Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাজেটের কোনও অঙ্কই মিলছে না, আসন্ন বাজেটে বৃদ্ধিতে গতি ফিরবে কীভাবে?
দেবনারায়ণ সরকার

অষ্টাদশ শতকের বিখ্যাত দার্শনিক এডমন্ড বার্ক বলেছিলেন, ‘যখন আমরা আমাদের সম্পদের উপর কর্তৃত্ব স্থাপন করি, তখন আমরা হব ধনী ও মুক্ত। কিন্তু যখন আমাদের সম্পদ আমাদের উপর কর্তৃত্ব স্থাপন করে তখন আমরা প্রকৃতপক্ষে দরিদ্র।’ ভারতের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা নিঃসন্দেহে এডমন্ডের বক্তব্যের দ্বিতীয় অংশের পর্যায়ভুক্ত। স্বাধীন ভারতে কোনও নির্দিষ্ট অর্থবর্ষে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ইতিহাসে ৭ মাসের মধ্যে দেশের আর্থিক সমৃদ্ধির হার চার বার পরিবর্তন করে প্রায় আড়াই শতাংশ কমিয়ে আনার নজির নেই। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক চলতি অর্থবর্ষে ভারতের সমৃদ্ধির হার গত ফেব্রুয়ারিতে ধার্য করেছিল ৭.৪ শতাংশ। এপ্রিলে কমিয়ে করল ৭.২ শতাংশ। নভেম্বরে আরও কমিয়ে করল ৬.১ শতাংশ। গত ৫ ডিসেম্বর তা আরও কমিয়ে ৫ শতাংশ। সম্প্রতি মোদি সরকারের পরিসংখ্যান মন্ত্রকও জানিয়েছে চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশে আটকে থাকবে। বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে মুডি’জ, ফিচ, স্টেট ব্যাঙ্কও ভারতের বর্তমান বছরের আর্থিক সমৃদ্ধির হার বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করে শেষ পর্যন্ত ৫ শতাংশ বা তার নীচে আটকে থাকার আভাস দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত সত্যিই ৫ শতাংশের গর্তে পা ঢুকলে, ২০০৮ সালে বিশ্বজোড়া আর্থিক মন্দার পরে ১১ বছরের তলানিতে পিছলে যাবে দেশের বৃদ্ধির হার। অথচ মোদি সরকারের আমলেই ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষেই দেশের আর্থিক সমৃদ্ধির হার ৮ শতাংশেরও বেশি ছিল। বাস্তবে অর্থনীতির ৪টি ইঞ্জিন যথেষ্ট বিবর্ণ। চাহিদা কমেছে। লগ্নি কমেছে, রপ্তানি কমেছে এবং সরকারি ব্যয়-বৃদ্ধির ফলে ৮ মাসেই রাজকোষ ঘাটতি ১২ মাসের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। মোদ্দা কথা, একদিকে রাজস্ব আয় যথেষ্ট কমার অশনিসংকেত, অন্যদিকে বাজেটের ব্যয় সংকুলান করতে না পারার ব্যর্থতাই সুস্পষ্ট বর্তমান অর্থবছরেই।
সরকারি তথ্যই বলছে রাজকোষে এত মাত্রায় টানাটানি পড়েছে যে ১০০ দিনের প্রকল্প থেকে শুরু করে পিএম কিষাণ প্রকল্প, কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনার মতো ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর প্রয়োজনীয় অর্থও অনেকাংশে জোগাতে অক্ষম মোদি সরকার। দেশের অর্থনীতির ঝিমুনি এমন মাত্রায় বিপদসংকুল যে অর্থমন্ত্রকের কর্তাদের আশঙ্কা ঘাটতি লাগাম রাখতে হলে শুধু মূলধনী ব্যয় নয় গ্রামোন্নয়নের খরচেও কাটছাঁট করতেই হবে। কারণ অর্থনীতির ঝিমুনির ফলে গত ৯ মাসে প্রত্যক্ষ কর ও জিএসটি থেকে আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যথেষ্ট কমেছে। অর্থমন্ত্রকের ধারণা বাকি ৩ মাসে বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়া অসম্ভব।
এটা ঘটনা যে প্রত্যক্ষ কর ও জিএসটি থেকে আদায় হয় কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণবিহীন মোট আয়ের অন্তত ৮০ শতাংশ। ঋণবিহীন আয়ের বাকি অর্থ আসে কর বহির্ভূত আয় ও বিলগ্নীকরণ থেকে। প্রথমে প্রত্যক্ষ কর আদায়ের প্রসঙ্গে আসা যাক। বর্তমান অর্থবর্ষে প্রত্যক্ষ কর (আয়কর, কর্পোরেট কর) থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১৩.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা। প্রথম ৭ মাসে আদায় লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৪৫ শতাংশ। বাকি ৫ মাসে প্রত্যক্ষ কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা অসম্ভব। কারণ বর্তমান অর্থবছরেই কর্পোরেট কর সাত লক্ষ ছেষট্টি হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রত্যক্ষ কর থেকে আদায় কমতে বাধ্য।
পরোক্ষ কর থেকে কেন্দ্রের আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১১.১৯ লক্ষ কোটি টাকা। প্রথম ৮ মাসে আদায় হয়েছে ৬.১২ লক্ষ কোটি টাকা। বাকি ৪ মাসে ৫.০৭ লক্ষ কোটি টাকা আদায় হওয়া অসম্ভব। বিশেষ করে জিএসটি থেকে কেন্দ্রের আদায় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম হবে। প্রথম ৮ মাসে জিএসটি থেকে কেন্দ্রের আদায় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার (৬.৬৩ লক্ষ কোটি টাকা) ৬০ শতাংশ। বাকি ৪ মাসে জিএসটি’র লক্ষ্যমাত্রা পূরণ অসম্ভব। কেন্দ্রের ধারণা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর মিলিয়ে কেন্দ্রের আদায় অন্তত ২ লক্ষ কোটি টাকা কম হবে।
