Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হিন্দুত্ববাদী পপস্টারদের এজেন্ডা
মৃণালকান্তি দাস

‘ইনসান নেহি হো সালো, হো তুম কাসায়ি;
বহুত হো চুকা হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই।’
হিন্দুত্ববাদীদের জন্য এই ‘ভক্তিমূলক’ গান রচেছেন প্রেম কৃষ্ণবংশী। যার বাংলা তর্জমা: ‘তুমি মানুষ নও, তুমি কসাই; যথেষ্ঠ হয়েছে হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই।’ বিদ্বেষমূলক রাজনীতির টানে কৃষ্ণবংশীর এই গান এখন গোবলয়ে নতুন গণসংস্কৃতির অংশ।
উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক প্রেম কৃষ্ণবংশী বলিউডের গায়ক হতে চেয়েছিলেন। বলিউডে ঠাঁই না পেয়ে বেছে নেন লাইভ শো এবং স্টেজ শো। তাঁর সঙ্গীত কেরিয়ারের মোড় ঘুরে যায় ২০১৪ সালে। দেশে বিজেপির ক্ষমতায় আসার পর। সামাজিক মেরুকরণে সঙ্গীতও সাংস্কৃতিক পণ্য হয়ে ওঠে। ঘৃণার রাজনীতি বিস্তারের হাতিয়ার হয়ে ওঠে প্রেম কৃষ্ণবংশীদের গান। সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের প্রশংসা করে গান গাওয়ায় উত্তরপ্রদেশ সরকার কৃষ্ণবংশীকে সেরা গায়কের পুরস্কারও দিয়েছে।
রাজনৈতিক হিন্দুত্বের এজেন্ডাকে শক্তপোক্ত করতে কৃষ্ণবংশী হিন্দি এবং ভোজপুরি ভাষায় গান করেন। তাঁর ভক্তরা মূলত গোবলয়ের। সাম্প্রদায়িকতার সুর চড়িয়ে কৃষ্ণবংশী কখনও তাঁর গানে বলেছেন, মুসলিমরা ‘দেশবিরোধী, তাদের পাকিস্তানে যাওয়া উচিত।’ কখনও বলেছেন, ‘মুসলিমরা শেষ পর্যন্ত হিন্দুদের নমাজ পড়তে বাধ্য করবে যদি তারা তাড়াতাড়ি না জাগে।’ ‘হাম বচ্চে খুব বনায়েঙ্গে/ যব সংখ্যা হুয়ি হামসে জাদা/ ফির আপনি বাত মানায়েঙ্গে।’ সংবাদসংস্থা আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কৃষ্ণবংশী বলেছেন, ‘আমার গান সত্যকে নির্দেশ করে এবং যদি কেউ মনে করে যে এটা ইসলাম বিদ্বেষী, তাহলে আমি তাদের সেই অনুভূতিকে ঠেকিয়ে রাখতে পারি না।’ কৃষ্ণবংশী একা নন, ‘চরম হিন্দুত্ববাদী’দের পক্ষে কথা বলে চলেছেন তাঁর মতো আরও অনেক ‘দেশপ্রেমী’ গায়ক-গায়িকা। এবং শ্রোতার সোৎসাহ-সমর্থন বুঝিয়ে দিচ্ছে এই কথাগুলি শোনার জন্য যেন উপযুক্ত ক্ষেত্র প্রস্তুত।
রামমোহন, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দের মতো মনীষীরা যে আধুনিকতায় দেশকে দীক্ষিত করে গিয়েছেন, তাকে উপেক্ষা করে বিংশ শতাব্দীর প্রায় মাঝখানে এসেও তথাকথিত সনাতনপন্থী ভারতীয়রা ভিন্ন মতের মানুষকে ‘বিধর্মী ও বেজাত’ আখ্যা দিয়ে বিশুদ্ধতা রক্ষায় সচেষ্ট! অথচ, স্বাধীন ভারতের রূপকাররা সনাতন পরম্পরা সূত্রেই চেয়েছিলেন আধুনিক ভারত হবে জাতি-বর্ণ-ধর্মের ঊর্ধ্বে, এক মিলনক্ষেত্র। বহুত্বের মধ্যে একত্বই হল ভারতীয়ত্ব, বিবিধের মাঝে মিলনই হল তার সনাতন সুর। রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘ভারততীর্থ’ কবিতায় নানা দেশ জাতি সংস্কৃতি ও ধর্মের মানুষের এই ভূমিতে এসে একত্রবাসের কথা বলেছেন। অথচ, সনাতন ভারতের একটি সঙ্কীর্ণ ধারণাকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। সংখ্যাগরিষ্ঠের আধিপত্যবাদের সপক্ষে, হিন্দুরাষ্ট্র গড়ে তোলার হিড়িক জাগিয়ে তুলতে ডিজে-সহযোগে চলছে হিন্দুত্ব-পপ বা এইচ-পপ গান। ইউটিউবে ছড়িয়ে দেওয়া ঘৃণার বিষ, প্রকাশ্য