Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সাত শতাংশ বৃদ্ধির ফাঁদে
পি চিদম্বরম

কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটগুলির মধ্যে ২০১৯-২০ সালের বাজেট স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুত জট খুলল। মানুষের মধ্যে এই বাজেট নিয়ে কিংবা আগের বাজেট প্রস্তাবটি নিয়ে কোনও আলোচনা নেই। অতিশয় ধনীরা (সুপার রিচ ৬৪৬৭) বিরক্ত, তবুও ভয়ে স্পিকটি নট। ধনীদের স্বস্তি এখানেই যে তাঁদের রেয়াত করা হয়ে থাকে। শুধু কিছু নতুন বোঝা চাপিয়ে দেওয়ায় মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মোহভঙ্গ হয়েছে। গরিবরা ভাগ্যের হাতে নিজেদের সঁপে দিয়েছে। অন্যদিকে, তাদের দিকে ছুঁড়ে দেওয়া টুকরোটাকরা সুবিধা গুনে যাচ্ছে মাঝারি আকারের কর্পোরেটরা (৪০০০)।
বাজেট নিয়ে সক্রিয়ভাবে আলোচনা করে চলেছেন শুধু অর্থনীতিবিদগণ এবং সম্পাদকীয় নিবন্ধকারগণ—কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই দুই শ্রেণীই অবজ্ঞাত হচ্ছেন। (আগাম অনুমতি ছাড়া সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রকে প্রবেশাধিকার কেড়ে নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী)

কোন ইঞ্জিন চালানো হচ্ছে?
২০১৯-২০ অর্থবর্ষে জিডিপির ৭ অথবা ৮ শতাংশ বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। এটা মাত্র ১ শতাংশ তফাতের বিষয় নয়। এখানে তফাতটা ধারাবাহিক ভদ্রস্থ বৃদ্ধি (কনটিনিউড মডারেট গ্রোথ) এবং সম্ভাবনাময়রূপে ত্বরান্বিত বৃদ্ধির (পোটেনশিয়ালি অ্যাকসিলারেটেড গ্রোথ) মধ্যে দেখতে হবে। এটাও একটা লক্ষণ যে প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার অধীন ইকনমিক ডিভিশনটি অর্থসচিবের অধীন বাজেট ডিভিশনের সঙ্গে কথাবার্তা বলে না। বেশিরভাগ পর্যবেক্ষণ লক্ষ করেছেন যে সরকার ভদ্রস্থ বৃদ্ধি (৭ শতাংশ) নিয়ে সন্তুষ্ট নাকি উচ্চ এবং ত্বরান্বিত বৃদ্ধির (৮+ শতাংশ) লক্ষ্য স্থির করছে—ভাষণের মধ্যে তার কোনও ইঙ্গিত ছিল না। আমার মনে হচ্ছে, সরকার প্রথমটা চাইছে।
উচ্চ এবং ত্বরান্বিত বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন বৃদ্ধির চারটি যন্ত্রের সবক’টিকে একসঙ্গে পুরোদস্তুর কাজে লাগানো। ২০১৩-১৪ সালে পণ্যসামগ্রী রপ্তানির যে দৃষ্টান্ত (৩১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) স্থাপিত হয়েছিল সেটা অতিক্রম করা গিয়েছে মাত্র এই ২০১৮-১৯ সালে এসে। এবং, তার পর বৃদ্ধির হারটা পূর্ববর্তী বছরের সাপেক্ষে ছিল পরিমিত ৯ শতাংশ। ২০১৮-১৯ সালে রাজস্ব হিসাবের উপর (সুদ প্রদান এবং অনুদানের নিটফল) সরকারি ব্যয় ছিল জিডিপির ৭.১৮ শতাংশ। ব্যক্তিগত উপভোগ কতকগুলি অনির্ণেয় বিষয়ের উপর নির্ভর করে—তার মধ্যে রাখতে হবে মুদ্রাস্ফীতি, কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক ওঠানামা, নিরাপত্তা প্রভৃতিকে। গৃহস্থের সামনে দোটানার বারোমাস্যাও চলে—‘‘আমার এখন সঞ্চয় করা উচিত, না কি খরচাটা করেই ফেলব?’’ উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায় যে ব্যক্তিগত উপভোগ হ্রাসের রামধাক্কাটা লেগেছে মোটরগাড়ি এবং মোটরবাইকের বিক্রিতে।

