পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
বলবে না? তা বলবে কেন! আমি যদি ভক্ত হ’তাম তাহলে তুমি কথা কইতে, কাছে আস্তে। আমি তো ভক্ত নই। তাই কাছে আসনা; কথা কওনা; একবার ফিরে চাওনা। দেখ শরীরটা, রোমাঞ্চিত হয়ে উঠছে; চোখে জল আস্ছে এই কি তোমার পরশ? বলনা এ পরশ তোমার কিনা; —বল্বেনা! তা বল্বে কেন—আমায় বলবে কেন? দেখ—কি জানি কি কর্ম্ম দোষে মনটা মাঝে মাঝে কেমন হয়ে যায়। সে যেন অবশভাবে বিষয়ের পায়ে লুটিয়ে পড়ে, কিন্তু তুমি তো’ অন্তর্য্যামী, তোমার কাছে তো’ কিছু গোপন করা চলে না, তুমি তো’ সব জানো, তুমিই বল আমি কি তোমায় চাই না? সত্যই আমি তোমায় চাই। তবে পাই না। যে পাওয়ায় আর চাওনা থাকে না, এমনভাবে পাই না। এই যে তোমায় পাওয়া, তা তো আমার দিক্ দিয়ে হবে না। পাওয়াটা তোমার অধীন। তুমি যাকে প্রাপ্ত হও, সেই তোমায় পায়। তোমায় কেউ কোন উপায়ে পেতে পারে না, যতক্ষণ তুমি তাকে গ্রহণ না কর; আমায় তুমি নাও, আমায় গ্রহণ কর, আমায় প্রাপ্ত হও।
আচ্ছা, একটা কথা কইতে কি নেই? কেন নেই; কেন কথা কবে না? বলনা; কথা কওনা, সত্যি তোমার ধৈর্য্যকে ধন্যবাদ! এত করে সাধাসাধি কচ্ছি, একটা কথাও কইতে পারনা? আচ্ছা, চুপ করেই থাক। আমি বলি, তুমি শোন। না শুনে তো থাক্তে পারবে না। দশদিক্ তোমার কান, যা বল্বো তা তোমাকে শুনতে হবেই। শুধু তা নয়; তুমি আবার অন্তরে থাকো; বল্বার আগেই মনের কথা জানতে পারো। তবু বলি—দেখ, তোমায় একবার দেখ্তে ইচ্ছে করে। আমার মাকে বামে নিয়ে, ধনুর্ব্বাণ হাতে করে আস্বে। আমি তোমায় দেখ্বো; সাজাবো; পূজো কর্ব; কথা কব; এ ইচ্ছা কি পূর্ণ হবে না? আমি তোমায় কি দেখ্তে পাবনা? বল—বল নীরব থেকো না। বল? কথা কও।
‘শ্রীওঙ্কারনাথ-রচনাবলী’(১৪ খণ্ড) থেকে