Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
ভোটদাতারা
ভোটদাতাদের যথেষ্ট সাধারণ জ্ঞান রয়েছে, তাঁরা সেইমতোই তাঁদের যথার্থ মত দিয়েছেন। বিজেপির দেশ-শাসনের গত এক দশকের মডেলকে প্রত্যাখ্যান করেছেন তাঁরা। তাঁদের তরফে, একইসঙ্গে নরেন্দ্র মোদিকে আর একটি সুযোগও দেওয়া হয়েছে, যদি বড় ধরনের কোনও সংশোধন তিনি করতে পারেন। বিজেপি ৩০৩টি আসন দিয়ে শুরু করেছিল। পরে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিল নিজের জন্য ৩৭০ এবং এনডিএর জন্য ৪০০+।  টার্গেটটা, দুঃখজনকভাবে, দু’দিক থেকেই অপূর্ণ রয়ে গিয়েছে। শেষমেশ বিজেপি নিজে থেমে গিয়েছে ২৪০-এ পৌঁছে, যা তাদের জন্য বেদনাদায়ক এবং এনডিএর পক্ষে সংগ্রহের পরিমাণ মাত্র ২৯২।  বিজেপির প্রতি জনগণের বার্তা এবার স্পষ্ট—শরিক দলগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা স্বীকারসহ একটি জোট সরকার গঠন করো, ত্যাগ করো বিভাজনের নীতি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বাস্তবতা মেনে নাও, সামাজিক ক্ষেত্রে বিভাজনের যে যন্ত্রণা উপস্থিত হয়েছে তার নিরাময়ে উদ্যোগী হও, ফালতু অহঙ্কার ছেড়ে আপামর ভারতবাসীকে উন্নয়নের সড়কে টেনে তোলো। 
ভোটদাতারা অন্য একটি সিদ্ধান্তেও পৌঁছেছেন যে, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ক্ষমতা দখলের জন্য মরিয়া প্রয়াস চালিয়েছে ঠিকই, কিন্তু তারা সম্ভবত এখনও তেমন প্রস্তুত নয়। লোকসভায় মোট ১৭০টি আসন  রয়েছে এমন ৯টি রাজ্যে কংগ্রেসের শিকড় ফের গভীরে নিয়ে যাওয়া জরুরি।  
বিজেপি
মাননীয় নরেন্দ্র মোদি সরকার গঠনের জন্য মানুষের যে রায় পেয়েছেন তা শর্তসাপেক্ষ, কিন্তু অতিশয় আত্মবিশ্বাসের কারণে তিনি সেই সত্যটি উপলব্ধি করতে পারেননি।  প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে উঠেই তিনি ভেবে নিয়েছেন যে, দলে তাঁর কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই এবং সরকার গড়ার দাবি পেশের মতো সংখ্যা নেই অন্যকোনও দলেরও। মোদিজি যথার্থ উপসংহারে পৌঁছেছেন যে চন্দ্রবাবু নাইডু (টিডিপি) এবং নীতীশ কুমার (জেডিইউ)—এই দু’জনেই হলেন মূলত লেনাদেনার নেতা। দিল্লিতে ‘কিংমেকার’ হওয়ার খেলার চেয়ে তাঁরা বরং বেশি উদগ্রীব, যথাক্রমে—অন্ধ্রপ্রদেশ এবং বিহারে তাদের কষ্টার্জিত গদি রক্ষা নিয়ে।  আর এটাই দেখা গেল যে, মোদিজি ব্যক্তিগত আশ্বাসেই তাঁদের সন্তুষ্ট করতে পারেন। চন্দ্রবাবু এবং নীতীশের রাজ্যের জন্য ফান্ড, কিছু স্কিম এবং একধরনের ‘বিশেষ মর্যাদা’ দিলেই তো কেল্লা ফতে! 
মোদিজি তাঁর ‘কোর টিম’কেই আবার ফিরিয়ে এনে কী ভুল করেছেন, নীচে সেটাই বলব।
 কংগ্রেস
পাটিগণিত কথা বলে সোজাসুজি। কংগ্রেস মোট ৯৯টি আসনে জিতেছে। কিন্তু তার মধ্যে ৭৯টি এসেছে ৯টি রাজ্য থেকে। অন্য এমন ৯টি রাজ্য আছে যেগুলিতে মোট আসন সংখ্যা ১৭০, কিন্তু কংগ্রেস সেগুলি থেকে পেয়েছে মাত্র ৪টি! চিন্তার বিষয় এই যে, কংগ্রেসের প্রা঩প্তি—৫টি রাজ্যে জাস্ট শূন্য (০) এবং ৪টি রাজ্য থেকে মাত্র ১টি করে আসন। কংগ্রেস প্রথমোক্ত ৯টি রাজ্যে কী ভালো কাজ করেছে এবং শেষোক্ত ৯টি রাজ্যে কী ভুল করেছে, দলটির ঘুরে দাঁড়ানোর জন্যই তা বিশ্লেষণ করা দরকার। উদয়পুর এবং রায়পুরে অনুষ্ঠিত দলীয় সম্মেলন থেকে প্রস্তুতিমূলক কাজ কিছু করা হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তুতিকে কাঙ্ক্ষিত পরিণতি দেওয়া গিয়েছে বলে আমার মনে হয় না।  কয়েকমাস পরেই যে রাজ্যগুলিতে বিধানসভার ভোট, সেই হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে এই নির্বাচনে কিছু আশার আলো দেখা গিয়েছে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে ওই তিন রাজ্যে সহযোগীদের নিয়ে কংগ্রেস যে ফল করেছে তাতে বিধানসভার ভোটে তারা এগিয়েই থাকবে এবং সেখানে তাদের ক্ষমতা দখল করার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল হয়েছে। বিজেপি নিশ্চয় কঠিন লড়াই দেবে, তবে  অবশ্যই জয়ী হওয়ার মতো লড়বে ‘ইন্ডিয়া’ ব্লকও।    
সরকার
