Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত। শাস্ত্রীর তো কোনও কোটও নেই। ফের ডেকে পাঠালেন শাস্ত্রীকে। বললেন, ‘তুমি যে অসমে যাবে, তোমার কি কোট আছে?’ শাস্ত্রী আমতা-আমতা করায় নেহরুর কাছে ব্যাপারটা আরও পরিষ্কার। নেহরু তাঁকে নিজের কোটটা দিয়ে বললেন, ‘এটা নিয়ে যাও। অসমে প্রয়োজন হবে।’ দীর্ঘদেহী নেহরুর কোট লালবাহাদুর শাস্ত্রীর গায়ে খুব বেমানান লাগছিল, কিন্তু তাছাড়া তো কোনও উপায়ও নেই। এই লালবাহাদুর শাস্ত্রী হয়েছিলেন দেশের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী।
লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মতো দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন নরেন্দ্র মোদিও। কিন্তু আজকের নরেন্দ্র মোদির বেশভূষা দেখে তা বোঝার উপায় নেই। ট্রয় কস্তা নামে যে বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তারকাদের পোশাক তৈরি করেন, নরেন্দ্র মোদির পোশাকও তিনিই তৈরি করেন। ‘রোমে গেলে রোমান সাজা’র নীতিকে মাথায় রেখে মোদির বেশভূষাও বদলায় প্রতিটি সফরে। প্রতিটি মুহূর্তে। যদিও রাজনীতির কারবারিরা বলেন, মোদি পোশাক নিয়েও রাজনীতি করেন। আর তাতে তাঁর গোটা শরীর থেকে ফুটে বেরয় অহংকারের দগদগে চিহ্ন! হয়তো নিজের অতীত ভুলে গিয়েছেন। বোঝাই যায় না একসময় তিনি নাকি চা বিক্রি করেছেন। বেড়ে উঠেছেন গরিব পরিবারের যন্ত্রণার মাঝেই...। 
এমন টুকরো টুকরো পরিবর্তনের পরিণতিতেই মোদির সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) দূরত্ব বেড়েছে। ভোট চলাকালীন বিজেপি সভাপতি জগৎ প্রতাপ (জেপি) নাড্ডা সঙ্ঘ সম্পর্কে এক বিবৃতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘বিজেপি যত দিন সক্ষম ছিল না, তত দিন তাদের সঙ্ঘ সাহচর্য প্রয়োজন ছিল। এখন বিজেপি সক্ষম হয়েছে। নিজের ভালোমন্দ নিজেরাই বুঝতে শিখেছে। নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে শিখেছে। এখন আর প্রতি পদে সঙ্ঘের প্রয়োজন নেই।’ কেন নাড্ডা হঠাৎ ওই মন্তব্য করেছিলেন তা এক বিস্ময়। তখন থেকেই শোনা যাচ্ছিল, এবারের ভোটে সঙ্ঘ বিজেপি প্রার্থীদের জেতাতে সেভাবে সক্রিয় হয়নি। নরেন্দ্র মোদির কর্তৃত্ববাদী আচরণ তাদের পছন্দ নয়। যেভাবে সঙ্ঘের আদর্শবিরোধীদের মোদি দলে টেনেছেন, নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন, তা তাদের অনুমোদন পায়নি। নির্বাচনী প্রচার পর্বে যে গুঞ্জন পল্লবিত হয়েছিল, তা যে নিছক গুজব ছিল না, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। সরকার গঠনের পরদিন এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রকৃত সেবকের অহংকারী হওয়া সাজে না। মর্যাদা রক্ষা করে তাঁকে চলতে হয়। নির্বাচনী প্রচারে সেই মর্যাদা রক্ষিত হয়নি।’ সেই সঙ্গে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, সরকারকে স্থিতিশীল করতে গেলে মোদিকে সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। ঐকমত্যের উপর জোর দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদি বারবার নিজেকে প্রধান সেবক বলে জাহির করতেন। সেই সেবকের প্রকৃত সংজ্ঞা কী, ভাগবত তাঁর ভাষণে তা ব্যাখ্যা করেছেন। বলেছেন, ‘যিনি বাস্তবিকই সেবক, যাঁকে সত্যি সত্যিই সেবক বলা যায়, তিনি সব সময় মর্যাদা রক্ষা করে চলেন। যিনি সেই মর্যাদা পালন করে চলতে পারেন, তিনিই কর্মবীর। কিন্তু তাঁকে কাজের মোহগ্রস্ত হলে চলবে না। কাজ করার পর যেন তাঁর অহংকার না আসে। যেন না বলেন, আমিই এই কাজ করেছি। অহংকার যাঁকে গ্রাস করে না, তিনিই প্রকৃত সেবক।’
