কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
এই দুর্দিনে মুখ্যমন্ত্রী অভিভাবকসুলভ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে নবান্নে রাত জেগেছেন। আসলে যে কোনও দুর্যোগ মোকাবিলায় নেতৃত্ব দেওয়ার সহজাত সদিচ্ছা ও দক্ষতা তাঁর আছে। এর প্রমাণ আমরা অতীতে পেয়েছি। গতবছর পরপর দুটি ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ও ফণীর কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি তিনি সামলেছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হওয়ার নয়। তাই আশা করা যায় এই দুর্যোগ মোকাবিলায় এবারও তিনি সফল হবেন। তাঁর নেতৃত্বেই করোনার সঙ্গে সুপার সাইক্লোনের জোড়া ধাক্কা নিশ্চয়ই কাটিয়ে উঠতে পারব আমরা।
গত দু’মাস ধরে করোনা পরিস্থিতি সামলাতে গোটা প্রশাসন লড়াই করছে। সেই সঙ্কটের আবহেই এবার হাজির উম -পুন। অতীতে অনেক ঘূর্ণিঝড় বয়ে গিয়েছে বাংলার উপর দিয়ে। কিন্তু তখন করোনা ছিল না। এবার জোড়া আক্রমণ, তাই সমস্যাও বেশি। সুপার সাইক্লোন, আয়লা, ফণী, বুলবুল, সব ধাক্কাই সামলেছে বাংলা। প্রাণহানি থেকে ক্ষয়ক্ষতি সবই দেখেছে এই রাজ্য। কিন্তু সব ক্ষতি কি সামলানো সম্ভব? সামলানো যায়? সম্ভবত নয়। কিছু ক্ষত থেকেই যায়। তাই বুলবুলের ঘা শুকানোর আগেই উম-পুনের তাণ্ডব পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। লকডাউনে গৃহবন্দি মানুষের প্রাণ বাঁচাতে হাজার হাজার বাসিন্দাকে ঠাঁই দিতে হয়েছে আশ্রয় শিবিরে। তাদের জন্য শুধু খাদ্য নয়, এবার অতিরিক্ত ব্যবস্থা করতে হয়েছে মাস্ক, স্যানিটাইজার সহ আরও কতকিছুর। তবে ত্রাণশিবিরে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা কতখানি সম্ভব হবে, তা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। এখানেও মমতা প্রশাসনের চেষ্টার খামতি নেই। তবু সংক্রমণের আশঙ্কা অমূলক নয়।
একদিকে জনস্বাস্থ্য ও অর্থ সঙ্কট, অন্যদিকে ঝড়ের ধ্বংসলীলায় বিধ্বস্ত কাঁচা বাড়ি, নিরাশ্রয় মানুষ ও ফসল সহ অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলা। চ্যালেঞ্জ গ্রহণে পারদর্শী মুখ্যমন্ত্রী। সব ব্যাপারে অসহযোগিতার রেকর্ড থাকলেও ফোন করে অবশ্য সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছেন। তবে সহযোগিতার তাঁর ওই আশ্বাস যেন শুধু কথার কথা না হয়। প্রশ্ন হল, আগামীদিনেও এমন সৌজন্য বজায় থাকবে তো? রাজ্যের বাম নেতৃত্বও আয়লার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এই দুর্যোগ মোকাবিলায় সাহায্য করতে প্রস্তুত বলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে। এমনটাই কাম্য। বিপদের দিনে। রাজনৈতিক তরজা ভুলে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করুন রাজনৈতিক নেতারা। নেতিবাচক সমালোচনার বদলে বিরোধীদের ভূমিকা হোক ইতিবাচক, গঠনমূলক। কাজে সমন্বয় থাকুক। মানুষের দুর্দিনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার দৃষ্টান্ত স্থাপিত হোক এই বাংলায়।