Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হাঁড়ির হাল নিয়ে বৃহৎ,
ক্ষুদ্র দু’পক্ষই একমত
পি চিদম্বরম

রাইসিনা হিলের উপর কোণের অফিস থেকে দৃশ্যটা মনোমুগ্ধকর। বিশেষ করে দৃশ্যগুলো যদি প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বেছে দিতে পারেন। যেমন—চাকরি খোয়ানোর ঘটনাগুলি হাওয়া হয়ে যেতে পারে এবং ইপিএফের খাতায় সেগুলো নতুন চাকরিতে যোগদান হিসেবে নথিভুক্ত হতে পারে! ক্ষুধার্ত মুখগুলো উবে যেতে পারে এবং তার জায়গায় উজ্জ্বল হয়ে উঠতে পারে দয়ার দান গ্রহণ করছে যে মানুষগুলো—মাসে পাঁচ কেজি করে খাদ্যশস্য, যা দু’মাস পাবে তারা! মেহনতি ভাগচাষির ছবিটা ফিকে হয়ে আসতে পারে এবং যে জমির মালিক চাষাবাদ করেন না তিনি কিষান সম্মান চেক জমা দিয়ে সেই ফাঁকা জায়গাটা ভরাট করতে পারেন! ক্ষমতা, কর্তৃত্ব এবং সমালোচনাকে তাচ্ছিল্য করার থেকেই এই জাদুর সৃষ্টি। 
ভারতের গড়পড়তা মানুষ পর্বতারোহীদের মতো উচ্চাকাঙ্ক্ষী নন। তিনি পুরুষ অথবা নারী যাই হোন না কেন, একটা গ্রামে, অথবা একটা শহর বা নগরের নিজ মহল্লার ভিতরেই কাটিয়ে দেন। কারণ, তাঁদের দু’টো পা’ই যেন মাটিতে প্রোথিত থাকে। গড়পড়তা ভারতীয়ের দৃষ্টিভঙ্গিটা কীটের মতো—নিজেকে খুব ক্ষুদ্র, দুর্বল ভাবেন আর অন্যদের দেখেন খুব উঁচু লম্বা ও শক্তিশালী। দৃষ্টিভঙ্গিটা কঠিন কঠোর, নোংরা বা কদর্য হতে পারে, কিন্তু এটাই সত্যের কাছাকাছি।  
একটা সমীক্ষা করা হল
মিস্টার জওহর। আমার বন্ধু। তিনি তদন্তকারীদের একটা দল গঠন করেছেন। নিম্ন মধ্যবিত্ত এক হাজার জন মানুষের উপর একটা সমীক্ষা করার জন্য আমি তাঁকে অনুরোধ করেছিলাম। এমনকী সুরক্ষিত আবাসনের সেইসব বাসিন্দাদেরও এই সমীক্ষায় রাখতে বলেছি, যাঁরা নিজেদের ‘মধ্যবিত্ত শ্রেণি’র মানুষ বলে জাহির করেন কিন্তু আমরা জানি 
যে বাস্তবে তাঁরা তা নন। যেসব ব্যক্তির মাসিক আয় পাঁচ থেকে তিরিশ হাজার টাকার মধ্যে, আমরা তাঁদেরকেই নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে ধরি। ১০০৪ জনের কাছে ৯টি প্রশ্ন রেখে উত্তর পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা তাঁদের ইমেল আইডি এবং ফোন নম্বর দিয়েছেন। কয়েকজন উত্তরদাতা তাঁদের আয় কমিয়ে দেখিয়েছেন হয়তো। কিন্তু তাঁদের আয় তিরিশ হাজারের সামান্য বেশিও যদি হয়ে থাকে তবু সেটাকে তথ্যের বিকৃতি বলা যাবে না। 
আমাদের মনে আছে, প্রথম লকডাউনটা হয়েছিল ২০২০ সালের ২৫ মার্চ। তার পরবর্তী ১২ মাসের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্নগুলো করা হয়েছিল। ওই সমীক্ষা থেকে যা জানা গিয়েছে সেটা এইরকম:
১. উত্তরদাতা ছিলেন ১০০৪ জন। 
২. মোট ৮৮০ জন দাবি করেছেন তাঁদের আয় কমে গিয়েছে। ১১৭ জনের বক্তব্য, তাঁদের আয়ের কোনও পরিবর্তন হয়নি। বাকি ৭ জন জানিয়েছেন, তাঁদের আয় বেড়ে গিয়েছে। 
৩. তবে, ৭৫৮ জন জানিয়েছেন, তাঁদের খরচাপাতি বেড়ে গিয়েছে। ১১৫ জনের বক্তব্য, তাঁদের খরচে কোনও পরিবর্তন হয়নি। অন্যদিকে, ৯১ জানিয়েছেন তাঁদের খরচ কমে গিয়েছে। 
৪. সঞ্চয়ে কোপ পড়ার কথা স্বীকার করেছেন ৭২৫ জন। তবে সম্পত্তি কমে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন মাত্র ৩২৯ জন। সঞ্চয় এবং সম্পত্তি দু’টোই অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাকি উত্তরদাতারা। 
৫. যেমনটা ভাবা গিয়েছিল, ৭০২ জনকে টাকা ধার করতে হয়েছে। কিছু ব্যক্তি ঋণ নিয়েছেন ব্যাঙ্ক কিংবা মাইক্রো ফিনান্স সংস্থা থেকে। স্বনির্ভর গোষ্ঠী, এমনকী চিটফান্ড থেকে টাকা ধার করার কথাও জানিয়েছেন কেউ কেউ। পরিবারের ভিতর থেকে, আত্মীয় এবং বন্ধুদের কাছ থেকেও টাকা ধার করার ঘটনা নজরে আনা হয়েছে। কারও কারও ক্ষেত্রে একাধিক সূত্র থেকেও ঋণগ্রহণের কথা জানা গিয়েছে। ৬৫৩ জন, অর্থাৎ বেশিরভাগ ব্যক্তিই ‍টাকা ধার করেছেন সুদে। ১৭৬ জন দাবি করেছেন, নির্দিষ্ট সময়ের ভিতরে সুদসহ ঋণ পরিশোধ করে দিতে কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু ১৬৪ জন বলেছেন, তাঁদের কথার খেলাপ হয়ে যাবে। কবে কীভাবে ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন, বাদবাকি ২৫৬ জন সেই ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নন।
আমাদের ঘিরে তথ্যপ্রমাণ 
