বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
শনিবার মেট্রো রেলে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে সজল কাঞ্জিলালের। মেট্রো কর্তৃপক্ষ এই নিয়ে আলাদা করে খোঁজখবর শুরু করেছে। পাশাপাশি পুলিসও পৃথক তদন্ত করছে। গাফিলতির কারণেই যে এই ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত তদন্তকারী অফিসাররা। তবে কেন তা হল, তা খুঁজে বের করাই তাঁদের লক্ষ্য। তাই একেবারে শিকড়ে যাওয়া প্রয়োজন। ঘাতক রেক নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে তাঁরা আশাবাদী। প্রাথমিকভাবে অফিসাররা জেনেছেন, রেক পরীক্ষার জন্য আলাদা ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন মেট্রোতে। তাঁদের মাথায় রয়েছেন একজন চিফ ইঞ্জিনিয়ার। ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ হল রেক চলার মতো অবস্থায় রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা। রেকটি ট্র্যাকে নামানোর আগে পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। মূলত সেন্সর ঠিকমতো কাজ করছে কি না, প্রযুক্তিগত কোনও ত্রুটি রয়ে গিয়েছে কি না, ইঞ্জিনের অবস্থা কী রকম, রেকের এসি সচল কি না, এই সংক্রান্ত একাধিক বিষয় দেখা হয়। কোনও জায়গায় ত্রুটি ধরা পড়লে নামতে না দেওয়াটাই নিয়ম বলে পুলিস জানতে পেরেছে। যে রেকে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা বেরনোর আগে চেক-আপ করা হয়েছিল কি না, আর হয়ে থাকলে তা কে করলেন এবং কী রিপোর্ট দিয়েছিলেন, তা জানা প্রয়োজন। ওই শিফটে কোন কোন ইঞ্জিনিয়ার দায়িত্বে ছিলেন, সেই তালিকাও চেয়েছেন অফিসাররা। গাফিলতি কার ছিল, তা চিহ্নিত করাই উদ্দেশ্য। ত্রুটি রয়েছে সংশ্লিষ্ট রেকে, এই রিপোর্ট ইঞ্জিনিয়াররা দেওয়ার পরও জোর করে সেটি চালানোর জন্য কেউ চাপ দিয়েছিলেন কি না, তা জানাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে এই রেকের পূর্ণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল কি না, তাও দেখা দরকার। যা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে না পেলে বোঝা সম্ভব নয়। পাশাপাশি চেন্নাই থেকে আসা ওই রেকে প্রথম থেকেই কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল কি না, তা জানতে ইঞ্জিনিয়ারদের সাহায্য নেবেন অফিসাররা। চেন্নাইয়ে যে কোম্পানি থেকে রেকটি এসেছিল, তাদের সঙ্গে কথা বলা হবে। আসলে রেক রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে যৌথ দায়িত্ব ছিল কি না, তাও খুঁজে দেখতে চাইছে পুলিস। তদন্তকারী এক অফিসারের কথায়, রক্ষণাবেক্ষণের তদন্ত করলেই অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে। যেখান থেকে পার্ক স্ট্রিটে দুর্ঘটনার কারণ জানা যাবে।
শুধু তাই নয়, চলন্ত অবস্থায় মেট্রোয় প্রযুক্তিগত কোনও ত্রুটি দেখা দিলে গার্ড ও মোটরম্যানদের জন্য কী কী গাইডলাইন রয়েছে, তা দেখা হচ্ছে। কতদিন অন্তর তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে, তা জানতে চাওয়া হবে। অভিযুক্ত গার্ড ও মোটরম্যান রেকটি নিয়ে কারও কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন কি না, তা তাঁদের জেরা করে জানতে চাওয়া হবে। পুলিস জেনেছে, মেট্রোয় সেফটি ও সিকিউরিটির জন্য আলাদা একটি বিভাগ রয়েছে। যাদের কাজই হল, যাত্রী সুরক্ষায় সমস্ত নিয়মকানুন মানা হচ্ছে কি না, তা দেখা। তদন্তে এই বিভাগের ভূমিকাও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।