বিনিয়োগ থমকে রয়েছে
এই কারণে বিনিয়োগ ছেড়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সমীক্ষা আস্থা রাখে বিনিয়োগের শক্তির উপর এবং ব্যক্তিগত উপভোগের উপরে কিছুটা কম। একটি অর্থনীতিতে বিনিয়োগের সাধারণ পরিমাপটি হল গ্রস ফিক্সড ক্যাপিটাল ফর্মেশন (জিএফসিএফ)।
নীচের সারণিতে স্পষ্ট হবে এই ব্যাপারে প্রথম মোদি সরকারের ভূমিকাটি:

জিএফসিএফ ৩২.৯-এর উচ্চতা থেকে ৫ শতাংশ পয়েন্ট কমে গিয়েছে। এটা তিন বছর যাবৎ ২৮ শতাংশের মধ্যে থমকে ছিল এবং ২০১৮-১৯ সালে সামান্য সংশোধিত হয়ে ২৯.৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
যদি সরকারি এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগ বিশেষভাবে বাড়ে তবেই জিএফসিএফ বাড়বে। সরকারের কর রাজস্ব সংগ্রহের দক্ষতার উপর সরকারি বিনিয়োগ নির্ভর করে, কিন্তু সরকারের সেই দক্ষতা নিয়ে সংশয়ের অবকাশ রয়েছে। ২০১৮-১৯ সালের সংশোধিত হিসাবের (রিভাইজড এস্টিমেট) নিট কর রাজস্বের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ১,৬৭,৪৫৫ কোটি টাকা খুইয়েছে। ২০১৯-২০ সালের জন্য কর রাজস্বের অনুমিত বৃদ্ধির হারটি বড্ড বাড়াবাড়ি রকমের (শকিংলি অ্যামবিশাস) ধরা হয়ে গিয়েছে। কেউ কি বিশ্বাস করেন আয়কর রাজস্ব ২৩.২৫ শতাংশ অথবা জিএসটি রাজস্ব ৪৪.৯৮ শতাংশ বাড়বে?
ব্যক্তিগত বিনিয়োগ বা প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট নির্ভর করে কর্পোরেট সেভিংস এবং গৃহস্থের সঞ্চয়ের উপর। পাশাপাশি এটাও ভাবতে হবে যে বিনিয়োগ হল বিশ্বাসেরও ব্যাপার। যদি কর্পোরেটগণ পর্যাপ্ত মুনাফা করতে না-পারেন কিংবা সেইরূপ লাভের প্রত্যাশা না-রাখেন এবং মুনাফার অংশ পুনরায় বিনিয়োগ না-করেন অথবা গৃহস্থের সঞ্চয় থমকে যায় তবে ব্যক্তিগত বিনিয়োগ বাড়বে না।
কর্পোরেট মুনাফা এমন কতকগুলি বিষয়ের নির্ভরশীল যেগুলির উপর কর্পোরেটগণের কোনও নিয়ন্ত্রণ খাটে না। গৃহস্থদের সঞ্চয় প্রসঙ্গে বলি যে এই বাজেটে তাঁদের জন্য এমন কোনও উৎসাহ নজরে পড়েনি যে তাঁরা আরও বেশি সঞ্চয়ে উদ্বুব্ধ হবেন এবং সেগুলি বিনিয়োগে রূপান্তরিত হবে। গৃহস্থদের উপর, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উপর, বাড়তি