এই যে পর্যবেক্ষণের কথা বলা হল, এসবই আমরা রোজ দেখছি, শুনছি এবং নিরীক্ষণ করছি। মহামারী এবং এই আর্থিক পরিস্থিতি পারিবারিক আয়-ব্যয়ের হিসেবকে ভীষণভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে। কমে গিয়েছে আয়পত্তর। খরচ অনেক বেড়ে গিয়েছে। ধারদেনা করতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু সেই ঋণ পরিশোধ কীভাবে হবে ভেবে কূল করতে পারছেন না। বাধ্য হচ্ছেন সঞ্চয়ের সঙ্গে আপস করতে। সব মিলিয়ে যা দাঁড়িয়েছে গড়পড়তা গৃহস্থ মানেই একজন ক্লান্ত অবসন্ন ব্যক্তি। যদি না পরিবারের দু’জন রোজগেরে (দু’জনেরই আয়ে ধাক্কা লাগলেও) হন, চট করে বলে দেওয়া চলে যে একজন গড়পড়তা রোজগেরে ব্যক্তি আর্থিকভাবে ধাক্কা খেয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট পরিবারটাও বুঝতে পারছে যে, তারা আরও গরিব হয়ে গিয়েছে।
মৃল চারটে প্রশ্ন ছিল আয়, ব্যয়, সঞ্চয় ও ঋণ সম্পর্কিত। ক্রমান্বয়ে যে চারটে উত্তর পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে সর্বনিম্ন সংখ্যটা হল ঋণ সংক্রান্ত। সংখ্যাটা হল ৭০২। মানে, এই পরিস্থিতে ধারদেনা করতে বাধ্য হয়েছেন ৭০২ জন, সেই সংখ্যাটা। এই সমীক্ষাটা যতজনের উপর করা হয়েছিল, ৭০২ সংখ্যাটা তার ৭০ শতাংশ। এটাতে কোনওভাবেই একটা দেশের সেই ছবি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না, সম্প্রতি যেটা 
বড় মুখ করে বলা হয়েছিল, দেশটার বৃহৎ অর্থনীতি পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বাড়ছে। (১) 
গত ২০০৪-১৪ দশকে গড়পড়তা ৭.৬ শতাংশ বৃদ্ধির স্বাক্ষর রেখেছিল ভারত। (২) ওই একই সময়ে ২৭ কোটি মানুষকে দারিদ্রমুক্ত করা গিয়েছিল। আজকের হালের সঙ্গে তুলনা করলে বলতে হবে যে, এক‍টা শিখর থেকে বিরাট পতনই হয়েছে। সেসবই আজ ইতিহাস। 
জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (এনএসও) ২০২০-২১ সালের জন্য জাতীয় আয়ের যে এস্টিমেট দিয়েছে আমাদের হিসেবটা তার সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। ২০২০-২১ সালে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) পূর্ববর্তী বছরের সাপেক্ষে ৭.৩ শতাংশ কমে গিয়েছে বা মাইনাস (-) ৭.৩ শতাংশ 
হয়ে গিয়েছে। ব্যক্তিগত উপভোগ, গ্রস ফিক্সড ক্যাপিটাল ফর্মেশন, রপ্তানি ও আমদানি—এই চারটে গুরুত্বপূর্ণ সূচকও দু’বছর আগের তুলনায় খারাপ হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ‘ডিমান্ড শক’ বা চাহিদায় ধাক্কা লাগার কথা জানিয়েছে। অন্যদিকে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও ব্যয় করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তেমন প্রয়োজন হলে টাকা ছাপাতে হবে।
এনএসও এবং লোকাল সার্ভে—‘দ্য বার্ড অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ম’—বৃহৎ, ক্ষুদ্র—মাটির উপর দু’জনেই একই ছবি দেখতে পেল। এটা একটা সুন্দর সাদৃশ্য—যেটা অর্থমন্ত্রী এবং প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টাকে একটা বন্ধ ইকো চেম্বারে রেখে দিচ্ছে। অর্থাৎ তাঁরাও একই কথার প্রতিধ্বনি শুনতে পাচ্ছেন। 
করণীয়, তবে তা হবে   
নির্মম বাস্তবটা এই যে, ২০১৭-১৮ সাল থেকে জিডিপি (কনস্ট্যান্ট প্রাইসে) এবং মাথাপিছু বার্ষিক আয় নিম্নগতি নিয়েছে:
সার্বিকভাবে পুরো জাতি এবং গড়পড়তা ভারতবাসী, ২০১৭-১৮ সালের যে পজিশন ছিল তারও পিছনে পড়ে গিয়েছে। অর্থনীতিটা ঘেঁটে গিয়েছে এবং তাতে ক্ষতেরও সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রথম কারণ—বিপর্যয় সৃষ্টিকারী নীতিগুলো (যেমন বিমুদ্রাকরণ, বিশৃঙ্খল জিএসটি)। দ্বিতীয় কারণ—কোভিড-১৯। আর তৃতীয় কারণ—অর্থনীতি সামলাতে সরকারের লেজেগোবরে অবস্থা। 
ধীরে হলেও ২০১৭-১৮-র পজিশনে ফেরা সম্ভব হতে পারে, যদি সরকার কিছু পরামর্শ নেয় এবং সেইমতো কাজটা করে। অত্যন্ত যুক্তিগ্রাহ্য এবং অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ সেই পরামর্শগুলো দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আইএমএফ) ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই), প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদরা এবং বিরোধী দলগুলো।
  • লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
07th  June, 2021
মমতার নির্দেশে
অভিষেকের মাস্টারস্ট্রোক
হিমাংশু সিংহ

