বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
ধর্ম্মই বল, ঈশ্বরই বল, পরকালই বল, আত্মাই বল এগুলিও কোন কাজের নয়, যদি ইহাদের দ্বারা অর্থ বা দৈহিক সুখ না পাওয়া যায়। এরূপ লোকের মতে যাহাতে তাঁহাদের ইন্দ্রিয় চরিতার্থ না হয়, যাহাতে তাঁহাদের পরিপূর্ত্তি না হয়, তাহাতে কোন প্রয়োজন নাই। যে ব্যক্তির আবার যে বিষয়ে আগ্রহ প্রবল তাহার তাহাতেই অধিক লাভ বোধ। সুতরাং যাঁহারা পান, ভোজন, অপত্যোৎপাদন ও তৎপরে মৃত্যু—ইহার উপর আর উঠিতে পারেন না, তাঁহাদের হৃদয়ে উচ্চতর বিষয়ের জন্ম সামান্য ব্যাকুলতা পর্য্যন্ত জন্মিতে অনেক জন্ম লাগিবে। যাঁহাদের চক্ষে কিন্তু আত্মার উন্নতিসাধন ঐতিক জীবনের ক্ষণিক সুখাপেক্ষা গুরুতর বোধ হয়, যাঁহাদের চক্ষে ইন্দ্রিয়-পরিতৃপ্তি কেবল অবোধ শিশুর ক্রিড়াপ্রায় বোধ হয়, তাঁহাদের নিকট ভগবান্ ও ভগবৎ-প্রেমই মানবজীবনের সর্ব্বোচ্চ ও একমাত্র প্রয়োজন বলিয়া বিবেচিত হয়। ঈশ্বরেচ্ছায় এই ঘোর ভোগলিপ্সাপূর্ণ জগতে এখনও এইরূপ মহাত্মা বিরল নহেন। ...ভক্তি পরা ও গৌণী এই দুই ভাগে বিভক্ত। গৌণী অর্থ সাধন ভক্তি, পরাভক্তি উহারই পরিপক্কাবস্থা। ক্রমশঃ বুঝিতে পারিব, এই ভক্তিমার্গে অগ্রসর হইতে হইলে সাধনাবস্থার কতকগুলি বাহ্য সহায় না লইলে চলে না। বাস্তবিক সকল ধর্ম্মের পৌরাণিক ও রূপক ভাগই আপনাআপনি আসিয়া থাকে ও প্রথমাবস্থার উন্নতিকামী আত্মাকে ভগবানের দিকে অগ্রসর হইতে সাহায্য করে। আরও ইহা একটি বিশেষ লক্ষ্য করিবার বিষয় যে, যে সকল ধর্মপ্রণালী পৌরাণিকভাববহুল ও অনুষ্ঠানপ্রচুর সেই সকল ধর্ম্মসম্প্রদায়েই বড় বড় ধর্ম্মবীর জন্মিয়াছিলেন।