সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
গতবার একা যশস্বী জয়সওয়াল শেষ করে দিয়েছিলেন নাইট সমর্থকদের স্বপ্ন। সেই যশস্বী অফ ফর্ম কাটিয়ে রানে ফিরেছেন। অনুশীলনেও তাঁকে দেখা গেল বেশ চনমনে। গত ম্যাচে চোটের কারণে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে খেলেননি জস বাটলার। তিনিও ইডেনে ঝড় তোলার জন্য ঝালিয়ে নিলেন নিজেকে। দুই দলই দুরন্ত ফর্মে। ছ’টি খেলে রাজস্থান পাঁচটিতে জিতেছে। ঝুলিতে ৮ পয়েন্ট। রয়েছে শীর্ষে। এক ম্যাচ কম খেলে কেকেআর ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। রাজস্থানকে হারাতে পারলেই এক ম্যাচ কম খেলেই তাদের পয়েন্ট হবে সমান। কিন্তু শ্রেয়স আয়ারদের নেট রান (+১.৬৬৮) খুবই ভালো। সেই সুবাদে পয়েন্ট তালিকার মগডালে পৌঁছে যাবে নাইট ব্রিগেড।
গত ম্যাচে লখনউকে ৮ উইকেটে হারিয়ে, থুড়ি, উড়িয়ে দেওয়ার পর মনোবল তুঙ্গে সল্টদের। তার উপর ড্রেসিং রুমে ঢুকে দল মালিক শাহরুখ খানের পেপ টক। এখানেই শেষ নয়, দলকে উদ্দীপ্ত করতে টিম হোটেলেই থেকে গিয়েছেন কিং খান। মঙ্গলবারের ম্যাচেও ইডেনে হাজির থাকবেন তিনি। শাহরুখের দেওয়া টিম গেমের বার্তা আরও তাতিয়ে দিয়েছে শিবিরকে। তবে রাজস্থান কিন্তু লখনউ নয়। সঞ্জু স্যামসনের নেতৃত্বাধীন দলটি ইডেনে মরুঝড় তুলতে পারে। ওপেনিংয়ে যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে জস বাটলার বা কোটিয়ান। তিনে স্বয়ং ক্যাপ্টেন সঞ্জু। তারপর রিয়ান পরাগ, শিমরন হেটমায়ারের মতো মারকুটে ব্যাটসম্যান মুহূর্তে বদলে দিতে পারেন ম্যাচের রং। তাই তো বলা হচ্ছে, নাইট রাইডার্সের বোলারদের কাছে এই ম্যাচ অ্যাসিড টেস্ট। নতুন বলে পাওয়ার প্লে’তে আঘাত হানতে হবে। শুরুতে উইকেট তুলে নিতে পারলে রানের গতিতে লাগাম টানাও হবে অনেক সহজ। ফর্মে ফেরা মিচেল স্টার্কের ভূমিকা হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইডেনের পিচে বল সুইং করছে। রয়েছে বাউন্সও। তাই স্টার্ক হতে পারেন বিপজ্জনক। অজি তারকার সঙ্গে রাজস্থানের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ডুয়েল বাড়তি উন্মাদনার সঞ্চার করবে গ্যালারিতে।
উল্টো দিকে আছেন ট্রেন্ট বোল্ট। কিউয়ি তারকাও গতির বিস্ফোরণে কেকেআরের দুই প্রারম্ভিক ব্যাটসম্যানকে সহজে রান তুলতে দেবেন না। তাই শুরুতে ধাক্কা লাগলে তা সামলে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে অধিনায়ক শ্রেয়সকে। রঘুংবশী নবাগত। এখানেই নীতীশ রানার অভাব স্পষ্ট। মিডল অর্ডারে রিঙ্কু সিং ও রাসেল থাকায় পরিস্থিতি সামলে ওঠার সুযোগ থাকবে নাইটদের সামনে।
খেলা যতই হোক ফ্লাড লাইটে, ইডেনের পিচ কিন্তু মন্থর হচ্ছে। সেক্ষেত্রে স্পিনারদের ভূমিকাও হবে গুরুত্বপূর্ণ। রাজস্থানের স্পিনাররা হতে পারেন অশ্বিন, চাহাল ও কেশব মহারাজ। আর কেকেআরে সুনীল নারিনের জুড়ি মেলা ভার। ব্যাট হাতে তিনি যেমন শুরুতে ঝড় তুলছেন, তেমনই তাঁর কৃপণ বোলিং চাপে ফেলছে প্রতিপক্ষকে। বরুণ চক্রবর্তী ছন্দে ফিরলে কেকেআরের স্পিন বিভাগও হবে ভয়ঙ্কর। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে সুয়াশ শর্মাকে যোগ করলে রাজস্থানের কপালে দুঃখ রয়েছে।