গত ১০ বছর সরকার পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইচ্ছাই ছিল শেষকথা। সঙ্ঘের ইচ্ছা–অনিচ্ছা প্রাধান্য পায়নি। মোদি নিজেকে প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বড় ভেবেছিলেন, নিজেকে ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ মনে করছিলেন, আচার–আচরণে তার প্রতিফলন ঘটাচ্ছিলেন, সঙ্ঘের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজনও বোধ করছিলেন না। এমনকী নিজেকে ঈশ্বরপ্রেরিত পরমাত্মার অংশ বলেও জাহির করে ফেলেছেন। তবু সঙ্ঘ তাঁর সঙ্গে দ্বন্দ্বে যায়নি। প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেনি। এখন বাস্তবের মাটিতে যখন মোদি আছড়ে পড়েছেন, তখন সঙ্ঘও তার প্রভাব বিস্তারে সচেষ্ট হয়েছে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো মোদির বিজেপিতে এবার সঙ্ঘের প্রভাব বাড়বে কি না, সেটাই এই মুহূর্তের জল্পনা। আর সেই জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে, সঙ্ঘের মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’। সেখানে এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, বিজেপির নেতা–কর্মীরা মাটি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁরা উড়ছিলেন। এই ভোট তাঁদের আবার জমিতে ফিরিয়ে এনেছে।
‘অর্গানাইজার’-এ সঙ্ঘের অন্যতম সদস্য রতন সারদা এক নিবন্ধে লিখেছেন, এটা ঠিক যে আরএসএস কখনওই বিজেপির পদাতিক বাহিনী নয়। কিন্তু বিজেপির নেতা–কর্মীরা ভোটের কাজে সাহায্যের জন্য এবার স্বয়ং সেবকদের কাছে যাওয়ার প্রয়োজনই বোধ করেননি। তাঁরা মোদিজির গৌরবে উদ্ভাসিত ছিলেন। জনতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। ভেবেছিলেন, মোদিই জিতিয়ে দেবেন। এই নির্বাচনের ফল আসলে বাস্তব পরিস্থিতি। বিজেপির বহু নেতা–কর্মী অতিমাত্রায় আস্থাশীল ছিলেন। তাঁরা বুঝতেই পারেননি যে ৪০০ পার–এর স্লোগানের লক্ষ্য ছিলেন তাঁরা। মোদি চেয়েছিলেন তাঁদের উজ্জীবিত করতে। সে জন্যই লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি বিরোধীদের ভয় দেখাতেও চেয়েছিলেন। অথচ, নেতা–কর্মীরা নিজেদের বলয়ে আবদ্ধ থাকলেন। মোদির ছটায় নিজেদের ভাসিয়ে দিলেন। জোট প্রসঙ্গে রতন সারদা লিখেছেন, অজিতদের ভেড়ানোয় বিজেপির কর্মীদের মনোবল নষ্ট হয়েছে। কারণ, তাঁরা এত বছর ধরে কংগ্রেসের আদর্শের বিরুদ্ধেই লড়াই করেছেন। অজিত পাওয়ারকে দলে টেনে বিজেপি তার ব্র্যান্ড ভ্যালু নষ্ট করেছে। এরকম ২৫ শতাংশ দলবদলু প্রার্থীকে এবার প্রার্থী করেছিল বিজেপি।
অজিত পাওয়ারের এনসিপির হাল এবার সবচেয়ে খারাপ। মাত্র একটি আসনে জিতে তাঁর দলকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। সেই তুলনায় সিন্ধের অনুগামী সেনাদের হাল খানিকটা ভালো। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধের দলের কাছে রয়েছেন সাত সংসদ সদস্য। দুই দলকে একজন করে স্বাধীন ভারপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীর বেশি বরাদ্দ করেননি মোদি। সিন্ধে রাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাদ্দ গ্রহণ করেছেন নিমরাজি হয়ে, অজিতের সঙ্গী প্রফুল্ল প্যাটেল প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর কম পদমর্যাদার কিছু গ্রহণ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। সিন্ধে ও পাওয়ার, দুই নেতাই জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা ভবিষ্যতের অপেক্ষায় থাকবেন। সিন্ধে তো সরাসরিই প্রশ্ন তুলেছেন, বিহারের ‘হাম’ নেতা জিতেন রাম মাঝি একটি আসন পেয়ে যদি পূর্ণ মন্ত্রী হতে পারেন, তাহলে সাতটি আসন জিতে তাঁর দল কেন সেই সম্মান পাবে না? মোদির চিন্তা হওয়ারই কথা। কারণ, মহারাষ্ট্রের রাজনীতির অলিন্দের খবর, সিন্ধের অনুগামীদের কেউ কেউ উদ্ধব থাকরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। অজিত পাওয়ার আবার সরাসরি কাকা শারদ পাওয়ারের গুণগান করে বলেছেন, এনসিপিকে একা হাতে তিনিই গড়ে তুলেছেন। এসব নেতার পাশাপাশি বেসুরো গাইছেন চন্দ্রবাবু নাইডুও। তাঁর প্রাথমিক চাহিদা ছিল তিন পূর্ণ ও এক রাষ্ট্রমন্ত্রী। সে জায়গায় এক পূর্ণ ও এক রাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়ে তাঁকে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে অসামরিক পরিবহণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন সর্বকনিষ্ঠ সদস্য তাঁরই অনুগত কে রামমোহন নাইডু। কিন্তু এত অল্পে চন্দ্রবাবু কি সন্তুষ্ট হবেন? ফলে জোট রাজনীতি নিয়ে মোদিরও চিন্তা বাড়ছে।
ভোটের ফল প্রকাশের পর মোদি বেশ কিছুটা কোণঠাসা। ৩০৩ থেকে ২৪০টি আসনে নেমে আসা তাঁর ব্যক্তিগত পরাজয়। কারণ, গোটা নির্বাচনে তিনিই ছিলেন শাসক জোটের একমাত্র মুখ। প্রতিটি আসনেই তিনিই ছিলেন প্রার্থী। জনসভায় নিজেই বারবার সে কথা সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছেন। সেই অর্থে এবারের ভোট ছিল মোদির পক্ষে–বিপক্ষের গণভোট। মোদি সরকার গঠন করলেও নিশ্চিতভাবেই জনতার সেই রায় তাঁর বিপক্ষে গিয়েছে। সেখান থেকে নিজেকে তিনি টেনে তুলতে পারলে আবার স্বমহিমায় ফিরতে পারেন। এই বছরই সেই পরীক্ষায় তাঁকে বসতে হবে। পরীক্ষা কিন্তু বেশ কঠিন। প্রথম পরীক্ষা, বিজেপির সভাপতি নির্বাচন। নতুন সভাপতি বাছাইয়ের সময় সঙ্ঘ চাইবে এমন একজনকে, যাঁর সঙ্গে সঙ্ঘের যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ। যিনি ভবিষ্যতে অন্তত নরেন্দ্র মোদির অন্ধ অনুগামী হবেন না। দ্বিতীয় পরীক্ষা, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই হতে চলেছে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড ও জম্মু–কাশ্মীর বিধানসভার ভোট। পরের বছর ভোট দিল্লিতে। এসব রাজ্যের মধ্যে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় বিজেপি ক্ষমতায়। দুই রাজ্যেই লোকসভা ভোটে বিরোধীরা উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। মহারাষ্ট্রে ৪৮ আসনের মধ্যে বিরোধীরা দখল করেছে ৩০টি, হরিয়ানায় ১০টির মধ্যে ৫টি। এই দুই রাজ্যে বিজেপি হারলে মোদির উপর চাপ আরও বাড়বে। বিরোধীরাও সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলবে।
মোদি নিশ্চিত জানেন, তাঁর চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী। বিরোধী পক্ষ, সঙ্ঘ পরিবার ও জোট রাজনীতি।
20th  June, 2024
সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না।
বিশদ

‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

26th  June, 2024
দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

21st  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

17th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

16th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
একনজরে
অবশেষে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। প্রায় ১৪ বছর পর। বিমানবন্দরে নামতেই তাঁকে জড়িয়ে ধরেন স্ত্রী স্টেলা। ...

শহরের রাস্তা ক্রমশ সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছে। দু’দিকে গাড়ি গেলে মানুষের হাঁটার জায়গা থাকে না। এদিকে সেই রাস্তা জবরদখল করে বসে আছে একের পর এক দোকান। কোথাও ফুটপাত দখল হয়ে গিয়েছে হকারদের ঠেলাগাড়িতে ...

দু’টি জায়গার মধ্যে দূরত্ব মেরেকেটে ৫০০ থেকে ৭০০ মিটার। কিন্তু জায়গা দু’টি একই বিধানসভার মধ্যে নয়। ফলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় হাসপাতাল স্থানান্তর হলে বদলে যাচ্ছে বিধানসভাভিত্তিক অবস্থান। আর তা নিয়েই বেনজির দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ...

বিদ্রোহের পরদিনই ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা শিরোমণি অকালি দলে। মঙ্গলবার সুপ্রিমো সুখবীর সিং বাদলের অপসারণ চেয়ে সরব হন একাংশ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০৮: হেলেন কেলারের জন্ম
১৯৩৯: সুরকার রাহুল দেব বর্মনের জন্ম
১৯৬৪: অ্যাথলিট পি টি ঊষার জন্ম
১৯৮১: চলচ্চিত্রের শিল্প নির্দেশক বংশীচন্দ্র গুপ্তর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২২ টাকা ১০৭.৬৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৮৯ টাকা ৯১.০১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ আষাঢ়, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪। ষষ্ঠী ৩৪/১৫ সন্ধ্যা ৬/৪০। শতভিষা নক্ষত্র ১৬/৩৮ দিবা ১১/৩৭। সূর্যোদয় ৪/৫৮/১৯, সূর্যাস্ত ৬/২০/৫১। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪০ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৩ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১২/১ গতে ২/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৫২ মধ্যে পুনঃ ৯/২৬ গতে ১১/১২ মধ্যে। বারবেলা ৩/০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। 
১২ আষাঢ়, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪। ষষ্ঠী রাত্রি ৬/৩১। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ১/৫৭। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সৃর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৯/১ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/১২ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৬ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১১/১৬ মধ্যে। কালবেলা ৩/২ গতে ৬/২৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/০ মধ্যে।  
২০ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ইংল্যান্ডকে ১৭২ রানের টার্গেট দিল ভারত

12:07:02 AM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ১০ রানে আউট অক্ষর, ভারত ১৭০/৭ (১৯.৫ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

12:03:49 AM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ০ রানে আউট দুবে, ভারত ১৪৬/৬ (১৭.৫ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

11:52:40 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ২৩ রানে আউট হার্দিক, ভারত ১৪৬/৫ (১৭.৪ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

11:50:48 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ভারত ১৩২/৪ (১৭ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

11:48:10 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: বৃষ্টির জেরে বন্ধ ম্যাচ, ভারত ৬৫/২ (৮ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

10:01:26 PM