চাপ বাড়িয়ে তাদের কাছ থেকে বিনিয়োগের সুরাহা প্রত্যাশা করা যায় না। তাদের উপর বাড়তি চাপ হয়ে যাচ্ছে পেট্রল ও ডিজেলের দামবৃদ্ধি, দীর্ঘমেয়াদি মূলধনী লাভ চালিয়ে যাওয়া, শেয়ারের ‘বাইব্যাক’-এর উপর কর আরোপ, নিউজপ্রিন্ট, বই, স্প্লিট এয়ার কন্ডিশনার, কয়েক প্রকার গাড়ির যন্ত্রাংশ, রুপো এবং সোনার উপর চড়া হারে আমদানি শুল্ক চাপানো। যদি জিএফসিএফ স্ট্যাগন্যান্ট বা থমকে থাকে এবং ধরে নেওয়া হয় যে উৎপাদনশীলতা অথবা দক্ষতায় কোনও নাটকীয় উন্নতি ঘটছে না, তাহলে জিডিপি বৃদ্ধির হারে তাৎপর্যপূর্ণ বৃদ্ধি ঘটবে না।
কাঠামোগত সংস্কার নেই
বাজেট ভাষণের দুই স্থানে ‘স্ট্রাকচারাল রিফর্মস’ (কাঠামোগত সংস্কার)-এর কথাটি উচ্চারিত হয়েছে কিন্তু গোটা ব্যবস্থার মধ্যে এমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া গেল না যাকে কাঠামোগত সংস্কার বলে মেনে নেওয়া যাবে। এই বাজেট ভাষণ আমার মতটিকেই বরং প্রতিষ্ঠা দিল যে মনমোহন সিংয়ের মতো সাহসী সংস্কারক নরেন্দ্র মোদি অন্তত নন। তিনি রক্ষণশীল, সংরক্ষণ নীতির পক্ষে, মুক্ত বাণিজ্যে তাঁর বিশ্বাস নেই এবং ট্যাক্স-অ্যান্ড-স্পেন্ড পলিসির উপাসক। করব্যবস্থার কথা বাদ দিলে, শাসক হিসেবে তাঁর অবস্থানটি তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পদের মতো।
সরকারকে মনে হয় ৭ শতাংশের ভদ্রস্থ বৃদ্ধি (মডারেট গ্রোথ) নিয়েই তুষ্ট। সম্পদ সৃষ্টি অথবা জনকল্যাণ বৃদ্ধির পক্ষে ৭ শতাংশের বৃদ্ধি সত্যিই নগণ্য। ৭ শতাংশ বৃদ্ধি লাখো লাখো চাকরির ব্যবস্থা করতে নিতান্তই অক্ষম, অথচ আজ এটাই সবচেয়ে জরুরি। জনসংখ্যার সবচেয়ে নীচে যে ২০ শতাংশ মানুষ রয়েছেন তাঁদের মাথাপিছু আয় এই ৭ শতাংশ বৃদ্ধি দিয়ে বাড়ানোটা অসম্ভব। ৭ শতাংশ বৃদ্ধি দিয়ে ভারতকে হয়তো ‘সবচেয়ে দ্রুতগতির বৃহৎ অর্থনীতির একটি’ গোছের সার্টিফিকেট জুটিয়ে দেওয়া সম্ভব হতে পারে, কিন্তু সেটি অতি দরিদ্র, বেকার এবং উপেক্ষিত, দুর্বল ও শোষিত শ্রেণীর মানুষের জন্য কানাকড়িও মূল্য বহন করবে না।
মোদি সরকারের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি দেশকে কোন দিকে নিয়ে চলেছে
তরুণকান্তি নস্কর

