জলপথ পরিবহণ কর্মে বিশেষ শুভ। হস্তশিল্পী, হিসাব-শাস্ত্রবিদ প্রমুখের কর্মে উন্নতি ও সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
মুর্শিদাবাদের রিলিফ ওয়ার্ক শেষ হলো। রিলিফ কমিটির হিসাবপত্রও একরকম শেষ হয়ে গিয়েছে। এই জেলার কাজ শেষ করে উদ্বৃত্ত পাঁচ হাজার টাকা কলকাতায় কেন্দ্রীয় দুর্ভিক্ষ ভাণ্ডারে ফেরত দেওয়া হবে। রিলিফ কমিটির সেক্রেটারি কালেকটর সাহেব এবং ডেপুটি সেক্রেটারি নৃত্যগোপালবাবু প্রমুখ টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে সবকিছু ঠিক করে ফেলেছেন। এমন সময় অখণ্ডানন্দজী দু-চার দিনের জন্য জঙ্গিপুরে উকিল কালীবাবুর নিমন্ত্রণে তাঁর বাড়িতে গেলেন। সেখানে গিয়ে শুনলেন গঙ্গার ওপারে কান্দি মহকুমার নবগ্রাম থানা এলাকায় বহু লোকের চরম দুরবস্থা। অখণ্ডানন্দজী বহরমপুরে ফিরে রিলিফ কমিটির কাছে এই সংবাদ উত্থাপন করলেন। এদিকে রিলিফ বন্ধ করবার ব্যাপারে সব ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছে। কাজেই মহারাজের ঐ কথার অনুমোদন কেউ করলেন না। অখণ্ডানন্দজী তখন নিজেই কোনোরূপ হতাশ না হয়ে এই ব্যাপারে তদন্ত করতে পাঁচগাঁয় জমিদারের কাছারিতে গেলেন। গিয়ে দেখেন আশপাশের গ্রামের শ-তিনেক লোক সাহায্যপ্রার্থী। জমিদারের কাছারিতে অখণ্ডানন্দজীর সঙ্গে দেখা করতে এসেই তো দু-জন অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল। মহারাজ যথাযথ অবস্থা দেখে ফিরে এলেন। তাঁর ফেরার সময় সেইসব দুঃস্থ লোক তাঁকে বললেন, “বাবা, আমাদের যেন ভুলে যেয়ো না।” অখণ্ডানন্দজীর কাছে সমস্ত বৃত্তান্ত শুনে কালেকটর সাহেব অফিসিয়াল তদন্তের জন্য ভারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীর কাছে রিপোর্ট চাইলেন।
সরসীলাল সরকারের ‘অখণ্ডানন্দজীর স্মৃতি’ থেকে