নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাতিল হতে পারে ত্রয়োদশ আইপিএল। তবে বিসিসিআই এখনও এই ব্যাপারে সরকারিভাবে কিছু ঘোষণা করেনি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যে ভাবে ক্রমশ বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কম পক্ষে তিন-চার মাস সময় লাগবে। তাই ২০২০ সালে আইপিএল করার মতো সময় পাওয়া যাবে না বলেই মনে করছে বিসিসিআই। পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি না হলে এবারের আইপিএল বাতিল করে দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই বলেই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞমহল। তবে বিসিসিআই এক তরফা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। কারণ আইপিএলের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আরও অনেক সংস্থা। ফ্র্যাঞ্চাইজির অনেকেই চাইছে না এবার আইপিএল হোক। তারা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে তা জানিয়েও দিয়েছে। তবে বিসিসিআইয়ের সব থেকে বড় সমস্যা ব্রডকাস্টারকে নিয়ে। কারণ আইপিএল থেকে ভারতীয় বোর্ড যে বিপুল অর্থ উপার্জন করে তার সিংহভাগ আসে সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করে। তাই আইপিএল বাতিলের সিদ্ধান্ত সরকারি ভাবে ঘোষণা করার আগে সম্প্রচারকারী সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করছেন বিসিসিআই কর্তারা। আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের এক সদস্য বলেছেন, ‘এবার প্রতিযোগিতা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা দেখছি না। আমরা যখন ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দিয়েছিলাম, তখন করোনা ভাইরাসের প্রকোপ এত বেশি ছিল না। ভেবেছিলাম, পরিস্থিতি তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ফরম্যাট বদল করে আইপিএলের আয়োজন করা সম্ভব ছিল। কিন্তু বিশ্বজুড়ে করোনা তে আক্রান্ত ৭ লাখেরও বেশি মানুষ। মারা গিয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি। এরপর এই সংখ্যা কোথায় দাঁড়াবে তা কেউ জানেন না। তাই আমাদের মনে হয়েছে, আইপিএলের থেকে এখন মানুষের সুস্থ থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি, এই বছর প্রতিযোগিতা না হলে বিপুল আর্থিক ক্ষতি হবে। তারজন্য আমরা বিমা করে রেখেছিলাম। কিন্তু সরকার যেহেতু লকডাউন ঘোষণা করেছে, তাই বিমা থেকে পুরো অর্থ পাওয়া যাবে না। ক্ষতি আমাদের বহন করতেই হবে।’ গত ১৪ এপ্রিল সরকারের চাপে আইপিএল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল বিসিসিআই। কারণ, তার পরেই করোনার প্রকোপ ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। লকডাউনের মেয়াদ বাড়লে সমস্যা আরও জটিল হবে। ভারতের মতো অন্য দেশগুলিও একাধিক বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। এদিকে, আইপিএল যদি বাতিল হয়, তাহলে ২০২১ সালে মেগা অকশন স্থগিত করতে পারে বিসিসিআই। প্রয়োজনে এক বছর তা পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে।