পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
কর্ম্ম-বৈরাগ্য অনেক সময়ে অব্রহ্মচর্য্যের ফল। কর্ম্ম-বৈরাগ্য হতাশারই নামান্তর। কর্ম্ম কর এবং কর্ম্মের মধ্য দিয়া মনের সকল কাম-বিকার-গ্রস্ত কুচিন্তাকে সুপথে পরিচালিত কর। কামোত্তেজনা যদি আসে, তাহাকে পাপ বলিয়া মনে করিও না। এই কামোত্তেজনাকে বিশ্ব-শুভাঙ্কর কল্যাণকর্ম্মে রূপান্তরিত করিয়া দিবার চেষ্টাকে পুণ্য বলিয়া মনে করিও। যাহা স্বাভাবিক ভাবে মানব-মনে জাগে, তাহাকে পাপ আখ্যা দিও না। কিন্তু তাহাকে উন্নততর পরিণতি দিবার সাধনাকে পুণ্য কর্ম্ম বলিয়া সম্মান করিও।
কাম তোমাকে ঘিরিয়া ধরিয়াছে বলিয়া হতাশ হইয়া যাইও না, হা-হাতোঽস্মি করিও না। তোমার ভিতরে যে সৃষ্টির ক্ষমতা আসিতেছে, তোমার অন্তরের কাম-চিন্তা মাত্র সেই সংবাদটির বাহক। কাম-চিন্তার আধিক্যকে ইহার অধিক মূল্য দিও না, ইহার অধিক চিন্তার মর্য্যাদা দিও না। কাম-চিন্তা আসিতেছে, আসুক, তুমি কাম-ক্রিয়া হইতে নিজেকে ততকাল বিরত রাখ, যতকাল কামক্রিয়া তোমার পক্ষে ধর্ম্মজনক বা কর্ত্তব্য কর্ম্মরূপে আসিয়া আত্মপ্রকাশ না করিবে। বিবাহিত পুরুষের পক্ষে নিজ পত্নীর সহিত কামজ মিলনের ধর্ম্মীয় সমর্থন আছে, সামাজিক সমর্থন আছে, দাম্পত্য আত্ম-প্রসাদের ও দাম্পত্য-মনোমিলনের দিক দিয়া সার্থকতা আছে। অবিবাহিতের পক্ষে তাহার মথ্যে একটা দিকেরও কোনও সমর্থন নাই। তাই, তোমার ভিতরে যে সৃষ্টির ক্ষমতা আসিয়াছে, মনের নানাবিধ ভাব-বৈচিত্র সেই সংবাদ তোমাকে দিয়া গেলেও বিবাহিত না হওয়া পর্য্যন্ত তুমি সেই সংবাদকে কোনও সম্মান দিতে পার না। দৃষ্টান্ত দিয়া বলি।