Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে। তার উপর ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণের কারণে আন্দোলন অন্য মাত্রায় পৌঁছে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের এই ধরনের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন চোখে পড়েছে বলে মনে হয় না। নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আন্দোলনের এই উত্তাল সময়ে কলকাতায় প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে ছিল প্রচুর প্রশ্ন। সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রধানমন্ত্রী কোনও রাজ্যে গেলে সেখানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর দায় অবশ্যই থাকে রাজ্য সরকারের। সংবিধানে তো আর প্রতিটি বাক্য লেখা থাকে না। কিন্তু রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী এলে যে বিমানবন্দরে কোনও এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে যেতে হয়, বিমানবন্দরে অনুপস্থিত থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী কিছুক্ষণের মধ্যেই দেশনেতার সঙ্গে দেখা করেন, এই ধরনের নানারকম রীতিনীতি এদেশে সাত দশকের বেশি সময় ধরে চলছে। সেই সূত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কলকাতায় নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করবেন এটাই স্বাভাবিক।
অন্যদিকে, রাজনীতিতে বিভিন্ন দলের বিভিন্ন মতামত থাকবে, এবং থাকবে বিশেষ বিশেষ রাজনৈতিক কৌশল। এর প্রেক্ষিতে বাম-কংগ্রেস পেশ করতে চাইছে বিজেপি-তৃণমূল গোপন আঁতাঁতের তত্ত্ব। বিজেপি বলছে তৃণমূল, কংগ্রেস এবং বাম সবাই একদলে হয়ে বিরোধিতা করছে বিজেপির, আদতে বাংলার মানুষের জনসমর্থনের নিরিখে এগিয়ে তারাই। সৌজন্য প্রকাশ বা রাজ্যের দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনার জন্যে নয়, রীতিমত চাপে পড়েই নাকি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তৃণমূলের বক্তব্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে দোষের কিছু নেই। সেটাই একজন মুখ্যমন্ত্রীর সঠিক প্রশাসনিক ভূমিকা। তাদের মূল বক্তব্য হল সারা দেশে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের প্রধান নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে মেনে নিতেই হবে যে নরেন্দ্র মোদি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যদি কোনও গোপন আলোচনা করতে হয় সেক্ষেত্রে বৈদ্যুতিন প্রযুক্তির অনেক উপায় আছে। তার জন্যে নেতানেত্রীর মুখোমুখি বসে কথা বলার কোনও প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ এখানে বুঝতে হবে যে সহজ সরল ‘সেটিং’য়ের তত্ত্ব সত্যি হোক কি না-হোক, তা ক্যামেরার সামনে দুই নেতানেত্রীর বৈঠক কিংবা একই অনুষ্ঠান মঞ্চে পাশাপাশি বসার অনুসিদ্ধান্ত হতে পারে না। কিন্তু তাঁরা দুজন এই যে একাধিকবার দেখা করলেন, অথবা নরেন্দ্র মোদি যে বেলুড়ে রাত কাটালেন তার মধ্যে দেশের সবথেকে পরিচিত দুই নেতানেত্রীর সুগভীর রাজনৈতিক ভাবনা থাকতেই পারে। কিন্তু গোপন আঁতাঁতের কারণে তাঁদের কলকাতায় বৈঠক করতে হচ্ছে—এই যুক্তি একেবারেই অতি সরলীকরণ। যেহেতু দু’জনেই রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় দেশের মধ্যে একেবারে প্রথম সারিতে, তাই তাঁরা ঠিক কী কী ভেবে এই সমস্ত পদক্ষেপ করেছেন তা হয় নিজেরাই জানেন, অথবা জানেন তাঁদের বিশ্বস্ত রাজনৈতিক সহযোগীরা। বাকিরা শুধুমাত্র চেষ্টা করতে পারেন দূর থেকে তা অনুধাবন করতে। সেটা ঠিকও হতে পারে, আবার ভুলও। তবে রাজনীতি যেহেতু সম্ভাবনার বিজ্ঞান, তাই নেতানেত্রীর কৌশল অনুমান করতে দোষ কোথায়?
পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু ভোট এখনও বেশিরভাগটাই তৃণমূলের দিকে। সেখান থেকে বিজেপির ভোট কাটার সম্ভাবনা বেশ কম। নাগরিকত্ব নিয়ে তীব্র আন্দোলন বজায় রাখতে পারলে সেই ভোটে ভাগ বসাতে পারে বাম-কংগ্রেস জোট। একই ঘটনা ঘটবে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি মহাশয়ের নেতৃত্বাধীন সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) নামক দলটি পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে লড়তে এলে। তারা যদি সংখ্যালঘু জনমনে প্রভাব ফেলতে পারে, তাহলে ভোট কাটবে তৃণমূলের। এতে সুবিধে বেশি বিজেপির। অন্যদিকে এই মুহূর্তে হিন্দু ভোটের একটা বড় অংশ অবশ্যই বিজেপির দিকে, আবার সেখানে তৃণমূলের প্রতিও যথেষ্ট সমর্থন আছে। সেই ভোটের ভাগাভাগিটাও নির্বাচনী ফলাফলকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
এই প্রসঙ্গে হিন্দু ভোটারদের আমরা তিনভাগে ভাগ করতে চাই। প্রথম হল একেবারে দক্ষিণপন্থী এবং তীব্র জাতীয়তাবাদী। এই ভোট বিজেপি থেকে সরার সম্ভাবনা খুব কম। দ্বিতীয় ভাগ হল মধ্যপন্থী। তাঁরা এই মুহূর্তে সিএএ ভালো না খারাপ সেই নিয়ে ভাবছেন। জাতীয়তাবোধ তাঁদের যথেষ্টই আছে, পড়শি দেশকে উচিত শিক্ষা দিলে তাঁরা খুশিই হন, কিন্তু একই সঙ্গে নাগরিকত্ব সংক্রান্ত কাগজপত্র জোগাড়ের হয়রানির কথা ভেবে তাঁরা কিছুটা সন্দিহান এবং বিরক্ত। এই জায়গার ভোট মূলত ভাগ হয় বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে। তৃতীয় ভাগ হল প্রগতিশীল উদারবাদী হিন্দু। কংগ্রেস বা বামফ্রন্টের টিমটিমে সমর্থককুল মূলত এই জায়গা থেকেই আসে। তৃণমূলের পক্ষেও এখানে যথেষ্ট সমর্থন আছে। বুঝতে অসুবিধে হয় না যে এই ভাগ থেকে বিজেপির পক্ষে সমর্থন পৌঁছনোর সম্ভাবনা বেশ কম।
অর্থাৎ বিজেপি আর তৃণমূল এই মুহূর্তে যে অংশের জন্যে লড়াই করবে তা হল মধ্যপন্থী হিন্দু ভোট। তাই গুরুত্ব সহকারে বিশ্লেষণের প্রয়োজন আছে যে নরেন্দ্র মোদির দু’দিনের (ঘণ্টার হিসেবে এক দিনের মতো) কলকাতা সফর এবং বেলুড়ে রাত্রিবাস এই ধরনের ভোটারদের উপর কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে? আবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে সংসদীয় গণতন্ত্রের সৌজন্যের আড়ালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এই বার্তা দিতে পারেন যে তাঁর দলের মধ্যেও কিছুটা জাতীয়তাবাদী ভাবনা বর্তমান, সেক্ষেত্রে মধ্যপন্থী হিন্দু ভোটের উপর কিছুটা দখল রাখার সুযোগ থাকবে তাঁরও। সিএএ বিরোধী আন্দোলন তীব্রতর হলে এই ভোটের সামান্য কিছু অংশ হয়তো বাম-কংগ্রেসের দিকেও যেতে পারে, তবে সে আলোচনায় আমরা আপাতত আর এগচ্ছি না।
এই প্রসঙ্গে খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর বেলুড় মঠে রাত্রিযাপন এবং এবং ভোরবেলা ধ্যান করার বিষয়গুলি। মনে রাখতে হবে হিন্দুদের একটা বড় অংশ রামকৃষ্ণ মিশনকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখেন। প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় আসার আগে এটা জানা ছিল যে তিনি বেলুড় মঠে যাবেন, কিন্তু সেখানে যে রাত কাটাবেন সেকথা সম্ভবত সংবাদ মাধ্যমের সূত্রে জানা যায়নি। সে সংবাদ প্রচারিত হয় তিনি কলকাতা সফরে আসার দিনেই। ফলে এই খবরে চমক ছিল যথেষ্ট। তার উপর বেলুড় যাত্রা সড়কপথে নয়, বরং জলপথে গঙ্গা পার হয়ে। এর মধ্যে অবশ্যই দেশজ ঐতিহ্যের একটা ছোঁয়া আছে। সব থেকে বড় কথা, রাজভবনে না-থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী যে বেলুড় মঠে রাত্রিবাস করবেন, এতে তাঁর সাদামাটা জীবনযাপনের কথা জনমানসে যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে তা বলাই বাহুল্য। তৃণমূল বা বাম-কংগ্রেসের গোঁড়া সমর্থকরা একে কৌশলী পদক্ষেপ হিসেবেই দেখবেন। কিন্তু মধ্যপন্থী ধর্মপ্রাণ হিন্দু সমাজের কাছে এটি সরাসরি রাজনৈতিক চাল হিসেবে গণ্য হবে না মোটেই। তার কারণ বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি মহাশয়ের সম্পর্ক যুবা বয়স থেকেই। তাই নরম হিন্দুত্বের অনুগামী বাঙালি জনমানসে এর ইতিবাচক প্রভাব কিছুটা পড়বেই। অর্থাৎ যে মধ্যপন্থী হিন্দু ভোটাররা গত লোকসভায় বিজেপিকে সমর্থন করেছিলেন, কিন্তু একইসঙ্গে নাগরিকত্ব সমস্যা নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে, তাঁদেরকে কিছুটা কাছে টানার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সম্ভবত সফল হতে পারেন নরেন্দ্র মোদি। বেলুড়ে বিবেকানন্দের জন্মদিনে যুবদিবসের ভাষণে তাই বারবার প্রধানমন্ত্রীর গলায় উঠে এসেছে রাজনীতির কথা। সিএএ যে মানুষের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, তা কেড়ে নেওয়ার নয়, সেই কথা জোর গলায় প্রচার করেছেন তিনি।
ঠিক এই জায়গাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ। বাম-কংগ্রেস নাগরিকত্ব বিরোধী আন্দোলন এবং পশ্চিমবঙ্গে এআইএমআইএম-এর মৃদু উপস্থিতি সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তার সময় আসেনি তাঁর। তাই এখনও মধ্যপন্থী হিন্দু ভোটের দিকে নজর দেওয়ার সময় এবং সুযোগ থাকবে কিছুটা। সেই জায়গায় তীব্র মোদি-বিরোধী অবস্থান নিয়ে খুব লাভ হবে না। অর্থাৎ সোজা কথায় ব্রিটিশ নির্বাচনে জেরেমি করবিন অতি বামপন্থার যে পথ নিয়ে ভুগেছেন, সেই রাস্তা সযত্নে এড়িয়ে যেতে চাইছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তুলনায় তিনি হয়তো অরবিন্দ কেজরিয়ালের পদক্ষেপগুলি বঙ্গীয়করণের চেষ্টা করবেন। লক্ষ করলে দেখবেন যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী গত প্রায় এক বছর ধরে বিজেপির জাতীয়তাবাদী ভাবনা এবং তার রূপায়ণের তীব্র বিরোধিতা করছেন না একেবারেই। দিল্লির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিকত্ব বিষয়ক আন্দোলন সমর্থন এবং বিরোধিতা এই দুই দিক থেকেই খুব সন্তর্পণে দূরত্ব বজায় রাখছেন তিনি। তুলনায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিজেপি-বিরোধিতা বহুগুণে তীব্র। সেখানে একটু নরম মনোভাব দেখালে মধ্যপন্থী হিন্দু ভোটাররা হয়তো কিছুটা কাছে আসতে পারে। উল্টোদিকে সেই জায়গায় বাম-কংগ্রেস আরও জোর গলায় দাদা-দিদির সেটিংয়ের অভিযোগ তুলবে। ব্যঙ্গোক্তি শোনা যাবে ‘ক্যা ক্যা ছি ছি’ আর ‘কাছাকাছি’ গোছের শব্দবন্ধে। অর্থাৎ গোটা বিষয়টির রাজনৈতিক ব্যাখ্যা বহুমাত্রিক, এবং কীসে লাভ কীসে ক্ষতি তা এই মুহূর্তে বুঝতে পারা শক্ত। তবে নাগরিকত্ব সংক্রান্ত বিতর্ক যে সামনের বছর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিশেষ প্রভাব ফেলবে তাতে কোনও সন্দেহই নেই।
 লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক। মতামত ব্যক্তিগত 
18th  January, 2020
নিরপেক্ষ রাজনৈতিক চেতনার অভাব
সমৃদ্ধ দত্ত

 আজকাল একটি বিশেষ শ্রেণীর কাছে দুটি শব্দ খুব অপছন্দের। সেকুলার এবং ইন্টেলেকচুয়াল। ওই লোকটিকে আমার পছন্দ নয়, কারণ লোকটি সেকুলার। ওই মানুষটি আসলে সুবিধাবাদী এবং খারাপ, কারণ তিনি ইন্টেলেকচুয়াল। সমাজের এই অংশের উচ্চকিত তর্জন গর্জন হাসি ঠাট্টা কটাক্ষ শুনলে মনে হবে, সেকুলার হওয়া বোধহয় সাংঘাতিক অপরাধ। বিশদ

বাজেটের কোনও অঙ্কই মিলছে না, আসন্ন বাজেটে বৃদ্ধিতে গতি ফিরবে কীভাবে?
দেবনারায়ণ সরকার

বস্তুত, বর্তমান অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতির চিত্র যথেষ্ট বিবর্ণ। সমৃদ্ধির হার ক্রমশ কমে ৫ শতাংশে নামার ইঙ্গিত, যা ১১ বছরে সর্বনিম্ন। মুদ্রাস্ফীতি গত ৩ বছরে সর্বাধিক। শিল্পে সমৃদ্ধির হার ৮ বছরে সর্বনিম্ন। পরিকাঠামো শিল্পে বৃদ্ধির হার ১৪ বছরে সর্বনিম্ন। বিদ্যুতের চাহিদা ১২ বছরে সর্বনিম্ন। বেসরকারি লগ্নি ১৬ বছরে সর্বনিম্ন। চাহিদা কমায় বাজারে ব্যাঙ্ক লগ্নি কমেছে, যা গত ৫৮ বছরে সর্বনিম্ন। রপ্তানিও যথেষ্ট ধাক্কা খাওয়ার ইঙ্গিত বর্তমান বছরে। এর উপর ভারতে বেকারত্বের হার গত ৪৫ বছরে সর্বনিম্ন।
বিশদ

ক্ষমা করো সুভাষ
জয়ন্ত চৌধুরী

মুক্তিপথের অগ্রদূত তিনি। অখণ্ড ভারত সাধনার নিভৃত পথিক সুভাষচন্দ্রের বৈপ্লবিক অভিঘাত বাধ্য করেছিল দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের পটভূমি রচনা করতে। দেশি বিদেশি নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকদের লেখনীতে আজাদ হিন্দের অসামান্য আত্মত্যাগ স্বীকৃত হয়েছে। সর্বাধিনায়কের হঠাৎ হারিয়ে যাবার বেদনা তাঁর জন্মদিনেই বড় বেশি স্পর্শ করে যায়।  
বিশদ

23rd  January, 2020
স্বামীজি, বিশ্বকবি ও নেতাজির খিচুড়ি-বিলাস
বিকাশ মুখোপাধ্যায়

মঙ্গলকাব্য থেকে কাহিনীটা এভাবে শুরু করা যেতে পারে।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই মা দুর্গা নন্দিকে তলব করেছেন, যাও ডাব পেড়ে নিয়ে এসো।
নন্দির তখনও গতরাতের গাঁজার খোঁয়ার ভাঙেনি। কোনওরকমে জড়ানো স্বরে বলল, ‘এত্তো সকালে মা?’  বিশদ

23rd  January, 2020
‘যে আপনকে পর করে...’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মহাত্মা গান্ধী একটা কথা বলতেন, মনপ্রাণ দিয়ে দেশের সেবা যিনি করেন, তিনিই সত্যিকারের নাগরিক। নাগরিক কাহারে কয়? বা নাগরিক কয় প্রকার ও কী কী? এই জাতীয় প্রশ্ন এখন দেশে সবচেয়ে বেশি চর্চিত। সবাই নিজেকে প্রমাণে ব্যস্ত। ভালো নাগরিক হওয়ার চেষ্টাচরিত্র নয়, নাগরিক হতে পারলেই হল। তার জন্য কাগজ লাগবে। এক টুকরো কাগজ প্রমাণ করবে, আপনি আমি ভারতের বাসিন্দা।   বিশদ

21st  January, 2020
আইন ও বাস্তব
পি চিদম্বরম

আপনি যখন এই লেখা পড়ছেন তখন ইন্টারনেট, আন্দোলন, জনসমাবেশ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, ভাষণ ও লেখালেখি এবং কাশ্মীর উপত্যকার পর্যটকদের উপর নিয়ন্ত্রণ জারি রয়েছে। কোনোরকম ‘চার্জ’ ছাড়াই রাজনৈতিক নেতাদের হেপাজতবাসও চলছে যথারীতি। সুতরাং প্রশ্ন উঠছে—আদালতের রায়ের পরেও বাস্তবে কিছু পরিবর্তন হয়েছে কি?
বিশদ

20th  January, 2020
নেতাজি—আঁধারপথে অনন্ত আলোর দীপ্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

স্বাধীনতার পর অতিক্রান্ত বাহাত্তর বছর। কিন্তু আজও যেন তার নাবালকত্ব ঘুচল না। আসলে দেশের যাঁরা হাল ধরেন, তাঁরাই যদি নাবালকের মতো আচরণ করেন, তাহলে দেশও নাবালকই থেকে যায়। এই নাবালকত্ব আসলে এক ধরনের অযোগ্যতা। সেই অযোগ্যতার পথ ধরেই দেশ ডুবে আছে অসংখ্য সঙ্কটে। দুর্নীতিই হল সেই সঙ্কটের মধ্যমণি।  
বিশদ

20th  January, 2020
মানুষকে সঙ্কটে ফেলা ছাড়া নোটবাতিলের
আর কোনও উদ্দেশ্যই সফল হয়নি 
হিমাংশু সিংহ

আর-একটা সাধারণ বাজেট পেশ হতে চলেছে দু’সপ্তাহের মধ্যে। নিঃসন্দেহে এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য, বেনজির আর্থিক মন্দার মোকাবিলা করা, নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করা। ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির নরেন্দ্র মোদি যতই নিজের ঢাক পেটান না কেন, দেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর সঙ্কটে জর্জরিত। 
বিশদ

19th  January, 2020
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ: পুতুলনাচের ইতিকথা
জিষ্ণু বসু

নাচায় পুতুল যথা দক্ষ বাজিকরে/ নাচাও তেমনি তুমি অর্বাচীন নরে। —কবি নবীনচন্দ্র সেনের এই বিখ্যাত পঙ্‌ক্তি আজ ভীষণ প্রাসঙ্গিক মনে হয়। গত মাসাধিক কাল সামান্য কিছু অতি বুদ্ধিমান আমাদের মতো অর্বাচীনদের পুতুলের মতো নাচাচ্ছেন। জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রচার মাধ্যমও অতি যত্নসহকারে তা পরিবেশন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে 
হারাধন চৌধুরী

বাঙালি বেড়াতে ভালোবাসে। বেড়ানোর সুযোগটা পাশপোর্ট ভিসা নিয়ে বিদেশে হলে তো কথাই নেই। কিন্তু গন্তব্য যদি বাংলাদেশ, আর দাবি করা হয় বিদেশ-ভ্রমণের, তবে অনেকেই মুখ টিপে হাসবেন। কারণ, বাংলাদেশকে ‘বিদেশ’ ভাবার মানসিকতা আমাদের গড়ে ওঠেনি। 
বিশদ

17th  January, 2020
হৃদয়জুড়ে মানবসেবা
মৃণালকান্তি দাস

সমকাল তাঁকে যথেষ্ট লজ্জা দিয়েছিল! নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে কপর্দকহীন এক সন্ন্যাসীকে নিগৃহীত করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিনিধি প্রতাপচন্দ্র মজুমদার।  স্বামীজির বিজয়কীর্তিকে ধূলিসাৎ করতে নিজের ‘ইউনিটি অ্যান্ড দি মিনিস্টার’ পত্রিকায় স্বামীজিকে ‘নবহিন্দু বাবু নরেন্দ্রনাথ দত্ত’ সম্বোধন করে বলা হয় যে, তিনি নাকি যুবাবয়সে ব্রাহ্মসমাজে আসেন  শুধুমাত্র  ‘নববৃন্দাবন’ থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য।  
বিশদ

17th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে।  
বিশদ

16th  January, 2020
একনজরে
বিএনএ, তমলুক: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হলে দেশজুড়ে এত বৈষম্য আজ থাকত না। দেশের ৯৮ ভাগ পুঁজি মাত্র দু’শতাংশ মানুষের হাতে। আর মধ্যবিত্ত, ...

সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: টানা একমাস ধরে শীতের প্রকোপে কোচবিহার জেলাজুড়ে কুয়াশার দাপট অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে গভীর রাত থেকে সকাল ৮টা, ৯টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় গ্রামগঞ্জের ফাঁকা এলাকা ঢেকে থাকছে। এতে দৃশ্যমানতা কমে আসছে।  ...

বিএনএ, আসানসোল: আসানসোল মহকুমায় ই-রিকশর জন্য এক তৃতীয়াংশ মহিলা আবেদন জানিয়েছেন। তাই এবার জেলা সদরে পরিবহণের অন্যতম মাধ্যম হতে চলা ই-রিকশর চাবিকাঠি রমণীদের হাতে যাবে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে বিপরীত যুক্তিও রয়েছে, অনেকের দাবি, লোন পাওয়ার ...

  নয়াদিল্লি, ২৩ জানুয়ারি: এই প্রথম কোনও ভারতীয় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। পেশায় নার্স ওই মহিলা বর্তমানে সৌদি আরবের একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি কেরলের বাসিন্দা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৬: ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৮৫৭: প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯৪৫: পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের জন্ম
১৯৫০: ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হল ‘জনগণমন অধিনায়ক’
১৯৬৫ - ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও লেখক উইন্স্টন চার্চিলের মৃত্যু
১৯৬৬: বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪১ টাকা ৭২.১১ টাকা
পাউন্ড ৯১.৯৬ টাকা ৯৫.২৬ টাকা
ইউরো ৭৭.৫২ টাকা ৮০.৪৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৫৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,০৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  January, 2020

দিন পঞ্জিকা

৯ মাঘ ১৪২৬, ২৪ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, অমাবস্যা ৫২/৪ রাত্রি ৩/১২। উত্তরাষা‌ঢ়া ৫০/৫৯ রাত্রি ২/৪৬। সূ উ ৬/২২/১৯, অ ৫/১৪/৪৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৭ গতে অস্তাবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩১ গতে ১০/১০ মধ্যে।
৯ মাঘ ১৪২৬, ২৪ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, অমাবস্যা ৫০/২১/৪৫ রাত্রি ২/৩৪/১৫। উত্তরাষাঢ়া ৫০/২৫/০ রাত্রি ২/৩৫/৩৩। সূ উ ৬/২৫/৩৩, অ ৫/১৩/২১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যেও ৩/৪৩ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ১০/২৮/৩১ গতে ১১/৪৯/২৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৩১/২৪ গতে ১০/১০/২৫ মধ্যে।
 ২৮ জমাদিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। বৃষ: শৌখিন দ্রব্যের ব্যবসা শুভ হবে। মিথুন: আপনার কথাবার্তা ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮২৬: ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম১৮৫৭: প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়১৯৪৫: পরিচালক ...বিশদ

07:03:20 PM

২২৬ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স 

04:16:17 PM

প্রথম টি-২০: নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতল ভারত 

03:48:28 PM

বিধাননগর পুরসভায় অভিযান বিজেপির
 

ডেঙ্গু রোধে খাল পরিষ্কার, বেআইনি পার্কিং বন্ধ সহ একাধিক দাবিতে ...বিশদ

03:39:00 PM

প্রথম টি-২০: ভারত ১৫১/৪ (১৫ ওভার) 

03:31:02 PM