বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
মালদহের ফুলহার নদীর জল বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই হয়েছে। ফুলহারের সঙ্গেই গঙ্গা ও মহানন্দার জলস্তরও বেড়েছে। আলিপুরদুয়ারের কালজানিতে রবিবার সকালে হলুদ সংকেত জারি করলেও বিকেলে তা তুলে নেওয়া হয়। এদিন বিকেলে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব আলিপুরদুয়ার শহরের বেশ কয়েকটি জলবন্দি ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন। জলপাইগুড়ির তিস্তাতে রবিবারও হলুদ সংকেত জারি রাখা হয়। শিলিগুড়ির ফুলবাড়ির কাছে মহানন্দার জল বেড়েছে।
রবিবার সেচদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে ২০৪, আলিপুরদুয়ারে ১৫৪.৮০, কোচবিহারে ১১০.৭০, শিলিগুড়িতে ৭৫, হাসিমারায় ২১৮ এবং মালবাজারে ৮৩.২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাতে বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ির নেতাজিপাড়া, নীচলাইন, সেনপাড়া, মহামায়াপাড়া ও রবীন্দ্রনগর কলোনিতে জল দাঁড়িয়ে যায়। দুপুরের দিকে অবশ্য অনেক এলাকা থেকেই জল নেমে যায়। ময়নাগুড়ির আমবাড়িতে জলঢাকা নদী তীরবর্তী গ্রাম, পদমতীতে তিস্তার চর জলে ডুবে গিয়েছে। পুরাতন ময়নাগুড়ি বাজার ও মধ্য খাগড়াবাড়ি জলমগ্ন হয়ে আছে। জল না নামায় মধ্য খাগড়াবাড়িতে দুর্গত মানুষ এদিন ময়নাগুড়ি-ধূপগুড়ি ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন।
জলপাইগুড়ির মাল ব্লকের নেওড়াবস্তির কাছে কুমলাই ও চেল নদীর ৭০ মিটার বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। মাল ব্লকের চাপাডাঙা, মৌয়ামারি, টাকিমারি, পশ্চিম সাঙ্গপাড়া ও চ্যাংপাড়াতে ৫০০ পরিবার রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জলবন্দি হয়ে থাকে।
আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের সংকোশ নদীর জলোচ্ছ্বাসে পাকড়িগুড়ি, বিষ্ণুনগর, মাঝেরডাবরি, পূর্ব শালবাড়ি ও জয়দেবপর এখনও জলমগ্ন হয়ে আছে। হাউড়ি, বাংরি, দয়ামারা ও তিতি নদীর জলে মাদারিহাট থেকে টোটোপাড়া বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। চর তোর্সা সেতুর অস্থায়ী ডাইভারশন জলে ডুবে যাওয়ায় রবিবার সকাল থেকে সোনাপুর-ফালাকাটা ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। গাড়িগুলি সোনাপুর দিয়ে কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ি হয়ে যাতায়াত করছে।
আলিপুরদুয়ার শহরের কয়েকটি ওয়ার্ড শনিবার রাতের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়। চ্যাংপাড়ায় কালজানি নদীর বাঁধ দুর্বল হওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। বাঁধ সারাইয়ের দাবিতে বাসিন্দারা নোনাই সেতুর কাছে আলিপুরদুয়ার-কুমারগ্রামদুয়ার রোড অবরোধ করেন।
লাগাতার বর্ষণে কোচবিহারের কলাবাগান, পোস্টঅফিস পাড়া, কেশব রোড, বিশ্বসিংহ রোড, রূপনারায়ণ রোড শিবেন্দ্রনারায়ণ রোড ও নিউ টাউন এলাকা জলমগ্ন হয়। দিনহাটার ওকড়াবাড়িতে নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে।
যদিও শিলিগুড়িতে পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। মহকুমার অধিকাংশ এলাকা থেকেই জল নেমে গিয়েছে। ফুলবাড়ির কাছে মহানন্দার বাঁধের কিছু অংশ দুর্বল হওয়ায় সেচদপ্তর এদিনই তা মেরামত করে।
শনিবার রাতে ইসলামপুর মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় ঝড় বৃষ্টি হয়। কিছু কাঁচা বাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।