হিংসার ইন্ধনকে ক্রমশ আরও সহজ, অতি স্বাভাবিক করে তুলছে। রামনবমীর মতো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাথায় গেরুয়া ফেট্টি, কপালে তিলক, হাতে বিভিন্ন আকৃতির অস্ত্র নিয়ে উন্মত্ত মানুষের স্রোতের সঙ্গে যোগ হয়েছে ডিজে (ডিস্ক জকি)-সহযোগে বেজে চলা উদ্দাম গানের আওয়াজ। যে গানের ছত্রে ছত্রে সংখ্যালঘু, দেশের শাসক দল ও সঙ্ঘ পরিবারের বিরোধীদের উদ্দেশে নগ্ন ঘৃণা-ভাষণ। এই গানেই অভিবাদন জানানো হয় নরেন্দ্র মোদি, যোগী আদিত্যনাথদের। সুর তোলা হয় হিন্দু রাষ্ট্রের!
ধরুন, লক্ষ্মী দুবের কথাই। মধ্যপ্রদেশের শহর ভোপালের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। প্রয়াত পিতামহের কাছ থেকে হিন্দু ভক্তিমূলক গান শুনে বড় হয়েছেন। একটা সময় স্কুলের অনুষ্ঠানে মুসলিম-হিন্দু ভ্রাতৃত্ব এবং ধর্মীয় সহাবস্থানের গান গাইতেন। ৩১ বছরের লক্ষ্মী দুবের কর্মজীবন শুরু একটি স্থানীয় সংবাদপত্রে রিপোর্টার হিসেবে। কিন্তু, কৃষ্ণবংশীর মতোই ২০১৪ সালে মোদি জমানার উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ্মীর জীবনও বদলে গিয়েছিল। লক্ষ্মী এখন দুই ধর্মের ভ্রাতৃত্বের নয়, ‘হিন্দুত্ববাদী পপ সঙ্গীত’ গেয়ে গেরুয়া শিবিরের কাছে বেশ জনপ্রিয়। আজ লক্ষ্মী দুবে শোনান: ‘আগার হিন্দুস্তান মে রেহনা হোগা, তো বন্দে মাতরম কেহনা হোগা’। লক্ষ্মীর মতো আরও এক পপ-তারকা কবি সিংয়ের গানও এখন হিন্দি বলয়ের হিন্দুত্ববাদীদের নতুন অস্ত্র। মাত্র ২৫ বছর বয়সে কবি সিং ৮০টি গান রেকর্ডিং করে ফেলেছেন। লাভ জিহাদ থেকে হাইপার দেশপ্রেম— প্রতিটি গানই গেয়েছেন হিন্দুত্ববাদী ‘টকিং পয়েন্টে’। ‘অগর ছুয়া মন্দির তো তুঝে দিখা দেঙ্গে...।’ আসলে ভোটমুখী ভারতে সংখ্যালঘু বিরোধিতাকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিতে নবতম সংযোজন এই হিন্দুত্ববাদী পপ মিউজিক। সেখানে কদর্য তো বটেই, রীতিমতো হিংস্র ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে সংখ্যালঘুদের। এর মধ্যে কোনও ধর্মসাধনা বা ধর্মবেদনা নেই, আছে কেবল নির্বাচন-পূর্ব হিন্দু ভোটব্যাঙ্কসেবা। ধর্ম ও রাজনীতির এই যুগপৎ কলুষভার দেখে শুভবোধসম্পন্ন নাগরিকের মাথা আজ হেঁট হয়ে যায় গভীর লজ্জায়, তীব্র উদ্বেগে।
সাংবাদিক শাবিনা আখতারের কথায়, শেক্সপিয়রের নাটক টুয়েলফথ নাইট-এ একটি সংলাপ ছিল ‘সুর যদি ভালোবাসার রসদ যোগায়, তবে বাজাতে থাকো, বাজাতে থাকো, বাজাতেই থাকো।’ কিন্তু ভালোবাসার বদলে যদি সেখানে জায়গা নেয় ঘৃণা? ঘৃণার খোরাক জোগায় যে গান, সে গানেরও তালে তালে মাথা দোলানোর উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন ভারতের নাগরিকদের। ধীরে ধীরে। কিন্তু বিরামহীনভাবে। ধর্মনিরপেক্ষ ভারতকে প্রতিদিন একটু একটু করে হারিয়ে ফেলার আশঙ্কা যাঁদের এখনও বিব্রত করে, তাঁরা সভয়ে দেখছেন এই বর্বরতা। জন্ম দেওয়া হচ্ছে এক নতুন সংস্কৃতির, যেখানে গান-কবিতা-বইয়ের মত উপাদানগুলি ব্যবহৃত হচ্ছে হিন্দু ও মুসলিমের মধ্যে বিভাজনকে আরও বাড়িয়ে দিতে। মিছিলে বা জমায়েতে এইসব সাম্প্রদায়িক প্ররোচনামূলক গান, কবিতা, বা বইয়ের পাঠ হিংসা ছড়াচ্ছে, ঘনিয়ে তুলছে দাঙ্গা পরিস্থিতি। 