নয়া শিক্ষানীতির কেন্দ্রবিন্দুই হল এই ভারতীয়ত্বের নাম করে মধ্যযুগীয় বাতিল চিন্তা ভাবনার জাবর কাটার প্রচেষ্টা। পঞ্চতন্ত্র, জাতক, হিতোপদেশের গল্পকে তাঁরা স্কুল পাঠ্য করতে চাইছেন, সংস্কৃত শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন অথচ ইংরেজি ভাষা শিক্ষাকে গুরুত্বহীন করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। পাঠ্যতালিকায় বহু ব্যক্তির জীবনীচর্চার উল্লেখ আছে, কিন্তু সেই তালিকায় ভারতীয় নবজাগরণের পথিকৃৎ রামমোহন ও বিদ্যাসাগরের নাম সযত্নে বাদ দেওয়া হয়েছে। রামমোহন-বিদ্যাসাগরই যে এদেশে প্রথম ধর্মীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাতিল করে আধুনিক শিক্ষা প্রচলনের জন্য লড়াই করেছিলেন তা কারোর অজানা নয়। ভারতীয় নবজাগরণের এই মনীষীরা যে আরএসএস-বিজেপির চক্ষুশূল তা আজ জলের মতো পরিষ্কার।
বিশদ

একটু ভাবুন
শুভা দত্ত

 বিশ্বের চারদিক থেকে পানীয় জল নিয়ে গুরুতর অশনিসংকেত আসার পরও আমাদের এই কলকাতা শহরে তো বটেই, গোটা রাজ্যেই প্রতিদিন বিশাল পরিমাণ জল অপচয় হয়। আপাতত বেশিরভাগ জায়গায় জলের জোগান স্বাভাবিক আছে বলে সেটা গায়ে লাগছে না। তাই এখনও আসন্ন মহাবিপদের কথাটা ভাবছেন খুব সামান্যজনই। বাদবাকিরা এখনও নির্বিকার, ভয়ডরহীন—দু’জনের সংসারে আড়াই-তিন হাজার লিটার শেষ করে দিচ্ছে দিনে, বাড়ি গাড়ি ধোয়া চালাচ্ছে কর্পোরেশনের পানীয় জলে! আহাম্মক আর কাকে বলে।
বিশদ

14th  July, 2019
বেনোজলের রাজনীতি
তন্ময় মল্লিক

জেলায় জেলায় নব্যদের নিয়ে বিজেপির আদিদের ক্ষোভ রয়েছে। আর এই ক্ষোভের অন্যতম কারণ যোগদানকারীদের বেশিরভাগই এক সময় হয় সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর সদস্য ছিলেন, অথবা তৃণমূলের ‘কাটমানি নেতা’। তাই এই সব নেতাকে নিয়ে স্বচ্ছ রাজনীতির স্লোগান মানুষ বিশ্বাস করবে না। উল্টে লোকসভা ভোটে যাঁরা নীরবে সমর্থন করেছিলেন, তাঁরা ফের নিঃশব্দেই মুখ ফিরিয়ে নেবেন।‘ফ্লোটিং ভোট’ যে মুখ ঘুরিয়ে নিতে পারে, সেটা বিজেপির পোড়খাওয়া নেতারা বুঝতে পারছেন। তাঁরা বলছেন, ভোটের ফল প্রকাশের পর যাঁরা আসছেন তাঁরা কেউই বিজেপির আদর্শের জন্য আসছেন না, আসছেন বাঁচার তাগিদে। কেউ কেউ লুটেপুটে খাওয়ার অভ্যাস বজায় রাখার আশায়।
বিশদ

13th  July, 2019
ঘোষণা ও বাস্তব
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত সরকারের অন্যতম প্রধান একটি প্রকল্পই হল নদী সংযোগ প্রকল্প। দেশের বিভিন্ন নদীকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হবে। যাতে উদ্বৃত্ত জলসম্পন্ন নদী থেকে বাড়তি জল শুকনো নদীতে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বারংবার এই প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। গোটা প্রকল্প রূপায়ণ করতে অন্তত ১ লক্ষ কোটি টাকা দরকার। এদিকে আবার বুলেট ট্রেন করতেও ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে! আধুনিক রাষ্ট্রে অবশ্যই দুটোই চাই। কিন্তু বাস্তব প্রয়োজনের ভিত্তিতে বিচার করলে? কোনটা বেশি জরুরি? বিশদ