এবার বিলগ্নীকরণ প্রসঙ্গে আসা যাক। কেন্দ্রের লক্ষ্য, বিলগ্নীকরণ থেকে বর্তমান বছরে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকা আয় করা। গত ৯ মাসে এসেছে মাত্র ১৭,০০০ কোটি টাকা। ৩ মাসের কম সময়ের মধ্যে বাকি ৮৮,০০০ কোটি টাকা আয় কার্যত দুরূহ। লাভজনক সংস্থা ভারত পেট্রোলিয়াম থেকে এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ৬০,০০০ কোটি টাকা। কন্টেনার সংস্থা থেকে ১৩,০০০ কোটি টাকা। কিন্তু ইতিমধ্যেই এই বিলগ্নীকরণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষের ধারণা বিলগ্নীকরণ থেকে আদায় প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকা কম হবে।
একদিকে কেন্দ্রের রাজকোষ থেকে মোট আদায় যেখানে বর্তমান বছরে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকা কম হতে চলেছে, অন্যদিকে রাজকোষ ঘাটতি প্রথম ৭ মাসেই বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রাকেও অতিক্রম করে গেছে। বর্তমান অর্থবছরে ১২ মাসে রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছিল দেশের জিডিপি’র ৩.৩ শতাংশ। টাকার অঙ্কে ৭.০৩ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু মাত্র ৮ মাসেই রাজকোষ ঘাটতি বাবদ ব্যয় ৮.০৮ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাত্র ৮ মাসেই রাজকোষ ঘাটতি বাবদ খরচ বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকা অতিক্রম করে গেছে। এমন ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তার ব্যয় সংকুলানের জন্য শুধুমাত্র তার মূলধনী ব্যয়কে কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছে না, এমনকী আমজনতার প্রত্যক্ষ রুটিরুজির সঙ্গে যুক্ত গ্রামোন্নয়নের অর্থও কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছে।
গত অর্থবছরে ১০০ দিনের প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ৬১,০৮৪ কোটি টাকা। এবারের বরাদ্দ কমিয়ে করা হয়েছে ৬০,০০০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই সে অর্থ ব্যয় হয়ে গেছে। কিন্তু গ্রামে গ্রামে কাজের চাহিদা বাড়ছে। তাই গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক অর্থ দপ্তরের কাছে আরও ২০ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে। কিন্তু সাড়া নেই। এছাড়াও পিএম-কিষাণ প্রকল্পে এ বছর ৭৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও অনেক চাষি পুরো কিস্তির টাকা পাবেন না। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তথ্যই বলছে এ বছর প্রায় ৩০,০০০ কোটি টাকা চাষিদের মধ্যে বিলি করবে না মোদি সরকার। এমনকী প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গত বছরের থেকে এ বছরে বরাদ্দ কম হলেও, এ বছর গত ৯ মাসে বাড়ি তৈরি হয়েছে মাত্র ৭.২ লক্ষ। বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় অর্ধেক। ফলে এ বছর এই প্রকল্পে ২৫,৮৫৩ কোটি টাকার একটা বড় অংশ খরচ না হবার সম্ভাবনা। অন্যান্য গ্রামীণ পরিকল্পনার অর্থেও ইতিমধ্যে যথেষ্ট কোপ পড়েছে।
বর্তমান অর্থবর্ষে একদিকে যেখানে রাজকোষের আয় প্রায় ২.৫০ লক্ষ কোটি টাকা কম হতে চলেছে, অন্যদিকে রাজকোষ ঘাটতি প্রথম ৮ মাসেই বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ১১৫ শতাংশ ছুঁয়েছে। যার ফলে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট কোপ পড়েছে গ্রামের উন্নয়নের খরচে। ফলে বছরের শেষে রাজকোষ ঘাটতি কোথায় দাঁড়াবে তা নিয়ে অর্থনীতিবিদেরা যথেষ্ট সন্দিহান। এমনকী রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনও ভারতে রাজকোষ ঘাটতির প্রকৃত তথ্য প্রকাশ না করা নিয়ে কিছুদিন আগেই সমালোচনা করেছেন। বস্তুত, বর্তমান অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতির চিত্র যথেষ্ট বিবর্ণ। সমৃদ্ধির হার ক্রমশ কমে ৫ শতাংশে নামার ইঙ্গিত, যা ১১ বছরে সর্বনিম্ন। মুদ্রাস্ফীতি গত ৩ বছরে সর্বাধিক। শিল্পে সমৃদ্ধির হার ৮ বছরে সর্বনিম্ন। পরিকাঠামো শিল্পে বৃদ্ধির হার ১৪ বছরে সর্বনিম্ন। বিদ্যুতের চাহিদা ১২ বছরে সর্বনিম্ন। বেসরকারি লগ্নি ১৬ বছরে সর্বনিম্ন। চাহিদা কমায় বাজারে ব্যাঙ্ক লগ্নি কমেছে, যা গত ৫৮ বছরে সর্বনিম্ন। রপ্তানিও যথেষ্ট ধাক্কা খাওয়ার ইঙ্গিত বর্তমান বছরে। এর উপর ভারতে বেকারত্বের হার গত ৪৫ বছরে সর্বনিম্ন। এমতাবস্থায় আগামী অর্থবছরে দেশের সার্বিক সমৃদ্ধির চাকায় গতি আনতে হলে পরিকাঠামো সহ উন্নয়ন প্রকল্পগুলোকে সরকারি ব্যয় আশানুরূপ বৃদ্ধি ব্যতিরেকে সম্ভব নয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে রাজকোষের আয় কীভাবে আরও বাড়ানো সম্ভব তার উপায়ও সরকারকে খুঁজতেই হবে।
লেখক প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক
নিরপেক্ষ রাজনৈতিক চেতনার অভাব
সমৃদ্ধ দত্ত

