Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা।
সেই নকশি কাঁথায় ফুটে ওঠে জীবনের গল্প। পদ্ম, মাছ, ঘরের চাল বেয়ে ওঠা মাধবীলতা ফুটে থাকে তাঁদের তৈরি শাড়িতে। পুজোটাই তাঁদের রোজগারের সময়, সুখের সময়। বেশিরভাগ বরাত আসে এই সময়ে। আবার বেশি করে জিনিস তৈরি করে দোকানে বা পুজোর মুখে নানা মেলায় পৌঁছে যাওয়াটাই চ্যালেঞ্জ। সেই আনসুরা বিবিদের চোখে মুখে এখন আতঙ্ক। শহরের কিছু বাবু নাকি এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় উৎসব ‘বয়কট’-এর কথা ঘোষণা করেছেন। তাহলে কি ভেসে যাবে তাঁদের একটা বছরের লড়াই? মাটির গন্ধে ফোঁড় তোলা নকশি কাঁথার পোশাক পড়ে থাকবে কাকলি টুডুদের ঘরে ঘরেই? বছরভর স্বপ্ন দেখা গরিব সংসারগুলি শারদোৎসবের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে শুধুমাত্র শহুরে হুঙ্কারেই? আনসুরা বিবিদের মতো গায়ে-গঞ্জের কত গরিব মানুষ তাকিয়ে থাকেন পুজোর কটা দিনের দিকে। আর তাঁদের সেই স্বপ্নের দিনগুলি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলেখেলা শুরু করছে এরাজ্যের কিছু মানুষ। অথচ, তাঁরাই নাকি ভোট এলে গরিবের যন্ত্রণায় সবচেয়ে বেশি সোচ্চার হন! এই বাংলা জানতে চায়, একটা ধর্ষণকাণ্ডের বিচারের দাবি তুলে লক্ষ লক্ষ গরিব, খেটে খাওয়া মানুষের রোজগারে আঘাত হানা কোন যুক্তিতে? এর দায় কে নেবে?
এ কথা সত্যি, সোশ্যাল মিডিয়ায় উৎসব বয়কটের হুঙ্কারে কাশফুল এ বছরও নীলচে হয়ে যায়নি। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বরও হারিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা নেই। টেলিভিশন, স্মার্টফোন, খবরের কাগজ পুজোর নতুন বিজ্ঞাপনে ছয়লাপ। দোকানে দোকানে শোভা পাচ্ছে ‘শারদ সংখ্যা’। গোটা বাংলায় দৃশ্যত কোনও বদল নেই। বদল হওয়ার কথাও নয়। কেবল ‘তিলোত্তমা’-র কিছু মানুষের মুখে শুধুই ‘বয়কট’-এর ডাক। উৎসব বয়কট করলে যেন সব ‘জাস্টিস’ হাতের মুঠোয়! দুর্ভাগ‌্যজনকভাবে এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে কিছু বিরোধী শক্তি বাংলায় অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করছে। আর তা করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদেরও আক্রমণ করতে ছাড়ছে না। আরও বিস্ময়কর, মিডিয়ার একটা বড় অংশ পরিকল্পিত উস্কানি দিয়ে এই অশান্তিকে প্রোমোট করছে। কাগজ খুললেই তাই এখন শুধু ‘জাস্টিস’ সংবাদ। প্রতিদিন আন্দোলনকে অভিনব মাত্রা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা। 
এ কথা ঠিক, আর জি করের ঘটনা ভয়ঙ্কর। ধর্ষণ সমাজের অভিশাপ। মানবজাতির আদিমতম অপরাধ। এই অপরাধের দোষীদের শাস্তি হোক। যারা আড়াল করার চেষ্টা করেছে, তাদেরও শাস্তি হোক। সিবিআই দ্রুত শেষ করুক তদন্ত। সুপ্রিম কোর্ট কড়া মানসিকতায় তদন্তে নজর রাখুক। এই বিষয়ে এ রাজ্যের কে একমত নন? তবুও ভুল তথ‌্য, একতরফা তথ‌্য, বিকৃত তথ‌্য, বিষ মেশানো তথ‌্য এমনভাবে মানুষকে গেলানো হচ্ছে যে, আজকের দিনে তার প্রভাব স্বাভাবিকভাবেই প্রবলতরভাবে নেতিবাচক। যে অরাজকতায় উস্কানি দেওয়া হচ্ছে, তা সফল হলে বাংলার দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি। শুধু ভাবমূর্তিই নষ্ট নয়, রীতিমতো আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামো বিপর্যস্ত হবে। এটা কে না জানে? তবুও নিজের রাজ্যকে গোটা দুনিয়ার কাছে হেয় করার এরকম ব্যস্ততা কি আগে কখনও চোখে পড়েছে?
