Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

একক শক্তির জয়যাত্রা
সমৃদ্ধ দত্ত

সমাজে দুই রকম শক্তি আছে। ভিড়ের শক্তি। আর একক শক্তি। ভিড়ের শক্তির মধ্যে অনেক সময় মিশে থাকে একটি বিভ্রান্তি। সেটি হল, ওই দলবদ্ধ শক্তিকেই নিজের শক্তি হিসেবে ভেবে নেওয়া। এবং আমিও খুব শক্তিশালী, এই মনোভাবে নিজেকে নিজে তুষ্ট করা। এরকম শক্তির উদাহরণ অসংখ্য। যেমন লোকাল ট্রেনের ডেইলি প্যাসেঞ্জার। পার্কে দলবদ্ধ হয়ে আড্ডা দেওয়া বন্ধুর দল। পাড়ার ক্লাবের উচ্চকিত আচরণ।  রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক মিছিল কিংবা সমাবেশ। দল বেঁধে বেড়াতে অথবা পিকনিকে যাওয়া। এই প্রতিটি ক্ষেত্রে ভিড় তথা সমষ্টির অংশ হয়ে গিয়ে একটি অনুভূতি হয় যে, আমিও আসলে শক্তিশালী। আমাকে বুঝি অন্যরা ভয় পায় খুব! সেই বিভ্রান্তি ভেঙে যায় যখন আবার একা একা ফিরতে হয় ঘরে অথবা কর্মস্থলে। একটু আগেই যে মানুষটিকে দেখা গিয়েছে প্রবল উদ্ধত এবং সাহসী শরীরী ভঙ্গিতে, সেই তাকেই একা ট্রেনে, বাসে, কর্মস্থলে, ঘরে দেখা যায় অত্যন্ত নিরীহ হয়ে থাকতে। একের বিরুদ্ধে এক অবস্থায় তাদের মেরুদণ্ডকে অতটা ঋজু দেখতে পাওয়া যায় না। একা হয়ে গেলেই এই মানুষেরাই আপস করে। মেনে নেয়। পিছিয়ে আসে। ভয় পায়। রুখে দাঁড়ায় না। প্রতিবাদ করে না। তার মানে কি ভিড়ের সমষ্টিগত শক্তি নেই? ১০০ শতাংশ আছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ভিড় আবশ্যক। যাতে অন্যায়কারী ভয় পায়। ভবিষ্যৎ অন্যায়কারীও আতঙ্কিত হয় মানুষের রোষে। 
কিন্তু পাশাপাশি আত্মপ্রশ্নও করতে হয় যে, আমি এককভাবে কতটা শক্তিশালী? সামাজিকভাবে ঠিক কী অবদান রেখেছি? সমাজে আমার অস্তিত্বগত প্রভাব কতটা স্থাপন করতে পারলাম? আমি কি এমন কিছু করেছি যা সামাজিক অথবা পারিবারিকভাবে রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে থেকে যাবে? অর্থাৎ অন্যরা আমাকে নিয়ে কিছু একটা সাধনা অথবা অ্যাচিভমেন্টের জন্য শ্রদ্ধা করবে? আমাদের নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে আমরা কি সামাজিক ও পারিবারিকভাবে সমীহ এবং শ্রদ্ধা পাই? আমার মৌলিক স্কিল কোনটা? যদি না খুঁজে পাই তাহলে সেই লক্ষ্যে কিছু একটা করা উচিত কি? নাকি চিরদিন ভিড়ের অঙ্গ হয়েই কাটিয়ে দেব? আমি কি নিছকই একটি সংখ্যা। ভোটার কার্ড, আধার কার্ড এবং ভিড়ের মুখের?