12th  July, 2019
মোদি সরকারের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি দেশকে কোন দিকে নিয়ে চলেছে
তরুণকান্তি নস্কর

 কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন দপ্তর থেকে সম্প্রতি জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১৯-এর যে খসড়া প্রকাশিত হয়েছে তার যে অংশ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে হই চই পড়েছিল তা হল বিদ্যালয় স্তরে ত্রি-ভাষা নীতির মাধ্যমে অ-হিন্দিভাষী রাজ্যে জোর করে হিন্দি চাপানোর বিষয়টি। তামিলনাড়ুর মানুষের প্রবল আপত্তিতে তা কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
বিশদ

11th  July, 2019
কেন তেরোজন অর্থনীতিবিদ অখুশি হবেন?
পি চিদম্বরম

প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. অরবিন্দ সুব্রামনিয়ন পাঁচ বছর আগে তাঁর প্রথম অর্থনৈতিক সমীক্ষা (ইকনমিক সার্ভে ২০১৪-১৫) পেশ করে বলেছিলেন, ‘‘ভারত একটা সুন্দর জায়গায় (সুইট স্পট) পৌঁছে গিয়েছে—জাতির ইতিহাসে এটা বিরল—এইভাবে শেষমেশ দুই সংখ্যার মধ্যমেয়াদি বৃদ্ধির কৌশলে ভর করে এগনো যাবে।’’
বিশদ

08th  July, 2019
জলের জন্য হাহাকার আমাদের কি একটুও ভাবাচ্ছে!
শুভা দত্ত

আমাদের এখনও তেমন অসুবিধে হচ্ছে না। কারণ, কলকাতা মহানগরীতে এখনও পানীয় হোক কি সাধারণ কাজকর্ম সারার জলের অভাব ঘটেনি। ঘটেনি কারণ আমাদের জল জোগান যে মা গঙ্গা, তিনি এখনও বহমান এবং তাঁর বুকের ঘোলা জলে এখনও নিয়ম করে বান ডাকে, জোয়ার-ভাটা খেলে।
বিশদ

07th  July, 2019
এক বাস্তববাদী রাজনীতিকের নাম শ্যামাপ্রসাদ
হারাধন চৌধুরী

 নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় সরকার নিয়ে বিজেপি তিন দফায় ভারত শাসনের দায়িত্ব পেল। কংগ্রেসকে বাদ দিলে ভারতের আর কোনও রাজনৈতিক দল এই কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেনি। ২০১৯-এর লোকসভার ভোটে বিজেপি ক্ষমতা অনেকখানি বাড়িয়ে নিয়েছে। ২০১৪-র থেকে বেশি ভোট পেয়েছে এবং তিনশোর বেশি আসন দখল করেছে।
বিশদ

06th  July, 2019
চাকরি ও পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রত্যাশিত দিশা দেখাতে পারল না নির্মলা সীতারামনেরও বাজেট
দেবনারায়ণ সরকার

 লোকসভা নির্বাচনের আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান বছরের (২০১৯-২০) অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করা হয়েছিল। নির্বাচনে বিপুল জয়ের পরে বর্তমান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দ্বিতীয় মোদি সরকারের বর্তমান অর্থবর্ষের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করলেন। এই বাজেটে আয় ও ব্যয় অন্তর্বর্তী বাজেটে যা ধরা হয়েছিল সেটাই অপরিবর্তিত রইল।
বিশদ

