জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
ততকাল পর্য্যন্ত সগুণ ব্রহ্মকে ধারণ করিতে হয়, যতকাল পর্য্যন্ত নির্গুণ ব্রহ্ম লাভ না হয়। নির্গুণ ব্রহ্মকে লাভ করিতে পারিলে অহং ভাবের নিবৃত্তি হইয়া থাকে। যোগী সমস্ত ব্রহ্মময় দর্শন করিয়া সমস্ত পাপ হইতে মুক্ত হন এবং তখন যোগীর “সোঽহং” “সোঽহং”—এই উত্তম জ্ঞান হইয়া থাকে। গুণে আসক্ত মন বন্ধনের হেতু, পুরুষোত্তমে মনের গতি মুক্তির সাধক; মনই এই উভয়ের কারণ কথিত হয়। সেই মনকে দূর হইতেই জয় করতঃ সঙ্গরহিত হইয়া পৃথিবীতে বিচরণ করিবে।
বিবেকী ব্যক্তি যখন প্রশস্ত অধ্যাত্মযোগে পরাৎপর সাক্ষাৎ ব্রহ্ম আমাকে সর্ব্বগত বলিয়া বিদিত হইবে, তখনই মনের মালিন্য দূর করিতে পারিবে। সমস্ত ধর্ম্মই বিষ্ণু, সমস্ত কর্ম্মও বিষ্ণু, তিনিই কর্ম্মফল-ভোক্তা; কার্য্যও বিষ্ণু, ইন্দ্রিয়সমূহও বিষ্ণু, তাহা হইতে কিছু অতিরিক্ত এ জগতে নাই। তিনিই বন্ধন, তিনিই বন্ধনকর্ত্তা; তিনিই পাশ, তিনিই সমস্ত পশু; তিনি সকলের জ্ঞাতা, অথচ তাঁহাকে কেহ জানে না; তাঁহাকেই আদ্য পুরাণ-পুরুষ বলিয়া থাকে। পণ্ডিতগণ তাঁহাকেই মহাবিষ্ণু বলিয়া থাকেন, তাঁহাকেই আবার মহাদেবও বলিয়া থাকেন। তিনিই বৌদ্ধগণকর্ত্তৃক পরিবর্জ্জিত শিব বলিয়া কথিত হইয়া থাকেন। তিনি লক্ষ্মীপতি জনার্দ্দন এবং তিনিই পার্ব্বতীপতি মহেশ্বর। সমস্ত ভূমিই লিঙ্গময়ী এবং সমস্ত জগৎই লিঙ্গময়; তীর্থসমূহও লিঙ্গময়, সমস্তই এ জগতে লিঙ্গেতে প্রতিষ্ঠিত আছে।
বৃক্ষের মূলে সিঞ্চন করিলে যেমন উহার শাখা পুষ্টিলাভ করে, তেমনি শিব-পূজার দ্বারাও পূজকের বিনশ্বর শরীর পুষ্টিলাভ করে। সত্ত্বগুণাবিষ্ট ব্রহ্মা সমস্ত লোক শূন্য দেখিলেন। সৃষ্টির জন্য চিন্তাকারী সেই ব্রহ্মা রজোগুণে মোহিত হইলেন। রজোগুণ সৃষ্টির উপযোগী বলিয়া কথিত হইয়াছে এবং সত্ত্বগুণ পালনের উপযোগী বলিয়া পণ্ডিতগণ জানেন। সংহারকালে তমোগুণ প্রবর্ত্তিত হইয়া থাকে। সেই ভগবান্ গুণাতীত ত্রৈলোক্য ব্যাপক পুরুষ বলিয়া কথিত হইয়া থাকেন; এ জগতে যাহা কিছু জীব নামে কথিত হইয়া থাকে, সেই সমস্তই তিনি ব্যাপিয়া রহিয়াছেন।