Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আইন ও বাস্তব
পি চিদম্বরম

গত বছরের ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় জম্মু ও কাশ্মীরে লালবাতি জ্বালিয়ে দেওয়া হল। ওই রাতেই শুরু হল মানবাধিকার হরণ। রাজ্যপাল, উপদেষ্টাগণ, মুখ্যসচিব, পুলিসের ডিরেক্টর জেনারেল প্রভৃতিকে নিয়ে যে নতুন কর্তাব্যক্তির দল সেখানকার দায়িত্বে এলেন, ভারতের সংবিধানের প্রতি তাঁদের শ্রদ্ধা যৎকিঞ্চিৎ।
গত ৪ আগস্ট কাশ্মীর উপত্যকায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট পরিষেবা, ল্যান্ডলাইন সংযোগ প্রভৃতি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছিল মানুষের চলাফেরার উপরেও। গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়ে ২৭২ নম্বর সাংবিধানিক আদেশ জারি করলেন এবং ভারতের সংবিধানের যাবতীয় ব্যবস্থা প্রস্তাবিত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপর বলবৎ করলেন। ওই একই দিনে জেলাশাসকরা ১৪৪ ধারা জারি করে আন্দোলন এবং জনসমাবেশের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করলেন। শয়ে শয়ে রাজনৈতিক নেতা এবং কর্মীকে আটক করা হল। এমনকী আটক করা হল তিনজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকেও। সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ‘চার্জ’ কিছু আনতে পারেনি। পরিতাপের বিষয় এই, তবুও এখনও তাঁদের হেপাজতে রাখা হয়েছে।
কাশ্মীর টাইমস-এর কার্যনির্বাহী সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন, কংগ্রেস এমপি গোলাম নবি আজাদ এবং অন্যরা সরকারের এই অন্যায় নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে নালিশ জানিয়েছেন। আবেদনকারীদের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে—এই বক্তব্য ছাড়াও, অনুরাধা ভাসিনের প্রতিবাদ এই কারণে যে, তিনি তাঁর সংবাদপত্র প্রকাশ করতে পারেননি এবং তাতে করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হয়েছে।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট এক আদেশে রাজ্য সরকারকে বলেছে যে, ‘‘জাতীয় স্বার্থ এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কথা মনে রেখে কাশ্মীরে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বজায় রাখার জন্য যাবতীয় উদ্যোগ নিতে হবে।’’ আশঙ্কামতোই, স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সেখানে ফেরেনি। এরপর ১০ অক্টোবর কেন্দ্রের পেশ করা দাবি আদালতে এই মর্মে নথিভুক্ত হল যে—কিছু নিয়ন্ত্রণ ‘প্রত্যাহার’ করে নেওয়া হয়েছে। যাই হোক, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের পক্ষে অবশ্যপালনীয় কোনও অন্তর্বর্তী আদেশ না-থাকায় জম্মু ও কাশ্মীরে, বিশেষভাবে কাশ্মীর উপত্যকার পরিস্থিতি যথাপূর্বই রয়ে গেল।
সওয়াল-জবাব
মামলাগুলি দিন কয়েক শোনা হল, ২৭ নভেম্বর রায়দান সংরক্ষিত রাখা হল এবং সেটা ঘোষণা করা হল গত ১০ জানুয়ারি।
সমস্যাটিকে আদালত মোট পাঁচটি বিষয়ে ভাগ করে দিল। তার সঙ্গে আদালতের দেওয়া উত্তরের উল্লেখযোগ্য অংশগুলি এখানে তুলে দিচ্ছি:
১. সরকার কি ১৪৪ ধারা জারি করার অর্ডার পেশ করা থেকে কোনও ছাড় দাবি করতে পারে? উত্তর: না।
২. বাকস্বাধীনতা এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবসা চালানোর স্বাধীনতা কি মৌলিক অধিকার হিসেবে গণ্য হবে? উত্তর: হ্যাঁ, যথাক্রমে অনুচ্ছেদ ১৯(১)(এ) এবং (জি) অনুসারে, এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার প্রতিটি নির্দেশ সাতদিনের ভিতরে পর্যালোচনা করতে হবে (এবং প্রত্যেক পর্যালোচনার সাতদিনের ভিতরে তা পুনরায় পর্যালোচনা করতে হবে)।
৩. ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়াটা কি একটি মৌলিক অধিকার? কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি।