এই বিষাক্ত সংস্কৃতিতে ভর করেই গোবলয়ে বিজেপি ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। সেই মাটিতে সঙ্ঘ-পরিবারের অসংখ্য শাখাপ্রশাখা জনসংস্কৃতির বিভিন্ন মাধ্যমকে অত্যন্ত সূক্ষ্ম কৌশলে ব্যবহার করে নিজেদের পক্ষে গণসম্মতি গড়ে তুলছে। বিশিষ্ট সাংবাদিক কুণাল পুরোহিতের লেখা বই ‘এইচ-পপ: দ্য সিক্রেটিভ ওয়ার্ল্ড অব হিন্দুত্ব পপ স্টারস’ পড়ুন। কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন গান, কবিতা, বই বা পুস্তিকা সাম্প্রদায়িক ঘৃণাকে পুষ্ট করছে, কুণাল তার একের পর এক নজির তুলে ধরেছেন। এই সস্তা ইন্টারনেটের যুগে সামাজিক মাধ্যমগুলিকে ব্যবহার করে গেরুয়া শিবির কীভাবে মানুষের মগজে গেঁথে দিচ্ছে হিন্দুত্ববাদী পপ সঙ্গীত, জনপ্রিয় কবিতা। জেএনইউ-র অধ্যাপক ব্রহ্ম প্রকাশের কথায়, ‘‘বিদ্বেষের সঙ্গীত ভারতে ধর্মীয় হিংসার ধরণ বদলে দিয়েছে। আমরা ভারতে দাঙ্গা ও গণহত্যার ঐতিহাসিক নিদর্শন জানি— নেতা ভাষণ দেন এবং দাঙ্গা রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। সেই ধরণ বদলে গিয়েছে। আজ আর নেতার প্রয়োজন নেই। দরকার শুধু ‘ভক্তি ভাইব্রেটর।’ আপনি শুধু ডিজে বাজান এবং ডিজে সেই কাজ করে দেবে। জনতাকে প্ররোচিত করবে। হিংসা উস্কে দেওয়ার জন্য আপনার কোনও প্ররোচকের প্রয়োজন নেই। আপনি সুর ও গান ঠিক করে দেবেন, ব্যস বিদ্বেষ সব কাঁপিয়ে দেবে।’’
অথচ ভারতীয় সঙ্গীত চিরকালই সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করা শক্তির জন্যই আদৃত হয়ে এসেছে। আর তাই আজও ফরিদ আয়াজ ও আবু মোহাম্মেদের সুরে ও বাণীতে ইষ্টের প্রতি বিস্মিত ভক্তের অভিমান রেণু রেণু ঝরে পড়ে। ‘এ কানহাইয়া, ইয়াদ হ্যায় কুছ ভি হমারি?’ ‘পুরোহিতকে শতবার জিজ্ঞাসা করেও তোমার কোনও খবর পাই না কানহাইয়া, তুমি কি ভুলে গেলে আমাকে!’ ইষ্টের খবর আর যেই রাখুক মোল্লা অথবা পুরোহিত রাখবে না— এই বিশ্বাস থাকলে তবেই না ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে উঠে এই গান গাওয়া যায়। এভাবেই ধর্ম প্রাচীরকে গুঁড়িয়ে দিয়ে এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের মানুষের রচিত সঙ্গীত কণ্ঠে তুলে নিয়েছেন, ‘অন্য ধর্মের ঈশ্বরের’ স্তুতিগানে মুখর হয়েছেন। এইভাবে বহুত্ব এসে মিলেছে একে, অথবা উল্টোটা এবং বহুত্ববাদ এবং সহিষ্ণুতায় আমাদের বিশ্বাস দৃঢ়তর হয়েছে।
ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় সেই কবেই লিখে গিয়েছেন পণ্ডিত ভাস্কর রাওয়ের কথা। অমৃতসর ও জলন্ধরে মুসলিম শ্রোতাদের অনুরোধে উনি গাইতেন ‘হজরত খ্বাজা সঙ্গ খেলিয়ো হমার।’ যখন গান শেষ হতো আপ্লুত শ্রোতাদের ছোড়া ফুলে স্তূপ হয়ে যেত পণ্ডিতজির পায়ের উপর। আবার হিন্দু ভক্তদের অনুরোধে তাঁকে একই অনুষ্ঠানে গাইতে হতো ‘গোপাল মেরি করুণা’। প্রথম গানে বিহ্বল শ্রোতারা পণ্ডিতজির হাঁটু ছুঁয়ে কদমবুসি করলে, দ্বিতীয় গানের শেষে তাঁর সামনে ঢের লেগে যেত সাষ্টাঙ্গ প্রণামের। মুসলিমরা তাঁকে ভাবতেন পীর, হিন্দুরা সাক্ষাৎ সরস্বতীর সন্তান।
মোদির ভারত থেকে দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় সঙ্গীতের সেই বহুত্ববাদ-সম্প্রীতির ঘরানা।
নয়া ভারতে সঙ্গীত-ও হয়ে উঠেছে ঘৃণার খোরাক!
22nd  February, 2024
বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার
মৃণালকান্তি দাস

হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদের ভয়ঙ্কর বিস্তার টের পেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল সাহেব বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে কোনও মৌলবাদী শক্তির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের মানুষের শক্তির উপর আস্থা রাখি।’ বিশদ

পঁচিশের প্রার্থনা
হারাধন চৌধুরী

বিদায় নিল আরও একটি বছর, ২০২৪। আজ, নতুন সালে পা রেখে আমরা বুঝে নিতে চাই—বিদায়ী বছরে কী পেয়েছি আর কী হারিয়েছি এবং আরও কী কী নিতে পারতাম তার ঝুলি থেকে কিন্তু নিতে পারিনি। বিশদ

01st  January, 2025
লোকশিক্ষক রামকৃষ্ণ সদাই কল্পতরু
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

একটু খোলামেলা জায়গায় রোগীকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার  সরকার। সেই মতো বাড়ি খোঁজা শুরু হল।  রামচন্দ্র দত্ত কাশীপুর নিবাসী মহিমাচরণ চক্রবর্তীর সাহায্যে খুঁজে পেলেন একটি বাগানবাড়ি। রানি কাত্যায়নীর জামাই গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাড়ি। বিশদ

01st  January, 2025
জিএসটি জেনে কী হবে? পপকর্ন খান
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আপনি কি এর মধ্যে পপকর্ন খেয়েছেন? খেলেই কিন্তু হল না। বলতে হবে, কোথায় খেয়েছেন। বাড়িতে? নাকি সিনেমা হলে? মাল্টিপ্লেক্স বা সিনেমা হলে খেলে বলুন, কীভাবে কিনেছেন। টিকিটের সঙ্গে? নাকি ইন্টারভ্যালের সময় বেরিয়ে, আলাদাভাবে? বিশদ

31st  December, 2024
সংবিধান বদলের অন্যায্য উদ্যোগ

এবারের লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত পরে আমার একটি অনুমানের কথা জানিয়েছিলাম যে, বিজেপির নেতৃত্বে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারও তার আগের দু’দফার কায়দাতেই দেশ পরিচালনা করে যাবে। লোকসভায় বিজেপি এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবার পায়নি।
বিশদ

30th  December, 2024
ইন্ডিয়া জোটের ‘মনমোহন’ কে হবেন?
হিমাংশু সিংহ

বছরের একেবারে শেষ অঙ্কে তাঁর মৃত্যুটাও কি আর একটা অ্যাকসিডেন্ট! হঠাৎ সব হিসেব উল্টে গেল। ভেবেছিলাম যে বছরটা শেষ হচ্ছে, এই বাংলায় তার লাভ-লোকসান ও নানা ঘটনার অভিঘাত নিয়ে লিখব। কিন্তু আচমকা একটা নবতিপর শান্ত স্থিতধী মানুষের মৃত্যু সব ওলটপালট করে দিল। বিশদ