এতদিন বাংলার রাজনীতিতে মাস্টারস্ট্রোক কথাটা শুধু জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই সমার্থক ছিল ষোলোআনা। কিন্তু এখন তার আর এক দাবিদার উপস্থিত। পুত্রসম অভিষেক।
বিশদ

সেলিব্রেটি থেকে সংগঠক,
রাজনীতির নতুন ধারা
তন্ময় মল্লিক

অনেকেই বলে থাকেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন, তৃণমূল ততদিন। তারপর পার্টিটাই আর থাকবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার জবাবও দিয়েছেন। তিনি বহুবার বলেছেন, ‘যাঁরা ভাবছেন, আমি চলে গেলে দলটা উঠে যাবে, তাঁরা ভুল ভাবছেন। তৃণমূলের পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি।’ এতদিন তিনি যে কথা মুখে বলতেন, এবার সেটা করে দেখাচ্ছেন।
বিশদ

12th  June, 2021
পুরুষ আধিপত্যের ভিড়ে
সফল শাসক দুই বাঙালি নারী
সমৃদ্ধ দত্ত

রাজনীতির হিসেব-নিকেশ বাদ দিয়ে নিছকই জাতিগত আকাঙক্ষার তাগিদে ২০২৪ সালের দিকে আমরা বাঙালিরা অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে লক্ষ করব এই জাতিটির জার্নিতে সত্যিই কি একটি নতুন ইতিহাস রচিত হবে? একদা একসঙ্গে থাকা দু’টি পাশাপাশি দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীই কি বাঙালি নারী হবেন? বিশদ