 আজকাল একটি বিশেষ শ্রেণীর কাছে দুটি শব্দ খুব অপছন্দের। সেকুলার এবং ইন্টেলেকচুয়াল। ওই লোকটিকে আমার পছন্দ নয়, কারণ লোকটি সেকুলার। ওই মানুষটি আসলে সুবিধাবাদী এবং খারাপ, কারণ তিনি ইন্টেলেকচুয়াল। সমাজের এই অংশের উচ্চকিত তর্জন গর্জন হাসি ঠাট্টা কটাক্ষ শুনলে মনে হবে, সেকুলার হওয়া বোধহয় সাংঘাতিক অপরাধ। বিশদ

ক্ষমা করো সুভাষ
জয়ন্ত চৌধুরী

মুক্তিপথের অগ্রদূত তিনি। অখণ্ড ভারত সাধনার নিভৃত পথিক সুভাষচন্দ্রের বৈপ্লবিক অভিঘাত বাধ্য করেছিল দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের পটভূমি রচনা করতে। দেশি বিদেশি নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকদের লেখনীতে আজাদ হিন্দের অসামান্য আত্মত্যাগ স্বীকৃত হয়েছে। সর্বাধিনায়কের হঠাৎ হারিয়ে যাবার বেদনা তাঁর জন্মদিনেই বড় বেশি স্পর্শ করে যায়।  
বিশদ

23rd  January, 2020
স্বামীজি, বিশ্বকবি ও নেতাজির খিচুড়ি-বিলাস
বিকাশ মুখোপাধ্যায়

মঙ্গলকাব্য থেকে কাহিনীটা এভাবে শুরু করা যেতে পারে।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই মা দুর্গা নন্দিকে তলব করেছেন, যাও ডাব পেড়ে নিয়ে এসো।
নন্দির তখনও গতরাতের গাঁজার খোঁয়ার ভাঙেনি। কোনওরকমে জড়ানো স্বরে বলল, ‘এত্তো সকালে মা?’  বিশদ