নরেন্দ্র মোদি যখন পরিবর্তনের বদলে ক্ষমতার ধারাবাহিকতা বেছে নিয়েছেন, তখন তিনি কুড়ুল মেরেছেন নিজের পায়েই।  মোদির তৃতীয় সরকারের গঠন এবং পোর্টফোলিও বা মন্ত্রক বণ্টন থেকে একাধিক সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। প্রথমত, তাঁর সরকারের চলন এবং চলার ধরন পরিবর্তন করার জন্য ভোটদাতারা যে সতর্কবার্তা দিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি তা গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেননি। দ্বিতীয়ত, তাঁর সরকার পরিচালনার মৌলিক নীতিতে ফের অবিচল আস্থা রেখে তিনি এটাই বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন যে, তাঁর কোনও ভুল ছিল না। এটা তিনি বুঝিয়েছেন বিশেষ করে অর্থনীতি, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং বিদেশনীতি সম্পর্কে। তৃতীয়ত, মোদি পরোক্ষভাবে এও স্বীকার করেছেন, যে-পদ অলঙ্কৃত করেন সেই পদের উপযুক্ত প্রতিভাধর তিনি নন। চতুর্থত, তাঁর তৃতীয় সরকার পিএমও মারফতই চালিত হবে—যাঁরা এটা মেনে নেবেন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হবে কেবল তাঁদেরই—এটা তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন।  সবশেষে বলব, তিনি নিশ্চিত যে—অমিত শাহ এবং তিনি এনডিএ শরিকদের ‘ম্যানেজ’ করে চলার ক্ষমতা ধরেন, সরকারে শরিকদের সম্মানজনক ভূমিকা গ্রহণের সুযোগ ছাড়াই এই ম্যানেজ প্রক্রিয়া চলবে। 
মন্ত্রীদের কেউই এখনও তাঁর অগ্রাধিকার বা নীতি সম্পর্কে কোনও কথা বলেননি। নির্মলা সীতারামন হয়তো আগের মতোই জোরের সঙ্গে বলে যাবেন—মোদি জমানায় ভারতীয় অর্থনীতি ‘ক্লিপিং রেটে’ বাড়ছে, ২৪ কোটি মানুষের দারিদ্র্যমুক্তি ঘটেছে, মুদ্রাস্ফীতি নীচের দিকে, নতুন নতুন চাকরি হচ্ছে এবং কোনও একদিন ভারত ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতি হয়ে উঠবে। বজায় থাকতে পারে অমিত শাহেরও দাবিগুলি—সন্ত্রাসবাদ পরাজিত হয়েছে, সংবিধান মেনেই শাসনকার্য চলছে মণিপুরে, সিএএ এবং ইউসিসির কাজ যথারীতি চলছে এবং আইপিসি, সিআরপিসি ও সাক্ষ্য আইনের স্থলে যে তিনটি আইন আনা হয়েছে, ভারতে টমাস ব্যাবিংটন ম্যাকোলের কাল থেকে ধরলে সেগুলিই সেরা।  বিশ্ব রাজধানীতে ছবি প্রদর্শনের সুযোগে এস জয়শঙ্কর গৌরবাচ্ছন্ন হতে পারেন, কিন্তু চীন ততক্ষণে চুপি চুপি ভারতের সঙ্গে তার স্বঘোষিত সীমান্ত পোক্ত করে নিচ্ছে এবং মালদ্বীপ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মায়ানমারের সঙ্গে গড়ে তুলছে নতুন অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক। রাজনাথ সিং বিশ্বাস করতে পারেন যে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাজ হল—সময়ে সময়ে সৈন্যদল পরিদর্শন করা এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ) ও কম্বাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিসকে (সিডিএস) কম গুরুত্ব দেওয়া।  অন্যদিকে, যখন বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ বছরে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি (পরিমাণটা শুধুমাত্র চীনের সঙ্গেই ৮৫ বিলিয়ন ডলার) থেকে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল, তখন পীযূষ গোয়েল এই ধারণা ফেরি করতে পারেন যে, শিল্প ও বৈদেশিক বাণিজ্যে ভারত উন্নতি করছে! পি কে মিশ্রকে প্রধান সচিব এবং অজিত দোভালকে এনএসএ হিসেবে নিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে মোদি সরকার নিশ্চিত করেছে যে, তারা আগের জায়গাতেই অনড় রয়েছে, সই এবং সিলমোহর দুটিই পড়েছে সেই চিন্তাধারায়।  
এটা মোটেই মোদি ৩.০ নয়,  মোদি ২.১ সরকার।
জনগণ তাদের জীবনে ‘ভালোর জন্য একটা পরিবর্তন’ চেয়েছিল। চাকরি, জিনিসপত্রের দামে স্থিতিশীলতা এবং শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে ভোট দিয়েছে জনগণ।  একই মন্ত্রীরা একই দপ্তর দখল করে থেকে যদি একই নীতির প্রচার করে যান, তবে তার মানে দাঁড়াবে জনগণের রায়ের প্রতি নিষ্ঠুর উপহাস করা হল। প্রথম ধাপে হল সরকার গঠন। তাতেই মোদিজি দেশকে থমকে দিয়েছেন এবং হতাশ করেছেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণ এবং বাজেট অতঃপর। এই দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের প্রতীক্ষায় রইল জনগণ। 
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
17th  June, 2024
সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না।
বিশদ

‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

26th  June, 2024
দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

21st  June, 2024
মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

16th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
একনজরে
আগামী ২৭ জুন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে পিএফ দপ্তরের ‘নিধি আপকে নিকট’ কর্মসূচি, জানিয়েছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও)। ...

অবশেষে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। প্রায় ১৪ বছর পর। বিমানবন্দরে নামতেই তাঁকে জড়িয়ে ধরেন স্ত্রী স্টেলা। ...

শহরের রাস্তা ক্রমশ সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছে। দু’দিকে গাড়ি গেলে মানুষের হাঁটার জায়গা থাকে না। এদিকে সেই রাস্তা জবরদখল করে বসে আছে একের পর এক দোকান। কোথাও ফুটপাত দখল হয়ে গিয়েছে হকারদের ঠেলাগাড়িতে ...

দু’টি জায়গার মধ্যে দূরত্ব মেরেকেটে ৫০০ থেকে ৭০০ মিটার। কিন্তু জায়গা দু’টি একই বিধানসভার মধ্যে নয়। ফলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় হাসপাতাল স্থানান্তর হলে বদলে যাচ্ছে বিধানসভাভিত্তিক অবস্থান। আর তা নিয়েই বেনজির দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০৮: হেলেন কেলারের জন্ম
১৯৩৯: সুরকার রাহুল দেব বর্মনের জন্ম
১৯৬৪: অ্যাথলিট পি টি ঊষার জন্ম
১৯৮১: চলচ্চিত্রের শিল্প নির্দেশক বংশীচন্দ্র গুপ্তর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২২ টাকা ১০৭.৬৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৮৯ টাকা ৯১.০১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ আষাঢ়, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪। ষষ্ঠী ৩৪/১৫ সন্ধ্যা ৬/৪০। শতভিষা নক্ষত্র ১৬/৩৮ দিবা ১১/৩৭। সূর্যোদয় ৪/৫৮/১৯, সূর্যাস্ত ৬/২০/৫১। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪০ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৩ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১২/১ গতে ২/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৫২ মধ্যে পুনঃ ৯/২৬ গতে ১১/১২ মধ্যে। বারবেলা ৩/০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। 
১২ আষাঢ়, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪। ষষ্ঠী রাত্রি ৬/৩১। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ১/৫৭। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সৃর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৯/১ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/১২ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৬ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১১/১৬ মধ্যে। কালবেলা ৩/২ গতে ৬/২৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/০ মধ্যে।  
২০ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ইংল্যান্ডকে ১৭২ রানের টার্গেট দিল ভারত

12:07:02 AM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ১০ রানে আউট অক্ষর, ভারত ১৭০/৭ (১৯.৫ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

12:03:49 AM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ০ রানে আউট দুবে, ভারত ১৪৬/৬ (১৭.৫ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

11:52:40 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ২৩ রানে আউট হার্দিক, ভারত ১৪৬/৫ (১৭.৪ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

11:50:48 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ভারত ১৩২/৪ (১৭ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

11:48:10 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: বৃষ্টির জেরে বন্ধ ম্যাচ, ভারত ৬৫/২ (৮ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

10:01:26 PM