11th  June, 2021
অবলুপ্তির আত্মঘাতী
পথে সিপিএম
মৃণালকান্তি দাস

গোটা দেশের লোক যখন মোদি-মমতার মরণপণ দ্বৈরথ দেখছে, সিপিএম তখন চোখ বন্ধ রেখে বলেছে, ও-সব ‘সেটিং’। আসলে দল তো একটাই, তার নাম বিজেমূল। ছায়ার সঙ্গে এই পুরো যুদ্ধটাই করা হয়েছে বিজেপি-তৃণমূল বাইনারি ভাঙার নাম করে। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। বিজেমূল নামক এই বকচ্ছপ ধারণাটাকে জনতা স্রেফ ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।
বিশদ

10th  June, 2021
দেশ নিয়ে মোদির ভাবার
এত সময়ই নেই
সন্দীপন বিশ্বাস

মোদির জনপ্রিয়তার পাড় ভাঙছে। অন্য পাড়ে ক্রমেই জেগে উঠছে মমতা নামের এক নতুন সবুজ, স্বপ্নের ভূমি। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে চোখে চোখ রেখে পাঙ্গা লড়ার শক্তি তিনি আপন ক্ষমতাবলে অর্জন করেছেন। বিশদ

09th  June, 2021
হোক প্রোপাগান্ডা!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

হোক প্রোপাগান্ডা! মন্ত্র লিখতে হবে, কৃষকের জন্য এক। শ্রমিকের জন্য এক। শিক্ষকের জন্য আর এক। কমোন মন্ত্র অবশ্য একটাই—আচ্ছে দিন। ভ্যাকসিন নীতির ঠিকঠিকানা নেই, রাজ্য সরকার প্রাপ্য টাকা পাচ্ছে না, হাসপাতালে বেড নেই, পেট্রল-ডিজেল রোজ ঊর্ধ্বমুখী, জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া... আচ্ছে দিনের ভালো নমুনা বটে।
বিশদ

08th  June, 2021
এক আমলা যখন বাঙালির
আত্মমর্যাদার প্রতীক!
হিমাংশু সিংহ

মুখ্যসচিব হিসেবে তিনি কার নির্দেশ মানতে বাধ্য? আলাপনবাবুর দোষটা কোথায়? তিনি তো কেন্দ্রের ক্যাবিনেট সচিব নন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব। আসলে কেন্দ্র ও রাজ্যের ক্ষমতা ও এক্তিয়ারের এই সীমাহীন টানাপোড়েনের মধ্যে দাঁড়িয়ে একজন মুখ্যসচিবের করণীয় কী, সেটাই কোটি টাকার প্রশ্ন। বিশদ

06th  June, 2021
আলাপনেই শেষ নয়, ফের
আসবে নতুন কোনও ইস্যু
তন্ময় মল্লিক

লোকসভার ভোটের দেরি থাকলেও মোদি-বিরোধী সলতে পাকানো শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে সেই লড়াইয়ের মুখ মমতা। তাই মোদি-অমিত শাহ জুটি তাঁকে চাপে ফেলতে মরিয়া। অস্ত্র একটাই, বিতর্ক তৈরি। তারজন্য শিষ্টাচার, প্রোটোকল, বিপর্যয় মোকাবিলা আইন, সিবিআই- যা হোক একটা পেলেই হল। বিশদ

05th  June, 2021
কেন আজ ধ্বংসের
মুখোমুখি দীঘা উপকূল
মৃন্ময় চন্দ

দীঘার পূর্ব পরিচিতি ছিল ‘বীরকুল’ নামে। ১৭৮০ সালে দীঘার সৌন্দর্যে মুগ্ধ ওয়ারেন হেস্টিংস তাঁর স্ত্রীকে লেখা চিঠিতে পুবের ‘ব্রাইটন’ বলে দীঘাকে উল্লেখ করেছিলেন। ব্রিটিশ পর্যটক ‘জন ফ্রাঙ্ক স্মিথ’ ১৯২৩ সালে দীঘার সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে প্রথম বিশ্ববাসীর কাছে মেলে ধরলেন তার ভুবনমোহিনী ঐশ্বর্যকে। বিশদ

05th  June, 2021
আজ এই পরিস্থিতিতে কে হওয়া উচিত প্রতিপক্ষ?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমাদের কেউ চাকরি খোঁজে। কেউ ছেলেমেয়ের বিবাহের সম্বন্ধ খোঁজে। কেউ খোঁজে ভালো জমি। বহু মানুষ খোঁজে পুরনো রোগ সারানোর ভালো ডাক্তার।
বিশদ