23rd  January, 2020
‘যে আপনকে পর করে...’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মহাত্মা গান্ধী একটা কথা বলতেন, মনপ্রাণ দিয়ে দেশের সেবা যিনি করেন, তিনিই সত্যিকারের নাগরিক। নাগরিক কাহারে কয়? বা নাগরিক কয় প্রকার ও কী কী? এই জাতীয় প্রশ্ন এখন দেশে সবচেয়ে বেশি চর্চিত। সবাই নিজেকে প্রমাণে ব্যস্ত। ভালো নাগরিক হওয়ার চেষ্টাচরিত্র নয়, নাগরিক হতে পারলেই হল। তার জন্য কাগজ লাগবে। এক টুকরো কাগজ প্রমাণ করবে, আপনি আমি ভারতের বাসিন্দা।   বিশদ

21st  January, 2020
আইন ও বাস্তব
পি চিদম্বরম

আপনি যখন এই লেখা পড়ছেন তখন ইন্টারনেট, আন্দোলন, জনসমাবেশ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, ভাষণ ও লেখালেখি এবং কাশ্মীর উপত্যকার পর্যটকদের উপর নিয়ন্ত্রণ জারি রয়েছে। কোনোরকম ‘চার্জ’ ছাড়াই রাজনৈতিক নেতাদের হেপাজতবাসও চলছে যথারীতি। সুতরাং প্রশ্ন উঠছে—আদালতের রায়ের পরেও বাস্তবে কিছু পরিবর্তন হয়েছে কি?
বিশদ

20th  January, 2020
নেতাজি—আঁধারপথে অনন্ত আলোর দীপ্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

স্বাধীনতার পর অতিক্রান্ত বাহাত্তর বছর। কিন্তু আজও যেন তার নাবালকত্ব ঘুচল না। আসলে দেশের যাঁরা হাল ধরেন, তাঁরাই যদি নাবালকের মতো আচরণ করেন, তাহলে দেশও নাবালকই থেকে যায়। এই নাবালকত্ব আসলে এক ধরনের অযোগ্যতা। সেই অযোগ্যতার পথ ধরেই দেশ ডুবে আছে অসংখ্য সঙ্কটে। দুর্নীতিই হল সেই সঙ্কটের মধ্যমণি।  
বিশদ

20th  January, 2020
মানুষকে সঙ্কটে ফেলা ছাড়া নোটবাতিলের
আর কোনও উদ্দেশ্যই সফল হয়নি 
হিমাংশু সিংহ

আর-একটা সাধারণ বাজেট পেশ হতে চলেছে দু’সপ্তাহের মধ্যে। নিঃসন্দেহে এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য, বেনজির আর্থিক মন্দার মোকাবিলা করা, নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করা। ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির নরেন্দ্র মোদি যতই নিজের ঢাক পেটান না কেন, দেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর সঙ্কটে জর্জরিত। 
বিশদ

19th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ: পুতুলনাচের ইতিকথা
জিষ্ণু বসু

নাচায় পুতুল যথা দক্ষ বাজিকরে/ নাচাও তেমনি তুমি অর্বাচীন নরে। —কবি নবীনচন্দ্র সেনের এই বিখ্যাত পঙ্‌ক্তি আজ ভীষণ প্রাসঙ্গিক মনে হয়। গত মাসাধিক কাল সামান্য কিছু অতি বুদ্ধিমান আমাদের মতো অর্বাচীনদের পুতুলের মতো নাচাচ্ছেন। জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রচার মাধ্যমও অতি যত্নসহকারে তা পরিবেশন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে 
হারাধন চৌধুরী

বাঙালি বেড়াতে ভালোবাসে। বেড়ানোর সুযোগটা পাশপোর্ট ভিসা নিয়ে বিদেশে হলে তো কথাই নেই। কিন্তু গন্তব্য যদি বাংলাদেশ, আর দাবি করা হয় বিদেশ-ভ্রমণের, তবে অনেকেই মুখ টিপে হাসবেন। কারণ, বাংলাদেশকে ‘বিদেশ’ ভাবার মানসিকতা আমাদের গড়ে ওঠেনি। 
বিশদ

17th  January, 2020
হৃদয়জুড়ে মানবসেবা
মৃণালকান্তি দাস

সমকাল তাঁকে যথেষ্ট লজ্জা দিয়েছিল! নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে কপর্দকহীন এক সন্ন্যাসীকে নিগৃহীত করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিনিধি প্রতাপচন্দ্র মজুমদার।  স্বামীজির বিজয়কীর্তিকে ধূলিসাৎ করতে নিজের ‘ইউনিটি অ্যান্ড দি মিনিস্টার’ পত্রিকায় স্বামীজিকে ‘নবহিন্দু বাবু নরেন্দ্রনাথ দত্ত’ সম্বোধন করে বলা হয় যে, তিনি নাকি যুবাবয়সে ব্রাহ্মসমাজে আসেন  শুধুমাত্র  ‘নববৃন্দাবন’ থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য।  
বিশদ

