কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন অঞ্চলে সারা বছরই মধু সংগ্রহ করেন মৌ-পালকেরা। এই জেলায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি মৌ-পালক রয়েছেন। এই জেলার উৎপাদিত মধু দেশের বিভিন্ন এবং বিদেশেও রপ্তানি হয়। ইউরোপীয় দেশগুলোতে বাংলার মধুর ভালো চাহিদাও রয়েছে। কিন্তু, তা বেসরকারি এবং ব্যক্তিগতভাবে। এতদিন সরকারিভাবে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। তাই জেলার সমস্ত মৌ-পালকদের কথা ভেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই জেলার দেগঙ্গায় ওই প্রকল্প তৈরি করা হবে। গত ১১ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারাসতে যাত্রা উৎসবে এসেছিলেন। ওই মঞ্চ থেকে এই হানি হাবের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেছেন তিনি। এই প্রকল্পের জন্য মোট ৯৭১ লক্ষ অর্থাৎ ৯ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা বরাদ্দও হয়েছে।
দেগঙ্গায় যে কিষাণ মাণ্ডি তৈরি করা হয়েছে সেখানেই এই প্রকল্প তৈরি হবে। ফলে, নতুন করে বিল্ডিং তৈরি করতে হবে না। এতে খরচেও সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি, যে কোনও বিল্ডিং তৈরি করতে গেলে অনেক সময়ও লাগে। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত হবে। এই হানি হাবে বেশ কয়েকটি ইউনিট থাকবে। যেমন, কালেকশন সেন্টার, প্রসেসিং ইউনিট, প্যাকেজিং সেন্টার, স্টোরেজ ইউনিট, ডিসপ্লে ইউনিট প্রভৃতি। প্রথমে মৌ-পালকদের কাছ থেকে কালেকশন সেন্টারে মধু সংগ্রহ করা হবে। তারপর সেই মধু প্রসেসিং ইউনিটে যাবে। প্রসেসিং হয়ে গেলে প্যাকেজিং করা হবে। সেখান থেকে স্টোরেজ ইউনিটে রাখা হবে। তারপর ব্র্যান্ডিং এবং মার্কেটিং করা হবে।
মৌ-পালকেরা মাল্টিপারপাজ কো-অপারেটিভ এর মাধ্যমেই এখানে মধু দেবেন এবং বিক্রি করবেন। তাই এই হানি হাব থেকে উৎপাদিত মধুর একটি ‘ব্র্যান্ড নেম’ থাকবে অর্থাৎ প্যাকেটজাত মধুর একটি নামকরণ করা হবে। এখনও অবশ্য সেই নামকরণ হয়নি। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার উদ্যানপালন দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর হৃষিকেশ খাড়া বলেন, এই হানি হাব থেকে সরাসরি বাজারে মার্কেটিং করা হবে। এই রাজ্য সহ দেশের বিভিন্ন শহরেই এখানকার মধু পাঠানো হবে। পাশাপাশি, এই হাবের তৈরি মধু বিদেশেও রপ্তানির ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, মৌমাছি চাষ মানে শুধু মধু উৎপাদন নয়। মৌমাছিরা ফুলের পরাগ মিলনও ঘটায়। দেখা গিয়েছে, যেখানে মৌমাছির চাষ বেশি সেইসব অঞ্চলে কৃষিক্ষেত্রে ২০-৩০ শতাংশ উৎপাদনও বেড়েছে। তিনি বলেন, বাকি কাজ দ্রুত এগচ্ছে। মেশিন বসানোর প্রক্রিয়া চলছে। খুব শীঘ্রই এই ‘হানি হাব’ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।