29th  December, 2024
মনমোহনকে কোনওদিনই ছুঁতে পারবেন না মোদি
তন্ময় মল্লিক

গাফিলতি, উদাসীনতা, নাকি পরিকল্পনা? গোটা দেশে বিপুল পরিমাণ রেশন সামগ্রী নষ্টের বিষয়টি সামনে আসতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, একে গাফিলতি বা উদাসীনতা বলে ভাবা ভুল হবে, এটাও একটা পরিকল্পনা। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে সবই হয় প্ল্যান মাফিক। বিশদ

28th  December, 2024
স্বাগত ২০২৫, ভারতের সামনে শেষ সুযোগ
সমৃদ্ধ দত্ত

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সবথেকে বৃহৎ চাহিদা ও গুরুত্ব কী হতে চলেছে? সোলার এনার্জি এবং ইলেকট্রিক ভেহিকল। মোবাইল টেকনোলজির নতুন ডিমান্ড কী?  ব্যাটারির চার্জ।  যে মোবাইলের চার্জ যত বেশি, তার দাম তত বেশি হবে। এই সবকিছুর জন্য সবথেকে বেশি কোন বস্তুটির সাপ্লাই দরকার? বিশদ

27th  December, 2024
হলিউডে ড্রাগনের থাবা!
মৃণালকান্তি দাস

পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ বেজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে পা রেখেছিলেন ২০০৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সেদিন তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে একটি বিশাল ঘড়ি লাগানো হয়েছিল। ঘড়ির কাঁটা চালু হয়েছিল ১ হাজার ৪১৭ দিন গণনার জন্য। লক্ষ্য ২০০৮-এর গ্রীষ্মকালীন ওলিম্পিক্স। 
বিশদ

26th  December, 2024
আধুনিক ভারতের স্থপতি, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক
নরেন্দ্র মোদি

আজ ২৫ ডিসেম্বর, আমাদের সকলের কাছে একটি অত্যন্ত বিশেষ দিন। আমাদের প্রিয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়িজির ১০০তম জন্মজয়ন্তী। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, অগণিত মানুষকে প্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন নিরন্তর।  বিশদ

25th  December, 2024
সাহেবি আমল থেকেই বড়দিন বাঙালির নিজস্ব পার্বণ
সন্দীপন বিশ্বাস

সাহেবি আমলের দেশি বাবুরা কেবল দুর্গাপুজো, বুলবুলির লড়াই আর বিড়ালের বিয়ে নিয়েই মেতে থাকতেন না, তাঁরা বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষের আনন্দের স্রোতেও ভেসে যেতেন। সে ছিল এক দেখার মতো ব্যাপার। বাবুদের কাপ্তেনির মেজাজে লাগত সুরা ও সুরের দোল। বিশদ

25th  December, 2024
বাংলাদেশ প্রমাণ, বিভাজন শুধু বিপর্যয়ই আনে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলাদেশের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তসলিমা নাসরিন। নাটকের দৃশ্য। তাতে যশোর জামিয়া ইসলামিয়ার তিন ছাত্র ইসলামিক জঙ্গিদের সাজে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বন্দুক। আপাতদৃষ্টিতে প্লাস্টিকের বলেই মনে হচ্ছে (দেশটা এখনও সিরিয়া হয়ে যায়নি। নাটকের জন্য সেখানে আজও প্লাস্টিকের বন্দুক ব্যবহার হয়)। বিশদ

24th  December, 2024
একনজরে
চলতি অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ সালের শেষ তিন মাসে কোন রাজ্য বাজার থেকে কত টাকা ঋণ নিতে পারে, তার রুটিন প্রকাশ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেখানে তারা জানাচ্ছে, আগামী মার্চ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ ৫৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে। ...

জোরকদমে চলছে বারাসতের বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গণ সংস্কার। কাজ শেষ পর্যায়ে। চলতি বছরেই এই স্টেডিয়ামে ফের বড় টুর্নামেন্ট পরিচালনা করার ব্যাপারে আশাবাদী প্রশাসন। স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য মোট ...