নানাবিধ ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে আমাদের সকলের অলক্ষ্যে কয়েকটি একক শক্তিকে জয়ী হতে দেখে এক বিশেষ আশাবাদের জন্ম হয়। ভিড়ের মধ্যে থেকেও যে নিজেকে পৃথক এক শক্তির আধার হিসেবে প্রতিভাত করা সম্ভব এবং ভিড়ের মধ্যেই নির্জন এক সাধনায় সিদ্ধিলাভও হতে পারে এই উদাহরণগুলি থেকে সেটা যেন প্রতীয়মান। আমাদের আশপাশেই আপাত আনইমপ্রেসিভ কিছু মুখ নিজেদের একটি গোপন যুদ্ধ করে চলেছে। এবং সফল হচ্ছে। সম্প্রতি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে পাওয়া গেল এরকম কিছু আশ্চর্য তথ্য। 
১৯ বছরের মঙ্গলা মুদুলি একটি বিপ্লব ঘটিয়েছে। ভারতের অন্যতম প্রাচীন উপজাতি সম্প্রদায় হল বোন্দা। সেই বোন্দা উপজাতির মধ্যে সর্বপ্রথম ডাক্তারি ছাত্র হতে চলেছে মঙ্গলা মুদুলি। ওড়িশার মালকানগিরি জেলার বাদবেল গ্রামটি জঙ্গল লাগোয়া। রাস্তাঘাটও নেই। সেই বাদবেল গ্রাম থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরের বেরহামপুর এমকেজিজি মেডিক্যাল কলেজে এবার ডাক্তারি পাঠ শুরু করবে মঙ্গলা। ডাক্তারি পরীক্ষা অর্থাৎ ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্টে  (নিট) মঙ্গলা পাশ করে গত ৩০ আগস্ট ভর্তি হয়েছে এই কলেজে। কতটা অনগ্রসর বোন্দা উপজাতি? মাত্র ২০ বছর আগেও যাদের সঙ্গে বহির্জগতের প্রায় কোনও সম্পর্কই ছিল না। রেশনের জন্য বহু পথ হেঁটে নিকটতম কোনও গণবণ্টন কেন্দ্রে আসা ছাড়া ভারতের যে যে প্রান্তে এই সম্প্রদায় রয়েছে, তারা নিজেদের মতো এক বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর জীবনই কাটায়। ধীরে ধীরে সেই প্রবণতা কমেছে। অরণ্য জীবন ছেড়ে কেউ কেউ অন্য শহর অথবা গঞ্জে কাজের খোঁজেও যায় ও চলে গিয়েছে। কিন্তু এই প্রথম বোন্দা সম্প্রদায়ের কেউ ডাক্তার হবে। 
মুদুলিপাড়া স্কুলে যেতে হতো কীভবে? জঙ্গল ও চড়াই উতরাই পেরিয়ে ৬ কিলোমিটার হাঁটা। এভাবেই ম্যাট্রিকুলেশনে ৫০ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছিলেন মঙ্গলা। নিয়ম হল, এরপরই পড়াশোনা শেষ হওয়া। কারণ আশপাশে আর স্কুল নেই। পড়া চালানোর আর্থিক ক্ষমতাও নেই। মঙ্গলার নিজের দাদাও মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়েছে। কিন্তু যথানিয়মে তারপর স্কুল ড্রপআউট হয়েছে। আর রীতি অনুযায়ী চলে গিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে কনস্ট্রাকশন সাইটে কাজ করতে। কেন? কারণ ক্লাস টেনের পর পড়াশোনা করতে হলে ২৬ কিলোমিটার দূরে যেতে হবে। 