৪. ধারা ১৪৪ প্রয়োগের নিয়ন্ত্রণগুলি কি বৈধ ছিল? উত্তর: ক্ষমতা হল প্রতিষেধক এবং নিবারক (প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড রেমিডিয়াল)—এটা মনে রেখে এবং সুসংগতির নীতি মেনে, অবশ্যই অধিকার ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকে এমনভাবে নির্দেশ দিতে হবে। একই বয়ানের নির্দেশের পুনরাবৃত্তি করা চলবে না। রাজ্য বা কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে আদালতের আদেশ—‘‘নির্দেশগুলির কনটিন্যুয়েন্স বা স্থায়িত্বের কী প্রয়োজন, সেটা অবিলম্বে পর্যালোচনা করতে হবে।’’
৫. সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা সত্যিই কি লঙ্ঘিত হয়েছিল? উত্তর: ‘চিলিং এফেক্ট’ নীতি পরীক্ষার পর, এবং সংবাদপত্রের প্রকাশ পুনরায় শুরু হয়েছে বিবেচনা করে আদালত বলেছে, ‘‘এই বিষয়ে আর প্রশ্রয় দেওয়া নয়, বরং বলব যে দায়িত্বশীল সরকারের কর্তব্য সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাকে সবসময় মর্যাদা দেওয়া।’’
একটা সামঞ্জস্যের সন্ধান
আদালতের পর্যবেক্ষণ—এবং কিছু বিষয়ে পর্যবেক্ষণ পেশে অনাগ্রহ—বিস্ময়কর ছিল না। রায়দানের একেবারে গোড়ার দিকে, আদালত তার মনোভাব পরিষ্কার করে দিয়েছিল যে, ‘‘স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে ব্যালান্স বা সামঞ্জস্য আমাদের পক্ষে খুঁজে পাওয়ার সুযোগটা সীমিত ... এখানে আমাদের ভূমিকা শুধু এটা নিশ্চিত করতে যে, তখনকার পরিস্থিতিতে সমস্ত ধরনের অধিকার ও স্বাধীনতা যতদূর সম্ভব নাগরিকদের দেওয়া হচ্ছে এবং সেইসঙ্গে নিরাপত্তার দিকটিও সুনিশ্চিত করা হয়েছে।’’
২০১৯-এর ৪ আগস্ট থেকে ২০২০-র ১৩ জানুয়ারির ভিতরে সরকার যখন তথাকথিত ‘স্বাভাবিক পরিস্থিতি’ রক্ষা করছিল, তখনই কিন্তু ২০ জন সাধারণ মানুষ এবং ৩৬ জন জঙ্গি ও আটজন নিরাপত্তা কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।
আপনি যখন এই লেখা পড়ছেন তখন ইন্টারনেট, আন্দোলন, জনসমাবেশ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, ভাষণ ও লেখালেখি এবং কাশ্মীর উপত্যকার পর্যটকদের উপর নিয়ন্ত্রণ জারি রয়েছে। কোনোরকম ‘চার্জ’ ছাড়াই রাজনৈতিক নেতাদের হেপাজতবাসও চলছে যথারীতি। সুতরাং প্রশ্ন উঠছে—আদালতের রায়ের পরেও বাস্তবে কিছু পরিবর্তন হয়েছে কি?
বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেছেন, ‘‘সাময়িক নিরাপত্তা অর্জনের আশায় যাঁরা অপরিহার্য স্বাধীনতা ত্যাগ করেন, তাঁরা স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার কোনোটাই পাওয়ার যোগ্য নন।’’ প্রসঙ্গটি পৃথক; তা সত্ত্বেও, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার মধ্যে দ্বন্দ্বের সময়ের জন্য উদ্ধৃতিটি ‘ক্লাসিক’ হয়ে ওঠে। আদালত যদি বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের প্রবচনটিকে ‘গাইডিং প্রিন্সিপল’ হিসেবে মনে রাখত, তবে চূড়ান্ত রায়টা কি অন্যরকম হতো?
কিছু কি পাল্টাবে?
আদালতের রায় কাশ্মীর প্রশ্নে সরকারকে স্বৈরাচারী ও সেনানির্ভরতার নীতি থেকে সরে আসার একটা সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু, সরকার এই সুযোগ নেবে কি না আমার সংশয় রয়েছে। আদালতের রায়টি কাশ্মীর উপত্যকার ৭০ লক্ষ মানুষের মনে এই আশাও জাগিয়েছে যে তাদের স্বাধীনতার পুনরুদ্ধার হবে—যদিও আদালত রায়দানের সাতদিন পরেও সেসবের লক্ষণমাত্র নেই।
বিবাদি পক্ষ (রেসপনডেন্ট, এখানে কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কর্তৃপক্ষ) অখুশি এই কারণে যে তাদের পদক্ষেপগুলির উপর সবসময় বিচারবিভাগের পর্যক্ষেণ চলবে। অন্যদিকে, বাদি পক্ষও (পিটিশনার) অখুশি—এই কারণে যে, বিচারের বাণী ছাড়া তাঁরা কোনও সুরাহা পাননি।
প্রাইভেসি মামলার (জাস্টিস পুত্তাস্বামী) মতো, আদালতের মাধ্যমে আরও কিছুটা করা যেত। একটা সুযোগ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। হতে পারে আরও কিছু করা হবে, এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে (আপনি বাজি ধরতে পারেন যে আদালত অবমাননার একটি পদক্ষেপ করা হবে) অথবা পরবর্তী মামলার শুনানিতে। কিছু সময় আইন হতাশ করে।  
20th  January, 2020
নিরপেক্ষ রাজনৈতিক চেতনার অভাব
সমৃদ্ধ দত্ত

 আজকাল একটি বিশেষ শ্রেণীর কাছে দুটি শব্দ খুব অপছন্দের। সেকুলার এবং ইন্টেলেকচুয়াল। ওই লোকটিকে আমার পছন্দ নয়, কারণ লোকটি সেকুলার। ওই মানুষটি আসলে সুবিধাবাদী এবং খারাপ, কারণ তিনি ইন্টেলেকচুয়াল। সমাজের এই অংশের উচ্চকিত তর্জন গর্জন হাসি ঠাট্টা কটাক্ষ শুনলে মনে হবে, সেকুলার হওয়া বোধহয় সাংঘাতিক অপরাধ। বিশদ

বাজেটের কোনও অঙ্কই মিলছে না, আসন্ন বাজেটে বৃদ্ধিতে গতি ফিরবে কীভাবে?
দেবনারায়ণ সরকার

বস্তুত, বর্তমান অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতির চিত্র যথেষ্ট বিবর্ণ। সমৃদ্ধির হার ক্রমশ কমে ৫ শতাংশে নামার ইঙ্গিত, যা ১১ বছরে সর্বনিম্ন। মুদ্রাস্ফীতি গত ৩ বছরে সর্বাধিক। শিল্পে সমৃদ্ধির হার ৮ বছরে সর্বনিম্ন। পরিকাঠামো শিল্পে বৃদ্ধির হার ১৪ বছরে সর্বনিম্ন। বিদ্যুতের চাহিদা ১২ বছরে সর্বনিম্ন। বেসরকারি লগ্নি ১৬ বছরে সর্বনিম্ন। চাহিদা কমায় বাজারে ব্যাঙ্ক লগ্নি কমেছে, যা গত ৫৮ বছরে সর্বনিম্ন। রপ্তানিও যথেষ্ট ধাক্কা খাওয়ার ইঙ্গিত বর্তমান বছরে। এর উপর ভারতে বেকারত্বের হার গত ৪৫ বছরে সর্বনিম্ন।
বিশদ

ক্ষমা করো সুভাষ
জয়ন্ত চৌধুরী

মুক্তিপথের অগ্রদূত তিনি। অখণ্ড ভারত সাধনার নিভৃত পথিক সুভাষচন্দ্রের বৈপ্লবিক অভিঘাত বাধ্য করেছিল দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের পটভূমি রচনা করতে। দেশি বিদেশি নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকদের লেখনীতে আজাদ হিন্দের অসামান্য আত্মত্যাগ স্বীকৃত হয়েছে। সর্বাধিনায়কের হঠাৎ হারিয়ে যাবার বেদনা তাঁর জন্মদিনেই বড় বেশি স্পর্শ করে যায়।  
বিশদ

23rd  January, 2020
স্বামীজি, বিশ্বকবি ও নেতাজির খিচুড়ি-বিলাস
বিকাশ মুখোপাধ্যায়

মঙ্গলকাব্য থেকে কাহিনীটা এভাবে শুরু করা যেতে পারে।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই মা দুর্গা নন্দিকে তলব করেছেন, যাও ডাব পেড়ে নিয়ে এসো।
নন্দির তখনও গতরাতের গাঁজার খোঁয়ার ভাঙেনি। কোনওরকমে জড়ানো স্বরে বলল, ‘এত্তো সকালে মা?’  বিশদ

23rd  January, 2020
‘যে আপনকে পর করে...’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মহাত্মা গান্ধী একটা কথা বলতেন, মনপ্রাণ দিয়ে দেশের সেবা যিনি করেন, তিনিই সত্যিকারের নাগরিক। নাগরিক কাহারে কয়? বা নাগরিক কয় প্রকার ও কী কী? এই জাতীয় প্রশ্ন এখন দেশে সবচেয়ে বেশি চর্চিত। সবাই নিজেকে প্রমাণে ব্যস্ত। ভালো নাগরিক হওয়ার চেষ্টাচরিত্র নয়, নাগরিক হতে পারলেই হল। তার জন্য কাগজ লাগবে। এক টুকরো কাগজ প্রমাণ করবে, আপনি আমি ভারতের বাসিন্দা।   বিশদ

21st  January, 2020
নেতাজি—আঁধারপথে অনন্ত আলোর দীপ্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

স্বাধীনতার পর অতিক্রান্ত বাহাত্তর বছর। কিন্তু আজও যেন তার নাবালকত্ব ঘুচল না। আসলে দেশের যাঁরা হাল ধরেন, তাঁরাই যদি নাবালকের মতো আচরণ করেন, তাহলে দেশও নাবালকই থেকে যায়। এই নাবালকত্ব আসলে এক ধরনের অযোগ্যতা। সেই অযোগ্যতার পথ ধরেই দেশ ডুবে আছে অসংখ্য সঙ্কটে। দুর্নীতিই হল সেই সঙ্কটের মধ্যমণি।  
বিশদ

20th  January, 2020
মানুষকে সঙ্কটে ফেলা ছাড়া নোটবাতিলের
আর কোনও উদ্দেশ্যই সফল হয়নি 
হিমাংশু সিংহ

আর-একটা সাধারণ বাজেট পেশ হতে চলেছে দু’সপ্তাহের মধ্যে। নিঃসন্দেহে এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য, বেনজির আর্থিক মন্দার মোকাবিলা করা, নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করা। ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির নরেন্দ্র মোদি যতই নিজের ঢাক পেটান না কেন, দেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর সঙ্কটে জর্জরিত। 
বিশদ

19th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ: পুতুলনাচের ইতিকথা
জিষ্ণু বসু

নাচায় পুতুল যথা দক্ষ বাজিকরে/ নাচাও তেমনি তুমি অর্বাচীন নরে। —কবি নবীনচন্দ্র সেনের এই বিখ্যাত পঙ্‌ক্তি আজ ভীষণ প্রাসঙ্গিক মনে হয়। গত মাসাধিক কাল সামান্য কিছু অতি বুদ্ধিমান আমাদের মতো অর্বাচীনদের পুতুলের মতো নাচাচ্ছেন। জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রচার মাধ্যমও অতি যত্নসহকারে তা পরিবেশন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে 
হারাধন চৌধুরী

বাঙালি বেড়াতে ভালোবাসে। বেড়ানোর সুযোগটা পাশপোর্ট ভিসা নিয়ে বিদেশে হলে তো কথাই নেই। কিন্তু গন্তব্য যদি বাংলাদেশ, আর দাবি করা হয় বিদেশ-ভ্রমণের, তবে অনেকেই মুখ টিপে হাসবেন। কারণ, বাংলাদেশকে ‘বিদেশ’ ভাবার মানসিকতা আমাদের গড়ে ওঠেনি। 
বিশদ

17th  January, 2020
হৃদয়জুড়ে মানবসেবা
মৃণালকান্তি দাস

সমকাল তাঁকে যথেষ্ট লজ্জা দিয়েছিল! নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে কপর্দকহীন এক সন্ন্যাসীকে নিগৃহীত করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিনিধি প্রতাপচন্দ্র মজুমদার।  স্বামীজির বিজয়কীর্তিকে ধূলিসাৎ করতে নিজের ‘ইউনিটি অ্যান্ড দি মিনিস্টার’ পত্রিকায় স্বামীজিকে ‘নবহিন্দু বাবু নরেন্দ্রনাথ দত্ত’ সম্বোধন করে বলা হয় যে, তিনি নাকি যুবাবয়সে ব্রাহ্মসমাজে আসেন  শুধুমাত্র  ‘নববৃন্দাবন’ থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য।  
বিশদ

17th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে।  
বিশদ

16th  January, 2020
একনজরে
বিএনএ, আসানসোল: আসানসোল মহকুমায় ই-রিকশর জন্য এক তৃতীয়াংশ মহিলা আবেদন জানিয়েছেন। তাই এবার জেলা সদরে পরিবহণের অন্যতম মাধ্যম হতে চলা ই-রিকশর চাবিকাঠি রমণীদের হাতে যাবে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে বিপরীত যুক্তিও রয়েছে, অনেকের দাবি, লোন পাওয়ার ...

  নয়াদিল্লি, ২৩ জানুয়ারি: এই প্রথম কোনও ভারতীয় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। পেশায় নার্স ওই মহিলা বর্তমানে সৌদি আরবের একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি কেরলের বাসিন্দা। ...

সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: টানা একমাস ধরে শীতের প্রকোপে কোচবিহার জেলাজুড়ে কুয়াশার দাপট অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে গভীর রাত থেকে সকাল ৮টা, ৯টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় গ্রামগঞ্জের ফাঁকা এলাকা ঢেকে থাকছে। এতে দৃশ্যমানতা কমে আসছে।  ...

বিএনএ, তমলুক: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হলে দেশজুড়ে এত বৈষম্য আজ থাকত না। দেশের ৯৮ ভাগ পুঁজি মাত্র দু’শতাংশ মানুষের হাতে। আর মধ্যবিত্ত, ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৬: ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৮৫৭: প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯৪৫: পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের জন্ম
১৯৫০: ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হল ‘জনগণমন অধিনায়ক’
১৯৬৫ - ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও লেখক উইন্স্টন চার্চিলের মৃত্যু
১৯৬৬: বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪১ টাকা ৭২.১১ টাকা
পাউন্ড ৯১.৯৬ টাকা ৯৫.২৬ টাকা
ইউরো ৭৭.৫২ টাকা ৮০.৪৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৫৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,০৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  January, 2020

দিন পঞ্জিকা

৯ মাঘ ১৪২৬, ২৪ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, অমাবস্যা ৫২/৪ রাত্রি ৩/১২। উত্তরাষা‌ঢ়া ৫০/৫৯ রাত্রি ২/৪৬। সূ উ ৬/২২/১৯, অ ৫/১৪/৪৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৭ গতে অস্তাবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩১ গতে ১০/১০ মধ্যে।
৯ মাঘ ১৪২৬, ২৪ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, অমাবস্যা ৫০/২১/৪৫ রাত্রি ২/৩৪/১৫। উত্তরাষাঢ়া ৫০/২৫/০ রাত্রি ২/৩৫/৩৩। সূ উ ৬/২৫/৩৩, অ ৫/১৩/২১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যেও ৩/৪৩ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ১০/২৮/৩১ গতে ১১/৪৯/২৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৩১/২৪ গতে ১০/১০/২৫ মধ্যে।
 ২৮ জমাদিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। বৃষ: শৌখিন দ্রব্যের ব্যবসা শুভ হবে। মিথুন: আপনার কথাবার্তা ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮২৬: ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম১৮৫৭: প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়১৯৪৫: পরিচালক ...বিশদ

07:03:20 PM

২২৬ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স 

04:16:17 PM

প্রথম টি-২০: নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতল ভারত 

03:48:28 PM

বিধাননগর পুরসভায় অভিযান বিজেপির
 

ডেঙ্গু রোধে খাল পরিষ্কার, বেআইনি পার্কিং বন্ধ সহ একাধিক দাবিতে ...বিশদ

03:39:00 PM

প্রথম টি-২০: ভারত ১৫১/৪ (১৫ ওভার) 

03:31:02 PM