মাদকাসক্ত বিজেপি নেতার ছেলেই কী বীরভূমের মাদক কারবারি? মাদক সংগ্রহ করতেই কী ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে মায়ের দামি গাড়িতে করে শিল্পাঞ্চলে হাজির হয়েছিল সাগর যাদব। গ্রেপ্তারের দু’দিন পর পুলিসির তদন্তের গতিপ্রকৃতি সেই অভিমুখেই যাচ্ছে। ...

যুদ্ধ পরিস্থিতির জের। নতুন বছরে ইউক্রেনের পথ ধরে  ইউরোপের বাজারে আর প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করতে পারবে না রাশিয়া। আর এর নেপথ্যে রয়েছে জেলেনস্কির দেশ। কারণ রাশিয়ার সঙ্গে গ্যাস পরিবহণ সংক্রান্ত চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াতে চায় না তারা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৫৭ - ব্রিটিশদের কলকাতা দখল
১৮৩৯ - লুই দাগের প্রথম চাঁদের আলোকচিত্র তোলেন
১৮৫৬ - ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অব বেঙ্গল প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৯০ - কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম মুসলমান বিচারপতি নিযুক্ত হন সৈয়দ আমির আলী 
১৮৯২ - বিশিষ্ট ভৌত-রসায়ন বিজ্ঞানী  নীলরতন ধরের জন্ম
১৮৯৬ - শিশু সাহিত্যিক খগেন্দ্রনাথ মিত্রর জন্ম
১৮৯৮ - ভারতের প্রথম নির্বাচন কমিশনার তথা  বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য সুকুমার সেনের জন্ম
১৯১২ - কলকাতা উন্নয়ন ট্রাস্ট গঠিত হয়
১৯২০- কল্পবিজ্ঞান লেখক আইজাক অ্যাসিমভের জন্ম
১৯৪৪- অভিনেতা শমিত ভঞ্জের জন্ম
১৯৫০- কলকাতায় চিত্তরঞ্জন জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট-এর উদ্বোধন
১৯৫৪ - ভারতের অসামরিক সম্মাননা- ভারতরত্ন পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ,পদ্মশ্রী মর্যাদাক্রম অনুসারে আজকের দিনে প্রবর্তিত হয়
১৯৫৯- ক্রিকেটার কীর্তি আজাদের জন্ম
১৯৬০- রাজনীতিবিদ তথা প্রাক্তন সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৬০ - ভারতীয় প্রাক্তন ক্রিকেটার রমন লাম্বার জন্ম
১৯৬৫- অভিনেতা পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৬৭ - চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হিসাবে শপথ নেন রোনাল্ড রেগান
১৯৭২ - বিশ্ব বিখ্যাত ভারতীয় কুস্তিগির গোবর গোহ নামে সুপরিচিত যতীন্দ্র চরণ গুহ প্রয়াত
১৯৭৬- সাহিত্যিক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৮১ - আর্জেন্টাইন ফুটবলার ম্যাক্সি রোদ্রিগেসের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৮০ টাকা ৮৬.৫৪ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩৬ টাকা ১০৯.০৯ টাকা
ইউরো ৮৭.০০ টাকা ৯০.৩৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৮ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া ৪৭/০, রাত্রি ১/৯। শ্রবণা নক্ষত্র ৪২/৫ রাত্রি ১১/১১। সূর্যোদয় ৬/২১/১১, সূর্যাস্ত ৫/০/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১/২৭ গতে ২/৫৩ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/২০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/২০ মধ্যে।
১৭ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া রাত্রি ২/১৭। শ্রবণানক্ষত্র রাত্রি ১২/৫০। সূর্যোদয় ৬/২৩, সূর্যাস্ত ৫/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২৪ মধ্যে। কালবেলা ২/২১ গতে ৫/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৪২ গতে ১/২২ মধ্যে। 
১ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পাটনায় মহিলা চরকা সমিতিতে এলেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান

10:08:00 PM

আজমীর শরিফ দরগার জন্য চাদর পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু

10:03:00 PM

মহাকুম্ভ মেলা: সেলফি পয়েন্টে ছবি তোলার জন্য ব্যাপক ভিড়

09:56:00 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদকে ৩-০ গোলে হারাল মোহন বাগান

09:26:00 PM

সিডনি টেস্টে নেই রোহিত শর্মা !
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিডনিতে অনুষ্ঠিত পঞ্চম টেস্টে দলে থাকছেন না রোহিত ...বিশদ

09:20:26 PM

আইএসএল: মোহন বাগান ৩-হায়দরাবাদ ০ (৫২ মিনিট)

08:40:00 PM