মঙ্গলার স্বপ্ন পূরণ করতে এগিয়ে এসেছিলেন স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষক উৎকল কেশরী দাস। তিনি নিজের গ্রামের বাড়ি বালেশ্বরে মঙ্গলাকে রাখার ব্যবস্থা করেন। মঙ্গলা সেখান থেকে স্কুলে যেত সাইকেল চালিয়ে ১৬ কিলোমিটার। আর একটি কোচিং সেন্টারে ৮ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে। মেডিক্যাল পরীক্ষার প্রশিক্ষণ নিতে। মঙ্গলা কত পেয়েছে নিট পরীক্ষায়? ৩৪৮। উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত আসনগুলির মধ্যে তার র‌্যাঙ্ক ২৬১।  উপজাতিদের মধ্যে সবথেকে পিছিয়ে পড়া হিসেবে সরকারি তালিকায় যে কয়েকটি সম্প্রদায়ের নাম রয়েছে, মঙ্গলা সেই উপজাতির। মঙ্গলার এই সফল জার্নি নিছক ৪৫০ কিলোমিটার অতিক্রান্ত করল এমন  নয়। আসলে কয়েক হাজার বছরের! 
১৬ বছর বয়সে মহমম্দ আমন অনাথ হয়ে গেল। ২০২০ সালে মা সাইবা বেগমের মৃত্যু হয়েছিল কোভিড আক্রান্ত হয়ে। বাবা ট্রাক চালক। মেহতাব আলম। কোভিডের পর থেকেই রুগ্ণ হয়ে গেলেন। ২ বছর পর তাঁরও আকস্মিক ঘটল মৃত্যু। হঠাৎ ১৬ বছরের মহম্মদ আমন হয়ে গেল পরিবারের প্রধান অভিভাবক। কারণ তার ছোট তিন ভাইবোনও অনাথ। তারা আমনের মুখ চেয়েই রয়েছে। আমনের স্বপ্ন কী? ক্রিকেটার হওয়া। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের বাসিন্দা আমনের ছিল আন্ডার নাইনটিন রাজ্য ক্রিকেট টিমে সুযোগ পাওয়া। সেসব হওয়ার আর সুযোগ রইল না। কোচ রাকেশ গোয়েলকে আমন বলেছিল, কোনও কাপড়ের দোকানে একটা কাজ জুটিয়ে দিন স্যার। বাড়িতে ভাইবোনকে খাওয়াতে হবে। রাকেশ গোয়েল রাজি হননি। তিনি এই ছেলেটার মধ্যে প্রতিভাব স্ফূরণ দেখেছেন। তাই তিনি বললেন, আমার অ্যাকাডেমিতে যে বাচ্চারা আসে তাদের তুমি ক্রিকেট প্রশিক্ষণ দাও। আমি তোমাকে বেতন দেব। দিনে আট ঘণ্টা সেই অ্যাকাডেমি মাঠেই কাটিয়ে দিয়েছে আমন। অতিরিক্ত আয়ের জন্য করেছে মালির কাজ। জল দেওয়া, ঘাস ছাঁটা। আর নিজের ট্রেনিং ভোরে। 
কানপুরে যখন আন্ডার নাইনটিন কোয়ালিফাই রাউন্ড চলছে, তখন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন থেকে কিছু টাকা দেওয়া হয়েছিল দৈনিক অ্যালাওন্স। আমন জেনারেল কামরায় বাথরুমের পাশে ক্রিকেট কিট নিয়ে যাতায়াত করেছে। আর সে প্র্যাকটিস করে নিয়েছিল একটি কঠিন জিনিস। একবেলা খাওয়া। সে একবেলা খেলে ভাইবোনেরা দু বেলা‌ খাওয়া পাবে। অতএব ওই প্র্যাকটিস কাজে এসেছে। মহম্মদ আমন কে? এখন ভারতের আন্ডার নাইনটিন অর্থাৎ জাতীয় জুনিয়র ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন! 
