বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
যত্ন ও অভ্যাসের দ্বারা মনকে বশীভূত করতে হবে। মন বশীভূত না হলে জপে মন স্থির হবে না। মন স্থির না হলে জপের দ্বারা মনের গভীরে যাওয়া যাবে না। মনের গভীরে না ঢুকলে কিছু লাভ করা যাবে না। লাভ করা কি যায়? সামনে একটা কালো পর্দা ফেলা আছে। তাকে সরানো যায় না। মনকে কোনরকম ট্রেনিং দেওয়া হয়নি। তাই এই মনকে রক্ষা করতে হলে খুব যত্ন ও অভ্যাস করতে হবে।
ভালোবাসা আনতে চেষ্টা করো। দু-বেলা আসন পেতে বসে একটু জপ করে উঠে পড়লে হবে না। যেটুকু জপ করবে, খুব ভালোবাসার সঙ্গে অন্তরের অন্তরে ঢুকে গিয়ে করবে। জপ করার সময়, মন্ত্রের অর্থ এবং যাঁর নাম তাঁকে মনের মধ্যে আনবে। এই করাটা একদিন বা দুদিন করলে হবে না। করতে হবে নিরন্তর। শ্রীশ্রীমা রাত তিনটের সময় উঠে জপে বসতেন। তা সেই ছোটবেলায় এই কাজ শুরু করেছিলেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত একভাবে করে গেলেন। যেটাই করবে সেটাই নিরন্তর দীর্ঘকাল ধরে করবে।
জীবনকে যদি মধুময় করে তুলতে চাও, তবে জপধ্যানের দ্বারা মনের গভীরে ঢুকতে হবে। ভাসা-ভাসা জপ করলে হবে না। জপধ্যান খুব মন দিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে দীর্ঘসময় ধরে করা অভ্যাস করো। যদি না কর— ব্রহ্মচর্য কী, সন্ন্যাস কী বুঝতে পারবে না। জপধ্যান যদি না কর, সঙ্ঘ তোমায় কিছুই বলবে না। তুমিই তোমাকে নিয়ে বিব্রত হয়ে পড়বে। নিজে শান্তি পাবে না, অন্যকেও শান্তি দিতে পারবে না। মায়ের সব কাজে এগিয়ে যাবে। সব কাজ মন-প্রাণ দিয়ে করবে। কীসে ত্যাগ, বৈরাগ্য ও ঈশ্বরে নির্ভরতা বাড়ে তার দিকে খুব দৃষ্টি রাখবে। মনে মনে মায়ের সঙ্গে যোগ রাখবে। কারও মনে ব্যথা দিয়ো না। যদি কেউ কটু কথা বলে, উত্তর কোরো না। যদি খুব লাগে, মাকে জানিয়ো। খুব মন দিয়ে, প্রাণ ঢেলে অনেকক্ষণ স্থির হয়ে জপ করে যাবে। জপ যখন ঠিক ঠিক হবে তখন অন্তরের শক্তি জেগে উঠবে। তখন ধীরে ধীরে মায়ের দিকে টান বাড়বে। শ্রীশ্রীঠাকুর ও মা অন্তরে আছেন। সাধনার দ্বারা তাঁদের ভালোবাসাকে উপলব্ধি করো।
যে পথে তোমরা এসেছ সে পথে সার্থকভাবে যদি চলতে চাও তবে চাই ‘শ্রদ্ধা’, এ পথের প্রতি শ্রদ্ধা। আমরা আরাম করতে আসিনি। দুঃখকে স্বীকার করতে হবে। একমাত্র মাকে ভালোবেসে আসা। অন্য কারও ব্যবহার দেখার প্রয়োজন কী? অন্তরে দৈবী শ্রদ্ধার উদয় হলে বীর্যলাভ হবে। সেই বীর্যই জোগাবে পথ চলার শক্তি। আপন অহংকারকে দু-পা দিয়ে মাড়িয়ে চলে গিয়ে শ্রদ্ধা ও বীর্য সহায়ে এ পথ ধরে যদি চলতে পার, তবেই কিছু লাভ করবে। নতুবা কিছু পাবে না। শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রচণ্ড শক্তি এখানে কাজ করছে। যদি মিথ্যাচার কর, তিনি তোমাদের আঘাত দেবেনই জেনো।