আর জি করের ঘটনায় প্রশাসনের কিছু পদক্ষেপকে ভুল বোঝার অবকাশ আছে। সেসব নিয়ে নিশ্চয়ই সরকারকে চাপ দিন। কিন্তু তার মানে এই নয়, ভারসাম‌্যহীনভাবে একতরফা বিষ ছড়িয়ে আম জনতাকে ভুল ধারণার বশবর্তী করে রাজনৈতিক বা অরাজনৈতিক ইভেন্টের দিকে ঠেলে দিতে হবে। আর জি কর নিয়ে অন‌্য রাজ‌্য, এমনকী, অন‌্য দেশেও কলকাতা নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন প্রবাসী বাঙালিরা। দারুণ উৎসাহে কভারেজ দিচ্ছে মিডিয়ার একাংশ। কেউ প্রশ্ন করার নেই— যে শহরে, যে রাজ্যে, বা যে দেশে ওই বাঙালিরা এখন থাকেন, সেখানকার ভয়ঙ্কর ঘটনার প্রতিবাদে তাঁদের মোমবাতি জ্বালানোর ক্ষমতা আছে? যে আমেরিকার প্রবাসী বাঙালিরা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ পোস্টার হাতে ছবি তুলে বাংলার মিডিয়াগুলির কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছেন, সেই আমেরিকায় প্রতি ছ’জন নারীর একজন ধর্ষণের শিকার হন বা ধর্ষণের আক্রমণের মুখে পড়েন। প্রতি ৪৩ সেকেন্ডে একজন আমেরিকান যৌন সন্ত্রাসের শিকার হন। প্রতিদিন ৭০ জন আমেরিকান নারী যৌন সন্ত্রাসের শিকার হওয়ার কারণে আত্মহত্যা করেন। ধর্ষণ বা যৌন আক্রমণের শিকার হন প্রতিবছর ৬ লাখ ৫২ হাজার আমেরিকান। যে রাজ্যে ওই বাঙালিরা আর জি করের ঘটনা নিয়ে সোচ্চার, সেই সব রাজ্যেও একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে। উত্তরাখণ্ডের নার্স ধর্ষণ, মহারাষ্ট্রে বদলাপুর, অসমে ছাত্রী ধর্ষণ— কোথায় প্রতিবাদ? সেখানে 
একটাও মোমবাতি খুঁজে পাবেন না। মিডিয়াও দেখতে পায় না। 
কিন্তু, আর জি করের নির্যাতিতার মৃত্যু ঘিরে ‘ক্ষোভ’ বাঁচিয়ে রাখতে হবে। পুজোর আবহেও পথ ও রাত দখলের কথা মানুষকে ভুলতে দিলে চলবে না। এমনই ভাবনা সব বিরোধীদেরই। দলের আন্দোলন শুধু কলকাতায় আটকে না রেখে ছড়িয়ে দিতে হবে গোটা রাজ্যে। পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ার আগেই তাই দলের নিচু স্তরে আন্দোলন পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, ‘পুজো তো হবেই। কিন্তু সাধারণ মানুষ কি এ বার উৎসবের মুডে থাকবেন? মুখ্যমন্ত্রী চাইলেও সেটা মনে হয় হবে না।’ অথচ, এই বিজেপি লোকসভা ভোটে পাতাজোড়া বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করেছিল— বাংলায় দুর্গাপুজোয় মুখ্যমন্ত্রীর অনীহা! 
২০১৬ সালের এক গবেষণাপত্রে বুখারেস্ট ইউনিভার্সিটি অব ইকনমিক স্টাডিজ-এর তুদরাখ পেত্রোনেলা বলেছিলেন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যর রক্ষণাবেক্ষণ অর্থনীতির এক মূল্যবান উৎস হিসেবে কাজ করে। ২০২১-এর শেষলগ্নে কলকাতার দুর্গাপুজো যখন ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে ঋদ্ধ হল, ইউনেস্কোর নয়াদিল্লির পরিচালক বলেছিলেন, এই স্বীকৃতি উৎসাহিত করবে সংশ্লিষ্ট ঐতিহ্যবাহী কারিগর, ডিজাইনার, শিল্পী, বড়সড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সংগঠক, পর্যটক, দর্শনার্থী, সবাইকে। আমরা জানি, বাস্তবে অনেক আগে থেকেই দুর্গাপুজো বহু শিল্পী, কারিগর, ঢাকি, বিক্রেতা-সহ অনেকেরই প্রায় সংবৎসরের জীবিকা উপার্জনের মাধ্যম। কোটি কোটি মানুষ দুর্গাপুজোতে খরচ করেন প্রাণ খুলে। কেনাকাটায়, খাওয়া-দাওয়ায়, বেড়ানোয়। অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু লিখেছিলেন, দুর্গাপুজো কীভাবে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক হয়ে ওঠে। পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুজো প্রকৃতপক্ষে এত 