স্বামী পবন বলেছিল, এই বয়সে পড়াশোনা করে কি ডাক্তার হবি নাকি? এই ব্যঙ্গের কোনও জবাব দেয়নি রানি। বুঝেছিল যে লড়াইটা আসলে শুরু হল। স্বামী ভোপালে দৈনিক মজুরিতে কাজ করে। দিল্লির টিমারপুরে থাকা স্ত্রী ও দুই পুত্রকে দেখতে আসে মাঝেমধ্যে। যখন পবন আসে, তখনই রানির একটু সমস্যা হয়। কারণ ৪০ বছরের রানি যে সত্যিই স্কুলে ভর্তি হয়ে আসলে পড়াশোনা করছে সেটা স্বামী জানেই না। চার বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করা রানি যে পড়তে পারে না সেটা জানতে পেরে একদিন একটি সংবাদপত্রের ক্লিপিং দেখিয়ে বলেছিল, রানি, এই দ্যাখ, তুইও ইচ্ছা করলে ভর্তি হতে পারবি। এটা নিয়ে যায়। রানি নিজে পড়তে পারে না। তাই বাড়িতে সেই ক্লিপিং নিয়ে এসে ছেলেকে বলেছিল, এটা কী লেখা? ছেলে সমীর ক্লাস টুয়েলভ। সে বলেছিল, কিদওয়াই নগরে একটা স্কুলে বয়স্ক মহিলাদের ভর্তির ব্যবস্থা করছে। যারা স্কুলে বেশি পড়তে পারেনি। ছেলেই বলল, তুমি পড়বে? মা রাজি! ভয়ে ভয়ে। 
সেই শুরু। ৪০ বছরের রানি এখন কিদওয়াই নগর সেকেন্ডারি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। অন্য বালিকাদের সঙ্গে প্রতিদিন সে ক্লাস করে। পবন জানে যে সে ওখানে সাফাইয়ের কাজ করে। কিন্তু আসলে রানি ছাত্রী! কিন্তু স্কুলের পড়া‌ই তো পরীক্ষা পাশের জন্য যথেষ্ট নয়। আলাদা টিউশন নিতে হবে। ১৩ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়া রানি তো অনেক বছর পড়াশোনার বাইরে। তাই বুঝতে অসুবিধা হয়। রানি টিউটর পেয়েছে। কে? তার দুই ছেলে সমীর ও দীপক। দুজনেই কলেজে পড়ে। পেরেন্ট টিচার্স মিটিং-এ রানির হয়ে কে যায় স্কুলে? যে কোনও এক পুত্র! রানির জেদ ছিল, আমি স্কুলে ভতির হবই। পড়াশোনা শিখতেই হবে। সর্বশেষ বার্ষিক পরীক্ষায় রানি অঙ্কে কত নম্বর পেয়েছে? একশোয় ৭৮! সহপাঠীরা তাদের নতুন বন্ধুকে কী নামে ডাকে? রানি আন্টি! 
মঙ্গলা, মহম্মদ আমন অথবা রানি। নিত্যদিনের ভিড়ের অলক্ষ্যে একক শক্তির সামাজিক রূপকথাগুলি এগিয়ে চলেছে। 
13th  September, 2024
ইতিহাসে থেকে যাবে বাংলার অসম্মানটুকুই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রচার আর অপপ্রচারের মধ্যে ফারাকটা একচুলের। দুটোই চিরন্তন। আর দুটোই রাষ্ট্রের হাতিয়ার। তফাৎ? প্রথমটা গণতন্ত্রের অস্ত্র এবং দ্বিতীয়টি হিংসার। স্বৈরতন্ত্রের। সম্প্রতি সিবিআই নামক কেন্দ্রীয় সরকারি ‘যন্ত্র’টি সুপ্রিম কোর্টে বেধড়ক ঝাড় খেয়েছে। বিশদ

কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট প্রত্যাখ্যাত হবে
পি চিদম্বরম

একযোগে নির্বাচনের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনে সরকারের প্রকৃত উদ্দেশ্য তার টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) থেকেই খোলসা হয়ে গিয়েছে। কমিটিকে প্রথম টিওআর ‘বলেছিল, একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পরীক্ষার পর সুপারিশ করতে ...।’
বিশদ

23rd  September, 2024
বিচারের সামনে দাঁড়াতে হবে সবাইকে!
হিমাংশু সিংহ

গত সপ্তাহে একদিন দুপুরে হাতিবাগানে ঘুরছিলাম। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতেও পুজোর মাত্র একমাস আগে এমন বিবর্ণ বিধান সরণি দেখিনি। কয়েকদিন আগে গড়িয়াহাটেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বড় বড় ঝাঁ-চকচকে দোকানে সেলসম্যানের চেয়ে ক্রেতা কম। বিশদ

22nd  September, 2024
বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ করার ছক বানচাল
তন্ময় মল্লিক

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কি ভুল করলেন? গত কয়েকদিন ধরে এটাই ছিল মূল চর্চিত বিষয়। কলকাতা পুলিসের কমিশনার সহ স্বাস্থ্যকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার পরেও চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলতে গড়িমসি করছেন। বিশদ

21st  September, 2024
আবেগ, আন্দোলন এবং আইন
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রথমে হয়ে উঠেছিল নাগরিক আন্দোলন। কথা ছিল পর্যবসিত হবে গণআন্দোলনে। অথচ মাত্র এক মাসের মধ্যে সেই আন্দোলন আবদ্ধ হয়ে গেল নিছক জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং অবস্থানের আবর্তে। কেন? এর উত্তর সন্ধান করতে হবে নাগরিকদের। বিশদ

20th  September, 2024
বিচার না রাজনীতি, সিবিআই কী চায়?
মৃণালকান্তি দাস

সিবিআই, ইডি, ভিজিলেন্স এজেন্সিকে রাজনৈতিক দাসত্ব ছাড়তে হবে। বলেছিলেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না। বিশদ

19th  September, 2024
চিকিৎসা ব্যবসাতেও স্বচ্ছতার দাবি মানুষের
সন্দীপন বিশ্বাস

বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ বা বীরভূমের ঢাকিপাড়ায় ইতিমধ্যে বোধন হয়ে গিয়েছে। বসন্ত, রসিক কিংবা শ্যামাপদর ঢাকের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামের বুকে। আর দিনকয়েক পরেই কাঁধে ঢাক নিয়ে ওঁরা বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন মণ্ডপে।
বিশদ

18th  September, 2024
অচলাবস্থায় ক্ষতি সরকারের নয়, মানুষের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিশ্বাসবাবু কাল মিছিলে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। বেসরকারি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। না গেলে আর হচ্ছিলও না। কলেজের ছেলেমেয়েগুলো বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল। ওরা রোজই প্রায় হাজিরা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থানে। বিশদ

17th  September, 2024
এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে।
বিশদ

16th  September, 2024
‘বিচার’ ও ‘সিবিআই’ এবং ‘মমতা’
হিমাংশু সিংহ

একজনকে বিচার দেওয়া মানে কি অন্যদের সঙ্গে অবিচার! তাও তো আর এক অন্যায়ের জন্ম দেবে! আবেগ থাকতে বাধ্য, নির্যাতিতার বিচারও নিঃসন্দেহে আমাদের সবার অগ্রাধিকার, কিন্তু সুবিচার কোনও মামলাতেই রাতারাতি মেলে না। প্রমাণ থাকলেও না, আর প্রমাণ না থাকলে তো কথাই নেই। বিশদ

15th  September, 2024
এরপরেও আন্দোলন অরাজনৈতিক!
তন্ময় মল্লিক

অভয়া খুনের জাস্টিস, নাকি প্রশাসনিক কর্তাদের পদত্যাগ? এই মুহূর্তে রাজ্যের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের লড়াইটা ঠিক কী নিয়ে, সেটাই কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলন ‘অরাজনৈতিক’ প্রমাণে ডাক্তারবাবুরা বিজেপি নেতাদের আন্দোলনস্থলের ত্রিসীমানায় দেখলেই রে রে করে উঠছেন। বিশদ

14th  September, 2024
উৎসব বয়কট বনাম শ্রেণির লড়াই!
মৃণালকান্তি দাস

বোলপুর থেকে শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে বেঁকে যায় বিনুড়িয়ার পথ। নীল আকাশ, দু’ধারের ধান জমি, কাশফুল, মেঘ-রোদের লুকোচুরি— এই তল্লাটেই নকশি কাঁথা বিছোন আনসুরা বিবি, কাকলি টুডুরা। বিশদ

12th  September, 2024
একনজরে
পিএফে পেনশন বৃদ্ধি নিয়ে অনড় মনোভাব দেখাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি জানিয়েছিল, তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে শ্রমিক কল্যাণকে বিশেষ গুরুত্ব দেবে মোদি সরকার। আশা ছিল, ন্যূনতম পেনশনের অঙ্ক বাড়বে। ...

গড়ের মাঠে পরিচিত প্রবাদ, চচ্চড়ির মশলা দিয়ে বিরিয়ানি রাঁধা যায় না। অর্থাৎ দলে ভালো মানের ফুটবলার না থাকলে কোচের সাফল্য পাওয়া মুশকিল। পাশাপাশি এটাও মনে রাখতে হবে যে, সুস্বাদু রান্নার জন্য দক্ষ শেফ প্রয়োজন। না হলে দামী মশলা ঢেলেও বিরিয়ানি ...

নরেন্দ্র মোদি সরকারের ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার প্রচারে বিশেষ জোর দিচ্ছে ডাকবিভাগ। আজ মঙ্গলবার থেকে তিনদিনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলে। পোস্ট অফিসের কাউন্টারগুলির পাশাপাশি আলাদা করে ক্যাম্পও করবে তারা। ...

ঘরের মেয়ের নৃশংস পরিণতিতে ক্ষোভে ফুঁসছিল সোদপুর। সমাজ মাধ্যমে ক্ষোভের বিস্ফোরণ হয়েছিল। নিত্যদিন আন্দোলনে অবরুদ্ধ হচ্ছিল বি টি রোডের ট্রাফিক মোড়। ঝিমিয়ে পড়েছিল পুজোর বাজার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক ইশারা ভাষা বা সাংকেতিক ভাষা দিবস
১৮৪৬: সোলার সিস্টেমের অষ্টম গ্রহ নেপচুন আবিষ্কার 
১৮৪৭: বাংলার প্রথম র‌্যাংলার ও সমাজ সংস্কারক আনন্দমোহন বসুর জন্ম
১৯৩২: চট্টগ্রাম আন্দোলনের নেত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মৃত্যু
১৯৩৫: অভিনেতা প্রেম চোপড়ার জন্ম
১৯৪৩: অভিনেত্রী তনুজার জন্ম
১৯৫৬: বিশিষ্ট ইতালীয় ফুটবলার পাওলো রোসির জন্ম

23rd  September, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৯.৪৩ টাকা ১১৩.০২ টাকা
ইউরো ৯১.৬৩ টাকা ৯৪.৮৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ আশ্বিন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। সপ্তমী ১৭/৫৫ দিবা ১২/৩৯। মৃগশিরা নক্ষত্র ৪১/৩ রাত্রি ৯/৫৪। সূর্যোদয় ৫/২৯/২৮, সূর্যাস্ত ৫/২৭/৫৮। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ১১/৫ মধ্যে। রাত্রি ৭/৫২ গতে ৮/৪১ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১১/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১/২৯ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৪/৪০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৫২ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৯ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫৯ গতে ৮/২৮ মধ্যে। 
৭ আশ্বিন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। সপ্তমী সন্ধ্যা ৬/২। মৃগশিরা নক্ষত্র রাত্রি ৩/৫০। সূর্যোদয় ৫/২৯, সূর্যাস্ত ৫/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৬/২১ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ১১/০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪১ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ৯/২০ গতে ১১/৪৮ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে এবং ৪/৪৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৯ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/০ গতে ২/৩০ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/০ গতে ৮/৩০ মধ্যে। 
২০ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হরিয়ানার সোনিপতে আগামী কাল জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

12:55:16 AM

প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফরের পরেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন অমিত শাহ

12:11:52 AM

উদয়পুরে সেনা আধিকারিকদের সাহায্যে ধরা পড়ল দুটি নেকড়ে

11:36:00 PM

লেবাননে হামলা ইজরায়েলের, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৫৮, জখম ১৮০০

10:45:44 PM

বিহারের ভাগলপুরে বন্যা কবলিত এলাকায় গঙ্গায় তলিয়ে গেল বাড়ি

10:24:00 PM

দিল্লিতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে মারধরের অভিযোগ, মৃত্যু হাসপাতালে

09:31:00 PM