কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
মঙ্গলবার দুপুরে কথা হচ্ছিল অমরনাথ মাইতির সঙ্গে। ১১, দুর্গা পিতুরি লেনে তাঁর নিজস্ব দোকানে তিনি এবং তিনজন কারিগর সোনার চেন বানাতেন। প্রায় চার লক্ষ টাকার যন্ত্রপাতিও বসিয়েছেন। শনিবার রাতেই শেষবারের জন্য দোকানে চাবি দিয়ে বেরিয়ে এসেছেন। রবিবার থেকে একাধিকবার একটু ঢোকার জন্য পুলিসকে বারংবার অনুরোধ করেও ছাড়পত্র মেলেনি। তিনি বলেন, পুজোর মুখে কত টাকার ধাক্কা যে এসে লাগবে, কিছুই বুঝতে পারছি না। এই লেনেই তিনজন কর্মচারীকে নিয়ে সোনার দোকান চালান উত্তম পাল। যাবতীয় অব্যবস্থায় ক্ষুব্ধ উত্তমবাবু বলেন, মেট্রো কর্তৃপক্ষ যদি একবার আমাদের নোটিস দিয়ে বলত, দোকান বন্ধ রাখতে হবে, তাহলে তো মালপত্র কিছু অন্যত্র নিয়ে যেতাম। এখন দোকান কী অবস্থায় রয়েছে, জানি না। খেদের সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, যত সময় যাচ্ছে, পরিস্থিতি তত খারাপ হচ্ছে। আগেই যদি একবার ঢুকতে দিত, তাহলে কিছু জিনিসপত্র বাঁচাতে পারতাম। যা অর্ডার পেয়েছিলাম, ঠিক সময়ে তা আর দিতে পারব বলে মনে হয় না। ৯০, গৌর দে লেনে কাজ করেন মধ্যমগ্রামের সোমনাথ পাল। তাঁদের ঠিক পাশের বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে। এখনও তাঁদের বাড়িতে কিছু না হলেও প্রবল আতঙ্কে রয়েছেন। যে কোনও সময় পুলিস দোকান বন্ধের কথা বলতে পারেন ভেবে ইতিমধ্যেই মালপত্র সরিয়েছেন কিছু।
এদিকে, কলকাতা পুরসভা এদিন আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই চত্বরে জল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এদিন বিকেল নাগাদ পুরসভার কর্মীরা এসে মাটি খুঁড়ে পাইপ বের করে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করেন। পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, মাটির উপর নানাভাবে চাপ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কোনওভাবে এই অংশের পাইপ ফেটে গেলে বিপত্তি আরও বাড়বে। তাই এই ব্যবস্থা।