04th  June, 2021
করোনার গ্রাসে মোদির দর্প ও অহঙ্কার
মৃণালকান্তি দাস

কোভিড-যুদ্ধে জিততে ‘আত্মনির্ভর’ ভারতের ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। টিকা উদ্ভাবনের পর সেই ডাকের প্রাবল্য আরও বেড়েছিল। বিজেপির মেজো-সেজো নেতারাও হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গোটা দুনিয়াকে টিকার জোগান দিয়ে রক্ষা করবে ভারতই। মোদিই এখন ‘বিশ্বগুরু’। মোদি ও তাঁর দলের রাজনীতির মূল সমস্যা এটাই।
বিশদ

03rd  June, 2021
একাই বলে যাবেন,
শুনবেন না
হারাধন চৌধুরী

 

হল্লাগুল্লার নষ্ট সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসুন নরেন্দ্র মোদি। কেটে গেল সাতটা বছর, সে তো কম সময় নয়! এবার অন্তত জানুন, মানুষ কী চায়। শিখুন, ভারত রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর কাছে বহির্ভারতেরও প্রত্যাশা কতখানি। বিশদ

02nd  June, 2021
একনজরে
বিধানসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই দু’পক্ষের যুযুধান সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল। ভোটকে ঘিরে সেই তিক্ততা আরও ঘনীভূত হয়েছে। ...

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আবার একটু বেড়ে গেল। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৬৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ...

শনিবার সকালে ভয়াবহ আগুন লাগল দিল্লির একটি মার্কেটে। অগ্নিকাণ্ডের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি শোরুম। দমকলের মোট ৩০টি ইঞ্জিন ও শতাধিক কর্মীর দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ...

মুকুল রায় পদ্ম শিবির ছাড়তেই বড়সড় ভাঙনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপিতে। কার্যত ভাঙনের ভয়েই বিজেপি নেতৃত্ব এখন ঘর সামলাতে উঠেপড়ে লেগেছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৭: বিখ্যাত দৌড়বীর পাভো নুরমির জন্ম
১৯৬৫: প্রাক্তন ক্রিকেটার মনিন্দর সিংয়ের জন্ম
২০১২: গজল গায়ক মেহদি হাসানের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.১৪ টাকা ৭৩.৮৫ টাকা
পাউন্ড ১০১.৭৫ টাকা ১০৫.২৭ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৬ টাকা ৯০.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
12th  June, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯, ৫৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭, ০০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭, ৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭২, ৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭২, ৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১। তৃতীয়া ৪১/৫৪ রাত্রি ৯/৪১। পুনর্বসু নক্ষত্র ৩৫/১৩ রাত্রি ৭/১। সূর্যোদয় ৪/৫৫/২৪, সূর্যাস্ত ৬/১৭/৩৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪২ গতে ৯/২৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪২ মধ্যে পুনঃ ১০/৩২ গতে ১২/৪০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩১ গতে ৫/২৪ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৬ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৭ গতে ২/১৬ মধ্যে।
২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১। তৃতীয়া রাত্রি ৭/২৩। পুনর্বসু নক্ষত্র অপরাহ্ন ৫/২৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/১৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ গতে ৯/২৬ মধ্যে ও ১২/৭ গতে ২/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৭ মধ্যে ও ১০/৩৭ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৭ গতে ১/১৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৭ গতে ২/১৬ মধ্যে। 
২ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: অস্ট্রিয়া ৩-১ গোলে হারাল নর্থ ম্যাসিডোনিয়াকে 

11:34:00 PM

ফ্রেঞ্চ ওপেন জয় নোভাক জকোভিচের 
ফ্রেঞ্চ ওপেন জয় নোভাক জকোভিচের। আজ, রবিবার স্টেফানোস সিটসিপাসকে ৬-৭, ...বিশদ

11:10:00 PM

করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত মিলখা সিংয়ের স্ত্রী
করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন মিলখা সিংয়ের স্ত্রী নির্মল কাউর। ...বিশদ

10:43:15 PM

ইউরো কাপ: অস্ট্রিয়া ১ – নর্থ ম্যাসিডোনিয়া ১ (হাফটাইম) 

10:24:40 PM

ডেবরায় ৫২ কেজি গাঁজা সহ গ্রেপ্তার ২
ডেবরায় ৫২ কেজি গাঁজা সহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। ...বিশদ

09:24:00 PM

ইউরো কাপ: ইংল্যান্ড ১-০ গোলে হারাল ক্রোয়েশিয়াকে 

08:28:47 PM