বড় ইন্ডাস্ট্রি হয়ে ওঠে যে, নানা ধরনের আর্থিক পরিষেবার পরিসর তৈরি হয়। বাজার অর্থনীতির ভাষায় বলা যায়, ‘মানি সার্কুলেশন’ হয়। আর 
উৎসব বয়কটের হুঙ্কারে সবচেয়ে ক্ষতি তো গরিব মানুষের। তা তো অজানা নয় আমাদের রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলিরও। তাতে অবশ্য শহরের বাবুদের কী যায় আসে! 
আকাশপানে তাকিয়ে দেখুন, শরৎকালে আকাশ। ঘন নীল, তাতে খেলা করে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। শিউলি ফুলের গন্ধে চারদিক ম ম। হঠাৎ করেই মনে হয়, মুহূর্তগুলি পাল্টে যেতে চলেছে। বাস্তবে থেকেও বাস্তবে না থাকার অনুভূতি আর একরাশ আশা নিয়ে আম বাঙালির জীবনে আসে শারদোৎসব। যেন ম্যাজিক রিয়্যালিটি। অর্থাৎ ঘোর বাস্তবের মাঝেও জাদুর ছোঁয়া। ভালো থাকার এবং ভালো রাখার সময়। বাঙালির জীবন থেকে এই চারটি দিনও কেড়ে নেবেন? কখনও ভেবেছেন, যাঁরা প্রবীণ, শারীরিক কারণে পুজোর দিন গৃহবন্দি থাকাই মনস্থ করেন, অথচ মন পড়ে থাকে বাইরে, ঢাকের বোলে, তাঁদের কথা। যাঁরা দিনদৈনিকের অন্ন কিংবা বাসস্থানের চিন্তায় আকুল, শিশুর হাত ধরে অসহায় দাঁড়িয়ে থাকেন এই মহানগরে, তাঁদের কথা। যাঁরা একটু ভালো আয়ের আশায় নতুন নতুন পসরা সাজিয়ে হকারি করেন, তাঁদের কথা। একজন ফুটপাতের হকার থেকে মণ্ডপ নির্মাণকর্মী– প্রান্তিক মানুষের ভরসা শারদোৎসব। নতুন জামা-কাপড়, নতুন গান, নতুন সিনেমা। জীবনকে নতুন করে শুরু করার নামও পুজো। এই বাংলার শারদোৎসব মানেই শারদলক্ষ্মীর স্পর্শ। সেই স্পর্শ— যার আবির্ভাবে খসে পড়ে আত্মসুখের টান। এই পুজো আক্ষরিকই সর্বজনীন। কারণ, এই আনন্দের বর্ণমালায় কোনও ভেদ নেই। ধনীর দুয়ার থেকে কাঙালিনীর কুটির পর্যন্ত একইভাবে দেখা দেন জগজ্জননী। রাজনীতি করতে গিয়ে সেই স্পর্শ ফিরিয়ে দেবেন? 
প্রকাশ্যে না বললেও রাজনীতির অভিমুখ কিন্তু স্পষ্ট। আসলে এখন টার্গেট, অবিশ্বাস বাড়াতে হবে। যত খুশি, যেমন খুশি। যে সরকারকে ভোটে হারানো যাচ্ছে না, বিরোধীদের প্রোমোট করে তাকে কালিমালিপ্ত করিয়ে লোক খেপাতে হবে। আর তার জের টেনে নিয়ে যেতে হবে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। মানে বিধানসভা ভোট। তারই হোমওয়ার্ক চলছে!
মনে রাখবেন, শ্রেণির লড়াইটা গরিব মানুষও বোঝে। তাঁরাও চান, আর জি কর বিচার পাক। পুজোও হোক...
12th  September, 2024
ইতিহাসে থেকে যাবে বাংলার অসম্মানটুকুই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রচার আর অপপ্রচারের মধ্যে ফারাকটা একচুলের। দুটোই চিরন্তন। আর দুটোই রাষ্ট্রের হাতিয়ার। তফাৎ? প্রথমটা গণতন্ত্রের অস্ত্র এবং দ্বিতীয়টি হিংসার। স্বৈরতন্ত্রের। সম্প্রতি সিবিআই নামক কেন্দ্রীয় সরকারি ‘যন্ত্র’টি সুপ্রিম কোর্টে বেধড়ক ঝাড় খেয়েছে। বিশদ

কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট প্রত্যাখ্যাত হবে
পি চিদম্বরম

একযোগে নির্বাচনের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনে সরকারের প্রকৃত উদ্দেশ্য তার টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) থেকেই খোলসা হয়ে গিয়েছে। কমিটিকে প্রথম টিওআর ‘বলেছিল, একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পরীক্ষার পর সুপারিশ করতে ...।’
বিশদ

23rd  September, 2024
বিচারের সামনে দাঁড়াতে হবে সবাইকে!
হিমাংশু সিংহ

গত সপ্তাহে একদিন দুপুরে হাতিবাগানে ঘুরছিলাম। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতেও পুজোর মাত্র একমাস আগে এমন বিবর্ণ বিধান সরণি দেখিনি। কয়েকদিন আগে গড়িয়াহাটেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বড় বড় ঝাঁ-চকচকে দোকানে সেলসম্যানের চেয়ে ক্রেতা কম। বিশদ

22nd  September, 2024
বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ করার ছক বানচাল
তন্ময় মল্লিক

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কি ভুল করলেন? গত কয়েকদিন ধরে এটাই ছিল মূল চর্চিত বিষয়। কলকাতা পুলিসের কমিশনার সহ স্বাস্থ্যকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার পরেও চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলতে গড়িমসি করছেন। বিশদ

21st  September, 2024
আবেগ, আন্দোলন এবং আইন
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রথমে হয়ে উঠেছিল নাগরিক আন্দোলন। কথা ছিল পর্যবসিত হবে গণআন্দোলনে। অথচ মাত্র এক মাসের মধ্যে সেই আন্দোলন আবদ্ধ হয়ে গেল নিছক জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং অবস্থানের আবর্তে। কেন? এর উত্তর সন্ধান করতে হবে নাগরিকদের। বিশদ

20th  September, 2024
বিচার না রাজনীতি, সিবিআই কী চায়?
মৃণালকান্তি দাস

সিবিআই, ইডি, ভিজিলেন্স এজেন্সিকে রাজনৈতিক দাসত্ব ছাড়তে হবে। বলেছিলেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না। বিশদ

19th  September, 2024
চিকিৎসা ব্যবসাতেও স্বচ্ছতার দাবি মানুষের
সন্দীপন বিশ্বাস

বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ বা বীরভূমের ঢাকিপাড়ায় ইতিমধ্যে বোধন হয়ে গিয়েছে। বসন্ত, রসিক কিংবা শ্যামাপদর ঢাকের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামের বুকে। আর দিনকয়েক পরেই কাঁধে ঢাক নিয়ে ওঁরা বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন মণ্ডপে।
বিশদ

18th  September, 2024
অচলাবস্থায় ক্ষতি সরকারের নয়, মানুষের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিশ্বাসবাবু কাল মিছিলে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। বেসরকারি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। না গেলে আর হচ্ছিলও না। কলেজের ছেলেমেয়েগুলো বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল। ওরা রোজই প্রায় হাজিরা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থানে। বিশদ

17th  September, 2024
এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে।
বিশদ

16th  September, 2024
‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বিশদ

15th  September, 2024
এরপরেও আন্দোলন অরাজনৈতিক!
তন্ময় মল্লিক

অভয়া খুনের জাস্টিস, নাকি প্রশাসনিক কর্তাদের পদত্যাগ? এই মুহূর্তে রাজ্যের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইটা ঠিক কী নিয়ে, সেটাই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন ‘অরাজনৈতিক’ প্রমাণে ডাক্তারবাবুরা বিজেপি নেতাদের আন্দোলনস্থলের ত্রিসীমানায় দেখলেই রে রে করে উঠছেন। বিশদ

