উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার যখন হইচই ফেলে দিয়ে নয়া ব্যবস্থা ‘ক্যাস’ বা কন্ডিশনাল অ্যাকসেস সিস্টেম চালু করেছিল, তখন এর মূল লক্ষ্য হিসেবে মূলত দুটি বিষয়কেই তুলে ধরা হয়েছিল। এক, আগের অ্যানালগ ব্যবস্থা থেকে ডিজিটাল ব্যবস্থায় রূপান্তরের মাধ্যমে গ্রাহককে আরও পরিচ্ছন্ন এবং ঝকঝকে ছবি উপহার দেওয়া। দুই, টিভি দেখার খরচ কমানো এবং বিলিংয়ে স্বচ্ছতা আনা। কারণ, দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল, কেবল অপারেটররা নিজেদের মর্জিমাফিক চ্যানেলের সংখ্যা ঠিক করে রেটও যা খুশি তাই নিত। সেই কারণে কোথাও কেবলের মাসিক দর ১২০ টাকা, তো কোথাও তা ৪৫০ টাকা ছিল। অর্থাৎ, দরের কোনও ঠিকঠিকানা ছিল না। নয়া ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য ছিল, গ্রাহক ঠিক যা দেখবেন, পেমেন্ট করবেনও ঠিক ততটুকুই, এটা নিশ্চিত করা। বাস্তবে কিন্তু শুরু থেকেই এই ব্যবস্থা হোঁচট খেয়েছে। প্রথমত, ন্যূনতম ১০০টি চ্যানেলের জন্য গ্রহককে ১৩০ টাকা দিতেই হচ্ছে, যা জিএসটি নিয়ে দাঁড়ায় ১৫০ টাকারও বেশি। যাঁরা এরচেয়েও কম রেটে কেবল পরিষেবা পেতেন, সেইসব সাধারণ মানুষের কাছে এটা আদৌ সুখকর হয়নি। দ্বিতীয়ত, নামেই চ্যানেল পিছু দর। কোথাও বড় বড় কোম্পানিগুলি, কোথাও কেবল অপারেটররা নিজেদের মতো প্যাকেজ বানিয়ে তার জন্য নির্দিষ্ট দর বেঁধে দেওয়া শুরু করে। এবং অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ ওঠে, কোথাও ভুল বুঝিয়ে কোথাও জোর করেই এইসব প্যাকেজ নিতে বাধ্য করা হয়। কোনও একটি কোম্পানির একটি চ্যানেল হলেই যাঁর চলে যায়, এইভাবে সেইসব গ্রাহক একগুচ্ছ চ্যানেল নিতে বাধ্য হয়েছেন। পরিস্থিতি যে নিয়ামক সংস্থা ট্রাইয়েরও অনেক সময় নিয়ন্ত্রণে থাকছে না, তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হল, নতুন বছরের শুরুতেই তারা প্যাকেজ নিয়ে নানা শর্তাবলী আরোপ করতে বাধ্য হয়েছে।
পুজোর সময় বিভিন্ন কোম্পানি মিলিয়ে মোট ৩০টি চ্যানেলের দাম কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এটাকে ফেস্টিভ অফার বলা হয়েছিল। কিন্তু অনেকেরই ধারণা ছিল, একবার দাম কমিয়ে ফের তাকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়তো সম্ভব হবে না। গ্রাহক হারানোর ভয়ে কোম্পানিগুলি এরকম পদক্ষেপও হয়তো করবে না। কিন্তু দেখা গেল, মেয়াদান্তে নতুন কোনও ঘোষণা হল না। অর্থাৎ, আগের বর্ধিত রেটই দিতে হবে গ্রাহককে। এইভাবে যত দিন এগিয়েছে, চ্যানেল এবং হরেকরকম প্যাকেজের চক্করে পড়ে গ্রাহকরা বিভ্রান্তই হয়ে গিয়েছেন। কেবল অপারেটরদের নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বারবার বলা হলেও সে ব্যাপারেও ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপও এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। ফলে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা কার্যত অরক্ষিতই রয়ে গিয়েছে দিনের পর দিন। ট্রাই সেখানে লাগাম পরানোর চেষ্টা করলেও গ্রাহক পরিষেবার দৃষ্টিকোণ থেকে তা অনেক সময়ই সদর্থক হচ্ছে না।