17th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে।  
বিশদ

16th  January, 2020
একনজরে
বিএনএ, তমলুক: বুধবার রাতে মেচেদায় ৪১নম্বর জাতীয় সড়কের ওভারব্রিজ এলাকায় ভাঙড়ের এক শিক্ষককে উদ্ধার করল কোলাঘাট থানার পুলিস। ওই শিক্ষকের দাবি, ওইদিনই বিকেল ৩টে নাগাদ ভাঙড় থানার কুলটি কলোনির বাড়ি থেকে তিনি বের হন। তখন তাঁর কাছে চার লক্ষ টাকা ...

বিএনএ, আসানসোল: আসানসোল মহকুমায় ই-রিকশর জন্য এক তৃতীয়াংশ মহিলা আবেদন জানিয়েছেন। তাই এবার জেলা সদরে পরিবহণের অন্যতম মাধ্যম হতে চলা ই-রিকশর চাবিকাঠি রমণীদের হাতে যাবে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে বিপরীত যুক্তিও রয়েছে, অনেকের দাবি, লোন পাওয়ার ...

সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: টানা একমাস ধরে শীতের প্রকোপে কোচবিহার জেলাজুড়ে কুয়াশার দাপট অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে গভীর রাত থেকে সকাল ৮টা, ৯টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় গ্রামগঞ্জের ফাঁকা এলাকা ঢেকে থাকছে। এতে দৃশ্যমানতা কমে আসছে।  ...

সংবাদদাতা, কুমারগ্রাম: স্টেট গেমস বক্সিংয়ে অংশ নিতে বৃহস্পতিবার কলকাতায় রওনা হন আলিপুরদুয়ারের দুই বক্সার। বেঙ্গল অ্যামেচার বক্সিং ফেডারেশনের পরিচালনায় আগামী ২৫ এবং ২৬ জানুয়ারি সল্টলেকের স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার হলঘরে বক্সিং প্রতিযোগিতাটি হবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২৬: ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম
১৮৫৭: প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
১৯৪৫: পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের জন্ম
১৯৫০: ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হল ‘জনগণমন অধিনায়ক’
১৯৬৫ - ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও লেখক উইন্স্টন চার্চিলের মৃত্যু
১৯৬৬: বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪১ টাকা ৭২.১১ টাকা
পাউন্ড ৯১.৯৬ টাকা ৯৫.২৬ টাকা
ইউরো ৭৭.৫২ টাকা ৮০.৪৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৫৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,০৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
23rd  January, 2020

দিন পঞ্জিকা

৯ মাঘ ১৪২৬, ২৪ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, অমাবস্যা ৫২/৪ রাত্রি ৩/১২। উত্তরাষা‌ঢ়া ৫০/৫৯ রাত্রি ২/৪৬। সূ উ ৬/২২/১৯, অ ৫/১৪/৪৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/২০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৭ গতে অস্তাবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩১ গতে ১০/১০ মধ্যে।
৯ মাঘ ১৪২৬, ২৪ জানুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, অমাবস্যা ৫০/২১/৪৫ রাত্রি ২/৩৪/১৫। উত্তরাষাঢ়া ৫০/২৫/০ রাত্রি ২/৩৫/৩৩। সূ উ ৬/২৫/৩৩, অ ৫/১৩/২১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যেও ৩/৪৩ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। কালবেলা ১০/২৮/৩১ গতে ১১/৪৯/২৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৩১/২৪ গতে ১০/১০/২৫ মধ্যে।
 ২৮ জমাদিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। বৃষ: শৌখিন দ্রব্যের ব্যবসা শুভ হবে। মিথুন: আপনার কথাবার্তা ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮২৬: ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম১৮৫৭: প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়১৯৪৫: পরিচালক ...বিশদ

07:03:20 PM

২২৬ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স 

04:16:17 PM

প্রথম টি-২০: নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতল ভারত 

03:48:28 PM

বিধাননগর পুরসভায় অভিযান বিজেপির
 

ডেঙ্গু রোধে খাল পরিষ্কার, বেআইনি পার্কিং বন্ধ সহ একাধিক দাবিতে ...বিশদ

03:39:00 PM

প্রথম টি-২০: ভারত ১৫১/৪ (১৫ ওভার) 

03:31:02 PM