14th  September, 2024
একক শক্তির জয়যাত্রা
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুই রকম শক্তি আছে। ভিড়ের শক্তি। আর একক শক্তি। ভিড়ের শক্তির মধ্যে অনেক সময় মিশে থাকে একটি বিভ্রান্তি। সেটি হল, ওই দলবদ্ধ শক্তিকেই নিজের শক্তি হিসেবে ভেবে নেওয়া। এবং আমিও খুব শক্তিশালী, এই মনোভাবে নিজেকে নিজে তুষ্ট করা। বিশদ

13th  September, 2024
একনজরে
জনপ্রতিনিধি এবং আধিকারিকদের আরও বেশি করে এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলাপ্রশাসনের একাংশ অফিসে বসেই সময় কাটাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন তাঁদের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। ...

প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জলপাইগুড়ি শহরে দিনবাজার এলাকায় করলা নদীর পাড়ে রোজই পোড়ানো হচ্ছে থার্মোকল। ফলে ধোঁয়ায় ঢাকছে আকাশ। ছড়াচ্ছে দূষণ। ...

ঘরের মেয়ের নৃশংস পরিণতিতে ক্ষোভে ফুঁসছিল সোদপুর। সমাজ মাধ্যমে ক্ষোভের বিস্ফোরণ হয়েছিল। নিত্যদিন আন্দোলনে অবরুদ্ধ হচ্ছিল বি টি রোডের ট্রাফিক মোড়। ঝিমিয়ে পড়েছিল পুজোর বাজার। ...

পিএফে পেনশন বৃদ্ধি নিয়ে অনড় মনোভাব দেখাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি জানিয়েছিল, তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে শ্রমিক কল্যাণকে বিশেষ গুরুত্ব দেবে মোদি সরকার। আশা ছিল, ন্যূনতম পেনশনের অঙ্ক বাড়বে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক ইশারা ভাষা বা সাংকেতিক ভাষা দিবস
১৮৪৬: সোলার সিস্টেমের অষ্টম গ্রহ নেপচুন আবিষ্কার 
১৮৪৭: বাংলার প্রথম র‌্যাংলার ও সমাজ সংস্কারক আনন্দমোহন বসুর জন্ম
১৯৩২: চট্টগ্রাম আন্দোলনের নেত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মৃত্যু
১৯৩৫: অভিনেতা প্রেম চোপড়ার জন্ম
১৯৪৩: অভিনেত্রী তনুজার জন্ম
১৯৫৬: বিশিষ্ট ইতালীয় ফুটবলার পাওলো রোসির জন্ম

23rd  September, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৪৩ টাকা ১১৩.০২ টাকা
ইউরো ৯১.৬৩ টাকা ৯৪.৮৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ আশ্বিন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। সপ্তমী ১৭/৫৫ দিবা ১২/৩৯। মৃগশিরা নক্ষত্র ৪১/৩ রাত্রি ৯/৫৪। সূর্যোদয় ৫/২৯/২৮, সূর্যাস্ত ৫/২৭/৫৮। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১১/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১/২৯ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৪০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৫২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৯ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/২৮ মধ্যে। 
৭ আশ্বিন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। সপ্তমী সন্ধ্যা ৬/২। মৃগশিরা নক্ষত্র রাত্রি ৩/৫০। সূর্যোদয় ৫/২৯, সূর্যাস্ত ৫/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৬/২১ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ১১/০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪১ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ৯/২০ গতে ১১/৪৮ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে এবং ৪/৪৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৯ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/০ গতে ২/৩০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/০ গতে ৮/৩০ মধ্যে। 
২০ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হরিয়ানার সোনিপতে আগামী কাল জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

12:55:16 AM

প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফরের পরেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন অমিত শাহ

12:11:52 AM

উদয়পুরে সেনা আধিকারিকদের সাহায্যে ধরা পড়ল দুটি নেকড়ে

11:36:00 PM

লেবাননে হামলা ইজরায়েলের, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৫৮, জখম ১৮০০

10:45:44 PM

বিহারের ভাগলপুরে বন্যা কবলিত এলাকায় গঙ্গায় তলিয়ে গেল বাড়ি

10:24:00 PM

দিল্লিতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে মারধরের অভিযোগ, মৃত্যু হাসপাতালে

09:31:00 PM