী, এই মনোভাবে নিজেকে নিজে তুষ্ট করা। বিশদ

13th  September, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

12th  September, 2024
একনজরে
পিএফে পেনশন বৃদ্ধি নিয়ে অনড় মনোভাব দেখাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি জানিয়েছিল, তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে শ্রমিক কল্যাণকে বিশেষ গুরুত্ব দেবে মোদি সরকার। আশা ছিল, ন্যূনতম পেনশনের অঙ্ক বাড়বে। ...

জনপ্রতিনিধি এবং আধিকারিকদের আরও বেশি করে এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলাপ্রশাসনের একাংশ অফিসে বসেই সময় কাটাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন তাঁদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। ...

ঘরের মেয়ের নৃশংস পরিণতিতে ক্ষোভে ফুঁসছিল সোদপুর। সমাজ মাধ্যমে ক্ষোভের বিস্ফোরণ হয়েছিল। নিত্যদিন আন্দোলনে অবরুদ্ধ হচ্ছিল বি টি রোডের ট্রাফিক মোড়। ঝিমিয়ে পড়েছিল পুজোর বাজার। ...

হামাসের পাশাপাশি হিজবুল্লার সঙ্গেও ইজরায়েলের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ অব্যাহত। সোমবার লেবাননে হিজবুল্লার এক হাজারের বেশি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে বড়সড় হামলা চালাল বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩৫৬ জনের। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক ইশারা ভাষা বা সাংকেতিক ভাষা দিবস
১৮৪৬: সোলার সিস্টেমের অষ্টম গ্রহ নেপচুন আবিষ্কার 
১৮৪৭: বাংলার প্রথম র‌্যাংলার ও সমাজ সংস্কারক আনন্দমোহন বসুর জন্ম
১৯৩২: চট্টগ্রাম আন্দোলনের নেত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মৃত্যু
১৯৩৫: অভিনেতা প্রেম চোপড়ার জন্ম
১৯৪৩: অভিনেত্রী তনুজার জন্ম
১৯৫৬: বিশিষ্ট ইতালীয় ফুটবলার পাওলো রোসির জন্ম

23rd  September, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৪৩ টাকা ১১৩.০২ টাকা
ইউরো ৯১.৬৩ টাকা ৯৪.৮৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ আশ্বিন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। সপ্তমী ১৭/৫৫ দিবা ১২/৩৯। মৃগশিরা নক্ষত্র ৪১/৩ রাত্রি ৯/৫৪। সূর্যোদয় ৫/২৯/২৮, সূর্যাস্ত ৫/২৭/৫৮। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১১/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১/২৯ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৪০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৫২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৯ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/২৮ মধ্যে। 
৭ আশ্বিন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। সপ্তমী সন্ধ্যা ৬/২। মৃগশিরা নক্ষত্র রাত্রি ৩/৫০। সূর্যোদয় ৫/২৯, সূর্যাস্ত ৫/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৬/২১ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ১১/০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪১ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ৯/২০ গতে ১১/৪৮ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে এবং ৪/৪৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৯ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/০ গতে ২/৩০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/০ গতে ৮/৩০ মধ্যে। 
২০ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হরিয়ানার সোনিপতে আগামী কাল জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

12:55:16 AM

প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফরের পরেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন অমিত শাহ

12:11:52 AM

উদয়পুরে সেনা আধিকারিকদের সাহায্যে ধরা পড়ল দুটি নেকড়ে

11:36:00 PM

লেবাননে হামলা ইজরায়েলের, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৫৮, জখম ১৮০০

10:45:44 PM

বিহারের ভাগলপুরে বন্যা কবলিত এলাকায় গঙ্গায় তলিয়ে গেল বাড়ি

10:24:00 PM

দিল্লিতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে মারধরের অভিযোগ, মৃত্যু হাসপাতালে

09:31:00 PM