সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
অ্যাসোসিয়েশন অব গোল্ড রিফাইনার্স অ্যান্ড মিন্টস-এর কর্তাদের হিসেব, এদেশে গড়ে ৮০০ টন সোনা আমদানি হয়। এই সংগঠনের আওতায় দেশে ৪৪টি রিফাইনারি আছে, যেগুলি ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রকের ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস বা বিআইএস অনুমোদিত। এখানে বছরে প্রায় ৩০০ টন আমদানি করা সোনা পরিশোধন করা হয়। ভারতে পাঁচ কেজি বা তার বেশি ওজনের সোনার ‘ডোরেবার’ আমদানি করার চল আছে। সেগুলির বিশুদ্ধতা ৯৫ শতাংশের বেশি নয়। সেই সোনা পরিশোধন করে বিস্কুট বা বার তৈরি করা হয়। এর পাশাপাশি প্রায় ২০০ টন দেশীয় সোনাকে পুনরায় পরিশোধন বা ‘রিসাইকেল’ করা হয়। দেশীয় হোক বা আমদানি করা সোনা, পরিশোধনের দায়িত্ব অনেকটাই বহন করে অসংগঠিত ক্ষেত্রে থাকা সংস্থাগুলি। সেই পরিশোধিত সোনা পাইকারি বাজার থেকে কিনে স্বর্ণশিল্পীরা গয়না তৈরি করেন। শিল্পমহলের দীর্ঘদিনের চাহিদা ছিল, স্বর্ণশিল্পের কাঁচামালের জন্যও হলমার্ক বাধ্যতামূলক করা হোক। তা কার্যকর করতে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন বিআইএস কর্তারা। অ্যাসোসিয়েশন অব গোল্ড রিফাইনার্স অ্যান্ড মিন্টস-এর সর্বভারতীয় সম্পাদক হর্ষদ আজমেড়া বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে দিল্লিতে সম্প্রতি বৈঠক হয়েছে মন্ত্রকের কর্তাদের। সেখানেই তাঁরা জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি পাইকারি সোনায় হলমার্কিং চালু করা হবে। শীঘ্রই এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। আমরাও আমাদের শোধনাগারগুলিতে হলমার্কিংয়ের পরিকাঠামো তৈরি রাখছি। এই নিয়ম চালু হলে সামগ্রিকভাবে স্বর্ণশিল্প অনেক বেশি স্বচ্ছ হবে। ক্রেতারাও তাতে লাভবান হবেন।’