উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এজন্য বিশ্ব উষ্ণায়নই দায়ী। এতদিন উত্তরবঙ্গের ছায়া সুনিবিড় এলাকার মানুষ সেই দাপট অনুভব করতে পারেনি। এবার তার প্রভাব টের পাওয়া যাচ্ছে। শুধু তাই নয় ভবিষ্যতে এর প্রকোপ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে এখনই বেরিয়ে আসার কোনও উপায়ও নেই। ফলে একে ঠেকিয়ে রাখার একমাত্র উপায় হলো ব্যাপক হারে বনসৃজন করা।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক সুবীর সরকার বলেন, এবছর যে তাপমাত্রা রয়েছে তা স্বাভাবিকের থেকে তিন-চার ডিগ্রি বেশি। এই ধরণটা সারা পৃথিবীতেই কম বেশি রয়েছে। আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে প্রতি বছরই তাপমাত্রা বাড়ে। তবে এবার শুধু সেই বৃদ্ধিই নয়, তার সঙ্গে বিশ্ব উষ্ণায়নের কিছু প্রভাব যুক্ত হয়েছে। সারা পৃথিবীজুড়ে যে বিশ্ব উষ্ণায়ন তার প্রভাব যে এখানেও পড়তে পারে সেটা এবার প্রকট হয়েছে। উত্তরবঙ্গে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব একটু বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এটা আমরা আগেও বলেছি। এখানকার ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই প্রভাব বেশি পড়তে পারে। হয়ত সেটাই হচ্ছে। দিনে দিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ছিল ২৮-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কোনও কোনও হোটেলে পাখা ঘুরছে। এমনকী দার্জিলিংয়ের রাস্তায় লোকজনকে আইসক্রিম খেতেও দেখা যায় এদিন। রাস্তায় যাঁরা বের হন তাঁরা রোদের তেজের হাত থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহার করেন। কালিম্পংও একই ধরনের গরম আবহাওয়া ছিল। কলকাতার পর্যটক অনিন্দিতা দে জানান, আগে ছয়-সাতবার দার্জিলিং এসেছি। এমন গরম কখনও পাইনি। হোটেলে ফ্যান ব্যবহার করতে হচ্ছে, এটা ভাবতেই পারছি না। একই কথা বলেন, আরএক পর্যটক মণীষা দাস। সারা পৃথিবী জুড়েই এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে। এর থেকে বাঁচার জন্য বনসৃজনের বিকল্প নেই। এটা যত বেশি হবে ততটাই ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হবে।
সুবীরবাবু বলেন, উত্তরবঙ্গ মানেই সবুজ অরণ্য। বর্ষায় একটানা বৃষ্টি। প্রচুর পাহাড়ি নদী ও তার স্রোতের কলতান। দিগন্ত বিস্তৃত চা বাগিচা। কিন্তু এবছর সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় বৃষ্টির অভাব ছিল। ফলে চা উৎপাদনে তার প্রভাব পড়েছে। আবার চলতি সময়ের এই প্রচণ্ড গরমের প্রভাবে মাঠে থাকা ধানেও তার প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে পর্বতের পাদদেশে বা ফুট হিলে বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব বেশ পড়বে। সেদিক থেকে দেখলে উত্তরবঙ্গে আশ্বিন মাসে এমন গরমের জন্য বিশ্ব উষ্ণায়নই দায়ী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, একটানা প্রচণ্ড রোদ, গরমের কারণে মানুষ ক্রমেই নাজেহাল হয়ে পড়ছে। কবে এর থেকে মুক্তি মিলবে তারও কোনও হদিশ নেই।