06th  July, 2019
চীনা ঋণের ‘নাগপাশ’
মৃণালকান্তি দাস

বৈদেশিক ঋণের পাহাড় কীভাবে একটা দ্রুত বিকাশশীল অর্থনীতির চাকাকে স্তব্ধ করে দিতে পারে, শ্রীলঙ্কা তার ক্ল্যাসিক দৃষ্টান্ত। হামবানতোতা বন্দরকে ৯৯ বছরের লিজে চীনের কাছে হস্তান্তরে বাধ্য হওয়ার পর সেই ধারণাই আরও জোরালো হয়েছে। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিবিদ উমেশ মোরামুদালি লিখেছেন, শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণের চেহারা আসলে যা ভাবা হচ্ছে, তার চেয়েও অনেক বেশি সাঙ্ঘাতিক। চীনের ঋণ একা দায়ী নয়। হামবানতোতা বন্দর নির্মাণের জন্য চীনের এক্সিম ব্যাঙ্ক থেকে শ্রীলঙ্কা যে ঋণ নিয়েছিল তার জন্য প্রতিবছর যে টাকা শোধ করতে হচ্ছে, সেটা শ্রীলঙ্কার মোট বার্ষিক ঋণ পরিশোধের ৫ শতাংশও নয়। অন্যভাবে বললে, হামবানতোতা আসলে হিমশৈলের চূড়ামাত্র।
বিশদ

05th  July, 2019
জি-টোয়েন্টির মঞ্চে ভারতের সফল কূটনীতি
গৌরীশঙ্কর নাগ 

বাস্তবিকই তাই। দ্বিতীয়বার জিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর বিপুল জনসমর্থনকে ভারতের বহির্বাণিজ্য ও কূটনৈতিক নেটওয়ার্ককে মজবুত করার কাজে নিযুক্ত করেছেন। ইতিমধ্যে তাঁর দ্বিতীয়বার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিমস্টেকের অন্তর্গত সকল সদস্য রাষ্ট্র ও সাংহাই কোয়াপারেশন অর্গানাইজেশনের এখনকার সভাপতি কিরঘীজ রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি মোক্ষম চাল দিয়েছেন। 
বিশদ

04th  July, 2019
অ্যাঞ্জি, আয়লান ও মানবিকতার হত্যা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 আরও একটা ছবি...। মর্মান্তিক বললেও কম। আর সেটাই গোটা দুনিয়ার চোখে আঙুল দিয়ে ফের দেখিয়ে দিল, মানবিকতার থেকে অর্থনীতির গুরুত্ব আজ অনেক বেশি। কালো টি-শার্ট, কালো শর্টস পরা শরীরটা মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে কাদায়। আগাছার মধ্যে। টি-শার্টটা একটু উঠে। তার ফাঁক থেকে দেখা যাচ্ছে ছোট্ট আর একটা শরীর। ২৩ মাসের অ্যাঞ্জির।
বিশদ

02nd  July, 2019
একনজরে
  নয়াদিল্লি, ১৪ জুলাই (পিটিআই): স্কুলের মিড ডে মিল খেয়ে শিশুদের অসুস্থ হয়ে পড়ার মতো ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। গত তিন বছরে গোটা দেশে মিড ডে মিল খেয়ে ৯০০ জনেরও বেশি শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। রবিবার এই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ...

  কাঠমান্ডু, ১৪ জুলাই (পিটিআই): অবিরাম বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত নেপালের জনজীবন। বন্যা ও ভূমিধসে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন। রবিবার সেদেশের পুলিস সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। মধ্য ও পূর্ব নেপালে খোঁজ মিলছে না ৩৫ জনের। ...

সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: ডেঙ্গু প্রতিরোধে শিলিগুড়ি শহরের প্রতিটি স্কুল, কলেজ সহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠিয়েছে শিলিগুড়ি পুরসভা কর্তৃপক্ষ। তবে শুধু চিঠি দিয়ে কাজ সারতে চাইছে না পুর কর্তৃপক্ষ।  ...

  সংবাদদাতা, তারকেশ্বর: শনিবার গভীর রাতে তারকেশ্বরের নাইটা মালপাহাড়পুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মালপাহাড়পুর গ্রামের বিজেপি কার্যালয়ের সামনে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া কয়েকটি তাজা বোমাকে ঘিরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯১৮: সুইডেনের চিত্রপরিচালক ইঙ্গমার বার্গম্যানের জন্ম
১৯৩৬: লেখক ধনগোপাল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৭: শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ হাসান তিলকরত্নের জন্ম
১৯৭১: মডেল মধু সাপ্রের জন্ম
১৯৭৫: সুরকার মদন মোহনের মূত্যু
২০০৩: অভিনেত্রী লীলা চিটনিসের মূত্যু
২০০৮: বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়ের মূত্যু

14th  July, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৭.৭০ টাকা ৬৯.৩৯ টাকা
পাউন্ড ৮৪.২৯ টাকা ৮৭.৬০ টাকা
ইউরো ৭৫.৮২ টাকা ৭৮.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
13th  July, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৫,১৫৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৩,৩৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৩,৮৫৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৮,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৮,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
14th  July, 2019

দিন পঞ্জিকা

৩০ আষা‌ঢ় ১৪২৬, ১৫ জুলাই ২০১৯, সোমবার, চতুর্দশী ৫১/৫০ রাত্রি ১/৪৯। মূলা ৩৪/২৮ রাত্রি ৬/৫২। সূ উ ৫/৪/২৫, অ ৬/২০/৪৫, অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৬ গতে ১০/২২ মধ্যে। রাত্রি ৯/১২ গতে ১৪/৪ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ২/৫৫ মধ্যে, বারবেলা ৬/৪৪ গতে ৮/২৩ মধ্যে পুনঃ ৩/১ গতে ৪/৪১ মধ্যে, কালরাত্রি ১০/২২ গতে ১১/৪২ মধ্যে।
২৯ আষাঢ় ১৪২৬, ১৫ জুলাই ২০১৯, সোমবার, চতুর্দশী ৫০/৫৭/৪৯ রাত্রি ১/২৭/১৫। মূলানক্ষত্র ৩৬/২৫/৩৩ রাত্রি ৭/৩৮/২০, সূ উ ৫/৪/৭, অ ৬/২২/৪৯, অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৬ গতে ১০/২৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/১৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/২৯ গতে ২/৫৫ মধ্যে, বারবেলা ৩/৩/১০ গতে ৪/৪৩/০ মধ্যে, কালবেলা ৬/৪৩/৫৭ গতে ৮/২৩/৪৮ মধ্যে, কালরাত্রি ১০/২৩/২০ গতে ১১/৪৩/৩০ মধ্যে। 
 ১১ জেল্কদ
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কোনও পুরানো রোগ থেকে সাবধানতা অবলম্বন করবেন। বৃষ: ধর্মাচারণে মতি আসবে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮২০: সাহিত্যিক অক্ষয়কুমার দত্তের জন্ম১৯০৩: রানীতিক কে কামরাজের জন্ম১৯০৪: রুশ ...বিশদ

07:03:20 PM

টলিউডের এক অভিনেত্রীকে অশালীন মেসেজ, গ্রেপ্তার ১ 
টলিউডের এক অভিনেত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অশালীন মেসেজ পাঠিয়ে ক্রমাগত উত্যক্ত ...বিশদ

06:55:49 PM

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করলেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান

06:10:00 PM

খুনের চেষ্টার অভিযোগে দিল্লির দ্বারকায় গ্রেপ্তার ১ 

04:51:00 PM

লাভপুরের আমনাহা গ্রামে পুলিসকে ঘিরে এলাকাবাসীদের বিক্ষোভ 
বীরভূমের লাভপুর থানার আমনাহা গ্রামে পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। ...বিশদ

04:25:14 PM